গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী প্রথম ঈদে ফ্যাসিবাদ পুনরুত্থান রোধের সংকল্প বিভিন্ন দলের নেতাদের
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০২:০৩ পিএম, ৩১ মার্চ ২০২৫

ফ্যাসিস্ট আমলে ৩০টির বেশি ঈদ এলেও উৎসব করতে পারেননি বিরোধী রাজনীতিকরা। তাই, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে প্রথম ঈদে ফ্যাসিবাদ পুনরুত্থান রোধের প্রতিজ্ঞা করেছেন তারা।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ৩৬ দিনের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অবসান ঘটে শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনের। প্রায় দুই হাজার মানুষের আত্মত্যাগে স্বৈরাচার মুক্ত হয় দেশ।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে উদ্যাপিত হয়েছে ৩৪টি ঈদ। কিন্তু সেইসব ঈদ কেবলই দুঃখগাঁথা ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের স্মৃতিতে। সেই স্মৃতিই তুলে ধরলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন।
তিনি বলেন, ‘গত ৩০টা ঈদ বিরোধী দলের কোনো নেতাকর্মী শান্তিতে উদ্যাপন করতে পারেনি। আমি বছরের পর বছর বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ পাইনি। বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করতে পারেনি।’
দীর্ঘ দিন জুলুমের শিকার হন ইসলামি দলের নেতারা। বিগত দেড় দশকের ঈদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে যন্ত্রণার কথা তুলে ধরেন তারা।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির মামুনুল হক বলেন, ‘গত সাতটা ঈদ আমাকে দীর্ঘ দিন কারাগারে বন্দি থাকতে হয়েছিল। এই বন্দি অবস্থায় ঈদটা অতিরিক্ত বেদনা নিয়েই হাজির হয়। আমার চেয়ে আরও বেশি নির্যাতিত বহু মানুষ রয়েছে।’
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘মায়ের সঙ্গে ঈদ করার জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা বাড়িতে গেছে। ঘরে ঢোকার আগেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। এমনও হয়েছে। বাসায় ঢোকার আগে ধরে নিয়ে ক্রসফায়ারে গুলি করে হত্যা করে চলে যেত। এমন নির্মম ঘটনা অনেক হয়েছে।’
তবে সম্প্রতি মাঠ পর্যায়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে যে বিভেদ তৈরি হয়েছে, তা দূর করে ঐক্যবদ্ধ থাকার তাগিদ দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব।
তিনি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলকে এক হতে হবে। সবাই মূলত দেশের জন্য, দেশের মানুষ ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য কাজ করবে। সে জায়গা থেকে আমরা মনে করি, সব দলগুলো রাজনৈতিক উদারতার পরিচয় দেবে এবং সব ধরনের বিভেদ ভুলে সবাই একমত হবে।’
নতুন বাংলাদেশে কোনো নাগরিক যেন বিগত দিনের মতো ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অধিকার হরণের শিকার না হয় সে বিষয়ে সোচ্চার থাকার কথা জানান এসব দলের নেতারা।