শীতে চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চার টিপস
- লাইফস্টাইল ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:৩২ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

চুলের যত্ন নিতে গিয়ে অনেকেই বেশকিছু ভুল করেন। আর এ ভুলেই শীতে চুল পড়া সমস্যা বেড়ে যায় অন্য ঋতুর তুলনায় দ্বিগুণ। জানেন কি, প্রতিদিন চুলের কোন ভুল পরিচর্যার জন্য চুল ঝরে পড়াসহ নানা সমস্যা তৈরি হয়।
আজকের আয়োজনে থাকছে চুলের সঙ্গে করা বেশকিছু মারাত্মক ভুল নিয়ে তথ্য, যেসব ভুলে চুলের স্বাস্থ্য নাজুক হয়ে পড়ে। এতেই বাড়তে শুরু করে চুল ঝরে পড়ার প্রবণতা।
চুলের এসব সমস্য থেকে মুক্তি পেতে ডাক্তার তাসনিম জারা দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ চারটি টিপস। আসুন, চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সেই গুরুত্বপূর্ণ চারটি টিপস জেনে নিই-
পরিপাটি লুক আনতে চুল আঁচড়ানো ও বাঁধার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন, রাবার ব্যান্ড দিয়ে কখনও চুল বাঁধবেন না। কারণ, রাবার ব্যান্ড দিয়ে চুল বাঁধলে চুল ভেঙে যায় ও চুলে জটের সৃষ্টি হয়। তাই, সব সময় চুল বাঁধুন কাপড় দিয়ে তৈরি এমন রাবার ব্যান্ড দিয়ে।
খুব শক্ত করে চুল বাঁধলে চুলের গোড়া আলগা হওয়ার প্রবণতা শুরু হয়। এছাড়া, খুব টাইট করে চুল বাঁধলে চুলে যে স্থানে টান পড়ে, সেই হেয়ার লাইনে চুল পড়ে যায়। চিকিৎসা শাস্ত্রে একে বলে ট্রাকশান অ্যালোপেশিয়া। মনে রাখবেন, অনেক সময় টাইট করে চুল বাঁধা মাথা ব্যথার কারণও হয়ে দাঁড়ায়।
শীতে অনেকেই দ্রুত গোসল সেরে নিতে এবং ঝামেলা এড়াতে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু, শ্যাম্পু করার পর কখনই কন্ডিশনার বাদ দেয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন ডাক্তার তাসনিম জারা। কারণ, শ্যাম্পু মাথা ও চুলের ধুলোবালি সরানোর পাশাপাশি মাথার ও চুলের জন্য দরকারি প্রাকৃতিক তেল সিবামও সরিয়ে ফেলে। তাই, এ সমস্যা সমাধানে কন্ডিশনার কাজ করে। চুলের মধ্যে ফ্রিকশান কমিয়ে চুলকে আরও মসৃণ ও ঝলমলে করে তোলে। তাই, শীতে একটু কষ্ট হলেও চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
শীতে গোসলের পর অনেকেই দ্রুত কম্বলমুড়ি দিয়ে আবার বিছানায় শুয়ে পড়েন। এমন কাজ কখনই করা যাবে না। কারণ, গোসলের পর চুল ভেজা থাকে। আর ভেজা চুল নিয়ে ঘুমালে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে। চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। অল্পতেই চুল পড়ে যায়। তাই, শরীরে কম্বল জড়িয়ে প্রথমে ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন। তারপর চুল শুকিয়ে গেলে চাইলে আপনি ঘুমাতে পারেন।
শীতের সকালে তাই চুলের যত্নে এ চার টিপস মনে রাখুন ও নিয়মিত মেনে চলুন। তাহলে শীতেও চুল রুক্ষ্ম ও নির্জীব না হয়ে বরং থাকবে ঝলমলে ও প্রাণবন্ত।