সন্ত্রাসী যত শক্তিশালীই হোক রক্ষা পাবে না: ডিবি প্রধান

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, সন্ত্রাসী যত শক্তিশালীই আর সে যেই হোক না কেন আমাদের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টায় রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর চত্বরে ঢাকা মহানগর এলাকার রাত্রিকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। ডিবিপ্রধান বলেন, ঢাকা মহানগর (ডিএমপি), গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে নগরবাসীর শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার জন্য। ঢাকা কেন অনিরাপদ হয়ে যাচ্ছে? নিরাপত্তার জন্য কি কি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য যে যে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন আমরা সব উদ্যোগ নিয়েছি। চেকপোস্ট, পেট্রোল, ফুট পেট্রোল, ডিবি-পুলিশ-র‍্যাব-সেনাবাহিনীর টহলসহ যা যা করণীয় আমরা সবকিছু করে যাচ্ছি। রেজাউল করিম মল্লিক আরও বলেন, সন্ত্রাসী যত শক্তিশালীই হোক আর সে যেই হোক সে আমাদের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। আমাদের সফলতা কতটুকু এবং সন্ত্রাসীরা আমাদের হাতে ধরা পরেই সেজন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছি তা আমাদের অভিযানেই প্রমাণ করে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থানের ঘোষণা জুলাই আন্দোলনে আহতদের

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জুলাই আন্দোলনে আহতরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ের সামনে থেকে সরবেন না বলে জানিয়েছেন। তারা বলছেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না। আমরণ কর্মসূচি পালন করব।’ এর আগে বুধবার দুপুরে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পর্যাপ্ত সহায়তাসহ তিন দাবিতে তারা মিছিল নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনের সড়কে বসে পড়েন। বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে সারারাত অবস্থান করব। আমরণ কর্মসূচি পালন করব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।’ এর আগে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে আহতরা স্বীকৃতি ও পুনর্বাসনের দাবিতে রাজধানীর শ্যামলী, শাহবাগ, উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অবরোধ করেছিলেন। ডিএমপি তেজগাঁও বিভাগের উপ- কমিশনার ইবনে মিজান সমকালকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতরা তাদের কিছু দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। তারা রাস্তা অবরোধ করেনি, কার্যালযয়ের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালযয়ের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে।

দাবি না মানলে ‘ঢাকা ব্লকেডের’ ঘোষণা দিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহত হন, পাশাপাশি নারী শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগও ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর বাংলামোটরে সড়ক অবরোধ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, যদি হামলার সুষ্ঠু বিচার না হয়, তাহলে তারা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে নয়টার দিকে একদল শিক্ষার্থী বাংলামোটর মোড়ে একপাশের সড়ক অবরোধ করে, ফলে কারওয়ান বাজার থেকে শাহবাগ অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টা পর রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে তারা সড়ক ছেড়ে দেয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক এম জে এইচ মঞ্জু বলেন, নতুন বাংলাদেশ অর্জনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল। কিন্তু তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। হামলার বিচার না হলে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান মঞ্জু। তবে, যদি হামলাকারীদের বিচার না হয়, তাহলে ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘ঢাকা ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

দক্ষিণখানে মাত্র ১২০০ টাকার জন্য হত্যা, মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর দক্ষিণখানে মাত্র ১২০০ টাকার জন্য নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন মো. আরিফুল ইসলাম (২৭)। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু উদ্ধারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির দক্ষিণখান থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আবু বক্কর সিদ্দিক বিজয় (২০), রানা (২৩) ও আমির হোসেন মোল্লা (২০)। দক্ষিণখান থানা সূত্রে জানা যায়, নিহত আরিফুল ইসলাম উত্তরখান থানাধীন দোরাদিয়া বাজারে একটি এমব্রয়ডারি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে আরিফুলের ১২০০ টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ৮টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত রানা ফোন করে আরিফুলকে দক্ষিণখানের নর্দাপাড়া এলাকায় চান্দুর ফাঁকা মাঠে আসতে বলে। সেখানে আগে থেকেই ওঁত পেতে ছিল আরও কয়েকজন। আরিফুল সেখানে পৌঁছালে তারা তার ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে আমির হোসেন মোল্লা ধারালো চাকু দিয়ে আরিফুলের বুকে গুরুতর আঘাত করে। আরিফুলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আরিফুলকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই নিহতের বাবা মো. দুলাল হোসেন দক্ষিণখান থানায় চারজনকে অভিযুক্ত করে ও অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর দক্ষিণখান থানা পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে নামে। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতেই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আবু বক্কর সিদ্দিক বিজয় ও রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দক্ষিণখানের তালতলা এলাকার একটি ভাড়া বাসার ছাদ থেকে মামলার প্রধান অভিযুক্ত আমির হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমির হোসেনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী পাশের এক ব্যক্তির টিনের চালা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকুটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হলে তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ও পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণখান থানা পুলিশ।

