যুক্তরাষ্ট্রে দোকানে কাজ করার সময় ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাবা-মেয়েকে গুলি করে খুন
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:৫১ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি ও তার মেয়েকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে। ভার্জিনিয়ার অ্যাকোম্যাক কাউন্টিতে দোকানটি খোলার কিছুক্ষণ পরেই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।
রোববার (২৩ মার্চ) সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
ওই ব্যক্তির নাম প্রদীপকুমার প্যাটেল। ভার্জিনিয়ার অ্যাকোম্যাক কাউন্টির ল্যাঙ্কফোর্ড হাইওয়েতে ৫৬ বছর বয়সী প্রদীপকুমার এবং তার মেয়ে এক আত্মীয়ের দোকানে কাজ করছিলেন। সেই সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযুক্ত হামলাকারী মদ কিনতে দোকানে পৌঁছে জিজ্ঞাসা করেন যে, রাতে দোকান বন্ধ ছিল কেন। এরপর বাবা-মেয়ের উপর গুলি চালান। প্রদীপ প্যাটেল ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং তার মেয়ে উর্মি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।’
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার পরে কাউন্টি শেরিফের অফিসে গুলি চালানোর খবর আসে। সেখানে পৌঁছে তারা দেখতে পান যে, প্যাটেল গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন। এ সময় তার কোনো জ্ঞান ছিল না।
ভবনটি তল্লাশি করার সময় পাশেই প্রদীপের মেয়ে (২৪) উর্মিকে খুঁজে পাওয়া যায়। যিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে ছিলেন।
ঘটনাস্থলেই প্রদীপকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তবে উর্মিকে সেন্টারা নরফোক জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তিনিও মারা যান।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এরইমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউন্টি শেরিফ ডব্লিউ টড ওয়েসেলস জানিয়েছেন, ওনানককের বাসিন্দা ৪৪ বছর বয়সী সন্দেহভাজন জর্জ ফ্রেজিয়ার ডেভন হোয়াইটকে কোনো জামিন ছাড়াই হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে ভার্জিনিয়ার স্থানীয় একটি সংবাদ চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দোকানের মালিক পরেশ প্যাটেল বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী এবং তার বাবা আজ সকালে কাজ করছিলেন এবং এক ব্যক্তি এখানে এসে গুলি চালিয়েছে।’
প্রদীপ প্যাটেল, তার স্ত্রী হংসাবেন ও তাদের মেয়ে উর্মি গুজরাটের মেহসানা জেলার বাসিন্দা। ছয় বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসেন তারা।