বর্তমান সংবিধান ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান যুক্তিসংগত নয় বললেন ড. কামাল হোসেন

বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বর্তমান সংবিধানকে ফেলে দেওয়া একদমই ভুল হবে। এত দিন এই সংবিধানের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হয়েছে। জনগণ মেনে নিয়েছে। সেটা ফেলে দিয়ে নতুন একটা সংবিধান করা কোনোভাবেই যুক্তিসংগত নয়, গ্রহণযোগ্যও নয়। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে ‘৭২-এর সংবিধান ও প্রস্তাবিত সংস্কার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি এ সভার আয়োজন করে। সভায় ড. কামাল হোসেন বলেন, সংবিধানকে ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান করা—এটা সংস্কার নয়, এটা সংবিধানকে ধ্বংস করার একটা পথ। সংবিধান পুনর্লিখনও একটা ভুল ধারণা। সংবিধান সংস্কারের প্রয়োজন আছে, সংস্কার বিবেচনাযোগ্য। বিস্তর আলোচনার পর যদি ঐকমত্য হয়, তখন সংবিধান সংশোধন করা যায়। সংবিধানের ব্যাপক সংশোধনীর পক্ষে ভিন্নমত পোষণ করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেছে, সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বাস্তবতায় গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক দলগুলো পা রাখার মতো মাটি দ্রুত পাবে না। অল্প অল্প করে পর্যায়ক্রমে ভালোর দিকে যেতে হবে। তিনি বলেন, বিগত ৫৩ বছর বিচার করলে রাষ্ট্রধর্ম আর ধর্মনিরপেক্ষতা—দুটি কথাই সংবিধান থেকে বাদ দেওয়া উচিত। গণতন্ত্রের মধ্যেই ধর্মনিরপেক্ষতা আসতে পারে। ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটা ব্যবহার না করে অন্যভাবে এগোতে পারলে ভালো। অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা ফেলে দেওয়ার প্রস্তাবের ফলে ধীরে ধীরে ধর্মীয় উগ্রবাদী শক্তির উত্থান হচ্ছে; যা কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। তিনি আরও বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হতে হবে, না হলে দেশে শান্তি আসবে না। সংগঠনের সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সোহরাব হাসান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল বারী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, এস এম এ সবুর ও আবু ইয়াহিয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইনজীবী গোলাম মোস্তফা।

জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর রোহিঙ্গা ইস্যুতে নতুন গতি তৈরি করবে

আগামী মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফর রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি নতুন গতি তৈরি করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আসন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে একটি বড় সফলতা আসবে। কয়েক দশকের দীর্ঘ মানবিক ট্র্যাজেডিকে বিশ্ব মানচিত্রে ফিরিয়ে আনা এবং দীর্ঘ নির্যাতিত মিয়ানমারের সংখ্যালঘুদের জন্য আরও সমর্থন বাড়ানোর জন্য জাতিসংঘকে আহ্বান জানাই। তিনি আরও বলেন, আসুন এই সম্মেলনে একটি বড় সাফল্য অর্জন করি। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সুনির্দিষ্ট কিছু উপায় বের করি। ভবিষ্যতের দিকে একটি রাস্তা থাকা উচিত। আমাদের তাদের (রোহিঙ্গা জনগণ) ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে। এসময় ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি রোহিঙ্গা সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, আসুন আমরা এই বিষয়টিকে এজেন্ডায় রাখি। জাতিসংঘের সম্মেলন এটিকে আবার টেবিলে রাখার একটি দুর্দান্ত উপায়। রাখাইনের বিভিন্ন গোষ্ঠীর আস্থা তৈরির জন্য এটি একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম। বৈঠকে তারা (ইউনূস-গ্র্যান্ডি) মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির নতুন দিকনির্দেশনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অনিশ্চয়তার মধ্যে বাংলাদেশে শিবিরে বসবাসকারী লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য আরও আর্থিক সহায়তা জোগাড় করার উপায়ের ওপর জোর দেন। তারা রাখাইন রাজ্যের মানবিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। ইউএনএইচসিআর প্রধান রোহিঙ্গা শিবিরে বেড়ে ওঠা শিশুদের জন্য সার্বজনীন শিক্ষা প্রদানের প্রচেষ্টা এবং শরণার্থীদের আরও টেকসই আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। তিনি গ্র্যান্ডিকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমর্থনে ও রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য পরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশের উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করেন।

