বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া


Jan 2025/Khaleda 3.jpg

উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে লন্ডন সফরের জন্য বাসা থেকে বের হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত আটটা ১৫ মিনিট বাসা থেকে বের হয়ে বিমানবন্দর উদ্দেশে রওনা করে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর। 

এ দিকে, তাকে বিদায় জানাতে  সড়কে সারিবদ্ধভাবে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে বনানী মূল সড়ক পর্যন্ত এক মানবপ্রাচীর তৈরি হয়েছে। সেইসঙ্গে নেতাকর্মীদের স্লোগান আর মিছিলে উত্তাল পুরো গুলশান-বনানী এলাকা। 

নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে গুলশান থেকে বিমানবন্দরের দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা পথে পথে অবস্থান নিয়েছেন। গুলশান থেকে নেতাকর্মীদের দাঁড়িয়ে অপেক্ষার সারি বনানী এলাকা ছাড়িয়ে গেছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতেই ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের নির্দিষ্ট এলাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।   

কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে লন্ডন পৌঁছাবেন খালেদা জিয়া। সেখান থেকে তাকে সরাসরি যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা চলবে।

লন্ডন বিমান বন্দরে খালেদা জিয়াকে রিসিভ করবেন তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্ত্রী জোয়াবেদা রহমান এবং লন্ডন বিএনপির দুইজন নেতা। আর ঢাকা থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে চিকিৎসকদের পাশাপাশি তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি যাবেন।

চিকিৎসা হবে লন্ডন ক্লিনিকে: লন্ডনে খালেদা জিয়া চিকিৎসা নেবেন যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে। ব্রেস্ট, ইউরোলজি, গাইনোকলজি ও চর্মরোগ চিকিৎসায় সুনাম রয়েছে চিকিৎসা কেন্দ্রটির। আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টেশন ও সেলুলার থেরাপিতেও রয়েছে সুনাম। ১৯৩২ সালে যাত্রা শুরু করা হাসপাতালটির অবস্থান সেন্ট্রাল লন্ডনের ডেভনশায়ার প্লেস ও মেরিলিবন সড়কে। এটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় বেসরকারি হাসপাতাল হিসেবে পরিচিতি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, লন্ডন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স অব ওয়েলস উইলিয়ামের স্ত্রী প্রিন্সেস অব ওয়েলস ক্যাথরিন, রাজা তৃতীয় চার্লস, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, তার স্বামী ফিলিপ অব এডিনবরা। এ ছাড়া, এ হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। লন্ডন ক্লিনিকের রোগীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ও ব্রিটিশ-আমেরিকান অভিনেত্রী লিজ টেইলরও। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের অনেক হাই-প্রোফাইল ব্যক্তি এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। লন্ডন ক্লিনিকের বহির্বিভাগে প্রতি বছর গড়ে এক লাখ ১০ হাজার মানুষ চিকিৎসা নেন। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন ২৩ হাজার রোগী।

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×