অন্তর্বর্তী সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রুপান্তরিত হতে পারে: অ্যাটর্নি জেনারেল

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রুপান্তরিত হতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, 'এই (অন্তর্বর্তী) সরকারই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রিনেমড হতে পারে। যেমন জেলা ও দায়রা জজ একই ব্যক্তি যখন সিভিল মামলা করেন, তখন তাকে বলা হয় জেলা জজ, আবার ওই একই ব্যক্তি যখন ক্রিমিনাল মামলা পরিচালনা করেন তখন তিনি দায়রা জজ। তেমনি এই অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যক্তিরা যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার সিস্টেমে চলে যাবে, উনারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হবেন। এটায় সাংবিধানিক সাংঘর্ষিকতার কোন জায়গা নেই।' সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আপিল বিভাগে (ত্রেয়দশ সংশোধনী মামলার) যে রিভিউ পেন্ডিং আছে, তা বাইপাশ করেই হাইকোর্টের এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। কেন আছে? কারণ, তত্ত্বাবধায়কের ত্রোয়োদশ সংশোধনীতে দুটি পার্ট। এক হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বৈধ নাকি অবৈধ। এই পার্টে চারজন বলছেন অবৈধ, তিনজন বলেছেন, বৈধ। আবার দ্বিতীয় পার্টে সব বিচারপতি বললেন, পরবর্তি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে। এই যে পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে হবে, এটা বলার আগেই পঞ্চদশ সংশোধনী চলে এসেছে। তাহলে ধরে নেয়া হবে, ওই জাজমেন্ট কার্যকর আছে। তাহলে, কমপক্ষে আগামী দুটি নির্বাচন তো আপিল বিভাগের এটেনশন লাগে না। অর্থাৎ, আপিল বিভাগে থাকা ত্রেয়দশ সংশোধনীর রিভিউ রায়ের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় না।’ বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল আংশিক যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, ‘পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের এই ধারা দুটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে, যেটি হচ্ছে গণতন্ত্র।’ এছাড়া পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত ৭ ক, ৭ খ, ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পুরোটা বাতিল করা হচ্ছে না উল্লেখ করে রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘সংশোধনী আইনের বাকি বিধানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার আগামী জাতীয় সংসদের। সংসদ আইন অনুসারে জনগণের মতামত নিয়ে বিধানগুলো সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্তন করতে পারবে।’ এছাড়া রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের গণভোটের বিধান বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ৪৭ ধারা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে বাতিল ঘোষণা করেছেন। ফলে, দ্বাদশ সংশোধনীর ১৪২ অনুচ্ছেদে গণভোটের বিধান পুনর্বহাল হয়েছে।’ হাইকোর্ট তার রায়ে সংবিধানের ৭ ক, ৭ খ ও ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ বাতিল করেছেন। যেখানে ৭ ক অনুচ্ছেদে সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ ইত্যাদি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ এবং ৭ খ অনুচ্ছেদে মৌলিক বিধানাবলি সংশোধন অযোগ্য করার কথা বলা আছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১১ সালে সংবিধানের ওই সংশোধনী আনা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের বৈধতা নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি গত আগস্টে হাইকোর্টে রিট করেন। এই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট পঞ্চদশ সংশোধনী কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপের পাশাপাশি জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়। অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে দোষী করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানও যুক্ত করা হয়। আগে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনে নির্বাচন করার বিধান থাকলেও ওই সংশোধনীতে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিষয়টি সংযোজন করা হয়।

বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি-ফানুস ওড়ানো মানা

আসন্ন বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ। বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে পটকা, আতশবাজিসহ ফানুস ওড়ানো যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর। আগামী ২৫ ডিসেম্বর শুভ বড়দিন ও ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. আলমগীর আলম সভাপতিত্ব করেন। সভায় জানানো হয়, বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কৌশলগত স্থানে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান, কুইক রেসপন্স টিম ও সোয়াট টিম ইত্যাদি মোতায়েন থাকবে। বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি আপলোড করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। গুজব প্রতিরোধে সাইবার মনিটরিং ও সাইবার পেট্রোলিং জোরদার করা হবে। সভায় সারাদেশে গীর্জাগুলোর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আয়োজকদের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, গির্জায় পর্যাপ্ত আলো, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর বা চার্জার লাইটের ব্যবস্থা রাখতে অনুরোধ জানানো হয়। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজার ও কুয়াকাটাসহ দেশের সব পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। কেউ উচ্চ স্বরে গাড়ির হর্ন বাজালে ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক চালালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সভায় উপস্থিত খ্রিষ্টান ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ বড়দিন উপলক্ষে পুলিশের গৃহীত ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন ও ধন্যবাদ জানান। সভায় মো. আলমগীর আলম বলেন, ‘খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট নিরাপদে, নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট নিরাপদে সুন্দরভাবে পালিত হবে।’ অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আকরাম হোসেন, স্পেশালে ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, সেন্ট ম্যারিস ক্যাথিড্রাল চার্চের পাল পুরোহিত ফাদার আলবার্ট রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও ও যুগ্মমহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন পুলিশের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা অনলাইনে সভায় সংযুক্ত ছিলেন।