রমজানে যানজট কমাতে মাঠে থাকবে শিক্ষার্থীরা

আসন্ন রমজানে সড়কে যানজট কমাতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ডিএনসিসি ও ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে সমন্বিতভাবে রমজানে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় মাঠে থাকবে বাংলাদেশ স্কাউট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গুলশানে নগরভবনে ডিএনসিসি প্রশাসকের কার্যালয়ে রমজানে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগ ও বাংলাদেশ স্কাউটের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত। বৈঠকে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, যানজট কমাতে শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যে ঢাকা শহরে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করেছে। রমজানে জনদুর্ভোগ যেন না হয় সেজন্য আমরা আবারও শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রত্যাশা করছি। ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশনায় বাংলাদেশ স্কাউট, বিএনসিসি ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও যানজট কমাতে মাঠে থাকবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক অ্যাডমিন, প্ল্যানিং অ্যান্ড রিসার্চ) মোহাম্মদ এনামুল হক, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) সুফিয়ান আহমেদ, বাংলাদেশ স্কাউটের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএনসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম ও নির্বাহী প্রকৌশলী (ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল) নাঈম রায়হান খান।

আন্দোলনে নিহতরা ‘জুলাই শহীদ’ নামে অভিহিত হবেন, আহতরা ‘জুলাই যোদ্ধা’

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহতরা ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতরা ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে অভিহিত হবেন। গত ৯ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৮৩৪ জন জুলাই শহীদের তালিকা গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। জুলাই শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা পাবেন। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা এবং ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জুলাই, ২০২৫-এ জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা পাবেন। শহীদ পরিবারকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করা হবে। শহীদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা সরকারি ও আধা-সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন। জুলাই-২৪-এর যোদ্ধারা তিনটি মেডিক্যাল ক্যাটাগরি। সেগুলো হলো—ক্যাটাগরি ‘এ’, ‘ক্যাটাগরি ‘বি’ এবং ক্যাটাগরি ‘সি’। এই ক্যাটাগরি অনুযায়ী সবাই সুবিধাদি পাবেন। এখন পর্যন্ত ক্যাটাগরি ‘এ’-তে (অতি-গুরুতর আহত) ৪৯৩ জন ‘জুলাই যোদ্ধা’ তালিকাভুক্ত হয়েছেন। যারা চিকিৎসার পরও শারীরিক অসামর্থ্যতার নিরিখে অন্যের সহায়তা ছাড়া জীবনযাপনে অক্ষম। এই ক্যাটাগরির ‘জুলাই যোদ্ধারা’ এককালীন ৫ লাখ টাকা সহায়তা পাবেন। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আর ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি তাদের মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হবে। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধাও পাবেন ‘জুলাই যোদ্ধারা’। এছাড়াও উপযুক্ত মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশে দেশি বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাবেন। কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা পাবেন। তারা পরিচয়পত্র পাবেন এবং পরিচয়পত্র দেখিয়ে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সুবিধাদি পাবেন। আর গুরুতর আহত ক্যাটাগরি ‘বি’-তে এখন পর্যন্ত ৯০৮ জন ‘জুলাই যোদ্ধা’ তালিকাভুক্ত হয়েছেন; যারা পর্যাপ্ত চিকিৎসার পর শারীরিক অসামর্থ্যতার নিরিখে অন্যের আংশিক সহায়তায় জীবনযাপনে সক্ষম হবেন। এই ক্যাটাগরির জুলাই যোদ্ধাদের এককালীন ৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ১ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আর ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নগদ (ব্যাংক চেকের মাধ্যমে) ২ লাখ টাকা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি তাদের মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হবে। কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি অথবা আধা-সরকারি কর্মসংস্থান পাবেন। তারা পরিচয়পত্র পাবেন এবং পরিচয়পত্র দেখিয়ে সরকারের বিভিন্ন সুবিধাদি পাবেন। আহত ক্যাটাগরি ‘সি’-তে ১০ হাজার ৬৪৮ জন ‘জুলাই যোদ্ধা’ তালিকাভুক্ত হয়েছেন, যারা চিকিৎসার পর বর্তমানে সুস্থ হয়েছেন। এই ক্যাটাগরির ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ এককালীন ১ লাখ টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে। এছাড়াও তারা পুনর্বাসন সুবিধা, পরিচয়পত্র পাবেন এবং পরিচয়পত্র দেখিয়ে সরকারের বিভিন্ন সুবিধাদি পাবেন। খবর বাসস।

নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানিয়েছেন আব্দুল হান্নান মাসুদ। তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘২৪ পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণপত্র দিলাম, আর দোয়া নিলাম।’ তরুণদের নেতৃত্বে শুক্রবার আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)। এই রাজনৈতিক দলটির আহ্বায়ক পদে নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব পদে আখতার হোসেনের নাম চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এ ছাড়া নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রধান সমন্বয়কারী, সামান্তা শারমিন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক, হাসনাত আবদুল্লাহ দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, সারজিস আলম উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, আবদুল হান্নান মাসউদ যুগ্ম সমন্বয়ক ও সালেহ উদ্দিন সিফাত দফতর সম্পাদকের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বলেও গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।