পাল্টে গেল বঙ্গবন্ধু সেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলের নাম

বঙ্গবন্ধু সেতু ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে নতুন নামকরণের এ আদেশ জারি করা হয়।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর নাম পরিবর্তন করে ‘যমুনা সেতু’ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নাম ‘কর্ণফুলী টানেল’ করা হয়। জানা যায়, যমুনা বহুমুখী সেতু যমুনা নদীর ওপর অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু‌। ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন চালু হয় এই সেতু। সে সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামানুসারে সেতুটির নামকরণ করা হয়। এ সেতু বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে দুই অংশকে একত্রিত করেছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত হয় টানেল। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর টানেলটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর নাম দেয়া হয় বঙ্গবন্ধু টানেল। চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে টানেল শেষ হয়েছে আনোয়ারা প্রান্তে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের নামে থাকা বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৭ আগস্টই টানেল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামফলক সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।

বাংলামোটর মোড় অবরোধ করলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঞ্চিত’ শিক্ষার্থীরা

রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় রূপায়ন টাওয়ারের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে তারা সড়কটি অবরোধ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আজ বিকেলে 'গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ'র কমিটি ঘোষণার আগেও সেখানে বিক্ষোভ করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, জুলাই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও, নতুন ছাত্র সংগঠনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাদের সেই বিক্ষোভের মধ্যেই মধুর ক্যান্টিনের ভেতরে ঢুকে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরই জেরে রাত ৮টার দিকে বাংলামোটর এলাকায় একত্রিত হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা রাত পৌনে ১০টার দিকে সড়কটি অবরোধ করেন। বাংলামোটর মোড় অবরোধকারীদের একজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মাসরাফি সরকার বলেন, 'গণঅভ্যুত্থানের সময় আমরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি, ৯ দফার ক্ষেত্রে আমাদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। অথচ, এখন সব কমিটি করা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক। এটা হয় না, এটা অনেক বড় বৈষম্য।' তিনি বললেন, 'আমরা এসব কথা বললে অনেকে বলে, আমরা বিদ্রোহী। কিন্তু, তা নয়। আমরা কেবল হক কথা বলছি।' 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' থেকে আত্মপ্রকাশ করা নতুন ছাত্র সংগঠন 'বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ'র আহ্বায়ক করা হয়েছে ঢাবির ভূতত্ত্ব বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবু বাকের মজুমদারকে। সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়ামকে। নতুন এই ছাত্র সংগঠনের স্লোগান ঠিক করা হয়েছে 'শিক্ষা ঐক্য মুক্তি'। কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে আছেন জাহিদ আহসান, সিনিয়র সদস্য সচিব রিফাত রশীদ, মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, মুখপাত্র আশরেফা খাতুন।

সম্পদের হিসাব দিলেন নাহিদ ইসলাম

ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা রয়েছে নাহিদ ইসলামের। এ অবস্থায় গতকাল তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর একদিন পর নিজের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করেছেন তিনি। আজ (বুধবার) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করেন তিনি। নাহিদ ইসলামের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু নিচে তুলে দেওয়া হলো— উপদেষ্টা পদে যোগদানের আগে আমার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। ২১ আগস্ট উপদেষ্টা পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্মানী গ্রহণের লক্ষ্যে সরকারিভাবে সোনালী ব্যাংকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলি। উক্ত অ্যাকাউন্টে ২১ আগস্ট ২০২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত লেনদেনের হিসাব জনগণের কাছে উপস্থাপন করছি। উক্ত হিসাবে ১০,০৬,৮৮৬ (দশ লক্ষ ছয় হাজার আটশত ছিয়াশি) টাকা জমা হয়েছে এবং ৯,৯৬,১৮৮ (নয় লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার একশত আটাশি) টাকা উত্তোলিত হয়েছে। উল্লেখ্য, সোনালী ব্যাংকের এই অ্যাকাউন্টটি ছাড়া আমার অন্য কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন, আমার বা আমার পরিবারের কোনো সদস্যের (স্ত্রী/মা/বাবা) নামে বাংলাদেশের কোথাও জমি বা ফ্ল্যাট নেই বা আমার বা আমার পরিবার কর্তৃক ক্রয় করা হয়নি। আমার একান্ত সচিবের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এর হিসাবে ৩৬,০২৮ (ছত্রিশ হাজার আটাশ) টাকা রয়েছে। উনি একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর উনার নিজের নামে বা উনার পরিবারের (স্ত্রী/মা/বাবা) কারো নামে বাংলাদেশের কোথাও কোনো সম্পত্তি ক্রয় করা হয়নি। এ ছাড়া আমার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট যেকারো সম্পদের স্বচ্ছ হিসাব রয়েছে। প্রয়োজনে উন্মুক্ত করা হবে। তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি দপ্তরে উক্ত তথ্য যাচাইযোগ্য। তিনি পোস্টের সঙ্গে তার সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্টের ছবিও যুক্ত করেন তিনি।

