সাময়িক সম্প্রচার বন্ধ গ্লোবাল টিভির

বেসরকারি গ্লোবাল টেলিভিশনের সম্প্রচার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)।মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসসিএল জানায়, বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের সম্প্রচার সাময়িক বন্ধ করা হয়।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও যথাসময়ে বকেয়া পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় গ্লোব মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের (গ্লোবাল টেলিভিশন) সম্প্রচার সেবা আজ দুপুর ২টায় বিছিন্ন করা হয়েছে। বকেয়া পরিশোধ সাপেক্ষে পুনরায় সম্প্রচার চালু করা হবে।এর আগে গত ১৯ আগস্ট একই কারণে গ্রিন টেলিভিশনের সম্প্রচার সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে বিএসসিএল। টেলিভিশনটির সম্প্রচার সেবা এখনও বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে।

প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক কল্যাণের এমডির চুক্তি

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. নিজামুল হকের চুক্তি বাতিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এছাড়া বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দর (বাদল) চুক্তিও বাতিল করা হয়েছে।সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।অন্যদিকে, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. আব্দুর রৌফ মিয়া এবং খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

হ্যাক হয়েছে প্রথম আলোর অনলাইন

হ্যাক হয়েছে দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সন। নিরাপত্তা-ত্রুটি বের করে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক ও কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা প্রকাশ করেছে হ্যাকার। তবে এই কাজের মাধ্যমে প্রথম আলোর কোনো ক্ষতি করার ইচ্ছা তাদের নেই বলেও জানিয়েছে বার্তায়। ৯ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে প্রথম আলোর হোম পেজে ওই বার্তাটি দেখা যায়। বিষয়টি সমাধানে পত্রিকার তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মীরা কাজ করছেন বলে প্রথম আলোতে কর্মরত একজন সাংবাদিক নিশ্চিত করেছেন।বার্তায় বলা আছে,প্রিয় মতিউর রহমান স্যার এবং প্রথম আলোর কর্মীবৃন্দ,আমি প্রথমেই এই বিষয় পরিষ্কার করতে চাই যে আমি আপনাদের শত্রু নই বা দেশের সর্বাধিক পঠিত ও সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য বাংলা সংবাদপত্র প্রথম আলোর কোনো সম্পদের ক্ষতি করার কোনো উদ্দেশ্য আমার নেই।কিন্তু অনলাইন মাধ্যমে সংবাদ প্রচারের জন্য আপনাদের ওয়েবসাইটের ব্যবহৃত কুইনটাইপ টেকনলজিকস ইন্ডিয়া লিমিটেডের তৈরি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস)-এ গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ত্রুটি রয়েছে।যা ব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রথম আলোর পূর্বপ্রকাশিত কোন সংবাদ বা তথ্য পরিবর্তন, পরিমার্জন বা নতুন কোন মিথ্যা তথ্য সংবাদ আকারে প্রকাশ করে প্রথম আলোর বিশ্বাসযোগ্যতা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের মধ্যে গুজব ছড়াতে পারে।তাই আপনাদের সতর্ক করতে আমি এ বার্তাটি প্রকাশ করছি। আপনাদের প্রযুক্তি বিভাগ ও নির্বাহী কর্মকর্তাদের সামনে আমি সকল নিরাপত্তা ত্রুটি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরতে ইচ্ছুক এবং যুক্ত প্রচেষ্ঠায় দ্রুত সময়ের মধ্যে তা সংশোধন করতে আগ্রহী। আমার সাথে যোগাযোগের জন্য prothomalosecurityconcern@duck.com এই ঠিকানায় ই-মেইল করার অনুরোধ করা হলো।ইতি,প্রথম আলোর একজন শুভাকাঙ্ক্ষীঠিক কারা এই কাজ করেছে, তা স্পষ্ট না।প্রথম আলো অনলাইন বাংলাদেশি সংবাদের ওয়েবসাইটের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। মাসে কয়েক কোটি পাঠক এই অনলাইন ভিজিট করে থাকে।

হাতিরঝিল থেকে জিটিভির নিউজরুম এডিটরের মরদেহ উদ্ধার

হাতিরঝিল থেকে একটি বেসরকারি টেলিভিশন জিটিভি’র নিউজরুম এডিটর রাহনুমা সারা’র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত ৩টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।জানা গেছে, অচেতন অবস্থায় দ্রুত ওই নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাহানুমার বাড়ি কল্যাণপুরে। তার বাবার নাম বখতিয়ার শিকদার বলেও জানা গেছে।মৃত্যুর আগে আরেকটি ফেসবুক তার এক বন্ধুকে উদ্দেশ্য করে পোস্ট দেন তিনি। তিনি লিখেন, আপনার মত একজন বন্ধু পেয়ে ভালো লাগলো, ঈশ্বর আপনাকে সর্বদা আশীর্বাদ করুন। আশা করি আপনি শিগগিরই আপনার সমস্ত স্বপ্ন পূরণ করবেন, আমি জানি আমরা একসঙ্গে অনেক পরিকল্পনা করেছি। দুঃখিত আমাদের পরিকল্পনা পূরণ করতে পারিনি, ঈশ্বর আশীর্বাদ করুন।এ ছাড়াও ফেসবুকে ‘জীবন্মৃত হয়ে থাকার চাইতে মরে যাওয়াই ভাল।’ একটি স্ট্যাটাস দেন রেহনুমা। সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে ইংরেজিতে লিখেন ‘আমি আজ মারা যাবো’ তাই পুলিশের ধারণা রেহনুমা আত্মহত্যা করেছে।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো সাংবাদিক শাকিল-ফারজানা রুপাকে