রাতেই ঢাকা ছাড়ছেন ড. ইউনূস

ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে মিসরের উদ্দেশে রওনা দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি ড. ইউনূসের তৃতীয় বিদেশ সফর। তার প্রথম সফর ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশন। এরপর কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন। এর আগে ১১-১৪ নভেম্বর কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে আজারবাইজানে যান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সফরে প্রধান উপদেষ্টা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের দাবি-দাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেন। সেখানে ড. ইউনূস কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য দেন এবং সেখানে অংশগ্রহণকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাংলাদেশ যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, সেটিও তুলে ধরা হয় এই সম্মেলনে।

হাতি রক্ষা ও নদী পরিষ্কার অভিযানে নর্ডিক দেশগুলোর সহযোগিতা চান রিজওয়ানা

পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশের বিপদাপন্ন হাতি সংরক্ষণে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠার জন্য নর্ডিক দেশগুলোর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা চেয়েছেন। পাশাপাশি, বাংলাদেশের নদীগুলো পরিষ্কার রাখা মন্ত্রণালয়ের অন্যতম অগ্রাধিকার উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে নর্ডিক দেশগুলোর অভিজ্ঞতা ও সহযোগিতা কামনা করেছেন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন ও ডেনমার্কের উপমিশন প্রধান অ্যান্ডারস কার্লসেনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ সহযোগিতা চান। বৈঠকে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান টেকসই সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় নর্ডিক দেশগুলোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার আহ্বান জানান। তিনি প্লাস্টিক ও শব্দদূষণ ব্যবস্থাপনার প্রচারণায় যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করার মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকার সম্পর্কে উল্লেখ করেন এবং এই প্রচারণা কার্যক্রম জোরদারে নর্ডিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। নর্ডিক রাষ্ট্রদূতরা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, নদী দূষণ প্রতিরোধ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নে সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। ডেনমার্কের উপমিশন প্রধান অ্যান্ডারস কার্লসেন কক্সবাজারে একটি অফশোর উইন্ড ফার্ম প্রতিষ্ঠায় এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন, যা ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। অন্য দিকে, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসেন বাংলাদেশে ‘মেরিন লিটার প্রিভেনশন প্রজেক্ট’ বাস্তবায়নে নরওয়ের সহায়তা প্রদান এবং টেকসই প্লাস্টিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ও সামুদ্রিক বর্জ্য প্রতিরোধে একীভূত উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে প্রস্তুতির কথা জানান। পরিবেশ উপদেষ্টা ২০২৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নর্ডিক ডে উদযাপনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি নর্ডিক দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন। পরিবেশ সচিব, পানি সম্পদ সচিব এবং মন্ত্রণালয় ও নর্ডিক দেশগুলোর দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

২০২৬ সালের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন

আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাব্য সময় জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। মঙ্গলবার (১৭ ডিসম্বের) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তিনি নির্বাচনের সময় জানান।শফিকুল আলম বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সরকার কাজ করছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে।’এর আগে, মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) একেএম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘সরকার চাইলে যে কোন সময় নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুত কমিশন। প্রধান উপদেষ্টা একটা সময়সীমাতো ঘোষণা করেছেন। সেই অনুযায়ী আমরা এগোব। তবে, কাজ করার জন্য আমাদের নিজস্ব একটি কর্মপরিকল্পনা আছে।’এ দিকে, ব্রিফিংয়ে জুলাই আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞ চালানো কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান প্রেস সচিব। তিনি বলেন, ‘আইনের আওতায় এনে দোষীদের সঠিক বিচারে সরকার বদ্ধ পরিকর।’এ সময় শিক্ষার উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের বিষয়েও জানান প্রেস সচিব। শফিকুল আলম বলেন, ‘শিক্ষা খাতে গত ১৫ বছরে বাজেট না বাড়িয়ে অপ্রয়োজনীয় খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে উচ্চ শিক্ষায়।’ শিক্ষার মানোন্নয়নে কমিশন গঠনসহ নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রেস সচিব।

