নড়াচড়া করছে না, তাকে আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি বললেন শিশুটির মা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১০:৩৪ পিএম, ১১ মার্চ ২০২৫

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার তিন আসামির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলবার মাগুরা কারাগার থেকে তিনজনকে ঢাকার মালিবাগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণে ডিএনএ ম্যাচিংয়ের জন্য ফরেনসিক বিভাগ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
আসামিরা হলো শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, স্বামী সজিব শেখ ও ভাশুর রাতুল শেখ।
এদিকে ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ফাঁসির দাবিতে মঙ্গলবার মাগুরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ছাত্র-জনতা। দুপুরে স্থানীয় সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে একটি মিছিল বের হয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। এ সময় বক্তারা বলেন অবিলম্বে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা মামলার তদন্ত এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে। দেশের সব ধর্ষণের বিচারকার্য শেষ করতে হবে, সেই সঙ্গে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, এমন একটা দেশে বাস করছি যেখানে ধর্ষকের নিরাপত্তার জন্য কোর্ট বসানো হয়। যদি সুষ্ঠু একটা বিচার দেওয়া হতো, তাহলে ভবিষ্যতে ধর্ষক আর এমন কোনো কাজ করতে পারবে না।
এদিকে শিশুটি ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) প্যাডিয়াট্রিক আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে আছে। শিশুর মা সমকালকে বলেন, মেয়ের অবস্থা ভালো না। আজও সে নড়াচড়া করছে না। তাকে আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। সবার কাছে দোয়া চাই। ধর্ষণে জড়িতদের ফাঁসি দাবি করেন তিনি।
গত রোববার রাতে আদালত বসিয়ে চার আসামি হিটু শেখ, তার স্ত্রী জাবেদা বেগম এবং তাদের দুই ছেলে সজিব শেখ ও রাতুল শেখের রিমান্ড শুনানি করা হয়। শুনানি শেষে হিটুর সাত দিন ও অপর তিনজনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব হোসেন বলেন, মঙ্গলবার ভোরে হিটু ও তার দুই ছেলেকে পুলিশ কারাগার থেকে মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
ফরেনসিক বিভাগ তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে। ভুক্তভোগী শিশুর শরীর থেকে সংগৃহীত আলামতের সঙ্গে আসামিদের এই নমুনা ডিএনএ পরীক্ষার পর ম্যাচিং করে কিনা, তা জানার জন্যই এ প্রক্রিয়া। সন্ধ্যায় তিন আসামিকে মাগুরা কারাগারে ফিরিয়ে আনা হয়।