গুলিস্তানে ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবক নিহত

রাজধানীর গুলিস্তানে ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে অজ্ঞাত এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হলে আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী ওই যুবককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন পুলিশ সদস্যরা। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এসআই সুব্রত পাল জানান, সন্ধ্যায় খবর পাই গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের সামনে এক যুবককে ছিনতাইকারী সন্দেহে ধরে গণপিটুনি দিয়েছে জনগণ। পরে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহাদ পুলিশ বক্সের সহযোগিতায় ওই যুবককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, নিহত ওই যুবকের গায়ে জিন্স প্যান্ট ও ফুল হাতা গেঞ্জি ছিল। তবে এখনও তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে পুলিশ পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে।

বিজয় উদযাপনে প্রস্তুত জাতি

দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৪ বছর হতে যাচ্ছে। রাত পোহালেই মহান বিজয় দিবস। আর এই গৌরবান্বিত দিনটি উদযাপনে অপরূপ সাজে সেজেছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। রাজধানীর ঢাকার অদূরে সাভারে অবস্থিত এই সৌধে ফুল দিয়ে জাতীর বীর শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে পুরো জাতি। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গসহ অনেকেই। আর তা নির্বিঘ্ন করতে নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা। মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে সবুজে ঘেরা ১০৮ হেক্টর জমির ওপর নির্মিত স্মৃতিসৌধে গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলে প্রস্তুতি কার্যক্রম। আর এই কাজের দায়িত্বে ছিল গণপূর্ত বিভাগ। স্মৃতিসৌধকে ঢেলে সাজিয়েছে তারা। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্মৃতিসৌধ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে পুরো এলাকায় রঙিন বাতির সমাহার। মূল ফটক থেকে বেদি পর্যন্ত লাল, সবুজ ও নীল আলোকবাতি দিয়ে আলোকসজ্জায় সজ্জিত। সৌধের প্রতিটি ফটকেই লাল, নীল হলুদসহ নানা রঙের বাতি শোভা পাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধে ভিড় জমিয়েছেন নানা পেশাজীবী মানুষ। কেউ বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন, কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছেন। এছাড়া লাল ইটে সাদা রঙের ছোঁয়া শুভ্রতা ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে লাল টবে শোভা পাচ্ছে বাহারি ফুল গাছ। অভ্যন্তরে বিভিন্ন গাছ, স্থাপনা ও ফুলের গাছের কাছেও বাতি জ্বলতে দেখা যায়। প্রতিটি স্থাপনা সাজানো হয়েছে আলোকসজ্জায়। সড়কগুলোতে বাহারি রঙের বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। স্মৃতিসৌধের এলাকার অপর পাশে জয় রেস্তোরা, সেনা শপিং কমপ্লেক্স, সেনা অডিটোরিয়ামসহ সড়কের বিভিন্ন অংশে দেওয়া হয়েছে আলোকবাতি। এছাড়াও দেখা যায়, স্মৃতিসৌধ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে চারদিক সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির বিজয়ের দিনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন ও ভালোবাসা জানাতে স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামবে। রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টাসহ দেশ–বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এদিন শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসবেন। উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। স্মৃতিসৌধের নানা স্থানে নতুন করে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বে থাকা সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির বীর শহীদ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টাসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আসবেন। তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সৌধে প্রবেশের ফটকগুলো খুলে দিলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখো মানুষের ঢল নামবে সৌধ প্রাঙ্গণে। তাদের হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে বেদি। দিবসটি যাথযথভাবে উদযাপনের জন্য বরাবরের মতো এবারও পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানান মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, গণপূর্ত বিভাগের কর্মীদের টানা ১৫ দিনের পরিশ্রমে সৌধপ্রাঙ্গণ পেয়েছে নতুন রূপ। ধোয়া-মোছা শেষে সিঁড়িসহ অন্যসব স্থাপনায় পড়েছে রং-তুলির আঁচড়। বাহারি ফুল গাছে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বেদির সবুজ চত্বর। বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন বলেন, সৌধপ্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। পুরো সাভার এলাকায় বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। দিবসটি উপলক্ষে তিন হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পুরো সাভারজুড়ে মোতায়েন থাকবে বলেও জানান তিনি।

চলছে যৌথবাহিনীর অভিযান, আটক ২০ জনের অধিক

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত ২০ জনের বেশি আটক হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ অভিযান শুরু হয়। এ নিয়ে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। কিশোর থেকে শুরু করে নারীরাও এখানে মাদক সেবন করছে। এতে ঘুরতে আসা জনসাধারণ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে।’ খালিদ মনসুর আরও বলেন, ‘মাদকবিরোধী এ অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্য ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও আছেন।’

৫৭ হাজার কোটা খালি রেখে শেষ হল হজ নিবন্ধন

আগামী ২০২৫ সালের হজ নিবন্ধনের সময় শেষ হল আজ। গেল বছরের চেয়ে এবার হজের ব্যয় এক লাখ টাকার বেশি কমিয়েও নির্ধারিত কোটা পূরণ করতে পারেনি ধর্ম মন্ত্রণালয়। প্রায় ৫৭ হাজার কোটা খালি রেখে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) শেষ‌ হয়েছে চলতি বছরের হজের চূড়ান্ত নিবন্ধন। তাছাড়া, সৌদি আরবের সরকারের আল্টিমেটামের কারণে হজে নিবন্ধনের সময় আর বাড়ায়নি মন্ত্রণালয়। হজ পোর্টালের তথ্যানুযায়ী, এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটার মধ্যে রোববার রাত আটটা পর্যন্ত ৬২ হাজার ২১২ জন হজযাত্রী চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন। আর হজের যাওয়ার জন্য ব্যাংকে ভাউচার জমা দিয়েছেন প্রায় আট হাজার হজযাত্রী। সবমিলিয়ে ৭০ হাজার হজযাত্রী আগামী বছর হজ করার জন্য নিবন্ধন করেছেন। অন্য দিকে, সৌদির সরকার বাংলাদেশিদের আগামী বছরের হজের জন্য কোটা দিয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি। সে হিসাবে এখনো খালি রয়েছে প্রায় ৫৭ হাজার হজ কোটা। হজ পোর্টালের তথ্যমতে, মোট ৬২ হাজার ২১২ জন হজযাত্রী নিবন্ধিত করেছেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে চার হাজার ৭৫৯ ও বেসরকারিভাবে ৫৭ হাজার ৪৫৩ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছে প্রায় আট হাজার হজযাত্রী। সাধারণ ব্যাংকে টাকা জমা দিলে এক কর্ম দিবস প্রয়োজন হয় জমা হতে। সে হিসাবে আজ যারা টাকা জমা দিয়েছেন, তাদের টাকা আগামী মঙ্গলবার জমা হবে। কারণ, সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের জন্য সরকারি ছুটি। সময় বাড়োনো হবে কি না- জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (হজ অনুবিভাগ) মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘চলতি বছর তিন দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে। সৌদি সরকারের আল্টিমেটামের কারণে আর সময় বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘আগামী ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে হজযাত্রীদের টাকা সৌদি সরকারকে না পাঠালে বাংলাদেশিদের জন্য নির্ধারিত পাঁচ নম্বর তাঁবু পাওয়া যাবে না। অন্যান্য দেশ তাঁবু বুকিং দেওয়া শুরু করেছে। এ জন্য যারা নিবন্ধন করেছেন, তাদের টাকা সৌদি সরকারকে পাঠানো জরুরি হয়ে গেছে।’ খরচ কমানোর পরও হজ নিবন্ধনে কাঙ্ক্ষিত সাড়া না মেলায় উদ্বিগ্ন ধর্ম মন্ত্রণালয়। এমন পরিস্থিতিতে হজ কোটা পূরণ করতে বিমান ভাড়া কমাতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি ধর্ম উপদেষ্টা আফম খালিদ হোসেন আরও ২৭ হাজার ৮২০ টাকা কমিয়ে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা বিমান ভাড়া নির্ধারণ করতে আধা-সরকারি পত্র (ডিও) দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফকে। ডিওতে খালিদ হোসেন বলেন, ‘বিমান ভাড়া কমানো হলে বাংলাদেশের হজ কোটা পূরণ সহজ হবে। সৌদি সরকারের কাছে দেশের সম্মান বৃদ্ধি পাবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সও বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে।’ গেল ৩০ অক্টোবর আগামী ২০২৫ সালে হজে যেতে সরকারিভাবে দুইটি প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। ঘোষিত সাশ্রয়ী প্যাকেজ অনুযায়ী, খরচ ধরা হয়েছে চার লাখ ৭৯ হাজার ২৪২ টাকা। অন্য প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। এসব প্যাকেজে ২০২৪ সালের চেয়ে বিমান ভাড়া অন্তত ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে। তবে, সরকারি প্যাকেজে খাবারের টাকা ৪০ হাজার ও কোরবানির জন্য ৭৫০ সৌদি রিয়াল আলাদাভাবে নিতে বলা হয়েছে হজযাত্রীদের। গত বছর খাবারের টাকা প্যাকেজে যুক্ত ছিল। সরকারি প্যাকেজের সঙ্গে সমন্বয় করে বেসরকারি এজেন্সি মালিকরাও একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তারা বিমান ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