স্ত্রীসহ জাহাঙ্গীরের নামে দুই মামলা: হাসিনার সেই পিয়নের ব্যাংক হিসাবে জমা হয় ৬২৬ কোটি

ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই আলোচিত ৪০০ কোটি টাকার মালিক ব্যক্তিগত সহকারী (পিয়ন) মো. জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাংক হিসাবে ৬২৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। যদিও আলোচিত জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রীর কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুইটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক রাশেদুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে সহকারী পরিচালক পিয়াস পাল বাদী হয়ে মামলা দুইটি করেন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, আসামি জাহাঙ্গীর আলম স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ১৮ কোটি ২৯ লাখ দশ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় এবং তিনি ও তার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ ভোগ করার মানসে আটটি ব্যাংকের ২৩টি হিসাবে সর্বমোট ৬২৬ কোটি ৬৫ লাখ ১৮ হাজার ১০৭ টাকা জমা/ক্রেডিট ও জমা করা অর্থ বিভিন্ন মাধ্যমে উত্তোলন বা স্থানান্তর করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন। অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, জাহাঙ্গীর আলম এসব অবৈধ সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে তার নিজ নামে ও তায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খুলেছেন। তার আটটি ব্যাংকের ২৩টি হিসাবে সর্বমোট ৬২৬ কোটি ৬৫ লাখ ১৮ হাজার ১০৭ টাকা জমা ও ৬২৪ কোটি ৬০ লাখ ১৫ হাজার ৬৭১ টাকা উত্তোলিত হয়েছে। যা দুদকের অনুসন্ধানে সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক বলে প্রতীয়মান হয়েছে। অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে বিভিন্নভাবে তার হিসাবে জমা হওয়ার পর তিনি তা বিভিন্ন পন্থায় স্থানান্তর করেছেন। যার মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম তার মালিকানাধীন স্কাই রি এরেঞ্জ নামে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের একটি চলতি হিসাবে শুধু ২০২৪ সালের (প্রথম পাঁচ মাসে) ৮৩ দিনে মোট ১৭৮ কোটি টাকা জমা ও ১৭৮ কোটি ৯৩ টাকা উত্তোলন/ফান্ড ট্রান্সফার করেন। অপর একটি মামলায় আসামি করা হয় জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী কামরুন নাহারকে। তিনি নিজ নামে ছয় কোটি ৮০ লাখ ৪৮ হাজার ৬৪২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদ ভোগ দখলে রাখার অভিযোগে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১)’-ধারা তৎসহ দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। গেল ১৪ জুলাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফর নিয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার বাসার পিয়ন ছিল, সেও নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না।’ এ ঘটনায় আলোচনায় আসেন জাহাঙ্গীর আলম। অভিযোগ রয়েছে, ঢাকার মিরপুরে বাড়িসহ বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট রয়েছে তার নামে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় বছরে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার আয়ের কথা উল্লেখ করেন তিনি। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ব্যাংকে সোয়া এক কোটি টাকা, তার নিজের নামে আড়াই কোটি টাকা থাকার কথাও উল্লেখ করেন। বিভিন্ন কোম্পানিতে তার অংশীদারিত্ব থাকার তথ্য উঠে আসে।

বিগত ১৫ বছরের নির্বাচন স্পষ্টত প্রহসন: ধর্ম উপদেষ্টা

ধর্ম উপদেষ্টা আফম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশে যত নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে দুয়েকটা ছাড়া অন্যগুলোর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। বিশেষ করে বিগত ১৫ বছরের নির্বাচন স্পষ্টত প্রহসন।’ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সভায় ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘গত ১৫ বছরে নির্বাচনের নামে যেটা হয়েছে, সেগুলোকে নির্বাচন বলা যায় না। এসব নির্বাচন নিয়ে জনগণের কোন আগ্রহ ছিল না। নির্বাচন ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। আমরা যে লক্ষ্যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।’ খালিদ হোসেন বলেন, ‘এ দেশে আয়নাঘর তৈরি হয়েছে, মানুষকে গুম ও খুন করা হয়েছে। এদের অনেকের হদিস পর্যন্ত মেলেনি। বিরোধীমতকে বিভৎসরূপে দমন করা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন রাষ্ট্রে এটা কেবল দুঃখজনকই নয়, লজ্জাজনকও বটে। একটি দেশের ব্যাংকগুলোকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রকে দেউলিয়া করার মত কাজ যারা করে, তারা দেশপ্রেমিক হওয়ার যোগ্য নন।’ বিজয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের জাতীয় জীবনে বিজয় দিবস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্ববহ। অসংখ্য প্রাণ ও বহু মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই বিজয় অর্জিত হয়েছে। এর পিছনে বহু ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। একটি কল্যাণমূখী, বৈষম্যহীন ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন এবং গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানিক রূপদানের জন্যই এই বিজয় অর্জিত হয়। কিন্তু, আপসোসের বিষয় হল, দীর্ঘ পথ পরিক্রমার পরও আমাদের কাঙ্ক্ষিত সেই স্বপ্ন অনেকাংশেই পূরণ হয়নি।’ উপদেষ্টা সকলকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। খালিদ হোসেন বলেন, ‘এত মানুষ যে কারণে সংগ্রাম চালাল, যুদ্ধ করল ও প্রাণ দিল, তাদের এই আত্মত্যাগ সার্থক হবে যদি আমরা স্বাধীনতার লক্ষ্য পানে এগিয়ে যেতে পারি। একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠন ও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়নের প্রয়াস সফল হলেই শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে।’ তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিউল আলম, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, ইফার দ্বীনি দাওয়াত বিভাগের পরিচালক মো. তৌহিদুল আনোয়ার দেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই বিপ্লবে শহীদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশ-জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

