শহীদ মিনারে ৩১ ডিসেম্বর কী হতে যাচ্ছে?
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:৪৩ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

চলতি বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে বিভিন্ন স্লোগান লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা সৃষ্টি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা। ফলে, সেদিন কী হতে যাচ্ছে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন তারা।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক থেকে লিখেছেন, ‘কমরেডস নাউ অর এভার’।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এ বছরই হবে। ৩১ ডিসেম্বর। ইনশা আল্লাহ!’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘কমরেডস, ৩১ ডিসেম্বর! নাউ অর এভার।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রশিদ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, অল আইজ অন ৩১ ডিসেম্রব, ২০২৪। নাউ অর এভার!’
এরপর তিনি কমেন্ট সেকশনে আগামী ৩১ ডিসেম্বর বিকাল তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে যুক্ত থাকা অন্যান্য সদস্যরাও একই বিষয় নিয়ে প্রত্যেকের ফেসবুকে পোস্ট করছেন একের পর এক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক সূত্রে জানা গেছে, ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে এক অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠ করা হতে পারে।
আরেক সমন্বয়ক বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় যেমন ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়েছিল, তেমনই ৩১ ডিসেম্বর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে।’
নতুন দলের ঘোষণা আসবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না এমন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আমল থেকে কেন জুলাই বিপ্লবের রূপ নিল, কীভাবে নিল, নয় দফা থেকে এক দফায় আমাদের কেন আসতে হল, ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা কীরূপ ছিল- এসব বিষয় নিয়ে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।’
এ দিকে, এর আগে সংবাদ মাধ্যমকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, ‘বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাতে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে অনাগত রাজনৈতিক দলের নাম ‘জনশক্তি’। এটি জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এ ধরনের কোন নাম কিংবা সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের মাঝে আলোচনা হয়নি।’