
আগামী জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল ছাত্রসংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতাই বহন করবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, দেশের নেতৃত্ব এখন তরুণদের হাতে যাবে, আর প্রবীণরা তাদের পেছনে থেকে শক্তি জোগাবে।
শুক্রবার রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদে বিজয়ীদের সম্মান জানাতে এই আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের মূল স্লোগান ছিল “দুর্বার নেতৃত্বে গড়ি স্বপ্নের ক্যাম্পাস”।
ডা. শফিকুর রহমান তরুণ ছাত্রনেতাদের উদ্দেশে বলেন, “তোমাদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থান হয়েছে। আগামী নতুন বাংলাদেশ তরুণদের হাতে গড়ে উঠবে।” তিনি আরও বলেন, “আগামী নির্বাচনের ফল হবে ডাকসু, জাকসু, রাকসুর মতো। তরুণরা ককপিটে বসে দেশ পরিচালনা করবে; আমরা পেছন থেকে শক্তি জোগাব।”
তিনি দাবি করেন, সাম্প্রতিক ছাত্রসংসদ নির্বাচনের ফলাফল থেকেই ভবিষ্যৎ রাজনীতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। “লোকেরা আমাকে জিজ্ঞেস করে, আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে? আমি বলি, কয়েকটা দিন অপেক্ষা করেন। যেমন হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, তেমনই হবে আগামীর বাংলাদেশ,” বলেন তিনি। এ সময় তিনি ছাত্রদের একাডেমিক উৎকর্ষ, গবেষণা, জ্ঞানচর্চা ও সততার ক্ষেত্রে শতভাগ সাফল্যের চেষ্টা করার আহ্বান জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন। ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজনে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, রফিকুল ইসলাম খান, চাকসুর সাবেক ভিপি জসিম উদ্দিন সরকার, ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম, জাকসু ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু, চাকসু ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি, রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, জাকসুর এজিএস আয়শা সিদ্দিকা মেঘলা এবং রাকসুর নির্বাহী সদস্য সুজন চন্দ্র।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য, জুলাইযোদ্ধা এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা। আয়োজকরা জানালেও ছাত্রদলের কোনো প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।