একাত্তর টিভি থেকে চাকরিচ্যুত প্রধান বার্তা সম্পাদক শাকিল আহমেদ ও প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপাকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আজ বুধবার (২১ আগস্ট) উত্তরা পূর্ব থানায় ৩০২/১১৪/১০৯) ধারায় পেনাল কোডে তাদের নামে হত্যা মামলাটি দায়ের করা হয়। যার নম্বর ০৪। বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো.ওবায়দুর রহমান। এর আগে সকালে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশ যাওয়ার সময় তাদের আটকে দেয় ইমিগ্রেশন। পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা আজ সকালে শাহজালাল বিমানবন্দরে যান। সঙ্গে তাদের কন্যা সন্তানও ছিল। তাদের তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ইস্তানবুল হয়ে ফ্রান্সের প্যারিসে যাওয়ার কথা ছিল বলেও জানায় সূত্রটি। তবে সিটি এসবির ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। পরে তাদের মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গণমাধ্যমে হামলাকারীরা আটক না হলে ভুল মেসেজ যাবে: রাশেদা কে চৌধুরী

ঢাকা: ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। গণমাধ্যমে হামলাকারীরা আটক না হলে সারা দেশে ভুল মেসেজ যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সোমবার (১৯ আগস্ট) গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছাত্র-ছাত্রীরা কোনো গণমাধ্যমের ওপর হামলা করছে না। কারা এই হামলা চালাচ্ছে তা খুঁজে বের করতে হবে। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডে যারা হামলা চালিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। গণস্বাক্ষরতা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক বলেন, এই অপকর্মে জড়িতদের আটক করা না গেলে সারা দেশে একটা ভুল মেসেজ যেতে পারে। অনেকে মনে করে থাকতে পারেন যে, আন্দোলনকারী ছাত্ররা এর সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এর সঙ্গে তো ছাত্ররা জড়িত নয়। রাশেদা কে চৌধুরী আরও বলেন, একদিকে আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলছি, অন্যদিকে গণমাধ্যমের ওপর হামলা চালানো হবে, তা মেনে নেওয়া যায় না। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একটি পক্ষ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। এটি চলতে দেওয়া যায় না। এই দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে।

গণমাধ্যমে হামলাকারীরা আটক না হলে ভুল মেসেজ যাবে: রাশেদা কে চৌধুরী

ঢাকা: ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী। গণমাধ্যমে হামলাকারীরা আটক না হলে সারা দেশে ভুল মেসেজ যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সোমবার (১৯ আগস্ট) গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছাত্র-ছাত্রীরা কোনো গণমাধ্যমের ওপর হামলা করছে না। কারা এই হামলা চালাচ্ছে তা খুঁজে বের করতে হবে। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডে যারা হামলা চালিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। গণস্বাক্ষরতা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক বলেন, এই অপকর্মে জড়িতদের আটক করা না গেলে সারা দেশে একটা ভুল মেসেজ যেতে পারে। অনেকে মনে করে থাকতে পারেন যে, আন্দোলনকারী ছাত্ররা এর সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এর সঙ্গে তো ছাত্ররা জড়িত নয়। রাশেদা কে চৌধুরী আরও বলেন, একদিকে আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলছি, অন্যদিকে গণমাধ্যমের ওপর হামলা চালানো হবে, তা মেনে নেওয়া যায় না। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একটি পক্ষ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে। এটি চলতে দেওয়া যায় না। এই দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে।

সময় টিভির সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের

নিউজ ভিত্তিক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যালেন সময় টিভির সম্প্রচার সাত দিনের জন্য বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৯ আগস্ট) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে গত ১০ আগস্ট সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে আহমেদ জোবায়েরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওইদিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার গুলশানের সিটি হাউসে সময় মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদ থেকে আহমেদ জোবায়েরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে গত বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে সময় টিভির এমডি ও সিইও পদ থেকে আহমেদ জোবায়েরকে অপসারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আহমেদ জোবায়ের একটি আবেদন করেন। বিচারপতি খিজির হায়াতের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানি হয়। পরে তার আবেদন গ্রহণ করে আগামী ২২ আগস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।ফলে বিচারাধীন বিষয় হওয়ায় সময় টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে কোনো মামলা বিচারাধীন থাকলে সে বিষয়ে কেউ কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। বিস্তারিত আসছে...

