ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল আনছে সরকার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১২:০০ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২৫

ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। এ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতে বেশ কয়েকটি ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চাল, মসুর ডাল, ভোজ্যতেল, এলএনজি ইত্যাদি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে চালের দাম নিয়ে কিছুটা সমস্যা দেখা যাচ্ছে। তবে অন্যান্য পণ্যে বেশ স্বস্তি রয়েছে।’
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দেশের খাদ্য মজুত বাড়াতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল কেনা হচ্ছে। সে দেশের পাত্তাভি অ্যাগ্রো ফুডস এই চাল সরবরাহ করবে। চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ছয় লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত রয়েছে। ইতোমধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম থেকে চাল আমদানি হয়েছে।
স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ১ কোটি ১০ লাখ লিটার পরিশোধিত রাইস ব্রান তেল ও ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৭২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে গ্রিন অয়েল অ্যান্ড পোলট্রি ফিড ইন্ডাস্ট্রিজের কাছ থেকে ২০ লাখ লিটার, মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেডের কাছ থেকে ৪৫ লাখ লিটার এবং মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস থেকে ৪৫ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনা হবে। প্রতি লিটার তেলের দাম ধরা হয়েছে ১৬২ টাকা ৫০ পয়সা। এ ছাড়া মদিনা ট্রেডিং ও পায়েল ট্রেডার্স থেকে ৫ হাজার টন করে মসুর ডাল কেনা হবে। প্রতি কেজি ৯৪ টাকা ২৩ পয়সা দরে ডাল কিনতে ব্যয় হবে ৯৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
বৈঠকে দুই কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যের টোটাল এনার্জিসের কাছ থেকে একটি কার্গোর জন্য প্রতি ইউনিট ১৪ দশমিক ২২ ডলারে এবং অন্যটির জন্য ১৪ দশমিক ৪৮ ডলারে কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। দুই কার্গো এলএনজি আনতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৭৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্পের ট্রিটেড ওয়াটার প্রাইমারি ডিস্ট্রিবিউশন পাইপলাইনস স্থাপনের দুটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। দুই প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা।
এর আগে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ‘গ্রাউন্ড মাউন্টেড সোলার ভিপি (১০০-২০০ মেগাওয়াট) নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন প্রকল্পটি পিপিপি পদ্ধতিতে বাস্তবায়নে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।