হাইকোর্টের রায়: ফিরল নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদসহ বেশ কয়েকটি অনুচ্ছেদ বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে আবারও ফিরল নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা। বহুল আলোচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ও আইনের কয়েকটি ধারার বৈধতা নিয়ে পৃথক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ের পর অ্যাডভোকেট শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপ করার বিষয়টিকে অবৈধ বলেছেন আদালত। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, পঞ্চদশ সংশোধনী ছিল সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংক্ষিপ্ত রায়ের পরিপন্থি।’ পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে তিনি জানান, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, ধারা দুইটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে, যেটি হচ্ছে গণতন্ত্র। ওই দুইটিসহ পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত ৭ ক, ৭ খ, ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করেছেন আদালত। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ৫৪টি ক্ষেত্রে সংযোজন, পরিমার্জন ও প্রতিস্থাপন আনা হয়েছিল। রায়ে আদালত বলেছেন, ‘পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পুরোটা বাতিল করা হচ্ছে না।’ বাকি বিধানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আগামী জাতীয় সংসদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেছেন, ‘সংসদ আইন অনুসারে জনগণের মতামত নিয়ে বিধানগুলো সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্তন করতে পারবে।’ রায়ে আদালত বলেন, ‘গণভোটের বিধান বিলুপ্ত করা হয়, যেটি সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অংশ ছিল। যেটি ১৯৯১ সালে দ্বাদশ সংশোধনীতে যুক্ত হয়। সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের গণভোটের বিধান বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ৪৭ ধারা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় বাতিল ঘোষণা করা হল। ফলে, দ্বাদশ সংশোধনীর ১৪২ অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করা হল।’ হাইকোর্টের রায়ে ৭ ক, ৭ খ ও ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়েছে। ৭ক অনুচ্ছেদে সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ ইত্যাদি অপরাধ এবং ৭খ সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলি সংশোধন অযোগ্য করার কথা বলা ছিল। আর ৪৪ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ বিষয়ে বলা আছে। ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ বলছে, ‘এই সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের অধীন হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতার হানি না ঘটিয়ে সংসদ আইনের দ্বারা অন্য কোন আদালতকে তার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে ওই সব বা এর যে কোন ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা দান করতে পারবেন। এই অনুচ্ছেদটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে রায়ে।’ পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে তিনি জানান, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, ‘ধারা দুইটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকে ধ্বংস করেছে, যেটি হচ্ছে গণতন্ত্র।’ ওই দুইটিসহ পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত ৭ ক, ৭ খ, ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বাতিল ঘোষণা করেছেন আদালত। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ৫৪টি ক্ষেত্রে সংযোজন, পরিমার্জন ও প্রতিস্থাপন আনা হয়েছিল। রায়ে আদালত বলেছেন, ‘পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পুরোটা বাতিল করা হচ্ছে না।’ বাকি বিধানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আগামী জাতীয় সংসদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেছেন, ‘সংসদ আইন অনুসারে জনগণের মতামত নিয়ে বিধানগুলো সংশোধন, পরিমার্জন ও পরিবর্তন করতে পারবে।’ রায়ে আদালত বলেন, ‘গণভোটের বিধান বিলুপ্ত করা হয়, যেটি সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অংশ ছিল। যেটি ১৯৯১ সালে দ্বাদশ সংশোধনীতে যুক্ত হয়। সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের গণভোটের বিধান বিলুপ্তি-সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ৪৭ ধারা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় বাতিল ঘোষণা করা হলো। ফলে, দ্বাদশ সংশোধনীর ১৪২ অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করা হল।’ হাইকোর্টের রায়ে ৭ ক, ৭ খ ও ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়েছে। ৭ ক অনুচ্ছেদে সংবিধান বাতিল, স্থগিতকরণ, ইত্যাদি অপরাধ এবং ৭ খ সংবিধানের মৌলিক বিধানাবলি সংশোধন অযোগ্য করার কথা বলা ছিল। আর ৪৪ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ বিষয়ে বলা আছে। ৪৪ (২) অনুচ্ছেদ বলছে, ‘এই সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদের অধীন হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতার হানি না ঘটিয়ে সংসদ আইনের দ্বারা অন্য কোন আদালতকে তার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে ওই সব বা এর যে কোন ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা দান করতে পারবেন। এই অনুচ্ছেদটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে রায়ে। এর আগে, পৃথক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের রায় ঘোষণা করার জন্য ১৭ ডিসেম্বর দিন ঠিক করেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। গেল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) একই বেঞ্চে এ সংক্রান্ত শুনানি শেষ হয়। আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও শাহরিয়ার কবির। ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাস হয় এবং রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এছাড়া, জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়। এই সংশোধনী বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্টজন। গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে। পরে এই রুল সমর্থন করে সহায়তাকারী (ইন্টারভেনার) হিসেবে যুক্ত হন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও গণফোরাম প্রমুখ। এছাড়া, মো. মোফাজ্জল হোসেন নামে এক মুক্তিযোদ্ধাও রিট করেন। শুনানিতে রিট আবেদনকারী, বিএনপি, রাষ্ট্রপক্ষ, জামায়াত, গণফোরাম, ব্যক্তি ও সংস্থার পক্ষে তাদের আইনজীবীরা বক্তব্য তুলে ধরেন।