মনপুরা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ‘দ্য স্টার নিউজ’র প্রকাশক সীমান্ত হেলাল

ভোলার মনপুরায় প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জাতীয় অনলাইন ‘দ্য স্টার নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্র্রকাশক সীমান্ত হেলালকে প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে এবং মোঃ অহিদুর রহমানকে (দৈনিক আমাদের নতুন সময়) সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। বুধবার (১৪ আগস্ট) রাত ৮ টায় মনপুরা প্রেস ক্লাব ভবনে কমিটি গঠন উপলক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ক্লাবের সাবেক সহসভাপতি মোঃ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ক্লাবের সকল সদসদের সিদ্ধান্তক্রমে এ কমিটি ঘোষনা করেন মনপুরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ মাহবুবুল আলম শাহীন। পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে নতুন কমিটিতে মোঃ শহীদুল ইসলামকে সহসভাপতি, এস. ডি দূর্জয়কে সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ আল মামুনকে অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে রয়েছেন, মনপুরা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আমীর হোসেন হাওলাদার, মোঃ মাহবুবুল আলম শাহীন, মোঃ আলমগীর হোসেন, সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ সালাহ উদ্দিন ও আবদুল্লাহ জুয়েল। মনপুরা প্রেস ক্লাবের এই নবগঠিত কমিটিকে উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সফলতা কামনা করেছে ওনাব

ছাত্রজনতার এক রক্তক্ষয়ী অভুত্থানে স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে এই সরকারের সফলতা কামনা করেছে বাংলাদেশ অনলাইননিউজপোর্টাল এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ওনাব)। এক বিবৃতিতে ওনাব নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ অনেক-আইন শৃঙ্খলাপরিস্থিতির উন্নয়ন, প্রশাসন,বিচারবিভাগ এবং পুলিশবাহিনীর মনোবল ফিরিয়ে আনা সবচেয়ে জরুরি। এ ছাড়াও রয়েছে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা। আশাকরি, ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্ত্বাধীন এ সরকার সফলতার সঙ্গে কাজগুলো করে সাধারণ মানুষের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে। ওনাব সভাপতি মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গণতন্ত্রে উত্তোরণের কাজে সব ধরণের সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সকল গণমাধ্যমকে ভয়ভীতির উর্ধ্বে উঠে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

দীর্ঘ ১১ বছর পর দিগন্ত টিভিতে সাংবাদিকরা, ফিরবে সম্প্রচারে

২০১৩ সালে বিদ্বেষ, গুজব ছড়ানো ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ এনে বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল দিগন্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ১১ বছর পর আজ সেই কার্যালয়ে জড়ো হয়েছেন সেখানকার সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্টরা। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ৩৬ দিন আগে শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপান্তরিত হওয়ার পর দেশজুড়ে সংঘাত শুরু হয়। ৩ শতাধিক মানুষের মৃত্যুর মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালান। এরপরই বদলে যেতে শুরু করে দেশের সার্বিক চিত্র। এরই ধারাবাহিকতায় বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল দিগন্ত টেলিভিশন কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সব কর্মকর্তা জড়ো হয়েছেন। পুনরায় নতুন করে চালু হওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই তারা একত্রিত হয়েছেন। সেসময় টেলিভিশনটিতে আউটডোর নিউজ ক্যামেরাম্যান হিসেবে কাজ করতেন ফখরুল ইসলাম নামের একজন। তিনি তার ফেসবুক পোস্টে দুটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, জীবনের প্রথম কর্মস্থল দিগন্ত টেলিভিশনের সম্প্রচার চালু করার বিষয়ে মিটিং চলছে। বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল দিগন্ত টেলিভিশন সম্প্রচার সাময়িক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় অর্থাৎ ২০১৩ সালে তথ্যমন্ত্রী ছিলেন হাসানুল হক ইনু। সেসময় তিনি বলেছিলেন, দিগন্ত টেলিভিশনসহ দু-একটি টেলিভিশন দায়িত্বশীলতার বদলে ঘটনাকে উসকে দিচ্ছে। এসব চ্যানেল বিদ্বেষ ও গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে চরম অপরাধ করেছে। তাই তথ্য মন্ত্রণালয় বাধ্য হয়ে প্রচলিত আইনে এ ধরনের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। এটি সাময়িক ব্যবস্থা। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেসময় বিটিআরসির স্পেকট্রাম পরিচালক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে সাময়িকভাবে দুটি বেসরকারি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে। চ্যানেল দুটির বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

বরিশালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত দাবি

বরিশাল: কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের হেনস্তা ও মারধরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বরিশালের সাংবাদিকরা। এরই মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হতাহতের ঘটনায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। ওই বিবৃতিতে বিআরইউ’র নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আন্দোলন কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গত কয়েক দিনে বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকেরা হামলার শিকার হয়েছেন। গণমাধ্যমের ক্যামেরা, গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর হামলা অগ্রহণযোগ্য। অনতিবিলম্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের শনাক্ত করে বিচারের দাবি জানায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ)। পেশাগত সাংবদিকদের নিয়ে গঠিত এই সংগঠনের সাবেক সভাপতি আনিছুর রহমান স্বপন বলেন, নিঃসন্দেহে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হতাহতের ঘটনা উদ্বেগজনক। এগুলোর কারণ অবশ্যই সরকারকে খুঁজে বের করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আর বিচার নিশ্চিত না হলে এ ধরনের ঘটনা বার বার ঘটবে। তবে সাংবাদিকতা বা সাংবাদিকদের যে ভাবমূর্তি আগে ছিল, এখন মনে হয় সেটি সেই জায়গাতে নেই। নির্দলীয় স্বাধীন সাংবাদিকতা বজায় রাখলে হয়তো এমনটা হতো না। তবে কোনো গোষ্ঠী বিশেষ কোনো স্বার্থে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়েছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা উচিত। শহিদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, এবারে যে ঘটনা ঘটেছে আগে কখনও এমনটা দেখা যায়নি। যে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে সাংবাদিকরা নিরাপদেই কাজ করেছে। তবে এবার ভিন্নতা দেখা দিয়েছে। সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ নিয়ে যেমন ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, তেমনি হেনস্তা এমনকি মারধরও করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু বরিশালে নয়, এবারের মতো সাংবাদিকদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা গোটা দেশেই প্রথম। আমি বলব, কোটা সংস্কার নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে যা ঘটেছে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা উচিত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দেওয়া হোক। উল্লেখ্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ নগরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংবাদ যথাযথভাবে প্রকাশ করে আসছিলেন বরিশালের গণমাধ্যমকর্মীরা। কিন্তু জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বিপাকে পড়েন গণমাধ্যমকর্মীরা। বিশেষ করে বিভিন্ন টেলিভিশনে কর্মরত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে অপ্রীতিকর মন্তব্য, লাইভ চলাকালীন সময়ে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করে প্রতিবেদককে উদ্দেশ্য করে কথাবার্তা বলা, লাইভ শুরুর আগে প্রতিবেদককে নিউজ প্রকাশের বিষয় নিয়ে সতর্ক করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। তবে ১৬ জুলাই থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের নাম উল্লেখ করে তার প্রতিবেদককে খোঁজা এবং খুঁজে পেতে পুরস্কার ঘোষণা করা, ধরে নিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে বলার মতো ঘটনা ঘটে। সেইসাথে এদিন যমুনা টেলিভিশনের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। আর ১৭ জুলাই তো পুলিশ সদস্যদের সাথে সাথে দৈনিক যুগান্তরের ফটো সাংবাদিক শামীম আহম্মেদসহ বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী বিক্ষোভকারীদের হামলায় আহত হয়। যেখানে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে। পাশাপাশি ১৭ জুলাই বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ এলাকায় বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে টানা ১০ ঘণ্টা ধরে যারা ছিলেন, সেই সকল গণমাধ্যমকর্মীরা জানিয়েছেন, তারা যে কোন কাজে ইট-পাটকেল নিক্ষেপকারীদের পাশ দিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছিলেন। রাতে পুলিশ চলে যাওয়ার পর অনেকেই তাদের মোটরসাইকেলে থাকা গণমাধ্যমের স্টিকার খুলে, গলায় থাকা আইডিকার্ড খুলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। কারণ তখন যারা নথুল্লাবাদে ছিলেন তাদের মধ্যে কোন ছাত্রের দেখা তো পাওয়াই যায়নি এবং নগরের পরিচিত কাউকে দেখতেও পাননি, বিপদে পড়লে যাদের সহায়তা নেওয়া যায়।

প্রধানমন্ত্রীর নতুন প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান, প্রজ্ঞাপন জারি

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ‘দৈনিক আমাদের নতুন সময়’র ইমেরিটাস সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মো. নাঈমুল ইসলাম খানকে তার যোগদানের তারিখ হতে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) সরকারের সচিব পদমর্যাদা ও ৭৮ হাজার টাকা (নির্ধারিত) বেতন এবং অন্য সুবিধাদিসহ প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।গত ১০ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুর পর থেকে এই পদটি শূন্য হয়েছিল।

ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আহসান কামরুল, সম্পাদক জিয়াউর রহমান

ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরাম (ডিবিএসএফ) এর সভাপতি পদে চ্যানেল আইয়ের এসি. আউটপুট এডিটর আহসান কামরুল এবং সাধারণ সম্পাদক পদে সাপ্তাহিক তদন্ত চিত্রের সম্পাদক জিয়াউর রহমান পুন:নির্বাচিত হয়েছেন।রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভায় আগামী এক বছরের জন্য এই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মামুনুর রশীদ (তদন্ত চিত্র), সহ-সভাপতি এইচ এম কামরুল (দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ), সহ-সভাপতি সাগর চৌধুরী (ডব্লিউউনিউজ), যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. ইব্রাহিম খলিল (নিউজ আইবিডি), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জেমস এ কে হামীম (বৈশাখী টিভি), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিদুল তন্ময় (ওয়েব নিউজ- ফ্রান্স), কোষাধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন (দৈনিক দেশের ডাক), নারী বিষয়ক সম্পাদক উজমা হাসান (এটিএন বাংলা), দপ্তর সম্পাদক খান শান্ত (দৈনিক নতুন সংবাদ), সহ-দপ্তর সম্পাদক ফরহাদ হোসেন হাওলাদার (প্রিয়দেশ নিউজ), প্রচার সম্পাদক জিহাদুল ইসলাম (নাগরিক টিভি), সহ-প্রচার সম্পাদক হুমায়ুন কবির (আজকের অগ্রবাণী), ক্রীড়া ও সংস্কৃতিক সম্পাদক মো.সম্রাট (চ্যানেল ২৪)। এছাড়াও নির্বাহী পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন- সাখাওয়াত সজীব (ঢাকা ওয়াচ ২৪), লুৎফর রহমান (সেরা কণ্ঠ), এ আর এম মামুন (সময়ের চিত্র), মেহেদী হাসান (চ্যানেল নাইন), রাজন চৌধুরী (চ্যানেল আই), মোরশেদ আলম (শেয়ার নিউজ২৪), মেশকাত হোসেন (আলোচিত সংবাদ), ইব্রাহিম হাসান (বাংলাদেশ সমাচার)। ডিবিএসএফ এর পুন:নির্বাচিত সভাপতি আহসান কামরুল বলেন, বিগত দিনের ন্যায় ভবিষ্যতেও ঢাকায় কর্মরত ভোলার সাংবাদিকদের পাশে থাকবে ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরাম। সদস্যদের পেশাগত মানোন্নয়নসহ নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের দিকে আরও বেশি নজর দেওয়া হবে। ডিবিএসএফ এর সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ঢাকাস্থ ভোলার সাংবাদিকদের বিপদে-আপদে পাশে থেকেছে ডিবিএসএফ। শুধু ঢাকাস্থ ভোলার সাংবাদিক নয়, আমরা যেকোন পরিস্থিতিতে সকল সাংবাদিকের পাশে থাকতে চাই। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে সব জয় করা সম্ভব।

টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচার বন্ধে কার্যক্রম শুরু

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। সোমবার (৬ মে) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এর আগে গত (২ মে) তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ১) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীরাই সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে। ২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না। ৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না। ৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিংয়ের অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৫) বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ৬) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত অন্য কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতীত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না। ৭) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোনও ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত নিজস্ব কোনও অনুষ্ঠান যেমন- ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোনও উপায়ে কোনও চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনও চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না। ৮) কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনও ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী ব্যতীত অন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। ৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটররা এ সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে। ১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

শিগগিরই অনলাইন নিউজপোর্টালের বিজ্ঞাপন নীতিমালা: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, নিবন্ধিত অনলাইন নিউজপোর্টালের বিজ্ঞাপন নীতিমালাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। প্রতি বছর অনলাইন নিউজপোর্টালের নবায়ন বাদ দেয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম এতোটা উন্মুক্ত যে, নিবন্ধনের বাইরেও অনেক অনলাইন গণমাধ্যম কাজ করছে। গণমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারির প্রশ্নই আসে না। তবে শৃঙ্খলার মধ্যে আনার বিষয় আছে।সেটা আমরা চেষ্টা করছি। আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকার নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যম মালিকদের সংগঠন অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওনাব)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওনাব)-এর সভাপতি মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ওনাবের সহসভাপতি লতিফুল বারী হামিম ও সৌমিত্র দেব, যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ও আশরাফুল কবির আসিফ, কার্যনির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম মিঠু, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, রফিকুল বাসার, হামিদ মো. জসিম, মহসিন হোসেন, অয়ন আহমেদ ও খোকন কুমার রায় বক্তব্য রাখেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা প্রয়োজন আছে। কিন্তু অপতথ্য সাংবাদিকতাকে নষ্ট করে। তিনি আরও বলেন, নিবন্ধিত অনলাইনের বাইরে অনিবন্ধিত এবং অবৈধ অনলাইন নিউজপোর্টাল বন্ধের দাবি উঠেছে। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পদক্ষেপ নেবো। এ সময় মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, সরকারের কোনো ভুল-ত্রুটি থাকলে গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। তবে অপপ্রচারের লক্ষ্যে অসত্য তথ্য দিয়ে খবর প্রচার করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি। অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য সরকারি বিজ্ঞাপনের বিষয়ে তিনি জানান, শিগগিরই এ ব্যাপারে আপনারা সুখবর পাবেন। প্রয়োজনে ওনাব নেতৃবৃন্দকে এ সংক্রান্ত কমিটিতে নেওয়া হতে পারে। এ প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সংবাদপত্রের সার্কুলেশন জানার আধুনিক প্রযুক্তি তেমন না থাকলেও এক নিমিষেই অনলাইন নিউজপোর্টালের পাঠক সংখ্যা জানা সম্ভব। তাই অনলাইন গণমাধ্যমে সরকারি বিজ্ঞাপন দেয়ার কাজটি অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে করা যাবে। এসময় ওনাব নেতারা আসন্ন বাজেটের আগেই সরকারি বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন। জবাবে অতি দ্রুত বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ঢাকাওয়াচ/স

