বন্ধুত্বের বাণী দিয়ে শেষ বিএনপির তিন সংগঠনের ঢাকা-আগরতলা লং মার্চ
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৮:১১ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
ঢাকা টু আগরতলা লং মার্চ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছে শেষ হয়েছে। সেখানে সমাবেশে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল নেতারা ভারতকে প্রভুত্ব ছেড়ে বন্ধুত্বের আহ্বান জানান। পাশাপাশি, সব ধরনের ষড়যন্ত্র বন্ধে ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
বুধবার বিকাল চারটার দিকে ঢাকা থেকে আসা লং মার্চের গাড়িবহর আখাউড়ায় ঢুকে। তবে, যানজটের কারণে সব গাড়ি বন্দর এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি। এর আগে সকাল থেকে অন্তত আট-দশটি গাড়িতে করে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আখাউড়ার দিকে আসতে থাকে। দুপুরে বন্দর এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননা, মিডিয়ায় অপপ্রচার, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল বুধবার এ লং মার্চ কর্মসূচির আয়োজন করে। লং মার্চকে ঘিরে সীমান্ত এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা। কাস্টমস এলাকা পর্যন্ত লোকজনকে আটকে দেয় আইনশৃংখলা বাহিনী।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএস জিলানী। প্রধান অতিথি ছিলেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান। বক্তব্য দেন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশে রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘এ দেশে আওয়ামী লীগের কোন অস্তিত্ব নেই। এ দেশের মানুষ ভারতের আগ্রাসী মনোভাব মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ। ফের যদি পতাকা অবমাননা হয় তাহলে আমরা এর কঠোর জবাব দেব।’
নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘ভারতে বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানোর সময় সেখানে পুলিশ ছিল নীরব। এটি এটি অবমাননা। তারা প্রতিবেশী দেশ। কিন্তু, বন্ধু হতে পারেনি। তারা তিস্তার পানি না দিলেও ফেনী নদী থেকে নিয়ে গেছে। তারা পররাষ্ট্র নীতি কী হবে শেখায়। আগে তাদের জাহাজ ভিড়তে দিতে হয়। স্বাধীনতার পর থেকে তারা শোষণ করে। আমরা জামদানি পাঠাই, ইলিশ পাঠাই। তারা ফেলানির লাশ দেয় আর ফেন্সিডিল দেয়।’
মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনচেতা। তারা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের বাইরে প্রভু নেই। তারা ভারতকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই। সার্বভৌম প্রশ্নে এ দেশের মানুষ প্রয়োজনে ঝুঁকি নিতে রাজি।’