বাংলাদেশ-জাপান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু সহনশীলতা উদ্যোগে সমঝোতা স্মারক সইয়ের সিদ্ধান্ত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:৫০ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
![2024-Novemer 18/Bangladesh Japan.jpg](https://www.dhakawatch24.com/storage/2024-Novemer 18/Bangladesh Japan.jpg)
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং জাপানের পরিবেশ মন্ত্রী কেইইচিরো আসাওর মধ্যে কপ২৯-এ জাপানের প্রতিনিধি কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, কার্বন ক্রেডিটিং এবং জলবায়ু সহনশীলতা উদ্যোগসহ পারস্পরিক সহযোগিতার অন্যান্য ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক সইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এ তথ্য জানয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জন সংযোগ বিভাগ।
বৈঠকে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, যা দেশের মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের প্রায় দশ শতাংশের (২১.০৪ মিলিয়ন টন সিওটু-সমমান) জন্য দায়ী। শুধু ঢাকাতেই প্রতিদিন ছয় হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার ৭৩ শতাংশ অপরিশোধিত অবস্থায় ল্যান্ডফিলে জমা হয়। ফলে, মিথেন গ্যাস নিঃসরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পুনঃউৎস আহরণ কেন্দ্র, ওয়েস্ট-টু-এনার্জি প্ল্যান্ট ও স্যানিটারি ল্যান্ডফিল স্থাপনে জাপানের সহায়তা কামনা করেন।
বৈঠকে যৌথ ক্রেডিটিং মেকানিজমের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়, যা কম-কার্বন প্রযুক্তি প্রসারের ক্ষেত্রে একটি কার্যকরী উপকরণ। ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে ইতিমধ্যে চারটি জেসিএম প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, যার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম ট্রান্সমিশন গ্রিড সম্প্রসারণ প্রকল্প রয়েছে। জাপান এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় এ প্রকল্পগুলো পরিচালিত হয়।
জাপানের পরিবেশ মন্ত্রী কেইইচিরো আসাও বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উদ্ভাবন ও সহযোগিতার মাধ্যমে জাপান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা বাংলাদেশের এনডিসি লক্ষ্য পূরণের জন্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের আশাবাদী এবং নতুন ক্ষেত্রেও কাজ করতে আগ্রহী।’
তিনি জানান, সমঝোতা স্মারকে সব সহযোগিতার ক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত থাকবে।