বাংলাদেশে ইউএসএআইডি প্রকল্প চালু রাখার আহ্বান সিনেটর চাক শ্যুমারের
- প্রকাশঃ ০৪:২৬ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা, মানবিক সহায়তা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) সহায়তা স্থগিত করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন সিনেটের বিরোধী দলীয় নেতা চাক শ্যুমার।
ওই সহায়তা ফের চালু করার আহ্বান জানিয়ে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘এমন একটি ভুলের জন্যে নিদারুণ কষ্টের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক এবং এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থও ঝুঁকিতে ফেলবে।’
২০২৪ সালে ইউএসএআইডি ৩৭১ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে দিয়েছে, যা ব্যবহার হয়েছে মানবিক সহায়তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা এবং সামাজিক সেবা, দুর্যোগ মোকাবেলাসহ পরিবেশ সুরক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকল্পে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসেই বিদেশে সহায়তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন। তাতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টসহ (ইউএসএআইডি) বিভিন্ন বৈশ্বিক কর্মসূচির কোটি কোটি ডলারের তহবিল হুমকির মুখে পড়েছে।
বিদেশে মার্কিন সহায়তা ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না’ তা পর্যালোচনার জন্য ফেব্রুয়ারিতে মানদণ্ড তৈরি করবে ট্রাম্প প্রশাসন। এই পর্যালোচনার পরে সহায়তা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া, সংশোধন করা বা সমাপ্ত করা হবে কি না- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চাক শ্যুমার বলেছেন, ‘ইউএসএইড’র কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করায় বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের ওপর বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছ; একইসঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতি-স্বার্থকেও নাজুক অবস্থায় ফেলতে পারে। বাংলাদেশকে নানাভাবেই সহায়তা দেওয়ার মানে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে দেশটির মানবিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।’
চাক শ্যুমার বলেন, ‘জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন প্রকল্পে আকস্মিকভাবে অর্থায়ন বন্ধ ঘোষণা করায় বাংলাদেশের মত বহুদেশের সামাজিক, মানবিক ও জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে নেওয়া হয়েছে। এ জন্যে আমি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে ইউএসআইডির কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত পাল্টানোর জন্য এবং বাংলাদেশের জন্যে মঞ্জুরিকৃত অর্থের ছাড় দেওয়া হোক।’