লন্ডনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের অমর শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে ৫৪তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ২৬ মার্চ হাই কমিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে আয়োজিত এক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ ২৪ বছরের নির্ভীক, আপোষহীন ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব ছাড়া বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বিশ্বে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতো না। হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতার আদর্শই অনুসরণ করে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। হাইকমিশনার ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে যুক্তরাজ্যে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সফর এবং ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকই বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে এবং পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাজ্য সরকার ও জনগণ এবং যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের অসাধারণ অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান। বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক ও আবদুল আহাদ চৌধুরী বক্তব্যে রাখেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার অতিথি ও মিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর আগে হাইকমিশনার দূতাবাসে কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। ব্রিটিশ-বাংলাদেশি  কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তি ও মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা  এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

তুরস্কে মর্যাদায় জাতীয় গণহত্যা পালিত

বাংলাদেশ দূতাবাস আংকারায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে বাংলাদেশের নিরীহ, নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত মানুষের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরোচিত গণহত্যাকে স্মরণ করে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ২৫শে মার্চের কালো রাতে নিহত নিরস্ত্র বাঙালি ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরণে উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। পরে দূতাবাসের কর্মকর্তারা দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করে শোনান। এরপর গণহত্যা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা পর্বে প্রথমেই বক্তব্য দেন করেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমান। প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংগঠন লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলারস-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এরপর বক্তব্য দেন কন্ট্রোলার জেনারেল অব অ্যাকাউন্টস আবুল কালাম আজাদ, তিনি বর্তমানে ওই দূতাবাসে অডিট করার উদ্দেশে আঙ্কারাতে অবস্থান করছেন। আলোচনায় রাষ্ট্রদূত আমানুল হক তার বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সব শহীদ সদস্যদের এবং ২৫শে মার্চের কালরাতে নিহত নিরস্ত্র বাঙালিসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরিচালিত অপারেশন সার্চ লাইটকে পৃথিবীর জঘন্যতম এবং ইতিহাসে বিরল হত্যাযজ্ঞ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত হামলার পর ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। তিনি আলোচনায় বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার বিষয়ে আলোকপাত করেন। এছাড়াও প্রয়োজনে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণের পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার যাত্রায় দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সব বাংলাদেশিকে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য সমাপ্ত করেন। শেষে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের কালরাত্রিতে নিহতদের ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইতালিতে বাংলাদেশ কমিউনিটি-ভিচেন্সা সিটির উদ্যোগে ইফতার