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

ভোলার মনপুরায় দুই মৎস্য কর্মকর্তার চাঁদাবাজি ও গণধোলাইয়ের সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক আমার সংবাদ’র সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারি মোঃ মনির হোসেন বাদী হয়ে মনপুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এই মামলা দায়ের করেন। এতে জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার মনপুরা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ মাসুদ পাটওয়ারীকে আসামী করা হয়। গত ০২ এপ্রিল মনপুরা উপজেলার ১ নং মনপুরা ইউনিয়নে অবরোধকালিন সময়ে মৎস্য অভিযানের নামে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে যায় উপজেলা মৎস্য অফিসের মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান ও ক্ষেত্র সহকারি মোঃ মনির হোসেন । জেলেরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এই দুই মৎস্য কর্মকর্তা জেলেদেরকে মারধর করে । এসময় স্থানীয় এক বিধবা নারী বাঁধা দিলে তাকেও মারধর ও শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে । পরে বিধবা নারী ও জেলেদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে দুই মৎস্য কর্মকর্তাকে গণ পিটুনী দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মনপুরা হাসপালাতে চিকিৎসা দেয়। এতে ঘটনার দিন ০২ এপ্রিল মারধর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনে বিধবা নারী বাদী হয়ে ওই দুই মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মনপুরা থানায় অভিযোগ দেন। পরবর্তিতে মনপুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টেও ওই বিধবা নারী বাদী হয়ে মামলা করেন। উক্ত ঘটনায় অভিযোগ ও তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদ সহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে “মনপুরায় চাঁদা আদায়কালে দুই মৎস্য কর্মকর্তাকে গণধোলাই” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদ প্রকাশের জেরে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে জেলেদের পাশাপাশি দৈনিক আমার সংবাদ’র মনপুরা উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ মাসুদ পাটওয়ারীকে আসামী করে মনপুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারি মোঃ মনির বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এব্যাপারে দৈনিক ভোরের কাগজ ও আরটিভি’র মনপুরা প্রতিনিধি সোহাগ মাহামুদ সৈকত বলেন, জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করতে গিয়ে গণপিটুনীর স্বীকার হন দুই মৎস্য কর্মকর্তা। থানায় অভিযোগ ও তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে দৈনিক আমার সংবাদ ও আমাদের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিনিধি মাসুদ পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। উক্ত মামলায় তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি তার নিঃশর্ত অব্যাহতি কামনা করছি। মনপুরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মনপুরা মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক, দৈনিক যায়যায়দিন ও মাইটভি প্রতিনিধি সীমান্ত হেলাল বলেন, সংবাদ প্রকাশের জেরে মামলা দিয়ে সাংবাদিককে হয়রানী খুবই দুঃখজনক। উক্ত মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত মামলা থেকে নিঃশর্ত অব্যাহতির জন্য আহবান জানাচ্ছি। সংবাদ প্রকাশের জেরে এই ভীত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত মামলায় মনপুরা প্রেস ক্লাব, মনপুরা মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম সহ সকল সংবাদকর্মিরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি দৈনিক আমার সংবাদের মনপুরা প্রতিনিধি মোঃ মাসুদ পাটওয়ারীকে মামলা থেকে নিঃশর্ত অব্যাহতি দেয়ার আহবান জানিয়েছেন। ঢাকাওয়াচ/স

কালিহাতীর সাংবাদিক হারুন আর নেই

উত্তর টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরামের দপ্তর সম্পাদক হারুনুর রশীদ (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি ৬ বছরের ১ ছেলে, তিন বছরের ১ মেয়ে, স্ত্রী, বাবা-মা, বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সাংবাদিক হারুনুর রশীদ সাংবাদিক ফোরাম ছাড়াও কালিহাতী প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক সমাচার পত্রিকার প্রতিনিধি ছিলেন। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রাতে তারাবি নামাজের পর তার গ্রামের বাড়ি কালিহাতীর এলেঙ্গা পৌরসভার কুড়িঘুরিয়ার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। সাংবাদিক হারুনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, উত্তর টাঙ্গাইল সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, লোকাল অনলাইন নিউজ পোর্টাল প্রতিদিনেরটাঙ্গাইল২৪.কমের সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্ত, কালিহাতী প্রেসক্লাবের সভাপতি রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত ও সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মুশফিকুর মিল্টন। কালিহাতী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মুশফিকুর মিল্টন বলেন, ২৫ মার্চ হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে হারুনকে ভর্তি করা হয়। সেখানে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাকে রিলিজ দিয়ে দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে। বাড়িতে আসার পর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে গত রোববার তাকে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে মারা যান হারুন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরামের ইফতার

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ঢাকায় কর্মরত ভোলার সাংবাদিকদের নিয়ে ইফতার মাহফিল করেছে ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরাম (ডিবিএসএফ)। শনিবার ( ৩১ মার্চ) রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র কারওয়ানবাজার কাব্যকস সুপার মার্কেটের ৭ম তলায় সাপ্তাহিক ‘তদন্ত চিত্র’ পত্রিকার অফিসে সংগঠনের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়। এতে সংগঠনের প্রায় অর্ধশত সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ডিবিএসএফ সভাপতি আহসান কামরুল উপস্থিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের উদ্দেশে ‘ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরামের সাফল্য কামনা করে সূচনা বক্তব্যে বলেন, সংগঠন হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ থাকার একটি প্ল্যাটফর্ম। সাংবাদিক সমাজ সর্বদা সব ভালো কাজে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করে যাবে। সেই ধারাবাহিকতায় ডিবিএসএফ সদস্যরা সংগঠনকে আরও এগিয়ে নেবেন। ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান ধন্যবাদ বক্তব্যে উপস্থিত সবার সফলতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দেশের নিপীড়িত সাংবাদিক সমাজের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, একটি সংগঠন একটি পরিবার। অন্যান্য সংগঠনগুলোর মতো করেই এগিয়ে যাচ্ছে ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরাম। এজন্য সবাইকে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

