পাঁচ লাখ গাজাবাসীকে আশ্রয় দেওয়ার দাবি অস্বীকার মিসরের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:০১ পিএম, ২১ মার্চ ২০২৫

ফিলিস্তেনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পাঁচ লাখ ফিলিস্তিনিকে অস্থায়ীভিত্তিতে সিনাইয়ে আশ্রয় দিতে রাজি আছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল সিসি। লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল-আকবারের বরাতে শুক্রবার (২১ মার্চ) এ তথ্য জানায় ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গাজার পুনর্গঠন কাজ চলার সময় গাজার এসব মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হবে।
তবে এই দাবি অস্বীকার করেছে মিসর। দেশটির স্টেট ইনফরমেশন সার্ভিস (এসআইএস) জানিয়েছে, এ সংক্রান্ত খবর মিথ্যা ও ভুয়া। গাজাবাসীকে তাদের নিজ ভূমি থেকে অন্যত্র সরানোর প্রস্তাবকেও মিসর প্রত্যাখ্যান করে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রয়াত্ত্ব সংস্থাটি।
তারা বলেছে, “ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার যে কোনো প্রচেষ্টাকে মিসর চূড়ান্ত প্রত্যাখ্যান করে। এ ব্যাপারে মিসরের অবস্থান দৃঢ়।”
আল-আকবরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতার ও সৌদি আরবে আরব নেতাদের মধ্যে বিগত সপ্তাহগুলোতে যেসব বৈঠক হয়েছে সেখানে তাদের এ ব্যাপারে জানিয়েছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট। এমন প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পরই এটি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি। তারা ইঙ্গিত দিয়েছে, গাজা পুনর্গঠনের কাজ চলবে গাজাবাসীকে সেখানে রেখেই।
দখলদার ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে গাজাবাসীকে স্থায়ীভাবে মিসর, জর্ডান অথবা আফ্রিকার দেশগুলোতে স্থানান্তর করতে চায়। তবে আরব বিশ্ব এটি প্রত্যাখ্যান করেছে। মিসরই এখন গাজা সম্ভাব্য পুনর্গঠনের কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
গত মাসে আরব নেতারা একটি সম্মেলন করেন। সেখানে গাজাকে তিন ধাপে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করা হয়। যেটি বাস্তবায়ন করতে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ পড়বে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গাজায় প্রায় ৫ লাখ বাড়ি তৈরি করা হবে। এছাড়া সেখানে একটি বিমানবন্দরও বানানা হবে। মিসর এ জন্য দাতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল