সরকার পরিচালনায় অদক্ষতায় জনগণ কি করবে জানালেন তারেক রহমান
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৬:৪৯ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
![News Defalt/tarek nbnzbnbzxnv.jpg](https://www.dhakawatch24.com/storage/News Defalt/tarek nbnzbnbzxnv.jpg)
সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা দেখতে পেলে জনগণ সহজভাবে মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (আইইবি) জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (জেটেব) তৃতীয় কাউন্সিলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তারেক রহমান বলেন, ‘স্বৈরাচার পালানোর পর একটি বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মাফিয়া সরকারের তৈরি করা জঞ্জাল তিন মাসে দূর করা সম্ভব নয়। আবার তিন মাস পরে সরকারের সফলতা/ব্যর্থতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক বা অন্যায্যও নয়। তবে, সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা দেখতে পেলে জনগণ সহজভাবে মেনে নেবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি পূর্বেও বলেছি, সংস্কারকাজ করতে গিয়ে অগ্রাধিকারের সেটিংস যদি ভুল হয়, তাহলে জনগণের কাছে সরকারের অদক্ষতা হিসেবেই সেটা বিবেচিত হবে। দুই দিন পূর্বে আহতরা হাসপাতাল থেকে যেভাবে বের হয়ে এসেছেন, সেটা আমাদের বিবেকবান প্রত্যেকটা মানুষের জন্যই লজ্জাজনক ব্যাপার। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, আহতদের পুনর্বাসন, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা কেন অগ্রাধিকার লিস্টে নেই, থাকলেও কত নম্বরে ছিল?
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘গেল ১৫ বছর স্বৈরাচারী সরকার দেশকে আমদানিনির্ভর, পরনির্ভর ও ঋণনির্ভর করেছে। এমন অবস্থা থেকে দেশকে বের করে আনা প্রয়োজন। বের করে এনে যে কোন উপায়ে সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে গার্মেন্টস খাত আরও লাভজনক ও বিশ্ববাজারে চাহিদা তৈরিতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করছে বিএনপি। এছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিশেষ করে এসএমই খাতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়িয়ে অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর ব্যাপারটিও বিএনপির বিবেচনায় রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একটি দেশের রাজনীতি যদি রুগণ হয় তাহলে অর্থনীতিও রুগ্ন হতে বাধ্য। স্বৈরাচারী আমলে আমরা সেটা দেখেছি। তারা উন্নয়নের নামে যে মেগা প্রজেক্ট করে তার আসল রূপ কিন্তু এখন বের হয়ে আসছে।’
বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের উন্নয়নে ঐতিহাসিক সনদ বলে মনে করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘ঘোষিত এই ৩১ দফা বাস্তবায়নে মানসম্পন্ন ও প্রায়োগিক শিক্ষার ওপরও কিন্তু জোর দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, জনসংখ্যা কোন অভিশাপ নয়। বরং, এই জনসংখ্যাকে যদি মানবসম্পদে রূপান্তর করা যায় তাহলে দেশের উন্নয়নে এটাই বড় শক্তি।’
অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণ আশা করছে, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ পরিবেশে ভোট দিতে সক্ষম হবে। জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করার সুযোগ পাবে। জনগণ যখন সত্যিকার অর্থে বুঝতে পারবে তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার কাজ করছে, তখন জনগণের সাথে সম্পর্কটা দৃঢ় হবে।’
দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের সকলের লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের জীবনযাত্রাকে একটু ভাল করা, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থা ভাল করা, বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করা, মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা ভাল করা, নিরাপত্তা একটু ভাল করা- অতীতে যখনই জনগণের ভোটে বিএনপি সুযোগ পেয়েছে, তখন চেষ্টা করেছে যতটুকু সম্ভব এই কাজগুলো করার।’
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন। এ দিন প্রত্যক্ষ গোপন ভোটের মাধ্যমে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন ফখরুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন একেএম রুহুল আমিন আকন্দ।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ফরহাদ হালিম ডোনার, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মিনহাজুর রহমানসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সংগঠনের নানা পর্যায়ের নেতৃবন্দ বক্তৃতা করেন।