স্ত্রী ও ভাইসহ ডিবির সাবেক প্রধান হারুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা

প্রায় ৪১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিবির সাবেক প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এবং তার স্ত্রী ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়। দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহারে মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ১৭ কোটি ৫১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ, তার স্ত্রী শিরিন আক্তারের বিরুদ্ধে দশ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং হারুনের ভাই এবিএম শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪’-এর ২৭ (১) ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে।

আঙ্গুলে মুখ চেপে পলক বললেন, ‘বোবা হয়ে আছি’

প্রিজনভ্যানের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাইরে তাকিয়ে সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বললেন, ‘বোবা হয়ে আছি, বোবা। আপনারা মুক্ত আছেন তো?’ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর একটার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে পুলিশি পাহারায় চুপচাপ প্রিজনভ্যানে ওঠেন পলক। এরপর আরও কয়েকজনকে সেই গাড়িতে ওঠানো হয়। ভ্যানটি ছাড়ার পরপর ভেন্টিলেটর দিয়ে বাইরে তাকান সাবেক প্রতিমন্ত্রী। এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ভালে আছেন আপনি? কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘পলক ভাই, ইন্টারনেট আছে? এ সময় মুখে আঙুল দিয়ে কিছুক্ষণ চুপ থাকতে দেখা যায় তাকে। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বোবা হয়ে আছি, বোবা। আপনারা মুক্ত আছেন তো?... আপনারা ভাল আছেন, আপনারা ভাল থাকলেই ভাল’। তারপর পলকসহ কয়েকজন হেভিওয়েট আসামিকে নিয়ে পুলিশের গাড়িটি ট্রাইব্যুনাল ছেড়ে চলে যায়। এর আগে মঙ্গলবার সকালে জুলাই-আগস্টে ‘হত্যা-গণহত্যার’ মামলায় গ্রেফতার সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও পলকসহ মোট ১৬ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। গত ২৭ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক দশ মন্ত্রী, দুই উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতি ও সাবেক এক সচিবসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

১৬ বছর ধরে গোপন কারাগারে গুম-নির্যাতন-খুনের নিউক্লিয়াস হাসিনা

বিগত ১৬ বছর ধরে গোপন কারাগারে গুম, নির্যাতন, খুনের সাথে নিউক্লিয়াস ‘শেখ হাসিনা’ জড়িত। এসব কার্যক্রমে তার সম্পৃক্ততা সরাসরি পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি করা হয়েছে, সেসবের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেটি জানাতে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আদালত।’ এ দিকে, গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকার পরও তিন মাস দেশে অবস্থান করে কীভাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশের সীমানা অতিক্রম করেছেন, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। সেজন্য পুলিশের আইজিপিকে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন ট্রাইব্যুনাল। তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে গত তিন মাস ছিলেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরে বাংলাদেশের কোথায় তিনি কীভাবে ছিলেন এবং কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি বা তিনি কীভাবে পরবর্তী বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করেছেন, এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খ রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে একটি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে এই ব্যাখ্যা যেন দেওয়া হয়, সেটি জানানোর জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘তদন্ত শেষ হতে একটি যুক্তিসঙ্গত সময় লাগবে। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার। যদি কেউ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও কাউকে পালাতে সাহায্য করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।’

