লন্ডন পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৫:৪৫ পিএম, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যের লন্ডন পৌঁছেছেন। যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বহনকারী উড়োজাহাজটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ জুবাইদা রহমানসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত একজন চিকিৎসক যিনি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রয়েছেন, তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিমানবন্দরে শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হতে পারে লন্ডন ক্লিনিকে। এ জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা ছাড়ে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। লন্ডন পৌঁছানোর আগে প্রায় দীর্ঘ আট ঘণ্টার ভ্রমণে দোহায় যাত্রাবিরতি করেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম সাক্ষাৎ করে চেয়ারপারসনের শারীরিক খোঁজখবর নেন।
এর আগে খালেদার লন্ডন যাত্রা ঘিরে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকাল থেকেই দলে দলে নেতাকর্মীরা গুলশানে জড়ো হতে থাকেন। সন্ধ্যার পর খালেদা জিয়ার বাসভবনে ঢোকেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খালেদা জিয়াকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে গুলশানসহ বিমানবন্দরের পথে রাস্তার দুই পাশে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ জড়ো হন।
চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য সবশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির এক মামলায় কারাবন্দি হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তাকে রাখা হয় ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত ও নির্জন কারাগারে। কারাগারে থাকাকালে নানা রোগে আক্রান্ত হন বিএনপির নেত্রী। বারবার যেতে হয় হাসপাতালে।
আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরে জামিন ও মুক্তি না মেলায়, প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপে পরিবারের আবেদনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার কারাবাসের ২ বছর এক মাস ১৩ দিন পর শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের অস্থায়ী মুক্তি দেন তাকে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ছয় মাস করে বাড়ানো হয় বেগম জিয়ার মুক্তির মেয়াদ। এত দিন বাসা-হাসপাতাল, হাসপাতাল-বাসা এভাবেই কাটছিল বেগম জিয়ার জীবন। কয়েক দফা দীর্ঘ দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকতে হয় তাকে। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা বিএনপির নেত্রীকে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে দেয়া হয় চিকিৎসা।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তন হলেও শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকায় কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে গেলেন বিএনপির নেত্রী।