২২ শর্তে নতুন রাজনৈতিক দলকে সমাবেশের অনুমতি দিল ডিএমপি

নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ২২ শর্তসাপেক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে মানিক মিয়া এভিনিউ'তে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দল। ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে দলটির নামও। অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আকতার হোসেনের নেতৃত্বেই আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন দলটির নাম হবে ‘বাংলাদেশ নাগরিক পার্টি’। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌথ বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।

‘জুলাই শহীদ’ ও ‘জুলাই যোদ্ধা’রা মার্চ থেকে ভাতা পাবেন: প্রেস সচিব

আগামী মার্চ মাস থেকে ‘জুলাই শহিদ’দের পরিবার ও ‘জুলাই যোদ্ধা’রা ভাতা পাওয়া শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এছাড়া এককালীন ভাতার একাংশ আগামী জুন মাসের মধ্যে দেওয়া হবে। বাকি অংশ আগামী অর্থবছরে পরিশোধ করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান। এ সময় জুলাই শহীদের পরিবার ও জুলাই যোদ্ধারা কী কী সুবিধা পাবেন, তার বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। গত ৯ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। গণঅন্দোলনে যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা ‘জুলাই শহীদ’ নামে অভিহিত হবেন। যারা আহত হয়েছেন তারা ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে অভিহিত হবেন। আহতদের তিনটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। মেডিকেল কমিটির মাধ্যমে আহতদের অবস্থা পর্যালোচনা করে এ, বি, সি ক্যাটগরি করা হয়। সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গেজেটভুক্ত জুলাই শহীদের সংখ্যা ৮৩৪ জন। শহীদ পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা পাবেন। চলতি অর্থবছরের মধ্যে জাতীয় সঞ্চয়পত্রের মাধ্যেম ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আগামী অর্থবছরের বাকি ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেওয়া হবে। শহীদ পরিবার প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন। পরিবারের সক্ষমরা সরকারি, আধাসরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন। জুলাই যোদ্ধাদের ‘এ’ ক্যাটারিতে যারা অতি গুরুতর আহত হয়েছেন, তারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এই সংখ্যা ৪৯৩ জন। এ ক্যাটাগরির জুলাই যোদ্ধারা এককালীন ৫ লাখ টাকা পাবেন। চলতি অর্থবছরে ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে। বাকি ৩ লাখ টাকা আগামী অর্থবছরে পাবেন। এছাড়া মাসিক ভাতা ২০ হাজার টাকা, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা ও মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে বিদেশে চিকিৎসা প্রাপ্য হবেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় কর্মপ্রশিক্ষণ, পুনর্বাসন সুবিধা ও পরিচয়পত্র পাবেন। ‘বি’ ক্যাটাগরির জুলাই যোদ্ধারা যারা গুরুতর আহত হয়েছেন। এই সংখ্যা ৯০৮ জন। তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন। চলতি অর্থবছরে ১ লাখ ও আগামী অর্থবছরে ২ লাখ টাকা পাবেন। এছাড়া মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা, কর্মসহায়ক প্রশিক্ষণ, সরকারি–আধা সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার ও পরিচয়পত্র পাবেন। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে আহত জুলাই যোদ্ধার সংখ্যা ১০ হাজার ৬৪৮ জন। তারা এককালীন ১ লাখ টাকা, মাসিক ১০ হাজার টাকা, পুনর্বাসন সুবিধা ও পরিচয়পত্র পাবেন। সংবাদ সম্মেলনে উপ প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব আহমদ ফয়েজ উপস্থিত ছিলেন।

১৮ কোটি টাকার বেশি জরিমানা আদায়, ৩৮৪টি ইটভাটা বন্ধ

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ নির্দেশনায় বায়ু ও শব্দ দূষণ, নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও সরবরাহ, অবৈধ ইটভাটা, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমনসহ বিভিন্ন দূষণকারী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর কঠোর অভিযান চালিয়েছে। ২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত সারা দেশে ৫২০টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ১ হাজার ২৪৫টি মামলা করা হয় এবং ১৮ কোটি ৩২ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে ২৪৯টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। ১৩৫টি ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়, ৩৫টি ইটভাটার কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয় এবং পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে ছয়টি ট্রাকভর্তি সীসা/ব্যাটারি গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। অপরদিকে, গত ৩ নভেম্বর ২০২৪ থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয় ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে ৩৪২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। ৬৫০টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ১৫৮ টন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। এ ছাড়া ১১টি পলিথিন কারখানার সেবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সিলগালা করা হয়। আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে বাগেরহাট, যশোর, কুড়িগ্রাম ও ঢাকায় চারটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। আটটি মামলায় ৩৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায়সহ চারটি ইটভাটার কিলন ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। আরও পাঁচটি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই দিনে, ঢাকা মহানগরের আদাবর ও কদমতলী এলাকায় নির্মাণ সামগ্রী দ্বারা বায়ুদূষণের দায়ে দুটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। চারটি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সতর্ক করা হয়। এ ছাড়া, গাজীপুরের নাওজোর ও সালনা হাইওয়ে থানার পৃথক অভিযানে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে ২২ টন নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। দুটি ট্রাক জব্দসহ দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও দণ্ডবিধি অনুযায়ী মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, দূষণ রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