নভেম্বরে ৪১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯৭ জনের মৃত্যু

গত নভেম্বরে সারাদেশে ৪১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৯৭ জন নিহত এবং ৭৪৭ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও রেলপথে ৬৪টি দুর্ঘটনায় ৭৯ জন নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে সাতটি দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহত, ২৯ জন আহত এবং দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪৮৬টি দুর্ঘটনায় মোট ৫৮২ জন নিহত এবং ৮১৯ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে ১৬৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯২ জন নিহত, ১১১ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ, নিহতের ৩৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও আহতের ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে, ১০৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২৯ জন নিহত ও ২৬৪ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে, ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছেন। সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে পাঁচজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ২৫৩ জন চালক, ১১৬ জন পথচারী, ১১৮ জন পরিবহণ শ্রমিক, ৫৭ জন শিক্ষার্থী, ১৫ জন শিক্ষক, ৬৭ জন নারী, ৩৫ জন শিশু, সাংবাদিক সাত জন, একজন চিকিৎসক, ১০ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং দুই জন মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- দুই সেনাবাহিনীর সদস্য, ১৬৭ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১০৫ জন পথচারী, ৫৫ জন নারী, ২৭ জন শিশু, ৪৫ জন শিক্ষার্থী, ২১ জন পরিবহণ শ্রমিক, ১৩ জন শিক্ষক, এক জন চিকিৎসক, দুই জন সাংবাদিক, দুই জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, আট জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৫৮৮টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ৩০ দশমিক ১০ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২ দশমিক ১০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৬ দশমিক ১৫ শতাংশ বাস, ২০ দশমিক ৫৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৩ দশমিক ০৬ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা এবং ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতির সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং-সড়কবাতি না থাকা, জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। এছাড়াও মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী গাড়িতে যাত্রী পরিবহন করা, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো এবং জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে অবাধে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচলের ফলে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে।

৫০০ কোটি ডলার লোপাট: হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি বা ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫০০ কোটি ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও টিউলিপ সিদ্দিকের মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে আরএনপিপি থেকে ৫০০ কোটি ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৬০ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএমের) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। রিটের পক্ষে আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম। রিটে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। দুদকের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটের বিবাদী করা হয়।রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় গত ১৯ আগস্ট প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানকারী গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে পাঁচ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) লোপাট করেছেন।

অবরোধ তুলে নিলেন রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ঢাকার কারওয়ান বাজারের এফডিসি রেলক্রসিং থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা। এতে ঢাকার সাথে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে বকেয়া বেতনের দাবিতে এফডিসি রেলক্রসিং অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন অস্থায়ী শ্রমিকরা। ফলে বেলা পৌনে ১১টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।পরে ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন আরিফ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে রেলওয়ের প্রকৌশলী বিভাগের অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত ৪০৩ জন কর্মীদের বেতন আটকে ছিল। দুই দিনের মধ্যে রেলওয়ে শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতন পেয়ে যাবেন।’তিনি আরও বলেন, ‘প্রক্রিয়াগত জটিলতা কেটে যাবে এবং বেতন বকেয়া থাকার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না বলে আমরা আশা করছি।’রেলওয়ের ব্যবস্থাপকের আশ্বাসে দুই দিনের জন্য অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অস্থায়ী শ্রমিকরা। তবে, বৃহস্পতিবারের (১৯ ডিসেম্বর) মধ্যে বেতন না পেলে রোববার (২২ ডিসেম্বর) থেকে আরও কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করার পর ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