ইতালি : ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ কমিউনিটি- ভিচেন্সা সিটির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে। রোববার (২৪ মার্চ) ইতালির ভিচেন্সায় (teatro san giuseppe ) কাঁচা বাজারের সামনে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভিচেন্সায় বসবাসরত প্রায় ৫ শতাধিক বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। এদিন স্থানীয় মসজিদ, মার্কেট , দোকানে ইফতার বিতরণ করে সংগঠনটি। ইফতার আগ মুহূর্তে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয় । পরে ফি‌লি‌স্তি‌নি‌দের মুক্তি, জা‌তি ও সারা বিশ্বে মুস‌লিম উম্মাহর সুখ শা‌ন্তি সমৃ‌দ্ধি কামনা ক‌রে মোনাজাত করা হ‌য়। এতে এসময় উপস্থিত ছিলেন , সভাপতি­ ­: এমদাদুর রহমান চৌধুরী ,সিনিয়র সহ – সভাপতি­ ­: মোঃ কামরুজ্জামান ,সাধারন সম্পাদক ­: তারেক আহমেদ ,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ­: হেলাল আহমেদ ,সাংগঠনিক সম্পাদক ­: রনি শেখ , প্রচার সম্পাদক ­: মাসুদ আলী , দপ্তর ও আইন সম্পাদক ­: জাহাঙ্গীর হুসেন, অর্থ সম্পাদক ­: শিবলী সাদিক, ধর্ম সম্পাদক ­: জামাল উদ্দিন , সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ­: আব্দুল হালিম, ক্রীড়া সম্পাদক ­: মোঃ জামাল উদ্দিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ­: এমদাদুল হক , আপ্যায়ন সম্পাদক ­: মোঃ মোবারক হোসেন। সহ – সভাপতি­ ­: বিপুল দাস ,সহ – সভাপতি­ ­: সেলিম হুসাইন , সহ – সভাপতি­ ­: মইনুল ইসলাম মিন্টু, সহ -সাধারন সম্পাদক ­: মহিন উদ্দিন , সহ – প্রচার সম্পাদক ­: ইসমাইল হুসেন স্বপন ,সহ – ধর্ম সম্পাদক ­: আব্দুস সাত্তার , সহ – সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ­: রাজিব চৌধুরী, সহ – ক্রীড়া সম্পাদক ­: মোঃ মনজুর রহমান ,সহ – সাংস্কৃতিক সম্পাদক ­: মামুন। কার্যকরী পরিষদ সদস্যদের মধ্যে রকুন মুহাম্মেদ , মোঃ মুরাদ , মামুন খান, মতি ,বশির, মোঃ আলম, সফিকুর রাহমান, জমির আলী। উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ­: মোঃ আফিল উদ্দিন, উপদেষ্টা ­: খান মাহমুদ , উপদেষ্টা ­: গিয়াস উদ্দিন, উপদেষ্টা ­: মজিবর রহমান চৌধুরী, উপদেষ্টা ­: নকুল দাস ,উপদেষ্টা ­­: ময়না মিয়া , উপদেষ্টা ­: জামাল উদ্দিন ,উপদেষ্টা ­: খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম। অথিতি হিসেবে ছিলেন , মুহাম্মদ আলমগির , আলী উসমান ,আব্দুল খালিক জুনুন সেলিম। এছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিটি- ভিচেন্সা সিটি ইতালির ইফতার অনুষ্টানে ভিচেন্সা এলাকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ,বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন উদ্‌যাপন করল মালদ্বীপ আ.লীগ

জাতির পিতার ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম কে আর কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি আল-হাজার দুলাল মাদবর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ভিউ কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দুলাল হোসেন, এন.বি.এল. মানী ট্রান্সফার মালদ্বীপ প্রা. লি. ডিরেক্টর মো. হান্নান খান কবির, ব্যবসায়িক মো. মুজিবুর রহমান, হাজী মো. সাদেক (সিনিয়র সহ-সভাপতি,সহ সভাপতি, মো. মনির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম রিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান আনিচ, মো. কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক রুবেল মৃদা, অর্থ সম্পাদক গাজী জাহিদ, সহ-অর্থ সম্পাদক দেলোয়ার, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজু, ক্রীড়া সম্পাদক মো. নুরে আলম ভূইয়া, রফিকুল ইসলাম, সোহাগ সরদার,আবুল কালাম অলিউল্যা, আমির হো., বিল্লাল হোসেন, পারভেজসহ প্রমুখ। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এছাড়া স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রবাসীদের নানামুখী ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়া বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে প্রবাসীদের ভূমিকা রাখার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন। আলোচনা সভায় প্রবাসী গণমাধ্যমকর্মীসহ বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে সেদেশের রাজধানী ক্যানবেরাসহ বিভিন্ন রাজ্যের শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করে। এছাড়া রোববার (১৭ মার্চ) বাংলাদেশ হাইকমিশনে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় শিশু-কিশোরদের নিয়ে কেক কাটেন এবং তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শনের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও সংগ্রামের পরিণতি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু তার সাহস ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে সমগ্র জাতিকে সংগঠিত ও স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেন। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বেঁচে থাকবে। বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু কখনও আপস করেননি। দেশে-বিদেশে শিশু-কিশোরদের মাঝে দেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফিরাত ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত এবং নিজ নিজ ধর্মমতে মৌন প্রার্থনা করা হয়। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এর আগে হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দীকী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসব অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি, বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

