ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে সমর্থন দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:০৬ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ তৈরি হলেও যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সমর্থন বাড়ছে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সমান সুযোগের দাবিতে ট্রাম্পের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো। ইউরোপের উচ্চ শুল্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। সংবাদ বিবিসির।
শুল্কারোপে স্বেচ্ছাচারিতা ও নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছেন ট্রাম্প। বিশেষজ্ঞরা শুল্কযুদ্ধের বিষয়ে সতর্ক করলেও নিজের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন তিনি।
একের পর একের দেশের বিরুদ্ধে চড়া শুল্ক চাপাচ্ছেন। এ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তবে ট্রাম্পের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন মার্কিন ব্যবসায়ীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ইউরোপীয় পণ্যের আধিপত্য থাকলেও ইউরোপে মার্কিন পণ্যের প্রবেশ প্রায় অসম্ভব। কারণ শুল্কের বিশাল পার্থক্য। এ অবস্থায় ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাচ্ছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো।
বিশেষ করে খাদ্য, প্রযুক্তি ও শক্তি খাতের বড় বড় কোম্পানিগুলো বলছে, ‘এত দিন ইউরোপ ও অন্যান্য দেশগুলো মার্কিন বাণিজ্যকে শুল্কের বেড়াজালে আটকে রেখেছিল।’
মার্কিন খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জেএম স্মাকার জানায়, ইউরোপের ২৪ শতাংশের বেশি আমদানি শুল্ক তাদের ব্যবসাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আপেল চাষীরা বলছেন, ভারতে তাদের পণ্যে ৫০ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়।
শুধু খাবার নয়, অন্য খাতেও ইউরোপের বিরুদ্ধে শুল্ক বৈষম্যের অভিযোগ তুলছে মার্কিন ব্যবসায়ীরা। যার প্রেক্ষিতে স্ট্রিমিং কোম্পানি এবং ইস্পাত শিল্পও ট্রাম্প প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়েছে।
স্ট্রিমিং কোম্পানিগুলো বলছে, ‘কানাডা ও তুরস্কের মতো দেশগুলো তাদের ডিজিটাল সেবার ওপর উচ্চ হারে কর বসিয়ে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে প্রতিযোগিতার বাইরে ঠেলে দিচ্ছে।’
অন্যদিকে তেল ও গ্যাস খাতের বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, মেক্সিকোর মতো দেশগুলোর কড়া নিয়ম মার্কিন কোম্পানিগুলোকে স্বাভাবিকভাবে ব্যবসায় করতে দিচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের শুল্কনীতিকে মুক্তবাজার রক্ষার হাতিয়ার হিসেবে দেখছে ব্যবসায়ী মহল। তবে বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, শুল্ক যুদ্ধ বাড়লে বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।