কক্সবাজার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি

কক্সবাজার: কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের টেলিভিশন সাংবাদিকদের ইউনিটি কক্সবাজার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাধারণ সভা শেষে ৭ সদস্য বিশিষ্ট নতুন এ কমিটি ঘোষণা করেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের। সর্বসম্মতিক্রমে ঘোষিত কক্সবাজার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটিতে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. নজিবুল ইসলাম, সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মাছরাঙা টেলিভিশনের কক্সবাজার প্রতিনিধি ও বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সুনীল বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সময় টিভির কক্সবাজার ব্যুরো প্রধান সুজাউদ্দিন রুবেল। কক্সবাজার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক আহসান সুমনের সঞ্চালনায় সভায় কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ জুনাইদ, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক নুপা আলমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

তিতুমীর ছাত্রলীগের হামলায় সাংবাদিক সাব্বির আহমেদ গুরুতর আহত

সময়ের আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সাব্বির আহমেদের ওপর রড, লাঠিসোটা দিয়ে হামলা করেছে সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে সাংবাদিক সাব্বির আহমেদ গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হামলায় তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত হয়েছে। লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে সাব্বিরকে মারাত্বক ভাবে জখম করা হয়৷ তার মাথায়ও আঘাত করা হয়৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের ইফতার মাহফিল থেকে অফিসে যাওয়ার পথে তিতুমীর কলেজের আক্কাছুর রহমান আঁখি হলের সামনের প্রধান সড়কে এক দল মুখোশধারী তাকে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তাকে বেধরক পেটানো হয়। এতে তার পিঠ, ঘাড়, হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্বক জখম হয়েছে।হামলাকারীরা তাকে জানে মেরে ফেলা হবে বলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে দূর্বৃত্তরা। আহত সাব্বির বলেন যারা হামলা করেছে তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী। আমি যেন তাদের চিনতে না পারি এজন্যই তারা মুখোশ পরা অবস্থায় হামলা চালায়। জানা গেছে, একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়লের নেতৃত্বে কলেজ ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক এস এম ইমরুল রুদ্র এই হামলা করে। ঘটনার বিষয়ে সাব্বির আহমেদ বলেন, আমার ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে ক্যাম্পাসে যাই। সেখানে ছাত্রলীগের নেতা এস এম ইমরুল রূদ্র এসে আমার সাথে সাক্ষাৎ করে। ইফতার শেষে রূদ্র আক্কাসুর রহমান আঁখি হলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে । তিনি আর‌ও বলেন, তারা রড, লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। এ সময় আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। সাব্বির আহমেদ বলেন, কলেজ প্রশাসনকে পরিচালনা করছেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল। ক্যাম্পাসে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলেও কলেজ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় না। হামলার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে অবগত করা হলে তারা বলেন, যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে । এ বিষয়ে ছাত্রলীগের তিতুমীর কলেজ সভাপতি রিপন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে বলেন, তিনি এ বিষেয়ে কিছুই জানেন না। কে বা কারা হামলা করেছে সে সম্পর্কে তিনি জানেন না। ঢাকাওয়াচ/স

ডিইউজে সভাপতি সোহেল-তপু, সম্পাদক আকতার

ঢাকা: ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের নির্বাচনে সভাপতি পদে সমান ৮১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাজ্জাদ আলম তপু। দুজন সমান ভোট পাওয়ায় নির্বাচন কমিশন দুই বছরের কমিটি পরিচালনার জন্য টসের উদ্যোগ নেয়। টস অনুযায়ী প্রথম বছর দায়িত্ব পালন করবেন সোহেল হায়দার চৌধুরী ও পরের বছর দায়িত্ব পালন করবেন সাজ্জাদ আলম খান তপু। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফরিদ হোসেন সোমবার (১১ মার্চ) রাতে এ ফল ঘোষণা করেন। সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সাধারণ সম্পাদক পদে আকতার হোসেন ৬৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এম জিহাদুর রহমান জিহাদ পেয়েছেন ৫৯২ ভোট। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে গোলাম মুজতবা ধ্রুব সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৪৭ ভোট। অন্য পদে বিজয়ীরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খলিল খোকন, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহজাহান মিঞা, কোষাধ্যক্ষ সোহেলী চৌধুরী, আইনবিষয়ক সম্পাদকে আসাদুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ মামুন শেখ, দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, কল্যাণ সম্পাদক শাহজাহান স্বপন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দুলাল খান, নারী বিষয়ক সম্পাদক সুমি খান। নির্বাহী পরিষদ সদস্য পদে বিজয়ীরা হলেন- জি এম মাসুদ ঢালী, নাসরিন বেগম গীতি, এ এম শাহজাহান মিয়া, আনোয়ার সাদাত সবুজ, সাজেদা হক, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন, রারজানা সুলতানা ও অনজন রহমান। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ডিইউজের একাংশের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