নতুন ছাত্রসংগঠনের কমিটি নিয়ে হাতাহাতি, আহত ২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ’ নামে নতুন ছাত্রসংগঠনের কমিটি নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের মিশু আলি (২৫) ও প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন স্টাডিজ বিভাগের মো. আকিব আল হাসান (২৬)। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে সেখানে তারা চিকিৎসাধীন। তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা নাহিদ ইসলাম বলেন, ’নতুন ছাত্রসংগঠনের উত্তরা জোনে শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের প্রতিবাদে স্লোগান দিতে গেলে অন্যান্যদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন। ঢাকা মেডিকেলে দুজনকে নিয়ে আসা হয়েছে।’ ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে সামনে থেকে আহত হয়ে দুইজন ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে এসেছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

তিন দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনে আহতদের অবস্থান

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের ব্যানারে অর্ধ শতাধিক আন্দোলনকারী। তাদের অভিযোগ, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে। এ সময় তারা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই তারা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। বিকালের দিকে মূল ফটক অবরুদ্ধ করে সেখানে অবস্থান নেন। ফলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ভেতরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার রাত সাড়ে আটটা দিকে আন্দোলনকারীদেরকে প্রধান ফটক অবরোধ করে অবস্থান করতে দেখা গেছে। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে: আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, আহতদের জন্য নির্ধারিত ক্যাটাগরি ৩টি থেকে কমিয়ে ২টি করা হোক। সেই সঙ্গে পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। ক্যাটাগরি-এ (কর্মে অক্ষম): যেসব আহত যোদ্ধারা স্থায়ীভাবে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন (যেমন- পঙ্গুত্ব, চোখ হারানো, গুরুতর বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ আঘাত), তাদের জন্য মাসিক ভাতা ২০ হাজার টাকা। এককালীন অনুদান: আগে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এই ভাতা বাড়াতে হবে। কর্মসংস্থান: পরিবারে দায়িত্বশীল সদস্যদের সরকারি বা আধা-সরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। ক্যাটাগরি-বি (কর্মে সক্ষম): যেসব আহত যোদ্ধা সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন, তাদের জন্য- মাসিক ভাতা ১৫ হাজার টাকা। এককালীন অনুদান: পূর্বের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এই ভাতা বাড়াতে হবে। কর্মসংস্থান: প্রশিক্ষণ ও সরকারি বা আধা-সরকারি পর্যায়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে। এই আইনের আওতায় আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনও হুমকি, হয়রানি বা হত্যাচেষ্টা হলে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান থাকতে হবে। আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে কোনও ধরনের অবহেলা বা বৈষম্য করা যাবে না। ২৪/৭ ইমার্জেন্সি হটলাইন চালু আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সুচিকিৎসা, মানসিক কাউন্সেলিং, হয়রানি প্রতিরোধ, সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করতে ২৪ ঘণ্টার টোল-ফ্রি হটলাইন চালুর দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সরকারের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এদিকে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও আলোচনা চালিয়ে যেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছেন। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