যতদিন বাংলাদেশ থাকবে জুলাই যোদ্ধাদের কেউ ভুলবে না: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জুলাইয়ের যে গণঅভ্যুত্থান— এটা তো জাতির একটা মহৎ আন্দোলন। এটা তো বাংলাদেশের সবাই ধারণ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের কাছে এরা জুলাইযোদ্ধা, জুলাইয়ের বীর, জুলাই শহীদ। আমি মনে করি, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে জুলাই যোদ্ধাদের কেউ ভুলবে না, জুলাই শহীদেরকে কেউ ভুলবে না।’ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস উইং আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আহত ও নিহতদের প্রাপ্য সুবিধাগুলো আইন করে পরিবর্তন যাতে না করা যায়, এমন কোনও উদ্যোগ সরকার নেবে কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তো একটা অধিদফতর করেছি। অধিদফতরের আওতায় খুব নিয়মতান্ত্রিকভাবে সবকিছু করা হচ্ছে। দেখেন, ৫৩ বছরে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে এখনও প্রশ্ন আছে। এখানে কয়েকবার করে চেক করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা ক্যাটাগরি করেছি এবং সবার পাশেই এই অন্তর্বর্তী সরকার দাঁড়িয়েছে।’ শহীদ পরিবারদের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোটার কোনও সিস্টেমে আমরা যাচ্ছি না। এটা কোটার বিষয় না। এটা প্রজন্মের পর প্রজন্মের বিষয়ও না। দেখেন, যারা আহত হয়েছে এমন অনেকেই আছে— যার চোখে ৫-৬টি করে গুলি চালানো হয়েছে। এটা তো অমানবিক। এখনও অনেকেই আছেন যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। শহীদদের সংখ্যা ৮৩৪ জন গেজেট করা হয়েছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, অনেক শহীদের সংখ্যা… আমাদের এখনও এই তদন্ত চলছে। আমরা কিন্তু আরও খুঁজছি। কেননা, জাতিসংঘের হিসাবে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ জনের মতো। আমরা জানি যে, কিছু কিছু কবরস্থানে জুলাই শহীদদের কোনও প্রকার চিহ্ন ছাড়া কবর দেওয়া হয়েছে। সেটাও আমরা চেষ্টা করছি, পরিচয় কীভাবে বের করা যায়। তাদের চিহ্নিত করার একটা প্রক্রিয়া চলছে। শহীদদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তবে আপাতত হছে ৮৩৪ জন। ’

প্রকাশ্যে পুলিশ সদস্যদের কুপিয়ে আসামিকে ছিনতাই

রাজধানীর কাওরান বাজার রেললাইন এলাকায় প্রকাশ্যে পুলিশ সদ্যদের ওপর হামলা চালিয়ে এক মাদককারবারিকে ছিনিয়ে নিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন– এসআই ইখতিয়া হোসেন, কনস্টেবল বিপ্লব ও কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন। পুলিশের ওপর হামলার ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফুটেজে দেখা গেছে, হাতকড়া পরানো এক আসামিকে ধরে রেখেছেন এক পুলিশ সদস্য। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে চাপাতির আঘাতে আহত পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে আটক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তেজগাঁও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন– আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাত জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই জয়দেব কুমার বসু বলেন, ‘আহত পুলিশ সদস্য বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। বুধবার রাতে এজহারভুক্ত একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।’ কীভাবে ঘটলো এই হামলা? আহত এসআই ইখতিয়া হোসেন ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সেদিন বিকালে আমিসহ আরও দুজন পুলিশ সদস্য পায়ে হেঁটে কাওরান বাজার এলাকায় টহল দিচ্ছিলাম। তখন কামারপট্টি ও এর মাঝখানে রেললাইনে কয়েকজন মাদককারবারি আমাদের দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় শাহীন (২৫) নামে একজন পড়ে গেলে আমরা তাকে আটক করি। তার সঙ্গে ছোট ছোট প্যাকেটে মোড়ানো একব্যাগ গাঁজা ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘আটকের পরপরই অন্য মাদককারবারিরা আমাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। তখন নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য আমরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলারের পাশে আশ্রয় নেই। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি। সেখানে বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর এলাপাতারি হামলা করে। দ্বীন ইসলাম কালু নামে একজন চাপাতির উল্টো দিক দিয়ে আমার ঘাড়ে আঘাত করে। তখন আটক শাহীনও আঘাত করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে জোর করে হাতকড়া খুলে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেয় তার সহযোগীরা।’ পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের গ্রেফতার করতে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। শিগগিরই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশে বড় রদবদল, একযোগে ৫৩ কর্মকর্তাকে বদলি