ঢাকা: উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ৯টায় এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। ভোটগ্রহণ চলছে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে। এ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ফরিদ হোসেন। সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন— আবদুল মজিদ, সাজ্জাদ আলম খান তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন— আকতার হোসেন, উম্মুল ওয়ারা সুইটি, এ জিহাদুর রহমান জিহাদ ও খায়রুল আলম। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন— আশরাফুল ইসলাম, আসলাম সানী, নজরুল ইসলাম মিঠু ও হামিদ মোহাম্মদ জসিম। সহ-সভাপতি পদের জন্য লড়ছেন— ইব্রাহিম খলিল খোকন, বাঁধন কুমার সরকার, মো. রেজাউর রহিম, রফিকুল ইসলাম সুজন ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর ধর। যুগ্ম সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন— আছাদুজ্জামান, এস এম সাইফ আলী, জাকির হোসেন ইমন, ফজলুল হক বাবু, ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকী ও মো. শাহজাহান মিঞা। কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য লড়ছেন— মীর আফরোজ জামান, রেজাউল কারীম, সাকিলা পারভীন ও সোহেলী চৌধুরী। সাংগঠনিক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন গোলাম মুজতবা ধ্রুব, জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও রাজু হামিদ। আইনবিষয়ক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন আসাদুর রহমান, মাসুম আহাম্মদ ও রবিউল হক। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন আমানউল্লাহ আমান, এম শাহজাহান সাজু ও মুহাম্মদ মামুন শেখ। দপ্তর সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন আইরিন নিয়াজি মান্না, এ কে এম ওবায়দুর রহমান ও জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী। কল্যাণ সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন— আনোয়ার হোসেন, রেহানা পারভীন ও শাহজাহান স্বপন। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদের জন্য লড়ছেন— ইস্রাফিল হাওলাদার, এস এম বাবুল হোসেন, দুলাল খান ও মো. আসাদুজ্জামান (লিমন আহমেদ)। নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন দীপা ঘোষ রীতা, সুমি খান ও সুরাইয়া অনু। নির্বাহী পরিষদ সদস্য হিসেবে আট পদের জন্য লড়ছেন— অনজন রহমান, আতাউর রহমান জুয়েল, আনোয়ার সাদাত সবুজ, আনোয়ার হোসেন আকাশ, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন, এ এম শাহজাহান মিয়া, এম এ রহিম রনো, এম জহিরুল ইসলাম, এস এম মোশাররফ হোসেন, জি এম মাসুদ ঢালী, নাঈম মাশরেকী, নাসরিন বেগম গীতি, মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী হিমেল, মো. কিরণ মোস্তফা, মো. মেহেদী জামান, মো. শাহীন আলম, মো. সাজেদুল ইসলাম রাজু, মোহাম্মদ খসরু নোমান, রাগেবুল রেজা, রারজানা সুলতানা, শহিদুল ইসলাম স্বপন, শাহিদুর রহমান শাহিদ, সাজেদা হক, সাজ্জাদ হোসেন চিশতী এবং সালাম মাহমুদ। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ঢাকা বিজনেস সম্পাদক উদয় হাকিমের জন্মদিন পালিত

বিশিষ্ট ভ্রমণ লেখক, ভিসতা ইলেক্ট্রনিক্সের পরিচালক ও ঢাকা বিজনেস সম্পাদক উদয় হাকিমের জন্মদিন পালান করা হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) গুলশান-১-এ ভিসতার করপোরেট কার্যালয়ে ভিসতা পরিবারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ও ঢাকা বিজনেস পরিবারের সদস্যরা কেক কেটে ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে তার জন্মদিন পালন করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন ভিসতার চেয়ারম্যান সামছুল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন আকাশ, হেড অব সেলস্ তানভীর জিহাদ, ডেপুটি ডিরেক্টর সোহেল আহমেদ, ঢাকা বিজনেস-এর বার্তা সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল হকসহ ভিসতা পরিবারের কর্মকর্তারা। আপাদমস্তক ভ্রমণ পিপাসু উদয় হাকিমের জন্ম টাঙ্গাইলে ১৯৭৫ সালের ৩ মার্চ। মাধ্যমিক সেখানেই। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন লেখক উদয় হাকমি। প্রথম পেশা সাংবাদিকতা। শুরু হয় ১৯৯৯ সালে প্রথম আলোতে কাজ করার মধ্য দিয়ে। এরপর কাজ করেন চ্যানেল আই, দেশের প্রথম ২৪ ঘণ্টা খবরের চ্যানেল সিএসবি নিউজ এবং কালের কণ্ঠে। করপোরেট জগতে প্রবেশ করেন ২০১০ সালে। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ওয়াল্টনের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে। বর্তমানে ভিসতার পরিচালক ও ঢাকা বিজনেসের সম্পাদক। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ভ্রমণ শাখায় শক্তিশালী লেখক মনে করা হয় উদয় হাকিমকে। তার উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দার্জিলিঙে বৃষ্টি কালিম্পঙে রোদ’, ‘রহস্যময় আদম পাহাড়’, ‘সুন্দরী জেলেকন্যা ও রহস্যময় গুহা’, ‘হেলিচেয়ার’ এবং ‘ভূতের মহাসমাবেশ’ ইত্যাদি। ভ্রমণসাহিত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ‘আমরা কুঁড়ি পুরস্কার’, ‘সমরেশ বসু সাহিত্য পুরস্কার’ ও ‘সংশপ্তক পদক’। ঢাকাওয়াচ/টিআর