রাজধানীজুড়ে পুলিশের চেকপোস্ট টহল টিম, গ্রেফতার ২৮৯

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২ থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৫০টি থানা এলাকায় ৫০০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৬৫টি পুলিশি চেকপোস্টসহ কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি), পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) টহল টিম দায়িত্ব পালন করেছে। তাদের সাঁড়াশি অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে থেকে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ২৮৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে ২৯ জন ডাকাত, ২৮ জন পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, ছয় জন চাঁদাবাজ, ১০ জন চোর, ১৯ জন চিহ্নিত মাদক কারবারি, ৪৫ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ অন্য অপরাধে জড়িত ব্যক্তি রয়েছে। মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত একটি রামদা, চারটি চাকু, দুটি সামুরাই, একটি কাটিং প্লায়ার্স, দুইটি ছুরি, একটি শাবল, দুইটি রড, সাংবাদিকতার দুইটি ভুয়া আইডি কার্ড, দুটি মোটরসাইকেল, ২ কেজি ৯০০ গ্রাম তামার তার, ১৭টি চাবি, একটি সুইচ, তিনটি দড়ি, পাঁচটি মোবাইল ফোন, ১২টি বিদেশি নোট, একটি সোনার চেন, দুটি ওভেন, একটি ফ্রিজ, দুটি ব্লেনডার, দুটি সাব-মেশিন, একটি জুস সিল মেশিন, একটি সাউন্ড বক্স ও নগদ ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া অভিযানে উদ্ধার মাদকের মধ্যে রয়েছে ১০ হাজার ৩০২ পিস ইয়াবা, এক কেজি ১৪০ গ্রাম গাঁজা, দুই ক্যান বিয়ার ও দুই বোতল ফেনসিডিল। তিনি জানান, জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ডিএমপিসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে সমন্বিত চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির টহল টিমের পাশাপাশি মহানগরীর বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ স্থানে সিটিটিসির ১৪টি, এটিইউ ১২টি এবং ডিএমপির সঙ্গে র‍্যাবের ১০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া ডিএমপির চেকপোস্টের পাশাপাশি পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এপিবিএন ২০টি চেকপোস্ট পরিচালনা করে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৬৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পুনর্বটন করা হয়েছে। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা সচিব জাহেদা পারভীন স্বাক্ষরিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে পদত্যাগ করেন। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ন্যস্ত আছে।

অপারেশন ডেভিল হান্ট: ১৮তম দিনে গ্রেফতার ৬৭৮

সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ১ হাজার ৬৯০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে অপারেশন ডেভিল হান্টে ৬৭৮ জন এবং অন্য মামলা ও ওয়ারেন্ট-মূলে গ্রেফতার করা হয়েছে ১০১২ জনকে। এ নিয়ে অপারেশন ডেভিল হান্টে মোট ১০ হাজার ৫৭০ জন গ্রেফতার হয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশের সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি জানান, অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে গ্রেফতারদের কাছ থেকে একটি ৪.৫ এমএম পিস্তল, একটি এলজি, একটি শুটারগান, একটি দেশীয় তৈরি একনলা বন্ধক, একটি ম্যাগাজিন, একটি কার্তুজ, একটি রাইফেলের গুলি, ১টি স্টিলের দেশীয় তৈরি কুড়াল, একটি ধারালো চাপাতি, একটি রামদা, একটি লোহার শাবল, একটি ক্ষুর, দুইটি সুইচ গিয়ার চাকু ও দুইটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়েছে।এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হন। তাদের একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার নাম কাশেম খান। হামলার ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট নামে বিশেষ অভিযান শুরু হয়।আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এই অভিযান চলমান থাকবে এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রসাটম মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ

শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অভিন্ন স্বার্থ ও অগ্রগতির দিকে মনোনিবেশ করে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তিতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের প্রত্যাশায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার স্টেট করপোরেশন ফর নিউক্লিয়ার এনার্জি রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা জানান। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে মূলত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (আরএনপিপি) উন্নয়নে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে অব্যাহত সহযোগিতার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়, যা পারমাণবিক শক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি যুগান্তকারী প্রকল্প। আলোচনাকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রসাটমের অব্যাহত সহযোগিতার প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে প্রকল্পটি যথাসময়ে সম্পন্ন হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। রোসাটমের মহাপরিচালককে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি, যা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ মহাপরিচালক লিখাচোভ আরএনপিপি সম্পর্কে আপডেটগুলো জানিয়ে বলেন, ‘নির্মাণ কাজ পরিকল্পনা অনুসারে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে একাধিক মাইলফলক অর্জন করা হয়েছে।’ লিখাচোভ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ নেওয়া যেকোনও সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য পবিত্র।’ তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, প্রকল্পের ড্রাই রান চলছে এবং শিগগিরই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি আশ্বাস দেন, রসাটম নিরাপত্তা, গুণগত মান এবং আন্তর্জাতিক মান মেনে চলার দিকে মনোনিবেশ করে প্রকল্পটির সফল সমাপ্তিতে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উভয় পক্ষ ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত ঋণ ব্যবহারের সময়সীমা বাড়িয়ে আন্তঃসরকার ঋণ চুক্তি (আইজিসিএ) সংশোধনের যৌক্তিকতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষ প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতা মেনে শিগগিরই আইজিসিএ’র ২ নম্বর প্রোটোকলে স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়। এছাড়া উভয়পক্ষই প্রকল্পের দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য নিশ্চিত করতে কর্মীদের প্রশিক্ষণ, সুরক্ষা প্রোটোকল এবং জ্ঞান স্থানান্তরের মতো ক্ষেত্রে অব্যাহত সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। সভায় আরও ছিলেন– প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দীন মিয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন, ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী। বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার খোজিন, ফেডারেল এনভায়রনমেন্টাল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড নিউক্লিয়ার সুপারভিশন সার্ভিসের ডেপুটি চেয়ারম্যান অ্যালেক্সি ফেরোপন্তভ, রসাটমের ফার্স্ট ডেপুটি ডিরেক্টর আন্দ্রেই পেট্রভ, এএসই জেএসসির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক অ্যালেক্সি ডেরি উপস্থিত ছিলেন। মহাপরিচালক লিখাচোভ বর্তমানে একদিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন ২০২৪ সালের এপ্রিলে।

