দুদকের অভিযোগের জবাবে যা বললেন টিউলিপ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:০৪ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের অভিযোগগুলোকে ‘মিথ্যা’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেছেন শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। ব্রিটিশ সংসদ সদস্য অভিযোগ করেছেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন’ প্রচারণা চালাচ্ছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে অন্তত তিনটি তদন্তে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম রয়েছে। সেখানে তাকে রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি থেকে লাভবান হওয়া, ঢাকায় জমি দখল এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
টিউলিপ সিদ্দিক এর সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সম্প্রতি দুদকের কাছে পাঠানো এক আইনি নোটিশে তার আইনজীবীরা বলেছেন, এটি যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে ‘অগ্রহণযোগ্য হস্তক্ষেপের’ প্রচেষ্টা।
তার আইনজীবী প্রতিষ্ঠান স্টিফেনসন হারউডের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো ন্যায্য ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে টিউলিপ সিদ্দিকের কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়নি। বরং পরিকল্পিতভাবে তার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে গণমাধ্যমে অভিযোগ প্রচার করা হচ্ছে।
আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, আমরা দাবি করছি, আপনারা অবিলম্বে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অভিযোগ তৈরি বন্ধ করুন এবং গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রচার চালানো থেকে বিরত থাকুন।
দুদক জানিয়েছে, ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে হওয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প চুক্তির মাধ্যমে শেখ হাসিনা বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং তা থেকে টিউলিপ সিদ্দিকও উপকৃত হয়েছেন। দুদক আরও বলেছে, টিউলিপের লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় প্রায় সাত লাখ পাউন্ড মূল্যের ফ্ল্যাটটি এই আত্মসাতের অর্থে কেনা হয়েছে কি না, তা তদন্তাধীন।
তবে টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, ফ্ল্যাটটি ২০০৪ সালে তার গডফাদার আবদুল মোতালিফ উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন, যা রাশিয়ার চুক্তির প্রায় এক দশক আগের ঘটনা। তারা আরও দাবি করেন, টিউলিপ সিদ্দিকের ওই চুক্তির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না, যদিও তিনি মস্কো সফর করেছিলেন এবং সে সময় প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন।
টিউলিপ সিদ্দিক আরও বলেছেন, ঢাকার কূটনৈতিক এলাকায় জমি দখলের অভিযোগ ‘ভুল এবং ভিত্তিহীন’। তিনি কখনো সেখানে কোনো জমির মালিক ছিলেন না। বরং ঢাকায় তার অন্য একটি ফ্ল্যাট বৈধ উপায়ে বোনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
এর আগে দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছিলেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ যেকোনো আদালতে, এমনকি যুক্তরাজ্যের আদালতেও প্রমাণ করা সম্ভব।
সূত্র: দ্য টাইমস