মসজিদে নামাজের মধ্যে মোবাইল বেজে উঠলে করণীয়
- ইসলাম ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৫:৪৭ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
/mosjid-call.jpg)
মোবাইল ব্যবহারকারীদের কর্তব্য হলো, মসজিদে ঢোকার আগেই মোবাইল বন্ধ করে দেওয়া যেন মসজিদে মোবাইল বেজে নামাজরত কারো মনোযোগ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। মসজিদে ঢোকার সময় বন্ধ না করলে নামাজে দাঁড়ানোর সময় অবশ্যই মোবাইল ফোনটি সাইলেন্ট বা বন্ধ করে দিতে হবে।
কেউ যদি কখনও মোবাইল বন্ধ করতে ভুলে যায় এবং নামাজের মধ্যে মোবাইল বেজে ওঠে তাহলে এক হাতে কল কেটে দেওয়া উচিত। এক হাতে কল কেটে দিলে নামাজ ভেঙে যাবে না। যেহেতু এটা আমলে কাসির বা বেশি কাজ নয়।
তবে মোবাইল বন্ধ করার সময় প্রয়োজন অতিরিক্ত কোনো কাজ যেন না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। কল কাটার জন্য প্রয়োজন হলে বাটন বা স্ক্রিনের দিকে তাকানো যেতে পারে। প্রয়োজন ছাড়া কাজ যেমন কে ফোন করেছে দেখার জন্য স্ক্রিনের দিকে তাকালে নামাজ না ভাঙলেও মাকরুহ হবে।
নামাজের মধ্যে কল কাটা বা মোবাইল বন্ধ করার জন্য একসাথে দুই হাত ব্যবহার করা যাবে না। এক সাথে দুই হাত ব্যবহার করলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। কল কাটার জন্য নামাজের অবস্থা থেকে সরে গেলে যেমন সিজদা বা রুকু থেকে উঠে গেলেও নামাজ ভেঙে যাবে।
নামাজ মহান আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্কের মাধ্যম। নামাজে বান্দা সরাসরি আল্লাহ তাআলার দরবারে দাঁড়ায়। তার প্রতি প্রশংসা নিবেদন করে, তার কাছে প্রার্থনা করে। তাই বান্দার অবশ্যকর্তব্য নামাজ শুরুর আগে দুনিয়াবি সব কাজ ও চিন্তা ভাবনা থেকে পুরোপুরি বিযুক্ত হওয়া। মোবাইলের মতো নামাজে মনোযোগ নষ্ট করতে পারে এমন জিনিস সাথে না রাখা বা নিস্ক্রীয় করা। নামাজে অত্যন্ত বিনয়ী ও বিনম্র থাকা। নিজের আত্মা ও অন্তরকে পরিপূর্ণভাবে আল্লাহমুখী করা। নামাজে যিনি যত বেশি আল্লাহমুখী তার নামাজ ততই প্রাণবন্ত। খুশুখুজু বা বিনয় ও একাগ্রতা নামাজের সৌন্দর্য। নামাজে যার মনোযোগ যত বেশি, তার নামাজ ততই গ্রহণযোগ্য।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করেছে মুমিনগণ, যারা নিজেদের নামাজে বিনয়ী ও একাগ্র। (সুরা মুমিনুন: ১, ২)
নামাজে অমনোযোগিতা ও লোক দেখানোর প্রবণতার জন্য শাস্তির ঘোষণা দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, সেই নামাজ আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ, যারা নিজদের নামাজে অমনোযোগী, যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে। (সুরা মাউন: ৪-৬)