গুলশানে আবাসিক হোটেলে চাঁদা নিতে এসে গ্রেফতার সাত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:১৩ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকা উত্তর সিটির গুলশানে একটি আবাসিক হোটেলে চাঁদা দাবির অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে গুলশান-২’-এর একটি আবাসিক হোটেলে চাঁদাবাজির সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা তিনটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে রাকিব ওরফে আবু জায়ের (২০), মো. মনির হোসেন (১৯), ফরহাদ হোসেন শাওন (২৩), আসিফ শেখ (২০), আরিফুল ইসলাম ইমন (২৪), আহম্মেদ হোসেন (২৩) ও মো. সজিব হোসেন (১৯)।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত আনুমানিক নয়টার দিকে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন লোক গুলশান-২’-এর ‘রোজ উড রেসিডেন্স লিমিটেড’ নামের একটি আবাসিক হোটেলে জনৈক ‘বিলাস দাদা’র নাম উল্লেখ করে হোটেলের স্টাফদের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করার হুমকি দেয়।’
‘পরের দিন দুপুর দুইটার দিকে হোটেলের ম্যানেজার মো. ফরাদুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে ফের চাঁদা দাবি করা হয়। একই দিন বিকাল সোয়া তিনটায় হামিদ নামের আরেকজন কল করে ‘বিলাস দাদা’র লোক পরিচয় দিয়ে চাঁদার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে চায়। বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে নয়টার দিকে অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জন ওই হোটেলে ঢুকে মাসিক ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। স্টাফরা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা হোটেলে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এবং হয়রানি করে। তখন ম্যানেজার ফরাদুজ্জামানের মাধ্যমে হোটেল মালিককে পাঁচ মিনিটের মধ্যে হোটেল এসে তাদের দাবি করা চাঁদা দিতে বলে। না দিলে তারা হোটেল ভাঙচুরের হুমকি দেয়।’
পুলিশ বলছে, ‘হোটেল মালিক তাৎক্ষণিক বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে জানালে ডিএমপির গুলশান থানা পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করলে থানা পুলিশ তাদের সাতজনকে গ্রেফতার করে। সঙ্গে থাকা অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।’
এ ঘটনায় হোটেটের মালিক মেহেদী হাসান তুষার বাদী হয়ে গুলশান থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।