বিজয় দিবসের স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা

৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডেটাকার্ড অবমুক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় দশ টাকা মূল্যমানের একটি স্মারক ডাক টিকিট, দশ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম ও পাঁচ টাকা মূল্যমানের একটি ডেটাকার্ড অবমুক্ত করেন তিনি। এসব স্মারক ঢাকা জিপিওর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে এবং পরে দেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান পোস্ট অফিসগুলোতেও পাওয়া যাবে।স্মারক অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টার মুখ‍্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. মুশফিকুর রহমান ও ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এসএম শাহাবুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নাহিদ ইসলাম প্রধান উপদেষ্টাকে একটি স্মারক ডাক বাক্স ও ‘ন্যাচারাল বিউটি অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ’ শীর্ষক বই উপহার দেন।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে অভিযান জোরদারের সিদ্ধান্ত

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন অপতৎপরতার কারণে গ্রেফতার অভিযান আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিইডি) উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে এ তথ্য জানান তিনি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং সামনে যে ইভেন্টগুলো আছে, সেগুলো সুষ্ঠুভাবে ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে শেষ করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি, সামনের ইভেন্টগুলো খুব শান্তিপূর্ণভাবে করা যাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে কিছু অ্যাকটিভিটি লক্ষ করছি। তার ভিত্তিতে সারা দেশে গ্রেফতার অভিযান আরও জোরদারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলাফল হয়তো শিগগিরই দেখতে পাবেন।’ এর আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।এ নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের যারা বাইরে আছেন, তারা এখনও নানাভাবে ভিন্ন গোষ্ঠীকে উসকে দেয়ার চেষ্টা করছেন, ফান্ডিং করছেন ও মিছিল করার চেষ্টা করছেন। গতকালও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এবং সুস্পষ্ট অভিযোগও রয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে, তারা (আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ) কাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর আগে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি ঘোষণা করলেও সেগুলো বাস্তবায়িত হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।’ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ফিরে আসা প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ‘গতকাল যে ছবি পেয়েছি, তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তথ্য এসেছে, এটি পুরানো ছবি অথবা সেখানে যে ‘ছাত্রলীগ’ লেখা ছিল তা এডিট করা হয়েছে।’ আরেক প্রশ্নের উত্তরে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ যে কোন সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, সেই সম্ভাবনা রয়েছে, যতক্ষণ-না তারা পুরোপুরি এলিমিনেটেড (নিশ্চিহ্ন) হয়।’

আদৌ আমরা দুর্নীতি মুক্ত কি না সেটা প্রকাশ্যে থাকা উচিত: দুদকের নতুন কমিশনার

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নতুন কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্‌সান ফরিদ বলেছেন, ‘আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করি। আমরা দুর্নীতি মুক্ত কিনা আদৌও সেটা প্রকাশ্যে থাকা উচিত। দেশবাসীর জানা উচিত আমাদের সম্পদ কী ছিল, যখন কমিশন ছেড়ে চলে যাব তখন কী আছে।’ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় সেগুনবাগিচায় যোগ দিতে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনারের মত হাফিজ আহ্‌সানও আগামী সাত দিনের মধ্যে নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেবেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘যে আস্থা ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেটা আমার কাছে পবিত্র আমানত। এই আমানতের সঙ্গে মিশে আছে আগস্ট-জুলাই মাসের মহাবিপ্লবের বিপ্লবী ছাত্র-জনতার আশা আকাঙ্ক্ষা, সংগ্রাম স্বপ্ন সবকিছু। এই আমানত রঞ্জিত হয়ে আছে আমাদের বিপ্লবী শহীদ ছাত্র-জনতার ও বাচ্চাদের রক্তে। আমার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে এই আমানত রক্ষার জন্য।’ গেল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কাজে যোগ দিয়েছিলেন নতুন নিযুক্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন ও কমিশনার (তদন্ত) অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। বিদেশ অবস্থান করায় সেদিন দুদকে যোগ দেয়নি হাফিজ আহ্‌সান ফরিদ।

টেন্ডার নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে শোরগোল

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আউটসোর্সিংয়ে জনবল নিয়োগের টেন্ডার দাখিলকে কেন্দ্র করে শোরগোলের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকায় হট্টগোলের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আউটসোর্সিংয়ে জনবল নিয়োগের একটি দরপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল আজ। আমরা যথারীতি টেন্ডার ওপেন রেখেছি, একটি বক্সে সেটি ড্রপ করার প্রক্রিয়া ছিল।’ ‘কিন্তু, কেউ কেউ টেন্ডার ড্রপ করতে ঢুকতে পারছিল না- এমন কথা বলে মেইন গেইটে হট্টগোল শুরু করে। পরে আমি মেইন গেইট ক্লিয়ার করার কথা বলি। পরে তারা ভেতরে এসেও হট্টগোল শুরু করে।’ হট্টগোল যারা করছিল, তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা এসেছে, তাদের আমি চিনি না। তবে, একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিচ্ছিল, কোন রাজনৈতিক দল আমি বলতে চাচ্ছি না।’ পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর দরপত্র খোলা হয় এবং এ সম্পর্কিত বৈঠকও হয় বলে জানান খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। শোরগোলের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তা চান। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অধিদপ্তরে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বলেন, ‘টেন্ডার ড্রপের জন্য নির্ধারিত সময় ১১টা পর্যন্ত ছিল বলে শুনেছি। এই সময়ে অনেকে টেন্ডার জমা দিতে না পারায় তারা ভেতরে ঢোকে। কিন্তু, তাদের টেন্ডার জমা না নেওয়ায় ঝামেলা হওয়ার কথা শুনে আমরা যাই, সেনাবাহিনীও যায়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরেরও নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা ছিলেন।’ ‘আমরা যাওয়ার পর তারা ডিজির কাছে রিটেন্ডার চেয়ে একটা লিখিত আবেদন দিয়েছে। পরে সম্ভবত সবাই জমা দিতে পেরেছিল। দুপুর আড়াইটার দিকে সবাই চলে গেলে পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়ে আসে। এরপর আমরাও চলে এসেছি।’

বঞ্চিত ৭৬৪ সাবেক কর্মকর্তা পাবেন পদমর্যাদা ও আর্থিক সুবিধা

জনপ্রশাসনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত ৭৬৪ জন সাবেক কর্মকর্তাকে পদমর্যাদা ও আর্থিক সুবিধা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সবিচালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।রোববার সকাল দশটার দিকে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের দপ্তরের সামনে সামনে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বঞ্চিত কর্মকর্তারা। এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়া প্রতিবেদন বাস্তবায়নের নির্দেশনা পেলে এক দিনের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি হবে।তিনি বলেন, ‘যারা চাকরি করেন, তারা জানেন যে, ন্যূনতম একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপার আছে। এ বিষয়ে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের একটি নির্দেশনা লাগবে। তবে ইতিবাচক। চাকরির কিছু বিধিবিধান আছে। এটি মানতে হবে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে সংক্ষিপ্ত সময়ে এ প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশা করছি।’সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোখলেস উর রহমানের বলেন, ‘এটি ঠিক পদোন্নতি না। এটি হল সামাজিক মান-মর্যাদা। পদে বসানো এক বিষয় আর পদমর্যাদা আরেক বিষয়। এটি হল ওই পদে মর্যাদা দিয়ে সরকারি আদেশ দেয়া হবে। পেনশনের ক্ষেত্রেও এই সুবিধা হবে।’‘আর্থিক সুবিধা ও পদ-পদবি দিয়ে একটি সরকারি আদেশ জারি হবে। এর ভিত্তিতে অর্থনৈতিক আদেশে তারা এই টাকা পাবেন। সরকার নীতিগতভাবে একমত। একটু সময়ের ব্যাপার।’ যোগ করেন তিনি।এর আগে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেন। সেখানে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৭৬৪ জন বিভিন্ন স্তরের সরকারি চাকরিজীবীকে পদোন্নতি দেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি, যারা এই সময়ের মধ্যে পদোন্নতি বঞ্চিত ছিলেন।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়কালে চাকরিতে নানাভাবে বঞ্চনার শিকার এবং উল্লেখিত সময়কালের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনাপূর্বক যথাবিহিত সুপারিশ প্রণয়নের জন্য সরকার গেল ১৬ সেপ্টেম্বর সাবেক অর্থ সচিব এবং বিশ্ব ব্যাংকে বাংলাদেশের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক জাকির আহমেদ খানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটি নির্ধারিত ৯০ দিনের আগেই প্রতিবেদন পেশ করায় কমিটির সদস্যদের প্রধান উপদেষ্টা ধন্যবাদ জানান।

নদী ও বনভূমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

নদী ও বনভূমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ধ্বংসাত্মক উন্নয়ন এড়িয়ে টেকসই উন্নয়নের পথে এগোনো হচ্ছে।’ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ মিলিটারি জাদুঘরে আয়োজিত ‘ইকো লিডার্স ইয়ুথ এমপাওয়ারিং ইনিশিয়েটিভ অন এনভায়রনমেন্ট, ক্লাইমেট অ্যান্ড রিনিউঅ্যাবল এনার্জি ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসূচিতে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ বন্যা, খরা ও লবণাক্ততার মত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এসব মোকাবিলায় যুবসমাজসহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।’ এর আগে রোববার দুপুরে আগারগাঁও এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বর্তমান সরকার মানবাধিকার রক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য কমিশনগুলো কাজ করছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ন্যাপ পরিকল্পনায় নারীদের সম্পৃক্ত করা হবে।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। বক্তব্য দেন সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স করিন হেনচোজ পিগনানি, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো আনোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, নারী অধিকার সংস্কার কমিশনের সদস্য শারমিন নীলরমী।

