মেরীল্যান্ডে বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের একুশে উদযাপন

  • প্রকাশঃ ০৫:০১ পিএম, ০১ মার্চ ২০২৫

Feb 2025/Marilande 21.JPG

যুক্তরাষ্ট্রের মেরীল্যান্ড রাজ্যে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে মহান একুশে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বই উৎসব। অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বই উৎসব ছিল একুশের মূল আকর্ষণ। শিশুদের চিত্রাঙ্কন, গাং, নাচ ও কবিতা আবৃতিতে মোড়ানো একুশের অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি অংশ নেয়।
 
গত ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মেরীল্যান্ডের সিলভার স্প্রিং শহরের রস্কো আর নিকষ এলিমেন্টারি স্কুল অডিটোরিয়ামে এ আয়োজন করে বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন ইনক মেরীল্যান্ড। একুশে অনুষ্ঠানে স্থানীয়, ভার্জিনিয়া ও ওয়াশিংটন স্টেট থেকে ছুটে আসেন বাংলাভাষা প্রেমী বাঙালিরা। অনুষ্ঠানে দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আগস্টিন বিপুল ডি কস্তার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে সহ সভাপতি নিয়তি নির্মলা রেগো বলেন, ‘বাংলা ভাষা আমাদের প্রাণের ভাষা। এই ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন অনেকে। তাই, বাংলা ভাষা আমাদের কাছে গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। প্রবাসের মাটিতে আমরা প্রাণের ভাষার ব্যবহার ও প্রসার ঘটাতে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সংগঠন বছরব্যাপী বাংলা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।’

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও উপস্থিত দর্শকবৃন্দ। এই সময় সুকুমার পিউরিফিকেশন ধারাবাহিকভাবে বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার পটভূমি তুলে ধরেন। 

অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্যায়ে সুবীর কাস্মীর পেরেরার দুটি কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন রাজনীতিবিদ, সংগঠক ও তরুণ প্রজন্মের অগ্রপথিক উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার বাপ্পী ও যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা মাহমুদ।  সাথে ছিলেন সংঠনের উপদেষ্টা জুড ভি গোমেজ, অতুল পিউরিফিকেশন, নিয়তি নির্মলা রেগো, আইরিন পিউরিফিকেশন, মুক্তা মেবেল রোজারিও ও মুক্তি গোমেজ। মোড়ক উন্মোচন পরিচালনায় ছিলেন সুকুমার পিউরিফিকেশন। 
 
অনুষ্ঠানে শেষ পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সংগঠনের সহ সাধারণ সম্পাদক বিভাষ ফ্রান্সিস রোজারিওর উপস্থাপনার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় সৃষ্টি নৃত্যাঙ্গন, মঞ্জুরি নৃত্যালয়, মুক্তা মেবেল রোজারিওর গানের শিক্ষার্থী এবং বিসিএর সংগীত দল। দেশের গানের তালে তালে সব বয়েসের বাঙালির হাতে বাংলাদেশের পতাকা একটি ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়। 

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিচালনায় ছিলেন মুক্তা মেবেল রোজারিও। নৃত্যে কোরিওগ্রাফিতে ছিলেন নৃত্যশিল্পী রোজ মেরী মিতু রিবেরু ও নৃত্যশিল্পী শিল্পী গ্লোরিয়া রোজারিও। অনুষ্ঠান পরিকল্পনায় সাংস্কৃতিক সম্পাদক লিমা কোরাইয়া ও মুক্তা মেবেল রোজারিও। 

একুশের অনুষ্ঠানে এই প্রথম যুক্ত হল বই উৎসব। চপল ইগ্নেশিয়াস পেরেরা ও মিল্টন মাইকেল রোজারিও তত্বাবধানে বইয়ের স্টলে ছিল স্থানীয় লেখকের প্রকাশিত বই। এছাড়া এবারের প্রথম বাংলা খাবারের স্টলে ছিল দেশীয় খাবারের সমাহার। 

ঢাকাওয়াচ২৪ এর খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন ।
ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×