বঙ্গবন্ধু সেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলের নাম পরিবর্তন

বঙ্গবন্ধু সেতু (যমুনা নদীর ওপর) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বঙ্গবন্ধু সেতুর নাম পরিবর্তন করে ‘যমুনা সেতু’ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নাম ‘কর্ণফুলী টানেল’ করে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সেতু বিভাগ।

নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশকে ঘিরে হাতাহাতি

গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের নতুন ছাত্র সংগঠনের নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বেলা ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু ধাক্কাধাক্কি ও বিক্ষোভের মুখে নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পরও সংবাদ সম্মেলন শুরু করা যায়নি। পরে সোয়া পাঁচটার দিকে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রদের অন্যতম আবু বাকের মজুমদার নতুন দলের নাম ঘোষণা করেন। তখনও বিক্ষুব্ধ কিছু তরুণকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। নতুন ছাত্র সংগঠনের নাম রাখা হয়েছে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’। পদ বঞ্চিত হয়েছেন দাবি করে এ আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিক্ষোভ করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কি করতে দেখা যায়। নতুন ছাত্র সংগঠনের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার। সদস্য সচিব জাহিদ আহসান। মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদাসসির এবং মুখপাত্র আশরেফা খাতুন। দলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক হিসেবে আব্দুল কাদের এবং সদস্য সচিব মাহির আলমের নাম ঘোষণা করা হয়। সংগঠনটির প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে, ‘স্টুডেন্টস ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের সাথে এর সাংগঠনিক কাঠামোর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। এমনকি গঠিত হতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের সাথেও কোনো সম্পর্ক থাকবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক একটি ছাত্র সংগঠন হিসেবে এই সংগঠন কাজ করবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

সমন্বয়কদের নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে নতুন ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। সংগঠনটির নাম ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’। আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নাম ঘোষণা করা হয়। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার এবং সদস্যসচিব হয়েছেন জাহিদ আহসান। এছাড়া মুখ্য সংগঠক হিসেবে তাহমীদ আল মুদাসসির এবং মুখপাত্র হিসেবে আশরেফা খাতুনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ও সদস্যসচিব হিসেবে মহির আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাবেক সমন্বয়করা জানিয়েছেন, ছাত্রসংগঠনটির নীতি হবে ‘স্টুডেন্টস ফার্স্ট’ ও ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’। ছাত্র-নাগরিকের স্বার্থ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করবে তারা। নতুন ছাত্রসংগঠন কারও লেজুড়বৃত্তি করবে না। কোনো ‘মাদার পার্টির’ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে না। নতুন সংগঠনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।