রোমে মহিলা সংস্থা ইতালির নতুন কমিটি

ইতালি : মহিলা সংস্থা ইতালির নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। ইতালির রাজধানী রোমের রসই রেস্টুরেন্টের হলরুমে আয়োজিত সংগঠনের সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সভাপতি নির্বাচিত হন সৈয়দা মাসুদা আক্তার (আরিফা), সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন রওশন আরা সিদ্দিকী (মুন্নী)। সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনের উপদেষ্টা জামিলা মঞ্জুরী ও মনোয়ারা আহমেদ মনি। নবগঠিত কমিটিতে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শান্তা শিকদার, উপদেষ্টা জামিলা মঞ্জুরী, সুরমা আক্তার, শামীমা বকশি, রিনি আসাদ, সিনিয়র সহ সভাপতি মনোয়ারা আহমেদ মনি, সহ সভাপতি জাকিয়া উল্লাহ, শাহিন আক্তার, ফারিয়া আঁখি, সাবিনা সুলতানা রিনা, সহ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রেহানা আক্তার রেনু, সম্পা হোসাইন, রাফিয়া ইসলাম গ্লোরি, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সারমিন জাহান সুবর্ণা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে চম্পা শরিফ, রিনা আক্তার, আকলিমা আক্তার লিমা, সাঞ্জিদা বাসের, দিনা ইসলাম, প্রচার সম্পাদক রিমা আক্তার, দপ্তর সম্পাদক আলেয়া বেগম মনোনিত হন। নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রবাসে নারীর সকল অধিকার আদায়, নারীদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা এবং যে কোন সমস্যায় সকলকে নিয়ে একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। শেষে বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, কেক কাঁটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন উপস্থিত সকলে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ঈদ সামনে রেখে ইতালিতে শুরু হয়েছে প্রবাসিদের কেনাকাটা

ইতালি : গত সোমবার (১১ মার্চ) থেকে ইতালিতে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান। দেশটির বিভিন্ন শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি মুসলমানসহ অন্যান্য দেশের মুসলিমরা মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করে এবং সেহরি খেয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে রোজা রাখছেন। এইদিকে রমজান শেষে খুশির ঈদকে সামনে রেখে ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের শুরু হয়েছে ঈদ কেনাকাটা। প্রতি বছর ঈদের আগেই শুরু হয়ে যায় ছোট বড় সকলের নানা ডিজাইনের পোশাক কেনা কাটা। প্রবাসের কর্মব্যস্ত জীবনে রমজানের শুরু থেকেই ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়ে যায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের। ইতালির রোম,মিলান,তুরিনো,নাপোলি,ভেনিস,ভিচেন্সা সহ দেশটির বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশি প্রবাসীরা রমজান পালন এবং ঈদ কেনাকাটা করছেন। ভেনিসে বাংলাদেশী মালিকানাধীন সবচে বড় দোকান ইশা বুটিক । ঈদকে সামনে রেখে ছোট ও বড়দের নানা ডিজাইনের পাঞ্জাবি , ফতুয়া , লুঙ্গি, চামড়ার সেন্ডেল ও মেয়েদের বাহারি রংয়ের সেলোয়ার, কামিজ , লেহেঙ্গা , শাড়ী, গহনা, পার্স সুলভ মূল্যে বিক্রি শুরু হয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত হতে আনা নানা পন্য শোভা পাচ্ছে দোকানে। পাশাপাশি বাংলাদেশী প্রবাসী নারীরা অনলাইনে ঈদ পন্য বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। তবে ভেনিসের মেস্রে ভিয়া অলিভে অবস্থিত ইশা বুটিক এর কর্ণধার বদরুন্নেসা চৌধুরী জানান, এই ঈদে তার প্রতিষ্ঠানে ক্রেতাদের দেয়া হবে বিশেষ ছাড়। কেনাকাটা সামর্থ্য অনুযায়ী যেমন হউক না কেনো এই ঈদে বয়ে আনবে আনন্দ , সুখ ও সমৃদ্ধি , ভেদাভেদ ভুলে আনন্দ ভাগাভাগি করবে সকলে এটাই সকলের প্রত্যাশা। ইতালিতে বৈধভাবে প্রায় আড়াই লাখ বাংলাদেশির বসবাস। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের পাশাপাশি বাঙালি সংস্কৃতি ও উৎসব পালনের জন্য ইতালিতে বাংলাদেশিদের বিভিন্ন বাংলা কমিউনিটি গড়ে উঠেছে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

