গাজায় নতুন করে স্থল অভিযানও শুরু করেছে ইসরায়েল
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৩:০৬ এম, ২০ মার্চ ২০২৫

গাজায় এবার স্থল অভিযানও শুরু করলো ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ইসরায়েলি বুধবার (২০ মার্চ) সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বাহিনী কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান পুনরায় শুরু করেছে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের মতে, টানা দ্বিতীয় দিনের বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার নতুন করে শুরু হওয়া হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ৪৩৬ ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে ১৮৩ জনই শিশু। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজাকে বিভক্তকারী নেটজারিম করিডোর দখলের জন্যএই অভিযান চালিয়েছে। হামলাকে ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক’ অভিযান বলে উল্লেখ করা করেছে তারা। এরই মধ্যে তারা ওই করিডোরের দখল নিয়েছে।
গত মাসে যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল এই এলাকা থেকে প্রত্যাহার করেছিল।
২০২৩ সালের অক্টোবরে সংঘাত শুরুর পর থেকে অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে নতুন এই হামলা। এই হামলা কার্যত জানুয়ারি থেকে কার্যকর থাকা যুদ্ধবিরতি চূর্ণ করেছে।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এই স্থল অভিযান এবং নেটজারিম করিডোরে প্রবেশকে ‘নতুন এবং গুরুতর লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে। এক বিবৃতিতে হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বুধবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার কেন্দ্রীয় শহরে জাতিসংঘ সদর দফতরের এক এক বুলগেরিয়ান কর্মী নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন।
তবে ইসরায়েল এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারা হামাসের একটি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তারা শনাক্ত করেছিল।
জাতিসংঘের প্রকল্প পরিষেবার নির্বাহী পরিচালক জর্জ মোরেইরা দা সিলভা বলেন, ইসরায়েল জানত যে এটি একটি জাতিসংঘের চত্বর, যেখানে মানুষ বসবাস, অবস্থান এবং কাজ করছিল। এটি একটি সুপরিচিত স্থান।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন এবং জাতিসংঘ কর্মীদের ওপর সমস্ত হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ নিয়ে গাজায় নিহত জাতিসংঘ কর্মীর সংখ্যা ২৮০ জনে পৌঁছেছে।