বাংলাদেশ পুলিশে বড় রদবদল করা হয়েছে। একযোগে ৫৩ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, ৩৩ জন পুলিশ সুপার এবং একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা পৃথক দুই প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়। প্রজ্ঞাপন দুটি সই করেন উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান। এক প্রজ্ঞাপনে অনুযায়ী, ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আবুল কালাম আযাদকে এপিবিএন-১ ঢাকায়, ৮ এপিবিএন হিসেবে বদলির আদেশপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি সরদার রোকনউজ্জামানকে সিআইডিতে, ডিএমপির খো. ফরিদুল ইসলামকে র‍্যাবে, ডিএমপির মুহাম্মদ মাহাবুবুর রহমানকে র‍্যাবেসহ ২১ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। আরেক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি রায়হান উদ্দিন খানকে সিআইডিতে, বিএমপিতে বদলির আদেশপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আহমেদুল কবীরকে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি, আব্দুল্লাহ আল জহিরকে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে সিআইডিতেসহ ৩২ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।

পুলিশে বড় রদবদল, একযোগে ৫৩ কর্মকর্তাকে বদলি

বাংলাদেশ পুলিশে বড় রদবদল করা হয়েছে। একযোগে ৫৩ জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। বদলিদের মধ্যে ১৯ জন অতিরিক্ত ডিআইজি, ৩৩ জন পুলিশ সুপার ও একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা পৃথক দুই প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়। প্রজ্ঞাপন দুটি সই করেন উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান। এক প্রজ্ঞাপনে অনুযায়ী, ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আবুল কালাম আযাদকে এপিবিএন-১ ঢাকায়, ৮ এপিবিএন হিসেবে বদলির আদেশপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি সরদার রোকনউজ্জামানকে সিআইডিতে, ডিএমপির খো. ফরিদুল ইসলামকে র‍্যাবে, ডিএমপির মুহাম্মদ মাহাবুবুর রহমানকে র‍্যাবেসহ ২১ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। আরেক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি রায়হান উদ্দিন খানকে সিআইডিতে, বিএমপিতে বদলির আদেশপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আহমেদুল কবীরকে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি, আব্দুল্লাহ আল জহিরকে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে সিআইডিতেসহ ৩২ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।

পুনর্বহালের দাবিতে বিজিবির চাকরিচ্যুত সদস্যদের মানববন্ধন

বিগত ২০১২-২০২৪ পর্যন্ত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত সব বিজিবি সদস্যকে চাকরি পুনর্বহালসহ ৩ দফা দাবিতে বিজিবির সদর দপ্তরের সামনে দাবিতে মানববন্ধন করছেন বিজিবির চাকরিচ্যুত সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে তারা এই মানববন্ধন শুরু করেন। মানববন্ধনে তারা বলেন, ‘বিগত (আওয়ামী লীগ) সরকারের আমলে আমাদেরকে অন্যায় ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আমাদের প্রথম দাবি অন্যায় ভাবে চাকরিচ্যুত সকল বিজিবি সদস্যদের চাকরে পুনর্বহাল করতে হবে। দ্বিতীয় দাবি হল আমাদের শতভাগ পেনশন ও বেতন-ভাতা দিতে হবে।’ ‘বিজিবি ২০১০ যে অবৈধ আইন আছে, তা সংস্কার করতে হবে। এই কালো আইনের মাধ্যমে আমরা যারা এখানে আন্দোলন করছি আমাদের প্রত্যেককে অন্যায় ভাবে চাকরিচ্যুত করে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।’ বৃহস্পতিবার প্রায় ৪০-৫০ জন চাকরিচ্যুত বিজিবির সদস্যদের বিজিবির সদর দপ্তরের সামনে মানববন্ধন করতে দেখা যায়। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। এই মানববন্ধনের কারণে বিজিবির সদর দপ্তরের সামনে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। এছাড়াও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পোশাকে ও সাদা পোশাকে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

সেনাপ্রধান কোন কথা না বুঝে বলেননি: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘তিনি কোন কথা না বুঝে বলেননি।’ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বেক্সিমকো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন। নিজেরা কাদা–ছোড়াছুড়ি, মারামারি ও কাটাকাটি করলে দেশ ও জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে বলে বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে সতর্ক করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। এই দেশ আমাদের সবার উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘আমরা সবাই সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা চাই না হানাহানি, কাটাকাটি, মারামারি।’ সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সেনাপ্রধান আমার জন্য অনেক উঁচু স্তরের লোক। তিনি একটি বাহিনী চালাচ্ছেন। তিনি কোনো কথা না বুঝে বলেননি। বাকিটা ইন্টারপ্রিটেশন কী আপনারা জানুন। আমি যতটা ওনাকে চিনি ভেরি স্ট্রেট ফরওয়ার্ড ম্যান। যা বলার মানুষের মুখের ওপর বলার মতো লোক। সো আই হ্যাভ এ লট অব রেসপেক্ট ফর হিম।’ প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি যেভাবে সম্বোধন করেছেন সেটা পারেন কি না- এ বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এটা আপনারা তাকে জিজ্ঞাসা করেন।’

