অনৈক্য কিছু নেই, আছে স্বার্থের সংঘাত: মির্জা আব্বাস
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০১:২৯ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২৫

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য কিছু নেই, আছে স্বার্থের সংঘাত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেছেন, ‘প্রত্যেকটা দলের নিজস্ব আদর্শিক জায়গা ও মতাদর্শ আছে। সবাই যার যার মতাদর্শ থেকে কথা বলে। এটাকে আমি অনৈক্য বলবো না। তবে দলগুলোর মধ্যে স্বার্থের সংঘাত আছে।’
বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে স্বাধীনতা দিবসে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।
তিনি এও বলেন, ‘যদি কখনও এমন সময় আসে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। তখন কিন্তু আমরা সবাই এক হয়ে যাব। এখানে কোনো ভুল নাই। এখন দলীয় আদর্শিক স্বার্থে হয়তো আলাদা কথা বলছি। কিন্তু যখন জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন হবে, তখন বাংলাদেশের জনগণ এক হয়ে যাবে।’
মির্জা আব্বাস আরো বলেন, ‘আজকে স্মরণ করছি স্বাধীনতার ঘোষক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, অতঃপর দেশে থেকে যুদ্ধ করে তিনি দেশকে স্বাধীন করেছেন। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ মাঝে আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম। গত ৫ আগস্টের পর আবার নতুন করে পেয়েছি। আমি স্বাধীনতার ৭১-এর বীর শহীদ যারা নিজেদের প্রাণের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করে দিয়েছিলেন, রক্তের বিনিময়ে যারা স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, তাদের স্মরণ করছি। তাদের পরিবারের যারা এখনও বেঁচে আছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আজকের এই দিনে দেশবাসীকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের নেতা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মাত্র কিছু দিন আগে জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন করে স্বৈরাচারকে তাড়িয়ে একটা নতুন স্বাদ পেয়েছি। অনেকে বলে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আসলে আজকে স্বাধীনতা দিবস প্রমাণ করে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে বাংলাদেশে কিছু নাই। যারা বলে তারা আজকের স্বাধীনতা দিবসে খাটো করতে চায়, ৭১-এর স্বাধীনতায় তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। সুতরাং এই দিনটাকে তারা খাটো করতে চায়।’
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘আজ খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাইব এবং এই স্বাধীনতাকে যেন ধরে রাখতে পারি, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে এই স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে পারে এজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করবো।’
এ সময় জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি, বিএনপির নেতা আমানুল্লাহ আমান উপস্থিত ছিলেন।