ওসমান পরিবারের ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকির অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:৪৫ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২৫

শামীম ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে বিটিআরসি ও সিআইডিকে তদন্ত করে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইেকার্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। আদালেত আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির।
গত ১৪ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে ‘জালিয়াতিতে ওসমান পরিবার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সম্প্রতি ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সাখাওয়াত হোসেন নামের এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে অভিযোগ তদন্তের আদেশ দেন হাইকোর্ট।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কে টেলিকমের’ কাছে বিটিআরসির পাওনা ১২৬ কোটি টাকার বেশি। কে টেলিকমের মালিক ছিল নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পরিবার। শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান ও ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে ২০১২ সালে ১৫ বছরের জন্য কে টেলিকমের লাইসেন্স নেওয়া হয়।
নথিপত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট ওসমান পরিবার কে টেলিকমের মালিকানা সাখাওয়াত হোসেন, সিলেটের স্কুলশিক্ষক দেবব্রত চৌধুরী ও বগুড়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী রাকিবুল ইসলামের নামে হস্তান্তর করে। বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকি দিতে এ তিনজনকে মালিক সাজানো হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।