গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষে আহত দশ
- গাইবান্ধা প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৭:৫২ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলায় ইসলামি জলসাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত দশজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সাঘাটা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ছয়জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘুড়িদহ ইউনিয়নের সরদারপাড়া এলাকায় একটি ইসলামি জলসার আয়োজন করে বিএনপি। যেখানে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদকে প্রধান অতিথি হিসেবে রাখা হয়। এ অনুষ্ঠানটি আগামী ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে, জামায়াত সমর্থিত আব্দুল আজিজ একই এলাকায় আরেকটি ইসলামি জলসার আয়োজন করেন ২৬ ডিসেম্বর। ওই জলসাতেও নাহিদুজ্জামান নিশাদকে প্রধান অতিথি করা হলেও স্থানীয় বিএনপির নেতাদের নাম সেখানে উল্লেখ করা হয়নি। এ ঘটনায় দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
প্রথমে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুরে সাঘাটা বাজারে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে বিএনপির সদস্য সচিব ও ঘুড়িদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ তুলিপ, সাঘাটা ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকিরুল ইসলাম এবং ঘুড়িদহ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আনিসুর রহমানসহ ছয়জন আহত হন। অন্য দিকে, জামায়াতের পক্ষ থেকে সাতজন আহত হন।
গুরুতর আহতদের মধ্যে জামায়াতের আব্দুল হান্নান ও জাহিদুল ইসলামসহ চারজনকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে এবং বিএনপির জাকিরুল ইসলামকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে সাঘাটা উপজেলা সদস্য সচিব সেলিম আহমেদ তুলিপ বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
অন্য দিকে, জামায়াতের কোন নেতার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।’