যমুনার দিকে যাত্রা বেসরকারি শিক্ষকদের, লাঠিচার্জে আহত ৫
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:৫১ পিএম, ১২ মার্চ ২০২৫

তৃতীয় ধাপে এমপিওভুক্তি থেকে বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ ও জলকামান নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এ সময় পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দীর্ঘদিন তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও কোনো ধরনের আশ্বাস না পাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে রওয়ানা করেন তারা।
এসময় মিছিলটি কদম ফোয়ারার কাছাকাছি গেলে পুলিশ শিক্ষকদের বাধা প্রদান করে এবং তাদের বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে। পুলিশ সদস্যরা তাদের প্রতিনিধি দলকে যেতে বলেন, কিন্তু তারা সবাই যেতে চান। এ সময় শিক্ষরা পুলিশের কথা না শুনে বাধা উপেক্ষা করে সামনের দিকে আগাতে থাকে। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। তাতেও শিক্ষকদের ফেরানো যায়নি, পরে পুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে।
এর আগে, বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ উদ্দিন বলেন, বৈষম্যের শিকার হচ্ছে সারা বাংলাদেশের তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া যোগ্য বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা অবস্থান করছি। ২০১৩ সালে সারা বাংলাদেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করলেও সমযোগ্যতা থাকার পরেও শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সারা বাংলাদেশের চলমান যোগ্য ৪ হাজারের অধিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে যায়। একইসঙ্গে প্রায় ৮ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী তাদের মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত হয়।
তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে আমরা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ২০১৮ সালে ১৮ দিন, ২০১৯ সালে ৫৬ দিন, ২০২৪ সালে ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর এবং সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৫-২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছি। ২৫ থেকে ২৭ জানুয়ারি আন্দোলনের ফলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে একটি চিঠি মন্ত্রণালয়ের জন্য ইস্যু করা হয়। এই চিঠি দ্রুত বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি।