ওয়াশিংটন ডিসিতে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন
- প্রকাশঃ ০২:০৭ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় ভার্জিনিয়ার আর্লিংটন কাউন্টির কেনমোর মিডল স্কুল অডিটোরিয়ামে এই দিবসটি পালন করা হয়।
আর্লিংটন কাউন্টি ও আর্লিংটন আর্টসের সার্বিক সহযোগিতায় ডিসি একুশে এলায়েন্সের (ডিসিইএ) আয়োজন ও সামাজিক সংগঠন ধ্ৰুপদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আর্লিংটন কাউন্টি এবং ওয়াশিংটন ডিসি এলাকার ২৯টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এই অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত প্রচার ও সমবেত কণ্ঠে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো’ পরিবেশন করা হয়। এরপর ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্য চিত্র তুলে ধরা হয়।
ফয়সাল কাদের ও তাসকিন বিনতে সিদ্দিকীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে স্থানীয় আমেরিকানসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ছিলেন প্রিয় বাংলার প্রিয়লাল কর্মকার। অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-রাষ্ট্রদূত ডিএম সালাউদ্দিন মাহমুদ, আর্লিংটন কাউন্টির কমিশন ফর দ্যা আর্টসের চেয়ারম্যান অ্যাডাম গ্রীণ ও সাবেক চেয়ারম্যান মার্শা সিমেল, ইউএস সিনেটর মার্ক আর ওয়ার্ণারের আউটরিচ রিপ্রেজেনটেটিভ জ্যাকলিন মারমল, ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাবলিক হিউম্যানিটিজ কনসাল্টেন্ট অ্যান্ড রাইটার ডেভিড বিয়ানজার, আর্লিংটন স্কুল বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও ড্রিম প্রজেক্টের প্রতিষ্ঠাতা ড. এমা ভায়োল্যান্ড-স্যানচেজ, আর্লিংটন স্টুডিও পজের প্রতিষ্ঠাতা ড. সুষ্মিতা মজুমদার।
অনুষ্ঠানে সালাউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘৫২’র ভাষা আন্দোলনে আমাদের ভাইয়েরা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বলেই আজ আমরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলি। ভাষা আমাদের যোগাযোগের মাধ্যম-এক অনন্য উপহার। আর এই উপহার ছাড়া আমরা আমাদের মনের ভাষা প্রকাশ তথা যোগাযোগ করতে পারতাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের সব ভাষাভাষীর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল হওয়ার ও ভাষা রক্ষায় কাজ করার দায়িত্ব রয়েছে।’
বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে ভাষার জন্য কমিউনিটি সদস্যদের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আবৃত্তিকার অদিতি সাদিয়া রহমানের নির্দেশনায় শিশু শিল্পীদের পরিবেশনা অ আ-র ফুলঝুড়ি’ পরিবেশিত হয়। এতে শিশুরা সমবেত কণ্ঠে ‘চল চল চল’, ‘ভোর হলো দোর খোল’, ‘হাট্টি মাটি মটিম’, ‘আহ কি আনন্দ আকাশে বাতাসে’ গানগুলো পরিবেশন করে। এছাড়া আলী আনন্দের সংকলন ও পরিচালনায় বাংলা বর্ণমালা নিয়ে শিশুদের সমবেত গান ‘অ আ’ পরিবেশন করা হয়। এ পর্বে শফিকুল ইসলামের গ্রন্থনা ও পরিচালননায় অমর একুশের উপর একটি ভিডিও চিত্রও দেখানো হয়।
সবশেষে এবারের একুশে এলাায়েন্সের প্রধান সমন্ময়ক হিরণ চৌধুরীর ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও আয়োজক সংগঠনগুলো ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।