পরিবারের সদস্যসহ বেনজীর ও মতিউরের বিরুদ্ধে ছয় মামলা

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও ছাগলকাণ্ডের মতিউর রহমানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো করা হয়। দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মতিউর ও তার স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলীর বিরুদ্ধে দুইটি এবং বেনজীর, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের বিরুদ্ধে আলাদা চারটি মামলা করেছে দুদক। চারটি মামলায় বেনজীর পরিবারের বিরুদ্ধে ৭৪ কোটি ১৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথম মামলা আসামি হয়েছেন বেনজীর আহমেদ। তার বিরুদ্ধে নয় কোটি ৪৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭৫১ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং দুই কোটি ৬২ লাখ ৮৯ হাজার ৬০ টাকার মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।অন্য দিকে, দ্বিতীয় মামলায় আসামি হয়েছেন বেনজীর ও তার স্ত্রী জীসান মির্জা। জীসান মির্জার বিরুদ্ধে ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ৫৫ হাজার ১৪৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ১৬ কোটি এক লাখ ৭১ হাজার ৩৩৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার এই সম্পদ স্বামী বেনজীর আহমেদের অবৈধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।তৃতীয় মামলায় বেনজীর ও তার মেয়ে ফারহিন রিশতা বেনজীরকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় রিশতার বিরুদ্ধে আট কোটি ৭৫ লাখ ২৭৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।চতুর্থ মামলায় আসামি হয়েছেন বেনজীর ও তার দুই মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর। তার বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪’-এর ২৭ (১) ও ২৬ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।অন্য দিকে, মতিউরের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ২৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও এক কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ২১৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলায় মতিউরের সঙ্গে আসামি হয়েছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী। শিবলীর বিরুদ্ধে এক কোটি ৮৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৯০ টাকার অবৈধ সম্পদ ও দুই কোটি ৭৫ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪’-এর ২৭ (১) ও ২৬ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।গেল সেপ্টেম্বরে দুদকে সম্পদের বিবরণী জমা দিয়েছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান। চলতি বছরের এপ্রিলে একটি জাতীয় দৈনিকে বেনজীরের অবৈধ সম্পদের ফিরিস্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ২২ এপ্রিল বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে নামে দুদক। বেনজীর, তার স্ত্রী ও কন্যাকে দুই দফা সময় দিয়ে তলব করলেও কেউই আসেননি দুদকে। জব্দ করা হয়েছে বেনজীরের শত কোটি টাকার সম্পদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। গত ১৪ অক্টোবর পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে বেনজীরসহ পাঁচজনের নামে মামলা করে দুদক। ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউরের বিরুদ্ধে গত ২৩ জুন অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

বাংলাদেশ-পূর্ব তিমুরের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি সই

কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুর। এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পরামর্শ প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠায় সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে এই চুক্তি সই হয়। চুক্তি সই শেষে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ভিসা অব্যাহতি চুক্তির আওতায় দুই দেশের কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই একে অপরের দেশে প্রবেশ, অবস্থান ও প্রস্থান করতে পারবেন। চার দিনের সফরে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় আসেন প্রেসিডেন্ট হোর্তা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় হোর্তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সফররত প্রেসিডেন্ট সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি ওই দিন সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। তিনি বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। প্রেসিডেন্ট হোর্তা মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) অডিটরিয়ামে ‘দা চ্যালেঞ্জেস অব পিস ইন দ্যা কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক থিমের ওপর বক্তৃতা করবেন। পরে তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তরুণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। একই দিন বিকালে তিনি বাংলাদেশের ছাত্র ও তরুণদের উদ্দেশ্যে তার দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অভিজ্ঞতা, তার নেতৃত্ব, দীর্ঘ সংগ্রামে জনগণের ভূমিকা ও স্বাধীনতা পরবর্তী তিমুর লেস্তের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে সম্যক বক্তব্য দেবেন।

৫০০ কোটি ডলার লোপাট, হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে রুল

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে ৫০০ কোটি ডলারের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও টিউলিপ সিদ্দিকের মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে আরএনপিপি থেকে ৫০০ কোটি ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৬০ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএমের) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। রিটের পক্ষে আইনজীবী হলেন ব্যারিস্টার সাহেদুল আজম।রিটে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। দুদকের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রিটের বিবাদী করা হয়।রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শেখ হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় গত ১৯ আগস্ট প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধানকারী গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পোরেশন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) থেকে পাঁচ বিলিয়ন বা ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) লোপাট করেছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে

