১৯৭১ সালের ভূমিকার জন্য জামায়াতের ক্ষমা চাওয়া উচিত: দুলু
- নাটোর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৯:৪৪ পিএম, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

বিএনপির নেতা ও সাবেক মন্ত্রী এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ‘একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সভা সমাবেশে ইচ্ছে মত উল্টাপাল্টা বলছে। তারা জানে না ক্ষমতা এত সহজ নয়। আসলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।’
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে নাটোর সদরের শংকরভাগ মাঠে বড় হরিশপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের সঙ্গে, দেশের ভোটারদের সঙ্গে দীর্ঘ সুসম্পর্কের প্রয়োজন হয়। জনগণের আস্থার দলে পরিণত হতে হয়। স্বাধীনতার পর থেকে কখনো ক্ষমতায় আসতে না পারা সেই দলটির বাংলাদেশে এমন জনপ্রিয়তাও নেই, তাদের প্রতি এ দেশের মানুষের তেমন কোন আস্থাও নেই। বিগত কোন সংসদ নির্বাচনে দেশের প্রাপ্ত ভোটের হারে কখনো তারা দুই অঙ্কের ঘরেই যেতে পারেনি।’
দুলু আরো বলেন, ‘ক্ষমতা বহু দূর। ক্ষমতায় যেতে চাইলে আগে এ দেশের মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করুন। জনগণের দলে পরিণত হন, তারপর ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। এ দেশের মানুষ প্রয়াত জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার এবং তাদের হাতে গড়া দল বিএনপির প্রতি আস্থাশীল। আগামী নির্বাচনে এ দেশের মানুষ বিএনপিকে নিরঙ্কুশভাবে জয়ী করবে। বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সব শোষণ, বঞ্চনা ও নির্যাতনের উপযুক্ত বিচার করবে। তাদের সব হত্যা, অন্যায় ও অবিচারের জন্য সব দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করবে।’
আওয়ামী লীগের সময় শতভাগ ভোটার উপস্থিতি দেখানো হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের সময়ে মরা মানুষও ভোট দিয়েছে। সাড়ে ১৫ বছর যারা এই দেশকে শোষণ করেছে, দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে জামায়াতের আমির তাদের বিরুদ্ধে না বলে তিনি নাটোরে এসে বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যা করেছে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাই করবে।’ তার এসব কথা সত্য নয়। বিএনপির সময়ে সাধারণ ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ কাউকে কোনো চাঁদা দিতে হবে না।’
দুলু জামায়াতের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা স্বাধীনতার পক্ষে না বিপক্ষে তা আগে পরিষ্কার করুন। ১৯৭১ সালের ভূমিকার জন্য জামায়াতের ক্ষমা চাওয়া উচিত। জামায়াতের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম নয়, যারা গত সাড়ে ১৫ বছর এ দেশে হত্যা গুম সন্ত্রাস নৈরাজ্য চালিয়েছে, আমাদের সংগ্রাম তাদের বিরুদ্ধে।’
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ইব্রাহীম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাবেক চেয়ারম্যান মাহতাব হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দুলুর সহধর্মিণী ছাবিনা ইয়াসমিন ছবি, জেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শাহ আলম, ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি এহাই তালুকদার ডালিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম ও নবীনদলের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ লাম।