বিমানবন্দরের ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ: তারিক সিদ্দিকসহ আসামি ১৯
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:৩৪ পিএম, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ তিন বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমানসহ ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালে বসানো হয়েছে মানহীন যন্ত্রপাতি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুশি করতে অযৌক্তিক কাজ করা হয়েছে। সাত হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের প্রকল্প গিয়ে ঠেকেছে ২২ হাজার কোটি টাকায়। স্থানীয়ভাবে কেনা জিনিসপত্রকে বিদেশ থেকে কেনা দেখানো হয়েছে। মাটি পরীক্ষায় করা হয়েছে অনিয়ম। নকশাতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রকল্পের তিনটি বড় কাজ অন্য ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
একইভাবে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দর ও কক্সবাজারে বিমানবন্দর উন্নয়নের নামে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। বন্দরে বন্দরে এমন লুটপাটের অনুসন্ধানে নেমেছিল দুদক।
বিগত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে উন্নয়ন কাজের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরের বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
গত ২৬ ডিসেম্বর অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। গেল ২৯ ডিসেম্বর অভিযোগ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আইন ও বিধি মোতাবেক অভিযোগটির অনুসন্ধান সম্পন্ন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।’
তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা হলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক, সাবেক যুগ্ম সচিব জনেন্দ্রনাথ সরকার, সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মালেক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান, মাহবুব আনাম ও অ্যারোনেস ইন্টারন্যাশনালের কর্ণধার লুৎফুল্লাহ মাজেদ।