মিলান কনস্যুলেটে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলানের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ইতালিতে পালিত হলো “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ” দিবস। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শাহদাত বরণকারী জাতির পিতার পরিবারের সদস্যগণের পবিত্র স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ-এর নেতৃত্বে কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মিলান কনস্যুলেটের বঙ্গবন্ধু কর্ণারে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের তাৎপর্য তুলে ধরে একটি আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। এ সময় কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ বলেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বিচক্ষণতা ও কূটনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। এই বক্তব্যের আইনগত ও কৌশলগত দিক রয়েছে। মুক্তিকামী মানুষের নেতা হিসেবে তিনি একদিকে যেমন বাঙ্গালির মুক্তি আন্দোলনের গণতান্ত্রিক পটভূমি তুলে ধরেছেন, অন্যদিকে এই ভাষণের মাধ্যমে কূটনৈতিক প্রজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্ববাসীর সমর্থন আদায় করেছেন। কনসাল জেনারেল আরো উল্লেখ করেন যে, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন তাতে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের প্রত্যেকের উচিত ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যথাযথ ভূমিকা রাখা। প্রবাসীগণের অবদান এ প্রচেষ্টাকে আরও বেগবান করতে পারে। তিনি দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন যে ৭ই মার্চের ভাষণ গভীরভাবে পর্যালোচনাপূর্বক তা আগামী প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে এবং বিদেশি বন্ধুদের সামনে উপস্থাপন করতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান নানামুখী উদ্যোগ নেবে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

২৭ মার্চ থেকে রোম-ঢাকা রুটে ডানা মেলবে বিমান

আগামী ২৭ মার্চ থেকে রোম-ঢাকা রুটে আবার চালু হচ্ছে বাংলাদেশ বিমানের চলাচল। গত বুধবার (৬ মার্চ ) এ উপলক্ষে বাংলাদেশ বিমান রোমে আয়োজন করে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে। ডিস্টালের সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিমানের পরিচালক মার্কেটিং এন্ড সেলস মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমানকে ইউরোপের ট্রাফিক পয়েন্ট হিসেবে নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। বাংলাদেশ বিমান যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করে সঠিক সময়ে চলাচল করবে এ রুটে। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ আমন্ত্রণে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ইতালির সভাপতি আফজাল হোসেন রোমান, সাধারণ সম্পাদক এম ডি রিয়াজ হোসেন, সাদ্য প্রাক্তন সভাপতি খলিল কাওসার শাহিন, যুগ্ম সম্পাদক শিমুল রহমান, প্রচার সম্পাদ সজীব আহমেদ রিয়ন এবং সদস্য হাসান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। বিমানের কর্মকর্তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যরা। দীর্ঘ ৯ বছর বন্ধ থাকার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই রুটে বিমান চালু হচ্ছে। ডিস্টালের কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিমানের ম্যানেজার কমার্শিয়াল প্রিচিং, রেজাউল হক, এজেন্সি ইন্টারলাইন ম্যানেজার শফিউদ্দিন আহমেদ, ডিস্টালের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিসকো ভেনিজুয়েয়ান, সিইও ফ্রান্সিসকো স্গামবেল্লুরি এবং সিএসবি ট্রাভেলস এর কর্ণধার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইকবাল আহমেদ বাবুসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২৬ শে মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় বাংলাদেশ থেকে রোমের উদ্দেশ্যে বিমান ছেড়ে আসবে এবং ইতালির রাজধানী রোমে এসে পৌঁছাবে সকাল সাড়ে আটটায়। বাংলাদেশ বিমান ২৭ মার্চ সকাল দশটায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। ইতালিতে ২ লক্ষাধিক বাংলাদেশীর বসবাস। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ওমান চট্টগ্রাম সমিতির মিলনমেলা

