এ দেশের এক ইঞ্চি মাটির দিকে তাকালে চোখ উপরে ফেলা হবে
- কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৫:২৬ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
ভারতকে উদ্দেশ্য করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন, ‘এ দেশের এক ইঞ্চির মাটির দিকে তাকালে সেই চোখ উপরে ফেলা হবে।’
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা থেকে আখাউড়া যাওয়ার পথে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড মোড়ে যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসএম জিলানী বলেন, ‘ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা লংমার্চ করছি। ভারত নিজেদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দাবি করে। কিন্তু, বাংলাদেশের মানুষের গণ-আন্দোলনে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাসহ তার সব দোসরদের আশ্রয় দিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনাদের জানিয়ে দিতে চাই- এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ না। এই বাংলাদেশ জিয়ার, খালেদার জিয়ার, তারেক রহমানের বাংলাদেশ। এ দেশের এক ইঞ্চির মাটির দিকে তাকালে সেই চোখ উপরে ফেলা হবে।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভারতের আগরতলা অভিমুখী লংমার্চের যাত্রাপথে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই পথসভার আয়োজন করে।
সভায় দলের নেতাকর্মীরা বলেন, ‘ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই লংমার্চ কর্মসূচি করছে বিএনপি।’
ভৈরবে লংমার্চের গাড়িবহর ঢুকার সময় সড়কের দুই পাশে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। তারা হাত নেড়ে, ফুল ছিটিয়ে গাড়িবহরকে স্বাগত জানান। এ সময় নানা রকম স্লোগান দেন তারা। এ সময় নেতাকর্মীদের হাতে ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা দেখা যায়।
এর আগে, সকাল নয়টায় ঢাকার নয়াপল্টনের বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়। লংমার্চ শুরুর আগে নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।