গরম বাড়বে আরও, রংপুর বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে

পুরো দেশে দিনের গরম ক্রমশ বাড়ছে। গতকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮-৩৩ ডিগ্রির ঘরে ছিল। আবহাওয়া অফিস বলছে, ‘বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার রংপুর বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।’ আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেন, ‘আগামী কয়েক দিনের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর থেকে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আজ রংপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’

সরকার এ বছরের শেষের দিকে নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার এ বছরের শেষের দিকে নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে।’ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জার্মান সরকারের কমিশনার জারাহ ব্রুন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা জার্মানির জনগণ ও দেশটির অর্থনীতির প্রশংসা করে বলেন, জার্মানি বিশ্বব্যাপী ভারী শিল্পসহ অনেক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে জার্মানির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবে আমরা ভিন্ন মাত্রার একটি বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই’। জারাহ ব্রুন সামাজিক ব্যবসায় ও ক্ষুদ্রঋণ সম্পর্কে ধারণা নিতে বাংলাদেশ সফর করছেন। তিনি ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি আপনার কাজের বড় অনুরাগী’। তিনি জার্মানিতে সামাজিক ব্যবসায় চালু করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে জার্মানির সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের জন্য আপনাদের সব ধরনের সহায়তা দরকার। আমরা জাতীয় নির্বাচনকে সফল করতে কঠোর পরিশ্রম করছি’। বৈঠকে তারা উভয়ে ড. ইউনূসের থ্রি জিরো আন্দোলন, সামাজিক ব্যবসায়, দারিদ্র্য বিমোচন ও কল্যাণ রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

টানা ২৬ ঘণ্টা ধরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের গেটে অবস্থান আহতদের

এক দফা দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে টানা ২৬ ঘণ্টা ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের ব্যানারে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা। তারা গতকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে এখানে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার প্রধান ফটক ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৩০ জন আন্দোলনকারী শান্তি পূর্ণভাবে অবস্থান করছেন গেটের সামনে। জাতীয় পতাকাবাহী সরকারি কোনো গাড়ি ফটকের সামনে আসলেই তারা স্লোগান দিচ্ছেন- এক দুই তিন চার, সব শালার বাটপার। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাতে এখানে তারা খোলা আকাশের নিচেই অবস্থান করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে অনেকে আশেপাশে কোথাও গিয়েছেন। ফলে এখন মানুষের সংখ্যা কম। তবে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জুলাই আহতরা রওনা হয়েছেন। দাবি আদায়ে তারাও দুপুর-বিকাল নাগাদ যোগ দেবেন। শুরুতে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে আসলেও পরে তারা এক দফা দাবিতে অনড়। জুলাই আন্দোলনের সময় কিশোরগঞ্জে ছিটা গুলিতে আহত হয়েছিলেন নাজমুল আহসান। পরে তিনি চিকিৎসা নিয়েছিলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সকালে নাজমুল বলেন, ‘আমাদেরকে তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে সরকার বৈষম্য তৈরি করছে। অনেক গুলিবিদ্ধ যারা আছেন তাদের সি ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। যা স্পষ্ট আমরা বৈষম্য দেখছি। তাই আমরা দুইটি ক্যাটাগরি চাই। আমাদের এ দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালবে। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত আমরা এখানেই অবস্থান করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা জুলাই আহতদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। তারা ইতোমধ্যে রওনা হয়েছেন ঢাকার উদ্দেশ্যে। আশা করছি, দুপুর থেকে বিকালের মধ্যে সবাই উপস্থিত হবেন।’

ভোরেই রাজধানীর চার থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সতর্ক থাকার নির্দেশ