বর্ণিল আয়োজনে ওমানের রাজধানী মাস্কাটে অনুষ্ঠিত হলো চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের মিলনমেলা, শীতকালীন পিঠা উৎসব ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রবাসীরা মেতে ওঠেন আনন্দ-উল্লাসে। ২০১৫ সালে ওমান চট্টগ্রাম সমিতি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশে আর্তমানবতার সেবার পাশাপাশি প্রবাসে দেশি কৃষ্টি-কালচার বিকাশে কাজ করে আসছে। আগামীতে ওমান বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আট লক্ষাধিক প্রবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন সমিতির নেতারা। চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের সিনিয়র জয়েন্টে সেক্রেটারি জামাল চৌধুরী সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের সভাপতি ইয়াছিন চৌধুরী (সিআইপি)। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন সহ সভাপতি সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। ফিতা কেটে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন ওমান বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক (সিআইপি)। এদিকে প্রথমবারের মতো ওমানের বৃহৎ আরেক সংগঠন ওমান বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আয়োজনকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তোলেন। এসময় ক্লাবের নেতাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন চট্টগ্রাম সমিতি ওমানের নেতারা। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সমিতি ওমান, বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব ওমান, বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাট ও এর শাখাগুলো বাংলাদেশ বিমান, ওমান আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা। অনুষ্ঠানে ফ্রি চিকিৎসা সেবার আয়োজন করেন নিউ পাঞ্জা পলিক্লিনিক। এতে বাংলার ঐতিহ্যময় হরেক রকমের পিঠাপুলি ও বাঙালি খাবারের পসরা সাজানো হয়। রঙিন ও বর্ণিল সাজে সজ্জিত ছিল এ পিঠা উৎসব। আয়োজনের প্রদান আকর্ষণ ছিল চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানি। পরে সাংস্কৃতিক পর্বে শিশুদের দৌড় প্রতিযোগিতা, কাপলদের রশি বাধাসহ নাচ গান পরিবেশন করেন ওমানের বাংলাদেশি স্কুলের শিক্ষার্থী ও ওমানে বসবাসরত শিল্পীরা। এ উৎসব ছিল ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আনন্দ ও মিলনমেলার এক অসাধারণ আয়োজন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

রিয়াদে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সংবর্ধনা

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সোমবার ডিপ্লোম্যাটিক কোয়ার্টারে অবস্থিত কালচারাল সেন্টারে এক সংবর্ধনার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে রিয়াদের ডেপুটি গভর্নর ড. ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজ আল সুদাইরী উপস্থিত ছিলেন। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল বিভাগের ডেপুটি মিনিস্টার আব্দুল মাজিদ বিন রাশিদ আল সামারী, সৌদি বাংলাদেশ সংসদীয় ফ্রেন্ডশিপ কমিটির চেয়্যারম্যান খালেদ মোহাম্মদ আল বাওয়ার্দীসহ শুরা কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, সৌদি আরবের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও চেম্বার প্রতিনিধিরা সংবর্ধনায় যোগ দেন। সংবর্ধনায় রিয়াদের বিভিন্ন মিশনের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকগণ যোগদান করেন। এছাড়া বাংলাদেশ কমিউনিটির চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার শতাধিক অভিবাসীও অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী গভীর শ্রদ্ধায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। রাষ্ট্রদূত সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের জন্য সৌদি বাদশাহ ও ক্রাউন প্রিন্সকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক আজ এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে যা আগামী দিনে ব্যবসা, বিনিয়োগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, মানবসম্পদ, পরিবেশসহ বিভিন্ন খাতে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূত এ সময় সৌদি আরবের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন এবং এর ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের সাথে বাংলাদেশ সরকারের সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত পাটোয়ারী বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনের জন্য ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলেছে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইতালিতে প্রবাসীদের মাঝে কোরআন শরীফ বিতরণ

