আগ্রাসনের প্রতিবাদে আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ শুরু
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ১০:১৩ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঢাকা থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের লংমার্চ শুরু হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল নয়টার পর নয়াপল্টন থেকে শুরু হয় লংমার্চ শেষ হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে। সকাল আটটায় লংমার্চ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এক ঘণ্টা দেরিতে কর্মসূচি শুরু হয়।
লংমার্চকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে তিন সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। তারা বাংলাদেশ হাইকমিশনের হামলার প্রতিবাদে নানা ধরনের স্লোগান দেন।
বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা, পতাকা অবমাননা, ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান ‘তথ্য সন্ত্রাস’ এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল গত সোমবার এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে গণমাধ্যমকে লংমার্চের রুটও জানিয়ে দিয়েছেন তারা।
ঘোষিত রুট অনুযায়ী সকাল ৮টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়ে পল্টন-ফকিরাপুল-ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভারে উঠবে। এরপর সাইনবোর্ড-চিটাগং রোড-কাঁচপুর মোড়-তারাবো-বরফা-ভুলতা, গাউছিয়া-চনপাড়া, মাধবদী-পাঁচদোনা-সাহেপ্রতাব, ভেলানগর-ইটখোলা-মারজাল-বারুইচা হয়ে ভৈরব পৌঁছাবে লংমার্চ। এরপর ভৈরব পথসভা করে আখাউড়া স্থলবন্দর অভিমুখে রওনা দেবে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে রওনা করার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, সভাপতিত্ব করবেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
এছাড়া ভৈরব মোড়ে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, সভাপতিত্ব করবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না।
আখাউড়া স্থলবন্দরে হবে সমাপনী সমাবেশ। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সভাপতিত্ব করবেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী।
শায়রুল কবির খান আরও জানান, আখাউড়া পৌঁছানোর আগে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হবেন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারা।