চাঁদাবাজী/লালমোহনে সংঘর্ষে জড়াল বিএনপির দুই পক্ষ, আহত ১৫
- ভোলা প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:৫৮ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সোমবার (১৮ নভেম্বর) উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের দেবিরচর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, বদরপুর ইউনিয়ন উত্তর বিএনপির সভাপতি শহিদুল্যাহ মেলকার গ্রুপ ও বিএনপির প্রাক্তন নেতা মো. কামাল হুইচ গ্রুপের মধ্যে সোমবার (১৮ নভেম্বর) ভোরে বাকবিতণ্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে শহিদুল্যাহ মেলকারের লোকজন ধারাল অস্ত্র নিয়ে কামাল গ্রুপকে আক্রমণ করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হন।
দেবিরচর বাজারের বিএনপির প্রাক্তন নেতা কামাল হুইচ জানান, গেল ৫ আগস্টের পর শহিদুল্যাহ মেলকার ও তার লোকজন দেবিরচর এলাকায় বিভিন্ন চাঁদাবাজি শুরু করেন। এলাকার নুর ইসলামের কাছ থেকে শহিদুল্যাহ মেলকার পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা নেন। এর প্রতিবাদ করলে শহিদুল্যাহ মেলকার ও তার লোকজন কামালের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। পরে বিএনপির উপজেলা নেতৃবৃন্দ দুই পক্ষকে মিলিয়ে দেয় ও চাঁদার টাকা উপজেলা নেতৃবৃন্দের কাছে জমা দেয়। এ নিয়ে তার সাথে আমার বিরোধ তৈরি হয়।
তিনি আরো জানান, দেবিরচর বাজার ইজারাদার আসাদ মেলকার থেকে বাজারের খাজনা উঠানোর ইজারা কিনে নেন। শহিদুল্যাহ মেলকার বাজারের খাজনা উঠাতে বাধা ও হুমকি-ধামকি দেন। ব্যাপারটি তিনি জানার পর রোববার (১৮ নভেম্বর) রাতে লালমোহন থানায় অবহিত করেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে শহিদুল্যাহ মেলকার ও তার লোকজন কামালের লোকজনের ওপর হামলা করে। ব্যাপারটি তাৎক্ষণিক লালমোহন থানা ও নৌবাহিনীকে অবহিত করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আসার পূর্বেই দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিতে মনজু হাওলাদার, রশিদ হাওলাদার, হাচান কবিরসহ অনেকে গুরুতর আহত হয়। তাদের লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে শহিদুল্যাহ মেলকারের মোবাইলে ফোন দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি কল কেটে দেন। পরে একাধিক বার চেষ্টা করলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
এ নিয়ে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, দেবিরচর বাজারের ইজারাকে কেন্দ্র করে মূলত বহু দিন পর্যন্ত সমস্যা চলছিল। বিএনপির নেতৃবৃন্দ তাদের মীমাংসা করার একাধিক বার চেষ্টা করেছে। এটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ দাখিল করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’