উত্তরায় গোলাগুলিতে ৯২ জন নিহতের খবরটি নিয়ে যা জানা গেল

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘এইমাত্র পাওয়া’ শিরোনামে একটি তথ্য প্রচার করা হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, ব্যাপক গোলাগুলিতে শুধু রাজধানীর উত্তরাতেই ৯২ জন নিহত হয়েছেন। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজ থেকে ক্যাপশনে দেয়া পোস্টে এমন দাবি করা হয়েছে। ইন্টারনেটে প্রচারিত ওই দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানে কিছু পোস্টের মধ্যে তথ্যসূত্র হিসেবে ব্লগস্পটের ডোমেইন ব্যবহার করে তৈরি ‘টাইমনিউজবিডি৪’ নামের একটি ওয়েবসাইট এবং কিছু পোস্টে ‘প্রিয়বাংলা২৪’ নামের একটি ওয়েবসাইটে ‘৯২ জন নিহতের’ দাবিতে প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনের লিঙ্ক সংযুক্ত করতে দেখা যায়। এরমধ্যে ‘টাইমনিউজবিডি৪’ সাইটটিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ওই সংবাদ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। তবে ‘প্রিয়বাংলা২৪’ এ খবরটি প্রকাশের তারিখের উল্লেখ নেই। তথ্যের সত্যতা যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, ইন্টারনেটে প্রচারিত উত্তরায় গোলাগুলিতে ৯২ জন নিহতের খবরটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান নিয়ে প্রায় ৩ মাস আগে ‘জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রকাশিত সংবাদকে সাম্প্রতিক সময়ের দাবি করে এমন তথ্য প্রচার করা হয়েছে। এদিকে ইন্টারনেটে প্রচারিত পোস্টগুলোর সূত্র হিসেবে উল্লেখিত ওয়েবসাইট দুইটির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে ‘জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স’ নামের একটি সংগঠন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর উত্তরায় ৯২ জন নিহতের তথ্য জানায়। যারমধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন শিক্ষার্থী। ওই দিন উত্তরায় ১০ জন শহিদের স্বজনেরা ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অর্থাৎ, ফেসবুকে প্রচারিত দাবিটির সঙ্গে সংযুক্ত প্রতিবেদনগুলোর শিরোনামে ‘এইমাত্র পাওয়া’ বলে উল্লেখ করা হলেও খবরের বিস্তারিত অংশে বর্ণিত নিহতের সংখ্যাটি গণঅভ্যুত্থানের সময়ের, যা প্রায় ৭ মাস আগের সংবাদ। কিন্তু ইন্টারনেটে পুরোনো খবরটিতে ‘এইমাত্র পাওয়া’ কথাটি যোগ করে সেটিকে সাম্প্রতিক সময়ের দাবি করে প্রচার করা হয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানে কি-ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে দেশের মূলধারার দুইটি গণমাধ্যমেও গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে উত্তরায় ৯২ জন নিহতের বিষয়ে খবর পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনগুলো থেকেও নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ‘মাত্র পাওয়া’ কথাটি যোগ করে প্রচারিত সংবাদটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়, বরং প্রায় ৭ মাসের পুরোনো। অন্যদিকে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার উত্তরায় গোলাগুলিতে ৯২ জন নিহতের বিষয়ে দেশের কোনো গণমাধ্যম বা নির্ভরযোগ্য সূত্রে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সুতরাং, প্রায় ৩ মাস আগে ‘জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স’ নামের সংগঠনের প্রকাশিত গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে উত্তরায় ৯২ জন নিহতের খবরকে সাম্প্রতিক সময়ের সংবাদ দাবি করে প্রচার করা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর।

ড. ইউনূসকে জাতিসংঘের মহাসচিবের চিঠি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। চিঠিতে তিনি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে চলমান সংস্কারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন। চিঠিটি প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করা হয়েছে। এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিবের উদ্দেশে একটি চিঠি লেখেন প্রধান উপদেষ্টা। জাতিসংঘের মহাসচিব মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এর উত্তর দিয়েছেন। চিঠিতে জাতিসংঘের মহাসচিব লিখেছেন, ৪ ফেব্রুয়ারি আপনি যে চিঠি দিয়েছেন তার জন্য আপনাকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই, যা ৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষাতের সময় আপনার রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক প্রতিনিধি খলিলুর রহমান আমার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আমি বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের দৃঢ় সংহতি এবং আপনার নেতৃত্বে সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। আন্তোনিও গুতেরেস লিখেছেন, বাংলাদেশ ও ওই অঞ্চলের ওপর রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাবের পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনি (ড. ইউনূস) যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমিও তার সঙ্গে একমত। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের কাজ অব্যাহত রাখবে জাতিসংঘ। মিয়ানমারের সংকট রাজনৈতিকভাবে সমাধানের লক্ষ্যে আঞ্চলিক সংস্থা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন আসিয়ান এবং অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করা হবে। রাখাইনের সম্প্রদায়গুলোর কাছে মানবিক সহায়তা এবং তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমগুলোকে নির্দেশ দেওয়ার কথা জানিয়ে মহাসচিব লেখেন, আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেছি তারা যেন, রাখাইনের সম্প্রদায়গুলোর কাছে মানবিক সহায়তা এবং তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য সর্বাধিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জাতিসংঘের স্থানীয় টিমগুলোকে নির্দেশ দেন। এ সকল বিষয়ে সম্পৃক্ত প্রতিটি বিষয়কেই অগ্রাধিকার দেবে জাতিসংঘ। রাখাইন এবং সমগ্র মিয়ানমারের অভাবী মানুষের কাছে নিরাপদ, টেকসই এবং বাধাহীন মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সমন্বয়কে অগ্রাধিকার দেবে জাতিসংঘ। এই অগ্রাধিকারের মধ্যে মিয়ামারের জন্য জরুরি ত্রাণ এবং আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারী এ.আই. অন্তর্ভুক্ত থাকবে। চিঠির শেষ অংশে মহাসচিব লিখেছেন, আমি আশাবাদী যে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ স্তরের সম্মেলনটি নতুন করে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করবে। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্য বিস্তৃত সমাধান বিকাশে অবদানের সুযোগ তৈরি হবে। সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শের পর জাতিসংঘ কীভাবে সর্বোত্তম পথে বিষয়টিকে সমর্থন করতে পারে তার জন্য সম্মেলনের ফলাফল এবং পরিকল্পনার অপেক্ষা করছি। আগামী ১৩ মার্চ ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব। ওই সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সার্বিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার কথা জানিয়েছেন তিনি। চিঠিতে লিখেছেন, মার্চে, পবিত্র রমজান মাসে আমার আসন্ন বাংলাদেশ সফরে এই আলোচনা আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।

