প্রকাশ্যে পুলিশ সদস্যদের কুপিয়ে আসামিকে ছিনতাই
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৬:৪৫ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রাজধানীর কাওরান বাজার রেললাইন এলাকায় প্রকাশ্যে পুলিশ সদ্যদের ওপর হামলা চালিয়ে এক মাদককারবারিকে ছিনিয়ে নিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন– এসআই ইখতিয়া হোসেন, কনস্টেবল বিপ্লব ও কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন।
পুলিশের ওপর হামলার ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফুটেজে দেখা গেছে, হাতকড়া পরানো এক আসামিকে ধরে রেখেছেন এক পুলিশ সদস্য। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে চাপাতির আঘাতে আহত পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে আটক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
তেজগাঁও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন– আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাত জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই জয়দেব কুমার বসু বলেন, ‘আহত পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। বুধবার রাতে এজহারভুক্ত একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।’
কীভাবে ঘটলো এই হামলা?
আহত এসআই ইখতিয়া হোসেন ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সেদিন বিকালে আমিসহ আরও দুজন পুলিশ সদস্য পায়ে হেঁটে কাওরান বাজার এলাকায় টহল দিচ্ছিলাম। তখন কামারপট্টি ও এর মাঝখানে রেললাইনে কয়েকজন মাদককারবারি আমাদের দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় শাহীন (২৫) নামে একজন পড়ে গেলে আমরা তাকে আটক করি। তার সঙ্গে ছোট ছোট প্যাকেটে মোড়ানো একব্যাগ গাঁজা ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আটকের পরপরই অন্য মাদককারবারিরা আমাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। তখন নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য আমরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলারের পাশে আশ্রয় নেই। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি। সেখানে বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর এলাপাতারি হামলা করে। দ্বীন ইসলাম কালু নামে একজন চাপাতির উল্টো দিক দিয়ে আমার ঘাড়ে আঘাত করে। তখন আটক শাহীনও আঘাত করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে জোর করে হাতকড়া খুলে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেয় তার সহযোগীরা।’
পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। শিগগিরই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।