ঢাকায় পৌঁছালেন নাসার প্রধান মহাকাশচারী আকাবা

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়ের জন্য ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশবিষয়ক সংস্থা নাসার প্রধান মহাকাশচারী জোসেফ এম আকাবা। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্লেপেন স্কুলে আয়োজিত ‘এক্সপ্লোরিং স্পেস, ইন্সপায়ারিং ইয়ং মাইন্ড’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। আকাবার এই সফরকে দেশের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবেদেখা হচ্ছে। কারণ, এই প্রথম বাংলাদেশ সফরে এলেন নাসার কোন প্রধান নভোচারী। স্কুলের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে অনুপ্রেরণামূলক আলাপচারিতায় অংশ নেন আকাবা। অনুষ্ঠান ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ ছিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এ সময় মহাকাশকেন্দ্রিক তথ্যচিত্র ও নভোচারীদের প্রাত্যহিক জীবন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন নাসার প্রধান মহাকাশচারী। মহাকাশ অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রযুক্তির অগ্রগতি ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় এর ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন আকাবা। প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম ছাড়াও আকাবা টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে অংশ নেবেন। সেখানে তিনি বৈশ্বিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নাসার অবদান এবং মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ কীভাবে লাভবান হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করবেন। বিশেষ করে, আর্টেমিস অ্যাকর্ডসের মাধ্যমে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরবেন এ নভোচারী। যুক্তরাষ্ট্রের একজন শিক্ষক, হাইড্রোজিওলজিস্ট ও পিস কর্পসের প্রাক্তন স্বেচ্ছাসেবক আকাবা। নাসার মহাকাশচারী প্রার্থীরূপে মনোনীত প্রথম পুয়ের্তো রিকো বংশোদ্ভূত ব্যক্তি তিনি। ২০২৩ সালে নাসার নভোচারী কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আকাবাকে। মহাকাশচারী হিসেবে তিনটি মিশনে অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে স্পেসওয়াক এবং বিভিন্ন যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক গবেষণাসহ ৩০৬ দিনেরও বেশি সময় মহাকাশে কাটিয়েছেন তিনি।

প্রজ্ঞাপন না নিয়ে জনপ্রশাসন ছাড়বেন না ‘বঞ্চিতরা’

সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানের দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তারা। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তারা অবস্থান নেন। প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা বারান্দার মেঝেতে বসে পড়েন। একজনকে শুয়ে থাকতেও দেখা যায়।কর্মকর্তারা বলছেন, বঞ্চনা নিরসনে আজকের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছাড়বেন না। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জনপ্রশাসন সচিব অবস্থানরত বঞ্চিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তোপের মুখে পড়েন। কর্মকর্তারা তার পদত্যাগ চেয়ে উচ্চস্বরে কথা বলেন। এসময় জনপ্রশাসন সচিব তার রুমে চলে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, বঞ্চিত নিরসন নামে কমিটি হয়েছে। আমি নিজেও এটার একজন আবেদনকারী। প্রজ্ঞাপন হলে আমারও নাম থাকবে। তিনি বলেন, কমিটির মূল রিপোর্টে কার কী নাম, কাকে কোন পদবি দেওয়া হয়েছে, আপনারা জানেন যারা চাকরি করছেন মিনিমাম একটা প্রসেস আছে, আমাদের ঊর্ধ্বতন অফিস থেকে সরকার যখন এটা পাঠিয়ে নির্দেশনা দেবে, একটা নির্দেশনা লাগবে। তবে পজিটিভ। এটা অবশ্যই স্বল্প সময়ের মধ্যে, জনপ্রশাসনে আমি বলতে পারি একদিনের মধ্যে আমাদের লেভেলে করে দেবো। কারণ আমি নিজেও এটার আবেদনকারী। বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সমন্বয়ক এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেছেন, আজকের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে আমরা জনপ্রশাসন ছাড়বো না। কর্মকর্তাদের অবস্থান এবং আজকের মধ্যে প্রজ্ঞাপনের দাবি নিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা যারা চাকরি করি এটা মানতে হবে, এটার বাইরে আমাদের যাওয়ার সুযোগ নেই। যাতে সময় বেশি না লাগে, সংক্ষিপ্ত সময়ে পেতে পারি। একদিনের মধ্যে আমাদের মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন করে দেবে। এটা এসএসবিতে (সুপরিয়র সিলেকশন বোর্ড) উঠবে কি না, জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, না এটা এসএসবিতে উঠবে না। এটা ভিন্ন বিষয়। বঞ্চিত ৭৬৪ জনকেই ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হবে, প্রশ্ন তিনি বলেন, এটা পদোন্নতি না এটা একটা সামাজিক মান মর্যাদা এবং আর্থিক সুবিধাসহ একটা পদ-পদবী দিয়ে জিও হবে। জোর ভিত্তিতে তারা টাকাগুলো পাবে। এটা সরকার নীতিগতভাবে একমত একটু সময়ের ব্যাপার। আমরা ১৬ বছর বঞ্চিত ছিলাম এখনো ১৬ দিনও তো হয়নি। তারা পদে বসতে চাচ্ছেন, এ বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, সেটা আমার বলার বিষয় না। আমি সরকারের একটা অংশ, সরকারের কাজ করি। মূল বেনিফিটটা পেনশনে হবে, পুরো জীবনভর। তারা পদমর্যাদা পাবেন। এটা একটা জটিল বিষয়। ৫৩ বছরে আমরা এ ধরনের পরিস্থিতি পাইনি।

