তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৮:২৩ পিএম, ৩০ মার্চ ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা তার চীন সফরে সে দেশের পানিসম্পদ মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সেখানে চীনের পানি বিশেষজ্ঞ সবাই ছিলেন। তিনি আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশের পানির চাহিদা নিরসন নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। চীনারা আমাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর মধ্যে আছে নদীর পানি সংরক্ষণ, বন্যার পূর্বাভাস, বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয়। তিস্তা প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এই কাজে আমরা চীনা প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্তির আগ্রহ ব্যক্ত করেছি। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে তারাও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। এর প্রতিফলন দেখতে পারবেন যৌথ বিবৃতিতে।’
রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের বিষয়ে জানাতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে খলিলুর রহমান বলেন, ‘আগামী দিনে আমাদের যুব সমাজের যে কর্মসংস্থান তা অনেকটাই নির্ভর করবে শিল্পায়নের ওপর। প্রধান উপদেষ্টা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংকে সরাসরি আহ্বান জানিয়েছেন চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো, যাতে বাংলাদেশে এসে তাদের কারখানা স্থাপন করেন। প্রেসিডেন্ট সঙ্গে সঙ্গে জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি ব্যক্তিগতভাবে তদারকি করবেন। এটা আমাদের জন্য একটা বড় পাওয়া।’
তিনি আরো বলেন, ‘চীনের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল বিভিন্ন বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। সেখান থেকে ফলাফল দেখে আমরা উৎসাহিত হয়েছি। যেকোনও সফরে বাইরের অংশ দেখে আপনি বুঝবেন মেহমানকে কতটুকু গুরুত্ব এবং সাদরে বরণ করা হয়। প্রেসিডেন্ট শি জিং পিন গ্রেট হল থেকে বাইরে এসে দাঁড়িয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানানোর জন্য। তিনি সাধারণত গ্রুপ ফটো তোলেন না কিন্তু আমাদের জন্য এই ব্যতিক্রমটা করেছেন। আমাদের সবাইকে নিয়ে হাসিমুখে ছবি তুলেছেন, যেটা খুব বিরল।’
খলিলুর রহমান বলেন, ‘বৈঠকের সময় চীনের প্রেসিডেন্ট তার নোটের বাইরে গিয়ে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে লেখাপড়ার কথা এবং প্রয়োগের কথা স্মরণ করেছেন। প্রধান উপদেষ্টার দর্শন তিনি গ্রহণ করে প্রয়োগ করেছেন সেটা শুনে আমরা সবাই আপ্লুত হয়েছি। রোহিঙ্গাদের বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা আলোচনা করেছেন। সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে এবং পরিষ্কারভাবে বলেছে, প্রত্যাবর্তনে চীন তাদের সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবে।’