রাজধানীর পার্কগুলোতে আনন্দে মেতেছে শিশু-কিশোররা


March 2025/Park.jpeg

পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের পরপরই রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেছে। তীব্র গরম উপেক্ষা করে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, জাতীয় জাদুঘরসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরছেন লোকজন। এসব বিনোদনকেন্দ্রে শিশু-কিশোরদের আনন্দ-উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মতো।

দর্শনার্থীদের ভাষ্য, আজ সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে ঈদের নামাজের পরপরই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আনন্দভ্রমণে বের হন তারা। ঘুরে বেড়িয়েছেন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। তবে শিশু-কিশোরদের আনন্দ-বিনোদনে পার্ক, শিশুপার্কেই বেশি সময় দিচ্ছেন অভিভাবকরা।

সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর দর্শনার্থীদের জন্য খোলা ছিল। বিকেল ৩টার দিকে স্কুলপড়ুয়া দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে জাদুঘর ঘুরতে যান ধানমন্ডির কামাল আহমেদ। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকেই বেড়াতে যাওয়ার বায়না ধরেছে ছেলেমেয়ে। তাদের আবদার মেটাতেই সকালে লালবাগ কেল্লা ঘুরে এসেছি। দুপুরে একটা রেস্তোরাঁয় খাবার খেয়ে এখন জাতীয় জাদুঘরে এসেছি।’

সরেজমিনে দেখা যায়, তীব্র গরমের মধ্যেও সারিবদ্ধভাবে জাতীয় জাদুঘরে ঢুকছেন দর্শনার্থীরা। ঢোকার আগে টিকিট কাউন্টারগুলোতে দর্শনার্থীদের সিরিয়াল ছিল। তবে তীব্র গরম থেকে রক্ষায় অনেক দর্শনার্থী ছাতা নিয়ে এসেছেন।

শাহবাগ শিশুপার্ক সংলগ্ন রমনা পার্কে সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। এর মধ্যে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই রমনা পার্কের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে (কাকরাইল মসজিদ) শিশু কর্নারে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। সরেজমিনে দেখা যায়, শিশু কর্নারের বিভিন্ন রাইড ফ্রিতে ব্যবহার করছে শিশু-কিশোররা। শিশুদের আনন্দ দেখে উল্লাসে অভিভাবকরা।

বেইলি রোড থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রমনা পার্কে বেড়াতে যান মতিঝিলের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মাহবুব আলম। আলাপকালে তিনি বলেন, ‘চাকরির কারণে ছুটির দিন ছাড়া বাচ্চাদের সময় দিতে পারি না। আজ ঈদ উপলক্ষে তাদের নিয়ে বের হতে হবে, সপ্তাহখানেক আগেই তারা এমন বায়না করেছে। তাই দুপুরে খেয়েই বাচ্চাদের নিয়ে বের হয়েছি। তাদের খেলাধুলা আনন্দ দেখে খুবই উপভোগ করছি।’

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×