জাতীয় নির্বাচন ইভিএমে নয়, ব্যালটে হবে: সিইসি

জাতীয় নির্বাচন ইভিএম এ নয়, ব্যালটে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সাঙ্গে আলাপকালে তিনি কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমরা প্রথম দিন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের যে সময়সীমার ইঙ্গিত দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি আরও জানান, কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ন্যায্যতার ভিত্তিতে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। অতীতে যদি কোনো প্রার্থীকে সুবিধা দিতে বা বঞ্চিত করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সীমানা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে। সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ২০০১ সালের মানদণ্ড বা বর্তমানের কোনো নির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসরণ করা হবে না। সুষ্ঠু ও ন্যায্য পদ্ধতিতেই কাজটি সম্পন্ন হবে। ভোটার তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে বিদ্যমান ভোটার তালিকায় অনেক অসংগতি রয়েছে। দু’মাসের মধ্যে সংশোধিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরি করা হবে। নতুন তালিকা তৈরির জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, অনুপস্থিত বা বিদেশে থাকা ভোটারদের তথ্য যাচাই এবং ডুপ্লিকেট ভোটার শনাক্ত করে তালিকা সংশোধনের কাজ করা হবে। রোডম্যাপ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে না, তবে নির্বাচন কমিশনের কাজের জন্য একটি অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা থাকবেই। এর আগে গতকাল (সোমবার) নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমেদ বলেন, ২০২৫ সালের শেষে বা ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। অইদিনই সকালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, সংস্কার ও ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে প্রণয়ন সাপেক্ষে ২০২৫ সালের শেষদিকে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ

ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে বিভাগ করার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব মো. মোখলেস উর রহমান। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীসহ কমিশনের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা সারা দেশের ম্যাপ দেখে ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে বিভাগ করার সুপারিশ করেছি। সরকার যদি মনে করে, ১০টি বিভাগ করে দেবে।

উপ-সচিব ও তদুর্ধ্ব পদে পদোন্নতি হবে পরীক্ষার মাধ্যমে

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষার মাধ্যমে উপ-সচিব ও তদুর্ধ্ব পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্থার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। দলীয় ভিত্তিতে ক্যাডার পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কমিশন প্রধান বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি উপসচিব থেকে উপরের পদে পিএসসির পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি হবে। আর যে কোটা ছিল তা ৫০ শতাংশ করে রাখা হবে। প্রশাসন ক্যাডারে ৫০ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্যাডারে ৫০ শতাংশ। মতবিনিময় সভায় জনপ্রশাসের মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যসচিব মো. মোখলেস উর রহমানসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে রেলক্রসিং অবরোধ করেছেন রেলের অস্থায়ী শ্রমিকরা। এতে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে এফডিসি রেলক্রসিং অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। জানা গেছে, ৫ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে এফডিসি রেলক্রসিং অবরোধ করেন তারা। ফলে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বেলা পৌনে ১১টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। রেল লাইনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কারণে এমনটি হয়েছে।

দিনে অপরিবর্তিত থাকলেও রাতে বাড়বে তাপমাত্রা

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। তবে বাড়বে রাতের তাপমাত্রা। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপটি অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে । মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধাণত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের প্রথমার্ধে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি

রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। তিনি বলেন, পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি গঠন করা হবে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে আমি প্রথম থেকেই বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চতকরণে সোচ্চার ছিলাম এবং এখনও রয়েছি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিডিয়ার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমি শুরু থেকেই ন্যায়বিচার চেয়ে আসছি। এ বিষয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রথমবার এবং ৪ নভেম্বর বিজিবির সদর দফতর পরিদর্শনকালে দ্বিতীয়বার ঘোষণা দেই, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক ও সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য হিসেবে আমি শুরু থেকেই ন্যায়বিচার দাবি করে আসছি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, জনগণের অধিকার, সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, সিভিল সার্ভিস, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির সদস্য সংখ্যা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। তবে সদস্য ৫ জন, ৭ জন, ৯জনও হতে পারে। সশস্ত্র বাহিনীর সংখ্যা একটু বেশি থাকবে। তাহলে এই হত্যাকাণ্ড কী পুনঃতদন্তের দিকে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেই আদেশ দিতে পারে আদালত। আর আমরা হলো একটা শুধু প্রেস ইনকোয়ারি করতে পারি। কতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পাঁচ কার্যদিবসের সময় আমরা বলব। আগে কমিটি গঠনের জন্য নামগুলো নিতে হবে। আপনারা জানেন এসব কমিটিতে সবাই আসতে চায় না, এটা একটা সমস্যা। নাম সংগ্রহে যদি সময় না লাগতো তাহলে অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে যেত। নাম পাওয়ার পর তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর আমরা সময়টা বলতে পারব। কাজের পরিধি কী হবে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনার পর বলতে পারব। বিচারপতি নাকি অন্য কারও নেতৃত্বে কমিটি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যে মোস্ট সিনিয়র থাকবে তার নেতৃত্বেই এই কমিটি হবে। কমিটি না কমিশন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রয়োজন যেটা হবে সেটাই করা হবে। আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো বিভ্রান্তি আছে কি না জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘না আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো বিভ্রান্তি নেই। তবে বসার সময় আইন উপদেষ্টার সঙ্গে বসে তাদের আলাদা মতামতের দরকার হলে আমরা নেব।’

আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী নেতার

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতের দাবিতে ভিকটিম পরিবারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই ঘোষণা দেন। ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জমায়েত হয়ে সচেতন ছাত্র-নাগরিকের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হবে। ফেসবুক পোস্টে মাহিন সরকার বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে না পারা হলো এই অন্তর্বর্তী সরকারের একটি চরম ব্যর্থতা। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে কমিশন গঠনে গড়িমসি করে এই সরকার দেশের তামাম জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। যা স্পষ্টতই প্রহসনের শামিল। তিনি বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশের আপামর মুক্তিকামী জনতার অর্জিত বিজয়কে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত তাদের নিজেদের জয় বলে আখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে অবহেলা করা এবং ভারতের এমন ইতিহাস বিকৃতির স্পষ্ট প্রতিবাদ না জানানো আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। এরই প্রতিবাদে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একজন নগণ্য অংশীদার হিসেবে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ভিকটিম পরিবারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আগামীকাল (১৭ ডিসেম্বর) আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করব। তিনি আরও বলেন, কোনো ভিনদেশি পরাশক্তি কিংবা হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতায় আসীন হওয়া এই অন্তর্বর্তী সরকারও যদি আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তবুও আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে আমৃত্যু লড়ে যাব। এই বিচার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত সংস্কার কার্যক্রম কিংবা কমিশন গঠনের নামে দীর্ঘ সূত্রিতার কোনো পদক্ষেপকে আমি গ্রাহ্য করব না। আগামীকাল বেলা ১১টায় সচেতন ছাত্র-নাগরিকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

শুরু হচ্ছে সেনাবাহিনীর বাৎসরিক প্রশিক্ষণ

আগামীকাল (১৭ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে সেনাবাহিনীর বাৎসরিক যৌথ প্রশিক্ষণ। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিটি প্রশিক্ষণ বছর শেষে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন ডিভিশনের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বাৎসরিক যৌথ প্রশিক্ষণ অনুশীলন করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি প্রশিক্ষণ বছর শেষে আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন ডিভিশনসমূহ নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বাৎসরিক যৌথ প্রশিক্ষণ অনুশীলন করবে। উল্লেখ্য, এই বাৎসরিক যৌথ প্রশিক্ষণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল। মেঘালয় থেকে ১২ কিমি দূরে উৎপত্তি হওয়া এ ভূমিকম্পে কেঁপেছে ভারতও। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ১০ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড নাগাদ এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে ২০৮ কিমি দূরে।রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪। ভূমিকম্পের ফলে প্রাথমিকভাবে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে গত ২৬ নভেম্বর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। সেদিন ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে অনুভূত হওয়া ওই কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৮। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল চট্টগ্রাম থেকে ১৭৫ কিলোমিটার পূর্বে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ৪২ কিলোমিটার।

বাংলাদেশের জনশক্তিকে কাজে লাগাতে পারে পূর্ব তিমুর

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে কাজে লাগিয়ে দুই দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে সফররত পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা রাষ্ট্রপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশে বহু দক্ষ চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ, তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞসহ স্নাতক ও কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি রয়েছেন... এই দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগাতে পারে পূর্ব তিমুর।’বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের উন্নয়নের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোকে কাজে লাগাতে একসঙ্গে কাজ করারও প্রত্যয় জানান তিনি।সোমবার বিকালে বঙ্গভবনে পৌঁছালে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি। পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানব সম্পদ উন্নয়নের গুরুত্ব উল্লেখ করে মো. সাহাবুদ্দিন গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও উচ্চ শিক্ষার জন্য সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন।রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘পূর্ব তিমুরের কোন প্রেসিডেন্টের এটাই বাংলাদেশে প্রথম সফর।’রাষ্ট্রপতি দুই দেশের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, চিকিৎসা, অবকাঠামো ও মানব সম্পদ উন্নয়ন, জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।তিনি আশা করেন যে, তার এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘স্বাধীনতার পর পূর্ব তিমুরকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম সারির দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।’ বাংলাদেশে পূর্ব তিমুরের অনারারি কনস্যুলেট চালু করার উদ্যোগকেও স্বাগত জানান তিনি।রাষ্ট্রপতি আশা করেন, এর ফলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বহুপক্ষীয় সহযোগিতা আরও বেগবান হবে।’সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও রাষ্ট্রপতির সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। পরে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা পরিদর্শন বইয়ে সই করেন।এর আগে রাষ্ট্রপতি বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারবর্গকে দেয়া এক সংবর্ধনা ও উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।