বিডিআর হত্যা নিয়ে কমিশন গঠন করা হবে না: হাইকোর্টকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বিডিআর হত্যা নিয়ে কমিশন গঠন করা হচ্ছে না। এ বিষয়ে ২টি মামলা বিচারাধীন থাকায় আপাতত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) হাইকোর্টকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ তথ্য জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান। এর আগে বিডিআর হত্যার পুরো ঘটনার তদন্তে কমিশন গঠনের কথা বললেও আজ এমন তথ্য জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর বিডিআর হত্যার পুনঃতদন্ত চেয়ে আন্দোলন শুরু করে সরকার। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় প্রথমে রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এছাড়া বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়। বিচার চলাকালে তৎকালীন বিডিআরের ডিএডি রহিমসহ চার আসামির মৃত্যু হয়। রক্তক্ষয়ী ওই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী এ বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয়।

বিজয় দিবসে যান চলাচলে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের নির্দেশনা

মহান বিজয় দিবসের দিন নির্ধারিত কিছু সড়কে যানবাহন চলাচলে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল সোমবার মহান বিজয় দিবসের প্রত্যুষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ উপলক্ষে ঢাকা থেকে আমিন বাজার হয়ে সাভার স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সড়কে ভোর ৪টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা, বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক এবং সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা যাবেন। এ উপলক্ষে ওইদিন ভোর ৩টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, মাইক্রোবাস, কার, সিএনজিসহ বিভিন্ন শ্রেণির যানবাহনগুলোকে গাবতলী-আমিন বাজার ব্রিজ-সাভার রোড পরিহার করে নিম্নেবর্ণিত বিকল্প সড়কে চলাচল করার জন্য অনুরোধ করা হলো। গাবতলী থেকে সাভার হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া যানবাহন ঢাকা এয়ারপোর্ট রোড হয়ে আব্দুল্লাহপুর ক্রসিং দিয়ে আশুলিয়া সড়ক হয়ে চলাচল করবে। কল্যাণপুর ও টেকনিক্যাল ক্রসিং থেকে ঢাকার বাইরে ছেড়ে যাওয়া যানবাহন টেকনিক্যাল ক্রসিং থেকে ডানে টার্ন করে মিরপুর-০১ নং হয়ে দিয়াবাড়ি ক্রসিং দিয়ে চলাচল করবে। আরিচা থেকে আমিন বাজার হয়ে ঢাকা মহানগরগামী যানবাহনসমূহ নবীনগর বাজারে বামে টার্ন করে আশুলিয়া হয়ে চলাচল করবে।টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী যানবাহনসমূহ কালিয়াকৈর-গাজীপুর চৌরাস্তা-টঙ্গী হয়ে চলাচল করবে।

মোহাম্মদপুরে ‘কবজি কাটা’ আনোয়ার গ্রুপের ৫ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ‘কবজি কাটা’ আনোয়ার গ্রুপের শীর্ষ সন্ত্রাসী কুমির রুবেল ও কোরবানসহ পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের যৌথ অভিযানে মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকা থেকে ‘কবজি কাটা’ আনোয়ার গ্রুপের অন্যতম সদস্য কুমির রুবেল ও কোরবানকে ধারালো চাপাতি ও সামুরাইসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের সহযোগীদেরও আটক করে যৌথ বাহিনী। র‍্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময় মোহাম্মদপুর এলাকায় সাধারণ মানুষজনকে কোপানো এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ছিনতাই করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

শৈত্যপ্রবাহের ব্যাপ্তি কমেছে

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের ব্যাপ্তি কমেছে। একদিনের ব্যবধানে চার জেলার পরিবর্তে দুই জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া তাপমাত্রাও বাড়ছে, যা আরও বাড়তে পারে।রোববার (১৫ ডিসেম্বর) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা জানিয়েছেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রোববার ভোর রাতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগের দিনের চেয়ে এক ডিগ্রির মতো বেশি। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠক

ঢাকা সফররত পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।গত শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোর্তা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় হোর্তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সফরের দ্বিতীয় দিন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে এ বৈঠকের পর দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন হোর্তা। বৈঠক শেষে তারা যৌথ প্রেস কনফারেন্স করবেন। এরপর দুই শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে। প্রেসিডেন্ট হোর্তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি ঢাকায় এসেছে। সফরের তৃতীয় দিন ১৬ ডিসেম্বর পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তিনি সাভারে জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধও পরিদর্শন করবেন। হোর্তা ৫৪তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন।