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সব সময় সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রাজধানীর চারটি থানা (মিরপুর, দারুসসালাম, আদাবর ও মোহাম্মদপুর) পরিদর্শনকালে সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ দেন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারে ও নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটরিং করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের অফিসারদেরও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ফোর্স ও টহলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।’ ‘যারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক ও সজাগ রয়েছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে স্থাপিত চেকপোস্টগুলোও ফাংশন করছে। যৌথবাহিনীর অপারেশনও ভালোভাবে চলছে।’ তিনি বলেন, ‘থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলছে। থানাসমূহ সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা দেখতেই এ পরিদর্শন।’ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভোরের দিকে দায়িত্বে শিথিলতা দেখায়। এ সুযোগে সন্ত্রাসী ও অপরাধীরা নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করার চেষ্টা করে। আমি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি তারা যেন এসময়েও সজাগ ও সতর্ক থাকে।’ চলমান যৌথ অভিযান আর কতদিন চলবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিস্থিতির উন্নতি হলে যৌথ অভিযান বন্ধ করা হবে। তবে অন্যান্য অভিযান চলমান থাকবে। তিনি আরও জানান, গতকাল গুলশান থানায় দায়িত্বে অবহেলা করায় একজন এসআই ও একজন কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’ উপদেষ্টা তার বারিধারাস্থ ডিওএইচএসের বাসা থেকে বের হয়ে ইসিবি চত্বর, কালশী, পল্লবী, মিরপুর-১০ হয়ে মিরপুর থানায় পৌঁছান। পরিদর্শন শেষে সেখান থেকে মিরপুর-১ হয়ে দারুসসালাম থানায় যান। দারুসসালাম থানা থেকে টেকনিক্যাল মোড়, শ্যামলী হয়ে আদাবর থানা পরিদর্শন করেন। পরবর্তী সেখান থেকে মোহাম্মদপুর থানায় যান। মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শন শেষে ধানমন্ডি ২৭, সংসদ ভবন, বিজয় সরণি, মহাখালী, বনানী হয়ে বারিধারার বাসায় ফিরে আসেন। থানাসমূহ পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা থানার অভ্যর্থনা কক্ষ, হাজতখানাসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা ঘুরে দেখেন। তিনি ডিউটি অফিসারসহ কর্তব্যরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। এ সময় তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন। পথিমধ্যে তিনি জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার চেকপোস্ট ও কালশী মোড় চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন এবং দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলেন। তাছাড়া উপদেষ্টা মিরপুর থানা মোড় ও টেকনিক্যাল মোড়ে উপস্থিত সাধারণ জনগণের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।

সন্ত্রাসী যত শক্তিশালীই হোক রক্ষা পাবে না: ডিবি প্রধান

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, সন্ত্রাসী যত শক্তিশালীই আর সে যেই হোক না কেন আমাদের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টায় রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর চত্বরে ঢাকা মহানগর এলাকার রাত্রিকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। ডিবিপ্রধান বলেন, ঢাকা মহানগর (ডিএমপি), গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে নগরবাসীর শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য। ঢাকা কেন অনিরাপদ হয়ে যাচ্ছে? নিরাপত্তার জন্য কি কি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য যে যে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন আমরা সব উদ্যোগ নিয়েছি। চেকপোস্ট, পেট্রোল, ফুট পেট্রোল, ডিবি-পুলিশ-র‍্যাব-সেনাবাহিনীর টহলসহ যা যা করণীয় আমরা সবকিছু করে যাচ্ছি। রেজাউল করিম মল্লিক আরও বলেন, সন্ত্রাসী যত শক্তিশালীই হোক আর সে যেই হোক সে আমাদের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। আমাদের সফলতা কতটুকু এবং সন্ত্রাসীরা আমাদের হাতে ধরা পরেই সেজন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছি তা আমাদের অভিযানেই প্রমাণ করে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থানের ঘোষণা জুলাই আন্দোলনে আহতদের

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জুলাই আন্দোলনে আহতরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ের সামনে থেকে সরবেন না বলে জানিয়েছেন। তারা বলছেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না। আমরণ কর্মসূচি পালন করব।’ এর আগে বুধবার দুপুরে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পর্যাপ্ত সহায়তাসহ তিন দাবিতে তারা মিছিল নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনের সড়কে বসে পড়েন। বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে সারারাত অবস্থান করব। আমরণ কর্মসূচি পালন করব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।’ এর আগে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে আহতরা স্বীকৃতি ও পুনর্বাসনের দাবিতে রাজধানীর শ্যামলী, শাহবাগ, উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অবরোধ করেছিলেন। ডিএমপি তেজগাঁও বিভাগের উপ- কমিশনার ইবনে মিজান সমকালকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতরা তাদের কিছু দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তারা রাস্তা অবরোধ করেনি, কার্যালযয়ের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালযয়ের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে।

দাবি না মানলে ‘ঢাকা ব্লকেডের’ ঘোষণা দিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহত হন, পাশাপাশি নারী শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগও ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর বাংলামোটরে সড়ক অবরোধ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, যদি হামলার সুষ্ঠু বিচার না হয়, তাহলে তারা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে নয়টার দিকে একদল শিক্ষার্থী বাংলামোটর মোড়ে একপাশের সড়ক অবরোধ করে, ফলে কারওয়ান বাজার থেকে শাহবাগ অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে তারা সড়ক ছেড়ে দেয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক এম জে এইচ মঞ্জু বলেন, নতুন বাংলাদেশ অর্জনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল। কিন্তু তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। হামলার বিচার না হলে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান মঞ্জু। তবে, যদি হামলাকারীদের বিচার না হয়, তাহলে ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘ঢাকা ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

