দেশ, সার্বভৌমত্ব ও অস্তিত্বের প্রশ্নে আমরা সকলে এক
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:৪৪ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে একত্রিত হয়েছিলেন দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারা। বৈঠক থেকে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ, বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। ভারতের এসব প্রচারণার বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী ও বেগবানভাবে মোকাবিলা করার প্রস্তাবও এসেছে বৈঠকে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের আলোচনার বিভিন্ন দিক জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে আমাদের প্রবাসী, সহযোগী বন্ধুরাষ্ট্র ও বিদেশি সাংবাদিকদের দেশে নিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ ও আইনি দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে গত ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে যত চুক্তি হয়েছে, সেটা প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়েছে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘রামপালসহ বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর যেসব চুক্তি রয়েছে, সেগুলো বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতি ভারতের যে অর্থনৈতিক নিপীড়ন, সাংস্কৃতিক আধিপত্য, অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানোর চেষ্টা সেটার নিন্দা জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ভারতকে বাংলাদেশের প্রতি মর্যাদাশীল ও সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।’
আইন উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘ভারত থেকে বাংলাদেশ বিরোধী যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের সব সম্প্রদায়ের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে। একই সঙ্গে যে কোন উসকানির মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।’
বৈঠকের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সকলে একটা কথা বলেছেন, আমাদের আর শক্তিহীন, দুর্বল, নতজানু ভাবার কোন অবকাশ নেই। যে কোন ধরনের অপপ্রচার এবং উসকানির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব ও আমাদের ঐক্য অটুট রাখব। আমরা সাহসী থাকব, ভবিষ্যতে যে কোন অপপ্রচার বা উসকানি দিলে আমরা আমাদের ঐক্যকে আরো বেগবান রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’
আইন উপদেষ্টা বলেন,‘ প্রস্তাব আকারে এসেছে- গোটা জাতি ভারতের অপপ্রচার বিরুদ্ধে যে ঐক্যবদ্ধ আছে; সবাই মিলে একটা সমাবেশ করতে পারি কি না, সবাই মিলে পলিটিক্যাল একটা কাউন্সিল করতে পারে কি না, নিরাপত্তা কাউন্সিল করতে পারে কি না; এ জন্য প্রস্তাবনা এসেছে। আমাদের মধ্যে মত-পথ ও আদর্শের ভিন্নতা থাকবে, আমাদের রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকবে, অবস্থার ভিন্নতা থাকবে; কিন্তু দেশ, সার্বভৌমত্ব ও অস্তিত্বের প্রশ্নে আমরা সবাই এক। সবার উপরে দেশ, এটা থেকে আমরা কখনো বিচ্যুত হব না। বাংলাদেশকে দুর্বল, নতজানু, শক্তিহীন ভাবার কোন অবকাশ নেই।’