অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে; আল জাজিরাকে ড. ইউনূস
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০২:১৩ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছর বা আরও কম হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।
সম্প্রতি আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেন মুহাম্মদ ইউনূস। সম্মেলনের ফাঁকে আলজাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ নিয়ে তার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিবর্তিত সংবিধানে সরকারের মেয়াদ চার বছর হতে পারে।’
তবে, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ চার বছরের কম হবে বলে জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার। আমরা স্থায়ী সরকার নই। নিয়মিত সরকার পাঁচ বছরের হয়। নয়া সংবিধানে সরকারের মেয়াদ সম্ভবত চার বছর হতে পারে। কারণ, মানুষ সরকারের মেয়াদ কম চায়। সুতরাং, এটা চার বছরের কম হওয়া উচিত, এটা নিশ্চিত। এটা আরও কম হতে পারে। এটা পুরোটা নির্ভর করছে মানুষ কী চায়, রাজনৈতিক দলগুলো কী চায় তার ওপরে।’
তবে, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন কবে হবে এ ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানানো হয় সাক্ষাৎকারে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশের সংস্কার সম্পূর্ণ করা।’
এ লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন তৈরির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি ও সব সংস্কার শেষ করার প্রস্তুতির প্রক্রিয়া একসাথে চলছে।’ তবে, নয়া বাংলাদেশে জনগণ ও রাজনৈতিক দল, সকলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন প্রধান উপদেষ্টা।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘চলমান আইনি প্রক্রিয়ায় দোষী সাব্যস্ত হলে তার প্রত্যাবর্তন চাওয়া হবে।’
আওয়ামী লীগের দেয়া বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করার ব্যাপারটিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইউনূস বলেন, ‘তিনি নিজেকে বহু কিছু বলতে পারেন। কিন্তু বাস্তবতা তা নয়। এমনকি ভারতও তাকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেছে। সুতরাং, আশ্রয়দাতাও তাকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কিছু বলছে না।’
ড. ইউনূসের দাবি, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরব্যাপী একচেটিয়া শাসনব্যবস্থায় দেশ যে দুর্নীতির করাল গ্রাসে পড়েছিল, সেখান থেকে বাংলাদেশকে বের করে আনার চেষ্টাই করছে তার সরকার।