রণাঙ্গনের যোদ্ধারাই হবেন ‘মুক্তিযোদ্ধা’, বাকিরা সহযোগী

মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক স্বীকৃতি ও সংজ্ঞা নির্ধারণে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় নতুন এক অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘১৯৭১ সালে যারা সরাসরি রণাঙ্গনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন, শুধু তারাই মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পাবেন।’ এছাড়া যারা দেশ ও বিদেশে থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠন, কূটনৈতিক তৎপরতা ও অন্যান্য সহযোগিতা করেছেন, তারা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম এক সাক্ষাৎকারে জানান, বর্তমানে প্রচলিত আইনে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় সরাসরি যুদ্ধে অংশ না নেওয়া আট ধরনের ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন খসড়া অধ্যাদেশের মাধ্যমে এই সংজ্ঞায় বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তিনি জানান, ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২’ সংশোধন করে নতুন ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ প্রণয়ন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। নতুন আইনের মূল দিকগুলো হল রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা: যারা ১৯৭১ সালে সরাসরি অস্ত্র হাতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁরাই কেবল ‘মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন; মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী: জনমত গঠন, কূটনৈতিক সহায়তা, বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচার, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী, চিকিৎসা সহায়তাকারী ব্যক্তিদের ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে; বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা পর্যালোচনা: অতীতে যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউ যদি নতুন সংজ্ঞার আওতায় না পড়েন, তবে তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে; বয়সসংক্রান্ত নীতি: মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১২ বছর ৬ মাস। এটি নিয়ে মামলা থাকায় আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর নতুন আইন কার্যকর হবে; ভুল তথ্য প্রদানকারীদের জন্য সুযোগ: যারা ভুল তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা নিয়েছেন, তাদের ২৬ মার্চের মধ্যে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে; বর্তমান আইনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সকল ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন।’ কিন্তু নতুন খসড়ায় এই অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে। নতুন আইনে কেবল রণাঙ্গনে লড়াই করা ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, যেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের জন্য আলাদা ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ উপাধি প্রবর্তন করা হচ্ছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই খসড়া অনুমোদন পেলে পরবর্তীতে তা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সভায় চূড়ান্ত করে কার্যকর করা হবে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে জুলাই আন্দোলনে আহতদের অবস্থান

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাই আন্দোলনে আহতরা। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তারা মিছিল নিয়ে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে এসে সড়কে বসে পড়েন। এ সময় তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পর্যাপ্ত সহায়তার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, আহতরা উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রবেশের গেটের সামনের সড়কে বসে আছেন। তাদের পুলিশ ও কার্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএনসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন। এর আগে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে আহতরা স্বীকৃতি ও পুনর্বাসনের দাবিতে রাজধানীর শ্যামলী, শাহবাগ, উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অবরোধ করেছিলেন।

