মমতার বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি


30 November/Fakhrul Islam.jpg
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী পাঠানো প্রয়োজন বলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য রেখেছেন, তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অবিলম্বে এ বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে মুঠোফোনে পাঠানো বার্তায় বিএনপির পক্ষ থেকে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল।

বার্তায় তিনি বলেন, ‘সকালে কয়েকটি পত্রিকায় একটা সংবাদ দেখলাম। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে আমি বক্তব্য না রেখে পারছি না। তিনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) যে উক্তি করেছেন, বাংলাদেশে শান্তি বাহিনী প্রেরণের… এটা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ এবং আমরা মনে করি, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ভারতীয় নেতৃবৃন্দের যে দৃষ্টিভঙ্গি, তা কিছুটা হলেও প্রকাশিত হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। এই ধরনের কোন চিন্তাও তাদের মধ্যে আসা উচিত হবে না। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে এবং সম্প্রতি একটা বিপ্লবের মধ্যদিয়ে তারা গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছে। এ দেশের মানুষ যে কোন মূল্যে এ ধরনের চক্রান্তকে রুখে দেবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুণ্ন হওয়া বা বিপন্ন হওয়ার যে অলীক কাহিনী ভারতীয় মিডিয়াগুলোতে প্রচারিত ও প্রকাশিত হচ্ছে, তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বার বার বলেছি, এখানে ভারতের সাংবাদিকরা এসেছিল, তারাও দেখেছেন… বাংলাদেশে এই ধরনের কোন পরিস্থিতি নেই। অথচ ভারতবর্ষের মিডিয়া ও তাদের নেতৃবৃন্দ যেভাবে সম্পূর্ণ একটা মিথ্যাকে প্রচার করছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি দিচ্ছেন, তা কোনভাবেই বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ সম্পর্কে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, অতি সম্প্রতি ইসকনকে (বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) নিয়ে যে এখানে (বাংলাদেশে) নতুন করে চক্রান্ত শুরু হয়েছে, তা বাংলাদেশের মানুষ কখনো গ্রহণ করবে না। এটা খুব পরিষ্কার যে, ইসকনের সাম্প্রতিক ভূমিকা অত্যন্ত সন্দেহজনক, রহস্যজনক ও বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকিস্বরূপ।’

প্রসঙ্গত, সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভারতের বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তিনি বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী পাঠাতে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানাতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ভারতের সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি প্রতিবেদনে লিখেছে, ‘বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ ইসকনের তিনজন পুরোহিত গ্রেফতার হওয়ার খবরের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এমন দাবি তুললেন।’

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×