২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: সব আসামিকে খালাস দেয়ায় নিন্দা ও প্রতিবাদ আওয়ামী লীগের


30 November/Mahbubul Alam Hanif.jpg
মাহবুবউল আলম হানিফ

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দেওয়া তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলটি বলেছে, ‘আজকের এই রায় প্রমাণ করে, সরকার বিচারব্যবস্থাকে পুরোপুরি জিম্মি করে রেখেছে।’

রোববার (১ ডিসেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ড. ইউনূসের রিসেট বাটনের যথাযথ কার্যকারিতা আমরা দেখতে পেলাম আজকের এই রায়ের মাধ্যমে। উনি আমাদের সবকিছু ভুলিয়ে দিতে চেয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্টের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মত ঘটনাকে পুরোপুরি মুছে ফেলার এই অপচেষ্টা।’ 

‘সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকার পরও এই প্রহসনের রায় জাতির জন্য লজ্জার। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি আবদুল হান্নানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আদালতে উপস্থাপিত মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে বলা হয়, বিএনপি-জামায়াত সরকারের শীর্ষ কয়েকজন ব্যক্তির সহায়তায় তিনি আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল।’

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আব্দুল সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনের মাধ্যমে পিন্টুর সাথে প্রথম যোগাযোগ হয়। এরপর তার মাধ্যমে তারা তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের কাছে কাছে যায়। লুৎফুজ্জামান বাবর ও কুমিল্লার তৎকালীন সাংসদ কায়কোবাদকে সঙ্গে নিয়ে তারা হাওয়া ভবনে যায়।’

‘মুফতি হান্নান তার জবানবন্দিতে জানিয়েছে, হাওয়া ভবনের বৈঠকে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, হারিছ চৌধুরী, লুৎফুজ্জামান বাবর, ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুর রহিম উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতির কিছুক্ষণ পর তারেক রহমান সেখানে আসেন। এমনটাই জানা যাচ্ছে আদালতে দেয়া মুফতি হান্নানের জবানবন্দি থেকে। মুফতি হান্নানের ভাষ্য অনুযায়ী, তার সহযোগীরা যাতে হাওয়া ভবনে আর না আসে সেটি জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনারা বাবর সাহেব ও আব্দুস সালাম পিন্টুর সাথে যোগাযোগ করে কাজ করবেন।’

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে কি প্রমাণিত হল? দেশে কি ২১ আগস্টে কিছুই ঘটেনি? পাকিস্তান থেকে নিয়ে আসা আর্জেস গ্রেনেডগুলো কি আকাশ থেকে আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থলে পড়েছিল? ২৪ জন মানুষের নিহত হয়েছিল, ৫০০জন আহত হয়েছিল এমনি এমনিতেই?’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ এই রায়ের মাধ্যমে আরেক বার প্রমাণিত হল, এই সরকার বিচারব্যবস্থাকে পুরোটাই জিম্মি করে রেখেছে। দেশে মব জাস্টিসের নামে মব কিলিং করে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে, এটার মূল্য অচিরেই চুকাতে হবে।’

এই রায়ের বিরূদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান মাহবুবউল আলম হানিফ।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×