হত্যা মামলায় ফের রিমান্ডে ইনু-মেনন-আনিসুলসহ আওয়ামী লীগের ৫ নেতা
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০২:২৫ পিএম, ১৯ মার্চ ২০২৫

হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হকসহ আওয়ামী লীগের পাঁচ হেভিওয়েট নেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে ফের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। অন্যরা হলেন- দীপু মনি ও সাবেক সাংসদ সাদেক খান।
আজ বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
ইনু-মেনন-দীপু মনির ৪ দিনের রিমান্ড:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে ওবায়দুল ইসলাম নিহতের মামলায় হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, দীপু মনিকে চারদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
এদিন আদালতে উপস্থিত করে তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তাদের পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। তবে আইনজীবীরা শুনানি করেননি। পরে আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতারাসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়। এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন নিহতের আত্মীয় মো. আলী।
আনিসুল হকের তিন দিনের রিমান্ড:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিতে নিহতের মামলায় আনিসুল হকের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট তার সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এদিন শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের সামনে মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।
সাদেক খান তিন দিনের রিমান্ডে:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরের বসিলায় মিরাজুল ইসলাম অর্ণব নিহতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এদিন শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তবে সাদেক খানের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
তিনি কিছু বলবেন কিনা জানতে চান আদালত। তখন সাদেক খান বলেন, ‘আমি ওইখানে ছিলাম না। আর গুলি পাবো কোথায়।’ এ সময় তাকে থামিয়ে দেন এক আইনজীবী। তখন সাদেক খান বলেন, ‘আমাকে তো আদালত বলতে বলেছেন।’ পরে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় গত ১৯ জুলাই অংশ নেন মিরাজুল ইসলাম অর্ণব। পরে আসামিদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।