কাঠগড়ায় মেজাজ হারালেন হাজী সেলিম, পড়লেন দুই পৃষ্ঠার কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন কেন্দ্রিক যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় সাবেক সাংসদ হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখান। এ মামলার শুনানিতে তাকে আদালতে হাজির করার পর আইনজীবীর ওপর বিরক্ত হয়ে মেজাজ হারান তিনি। এ সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি দুই পৃষ্ঠার কাগজ পড়ে নিজের প্রতিষ্ঠানের জমি অধিগ্রহণের তথ্য জানতে পারেন। বুধবার হাজী সেলিমসহ অন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে পুলিশি পাহারায় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাজতখানা থেকে এজলাসে তোলা হয়। এরপর হাজী সেলিমের হেলমেট খুলে দেয় পুলিশ। তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি নিজের আইনজীবীর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেন। এ সময় মেজাজ হারিয়ে তিনি নানা ধরনের অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেন। মাঝেমধ্যে নিজের হাতের আঙুল দিয়ে বিভিন্ন কিছু বোঝানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। শুনানিতে তার আইনজীবী প্রাণ নাথ কথা বলার জন্য আদালতের অনুমতি প্রার্থনা করেন। আদালতের অনুমতি নিয়ে তার আইনজীবীরা দুই পৃষ্ঠার প্রিন্ট করা কাগজ হাজী সেলিমকে পড়তে দেন। এ সময় আইনজীবীরা তাকে বুঝিয়ে দেন। পরে ১০টা ৩৮ মিনিটে ফের পুলিশ পাহারায় তাকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়। এ বিষয়ে তার আইনজীবী প্রাণ নাথ বলেন, ‘পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর সংলগ্ন এলাকায় তার মালিকানাধীন মদিনা মেরিটাইমের নামে সাড়ে ১০ একর জমি রয়েছে। এ জমি সরকার অধিগ্রহণ করে নেওয়ার খবরটি তাকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য আরও সাড়ে ১০ একর জমি ক্রয়ের রেজিস্ট্রেশন করা হবে, এ তথ্যও তাকে কাগজে লিখে জানানো হয়েছে।’ হাজী সেলিম কেন বিরক্ত- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তিনি কারাগারে তেমন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না। তিনি কথা বলতে পারেন না। এমনকি তার কথা কেউ বুঝতেও পারে না। এসব কারণে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আমাদের তো এখন কিছু করার নেই। যতটুকু পারছি আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তার সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।’

মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পেলেন এটিএম আজহার

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আগামী ২২ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।বুধবার বেলা পৌনে ১১টায় আপিল বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। আজহারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী। তাকে সহযোগিতা করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।এটিএম আজহারুল ইসলামের আইনজীবীরা জানান, বিচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনের রীতিনীতি না মানা, ন্যায়ভ্রষ্ট বিচার, মামলায় নানা অঙ্গতিসহ ৪টি কারণে এ আদেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।গত ১৩ বছর ধরে কারাগারে জামায়াতের নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। এর মধ্যে ১০ বছর ধরে আছেন কনডেম সেলে। সর্বোচ্চ আদালত থেকে খালাসের প্রত্যাশা করছেন দলটির আইনজীবী ও নেতাকর্মীরা।মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন জামায়াতের এই নেতা। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। পরে এ রায় পুর্নবিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন আজহার।

১৩ মার্চ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে আগামী ১৩ মার্চ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতিসংঘের মহাসচিবের দফতর আগামী ১৩-১৬ মার্চ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের আনুষ্ঠানিক বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিব এ সফরে আসছেন।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ও অগ্রাধিকার ইস্যুবিষয়ক বিশেষ দূত ড. খলিলুর রহমান গত ৭ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ড. ইউনূসের পাঠানো আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।

আজও ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’, স্কোর ২১৭

বায়ুদূষণের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বাতাসের মান সূচকে ঢাকার বায়ুর স্কোর ২১৭। যা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান বিষয় ওয়েবসাইট আইকিউএয়ারে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় বুধবার প্রথম স্থানে রয়েছে সেনেগালের ডাকার (২৫৮)। দ্বিতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ভারতের দিল্লি (২৫০), চীনের সাংহাই (১৮৩) ও নেপালের কাঠমান্ডু (১৮১)। সূচক অনুযায়ী ঢাকার মতো সেনেগালের ডাকার ও ভারতের দিল্লির বাতাসও ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। আর বাকি দুই শহরের বাতাসের মান এর চেয়ে কিছুটা ভালো হলেও তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। একটি শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, তার লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক জানিয়ে থাকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। প্রতিষ্ঠানটির মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। আর ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।