সব সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত

সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী মহার্ঘ ভাতা পাবেন। একই সঙ্গে পেনশনভোগীরাও পাবেন এই সুবিধা। এর ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মূল বেতনের সঙ্গে আরও কিছু আর্থিক সুবিধা পাবেন। আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, এই লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটি সুপারিশ দেবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের অবস্থান

পদোন্নতিসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থান নিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অবস্থান নেন। জানা গেছে, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কয়েকদিন ধরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি পালন করে আসবেন। তাদের দাবিগুলো হলো- > ফ্যাসীবাদী সরকার কর্তৃক পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরসহ সব স্তরের পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মচারীদের প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা ও জ্যেষ্ঠতাসহ ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির ‘প্রজ্ঞাপন’ অবিলম্বে জারি করতে হবে। > ফ্যাসীবাদী আওয়ামী সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং বর্তমান সরকার কর্তৃক চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত বির্তকিত কর্মকর্তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। > বর্তমানে কর্মরত সাবেক ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর, ছাত্র-জনতা হত্যায় জড়িত স্বেচ্ছাচারী, দুর্নীতিবাজ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ কাজে লিপ্ত কর্মকর্তাকে অবিলম্বে প্রত্যাহারপূর্বক আইনের আওতায় আনতে হবে। > দলবাজ, অদক্ষ ও সুবিধাভোগী কর্মকর্তাদের অপসারণ/অব্যাহতি প্রদান পূর্বক ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখের পর দীর্ঘদিনের বঞ্চিত কর্মরত যে সমস্ত কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়েও এখনো পদায়ন পাননি তাদের দ্রুত উপযুক্ত পদে পদায়ন করতে হবে। > মাঠ প্রশাসনে কর্মরত বিতর্কিত জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার করে নিরপেক্ষ, সৎ, দক্ষ কর্মকর্তাকে পদায়ন করতে হবে। পূর্বের ফিট লিস্ট বাতিল করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পুনরায় ফিট লিস্ট করতে হবে। > বিগত সরকারের সময় যারা দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতি পেয়েছে তাদের পদোন্নতি আদেশ বাতিল এবং আর্থিক সুবিধা প্রত্যাহার করতে হবে। বিদেশে ‘বেগম পাড়া’য় বাড়ি ক্রয়সহ অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

ঢাকায় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট

চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সা‌ড়ে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় এসে পৌঁছান পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট। বিমানবন্দরে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়। জোসে রামোস হোর্তা ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করবেন। তার সফরে অফিসিয়াল এবং কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি হবে। এছাড়া তার সফরকালে ঢাকায় পূর্ব তিমুরের অনারারি কনস্যুলেট খোলার বিষয়ে ঘোষণা আসবে। গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন জা‌নি‌য়েছেন, পূর্ব তিমু‌রের প্রেসিডেন্ট সফরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। অফিসিয়াল এবং কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি। আর দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পরামর্শমূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক। হোর্তার সফরকালে বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তে অনারারি কনস্যুলেট খোলার বিষয়ে ঘোষণা আসবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব। তিনি জানান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তিমুর লেস্তের একজন তরুণ কূটনীতিককে বছরব্যাপী বিশেষ কূটনীতিক প্রশিক্ষণ কোর্স এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কূটনীতির ওপর প্রফেশনাল মাস্টার্স ২০২৫-এ অংশগ্রহণের জন্য বৃত্তি প্রদান করেছে। কূটনৈতিক প্রশিক্ষণটি ফরেন সার্ভিস একাডেমি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ যৌথভাবে পরিচালনা করে থাকে। জসীম উদ্দিন বলেন, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সফরের দ্বিতীয় দিন ১৫ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি হোর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন। এর পরপরই দুদেশের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিমান পরিষেবা, সাংস্কৃতিক বিনিময়, শিক্ষা, পেশাদার ও কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই) এবং ক্ষুদ্র অর্থ ও ক্ষুদ্রঋণ সহ দারিদ্র বিমোচনের বিষয়ে চুক্তি/সমঝোতা স্মারক /সমঝোতা সহযোগিতা স্বাক্ষররে সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

আজও ঢাকার বাতাস খুব অস্বাস্থ্যকর

চলতি বছর শীতের শুরুতেই টানা কয়েক দিন বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালেও ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। রোববার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে একিউআই স্কোর ২৮৩ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কুয়েতের কুয়েত সিটি এবং বাগদাদের ইরাক যথাক্রমে ৬৫৯ এবং ৬০০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে। যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন। ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।