দক্ষিণখানে মাত্র ১২০০ টাকার জন্য হত্যা, মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর দক্ষিণখানে মাত্র ১২০০ টাকার জন্য নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন মো. আরিফুল ইসলাম (২৭)। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু উদ্ধারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির দক্ষিণখান থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আবু বক্কর সিদ্দিক বিজয় (২০), রানা (২৩) ও আমির হোসেন মোল্লা (২০)। দক্ষিণখান থানা সূত্রে জানা যায়, নিহত আরিফুল ইসলাম উত্তরখান থানাধীন দোরাদিয়া বাজারে একটি এমব্রয়ডারি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে আরিফুলের ১২০০ টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ৮টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত রানা ফোন করে আরিফুলকে দক্ষিণখানের নর্দাপাড়া এলাকায় চান্দুর ফাঁকা মাঠে আসতে বলে। সেখানে আগে থেকেই ওঁত পেতে ছিল আরও কয়েকজন। আরিফুল সেখানে পৌঁছালে তারা তার ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে আমির হোসেন মোল্লা ধারালো চাকু দিয়ে আরিফুলের বুকে গুরুতর আঘাত করে। আরিফুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আরিফুলকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই নিহতের বাবা মো. দুলাল হোসেন দক্ষিণখান থানায় চারজনকে অভিযুক্ত করে ও অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর দক্ষিণখান থানা পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে নামে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতেই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আবু বক্কর সিদ্দিক বিজয় ও রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দক্ষিণখানের তালতলা এলাকার একটি ভাড়া বাসার ছাদ থেকে মামলার প্রধান অভিযুক্ত আমির হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমির হোসেনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী পাশের এক ব্যক্তির টিনের চালা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকুটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হলে তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ও পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণখান থানা পুলিশ।

পাল্টে গেল বঙ্গবন্ধু সেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলের নাম

বঙ্গবন্ধু সেতু ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে নতুন নামকরণের এ আদেশ জারি করা হয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর নাম পরিবর্তন করে ‘যমুনা সেতু’ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নাম ‘কর্ণফুলী টানেল’ করা হয়। জানা যায়, যমুনা বহুমুখী সেতু যমুনা নদীর ওপর অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু‌। ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন চালু হয় এই সেতু। সে সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামানুসারে সেতুটির নামকরণ করা হয়। এ সেতু বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে দুই অংশকে একত্রিত করেছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত হয় টানেল। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর টানেলটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর নাম দেয়া হয় বঙ্গবন্ধু টানেল। চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে টানেল শেষ হয়েছে আনোয়ারা প্রান্তে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের নামে থাকা বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৭ আগস্টই টানেল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামফলক সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।

বাংলামোটর মোড় অবরোধ করলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঞ্চিত’ শিক্ষার্থীরা

রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় রূপায়ন টাওয়ারের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে তারা সড়কটি অবরোধ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আজ বিকেলে 'গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ'র কমিটি ঘোষণার আগেও সেখানে বিক্ষোভ করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, জুলাই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও, নতুন ছাত্র সংগঠনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাদের সেই বিক্ষোভের মধ্যেই মধুর ক্যান্টিনের ভেতরে ঢুকে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরই জেরে রাত ৮টার দিকে বাংলামোটর এলাকায় একত্রিত হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা রাত পৌনে ১০টার দিকে সড়কটি অবরোধ করেন। বাংলামোটর মোড় অবরোধকারীদের একজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মাসরাফি সরকার বলেন, 'গণঅভ্যুত্থানের সময় আমরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি, ৯ দফার ক্ষেত্রে আমাদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। অথচ, এখন সব কমিটি করা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক। এটা হয় না, এটা অনেক বড় বৈষম্য।' তিনি বললেন, 'আমরা এসব কথা বললে অনেকে বলে, আমরা বিদ্রোহী। কিন্তু, তা নয়। আমরা কেবল হক কথা বলছি।' 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' থেকে আত্মপ্রকাশ করা নতুন ছাত্র সংগঠন 'বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ'র আহ্বায়ক করা হয়েছে ঢাবির ভূতত্ত্ব বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবু বাকের মজুমদারকে। সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়ামকে। নতুন এই ছাত্র সংগঠনের স্লোগান ঠিক করা হয়েছে 'শিক্ষা ঐক্য মুক্তি'। কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে আছেন জাহিদ আহসান, সিনিয়র সদস্য সচিব রিফাত রশীদ, মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, মুখপাত্র আশরেফা খাতুন।