৪০ লাখ টাকার জাল নোট বাজারে ছেড়েছে তারা!
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৩:৩০ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২৫

প্রতি বছরের মতো এবারও রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জাল টাকা তৈরি ও বাজারজাতকরণ চক্র। এমনই একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলো সুমন (৩৮), সুলতানা (২৮) ও হানিফ গাজী (৪৮)।
শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. জসিম উদ্দিন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) কামরাঙ্গীচরের মাতবর বাজারের বুড়িগঙ্গা গণপাঠাগার সমাজকল্যাণ সংস্থার সামনে বেড়িবাঁধে চেকপোস্ট থেকে ওই তিন জনেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ বলছে, রমজান ও ঈদকে টার্গেট করে বিপুল জাল নোট তৈরি করেছে চক্রটি। এর মধ্যে ৩০-৪০ লাখ টাকার সমপরিমাণ জাল নোট ইতোমধ্যে বাজারে ছেড়েছে। নিজেদের তৈরি বি-গ্রেড মানের ১ লাখ টাকার জাল নোট ৯ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করছে তারা।
ডিসি জসিম উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদবর বাজারের বুড়িগঙ্গা গণপাঠাগার সমাজকল্যাণ সংস্থার সামনে বেড়িবাঁধে চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। দুপুর দেড়টার দিকে একটি অটোরিকশায় জাল টাকার ব্যবসায়ীরা সেখানে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে সুমন, সুলতানা ও হানিফ গাজীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেহ তল্লাশি করে ১ হাজার ও ৫০০ টাকার মোট চার লাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন বিকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলীর গ্যাস লাইন এলাকায় সুমনের ভাড়া বাসা থেকে ১৬ লাখ টাকার জাল নোট, একপাশে ছাপানো ৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকার জাল নোট, একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, একটি কালার প্রিন্টার, জাল নোট তৈরির ১০টি ডাইস, তিনটি আঠার কৌটা, দুটি ফয়েল পেপার রোল, পাঁচটি কালির কৌটা, একটি রাবার কাটার, দুটি কাগজ ছিদ্র করার ভাইস ও জাল নোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত এক বস্তা সাদা কাগজ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ কর্মকর্তা জমিস উদ্দিন বলেন, ওই তিন জনই অভ্যাসগত জাল টাকা প্রস্তুতকারী। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের জাল নোট তৈরি করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করতো। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কারও নাম না বললেও তারা জানিয়েছে বিভিন্ন জায়গায় সরবারহ করতো নোটগুলো।
তাদের আদালতে পাঠানো হলে প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। ওই চক্রে আরও সদস্য আছে কিনা রিমান্ডে জানতে চাওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।