ইতালির ভিছেন্সা প্রবিন্সের থিয়েনে শহরে বসবাসরত বাংলাদেশী যুব সম্প্রদায় বয়স্কদের জন্য সহীহ শুদ্ধ কোরআন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রথম ব্যাচের বয়স্ক শিক্ষার্থীদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ করেন। বাংলাদেশী কমিউনিটি থিয়েনে কর্তিক্রয়কৃত বায়তুল মামুর জামে মসজিদে ছোট বাচ্চাদের পাশাপাশি বয়স্কদের জন্যৈও এই কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছেন, মসজিদের সম্মানিত ইমাম মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ ইসরাফিল হোসাইনী। আলহামদুলিল্লাহ সহীহ শুদ্ধ ভাবে কোরআন শিখতে পেরে অনেকেই উচ্ছ্বাসিত ও শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন এবং সম্মানিত ইমাম এরকম নতুন ব্যাচে শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। মসজিদের সভাপতি- সুলতান সরকার, সাধারণ সম্পাদক- কাজী সাত্তার, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইবরাহিম ইবু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, কোষাধক্ষ সুজন রহমান, সহ-সভাপতি পাটোয়ারী সোহেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিন মোল্লা, সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন । আলোচনায় বক্তারা ইতালির মাটিতে নিজস্ব কৃষ্টি কালচার ও ইসলামী মূল্যবোধে যেন আগামী প্রজন্ম বেড়ে উঠতে পারে, এবং যাতে বিজাতীয় কালচারে আসক্ত অভ্যস্ত না হয়ে পড়ে নিজস্ব কালচার ও ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার আহ্বান জানান এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সমাজের প্রত্যেককে এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মসজিদের সহ-সভাপতি- মশিউর রহমান সুমন, শাহাদাত হোসেন, আফতাব আহমেদ শাকিল, সাইফুল ইসলাম জুয়েল, আমির, রাহেল প্রমুখ। ঢাকাওয়াচ/টিআর

স্পেনে বাংলাদেশের অমিত ব্যবসায়িক সম্ভাবনা

সম্প্রতি স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ দেশটির চামড়াজাত পণ্য ও জুতার রাজধানী হিসেবে পরিচিত এলচে ও আলিকান্তে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদারের অংশ হিসেবে কতিপয় বৈঠকে যোগদান এবং কারখানা পরিদর্শন করেন। এছাড়া, জনকূটনীতি ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের কনস্যুলার ও কল্যাণ কার্যক্রম সহজিকরণ বিষয়ক বৈঠক করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর রেদোয়ান আহমেদ ও স্পেন-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স, ঢাকার সভাপতি আশিক এলাহি চৌধুরী উপস্থিত রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদল স্পেনের বিখ্যাত জুতার ব্র্যান্ড পিকোলিনোসের কারখানা পিকোকাইজেন পরিদর্শন করেন। পিকোলিনোস গ্রুপ গত প্রায় ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশের উন্নতমানের চামড়া ব্যবহার করে জুতা, ব্যাগসহ বিবিধ চামড়াজাত পণ্য তৈরি করে আসছে। এ সময় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোসে মিগেল গার্সিয়া বাংলাদেশি চামড়া দিয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্য তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করেন। কোম্পানির প্রেসিডেন্ট খুয়ান ম্যানুয়েল পেরান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। রাষ্ট্রদূত গত প্রায় দেড় দশকে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও গভীর করার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদল এলচের অদূরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত একটি কৃষি খামার পরিদর্শন করেন। খামারের উদ্যোক্তারা জানান, খামারে উৎপাদিত সবজি স্পেনের ভেতরেসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশকিছু দেশে রপ্তানিও করা হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত এ ধরনের ভিন্নধর্মী ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য উদ্যোক্তাদের ভূয়ষী প্রশংসা করেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের আরও বহুমুখী ব্যবসায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদল আলিকান্ত চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে এক মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দেন। সভায় চেম্বারের ভাইস-প্রেসিডেন্ট খেসুস নাভারো আলবেরোলাসহ আলিকান্তের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল যোগ দেন। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও অবারিত বাণিজ্য সম্ভাবনার বিষয়ে চেম্বারকে অবহিত করে আলিকান্তের ব্যবসায়ী নেতাদের দেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ বৈঠকে স্পেনের সুপরিচিত মশলা ব্র্যান্ড কারমেনসিটা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড লোপেজ, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সেন্ট্রাম, আরএমজি কোম্পানি জোসে মনলোর এসএল থেকে খাভিয়ের আর্টেগা, রাসায়নিক কোম্পানি ইনসোকো থেকে আলেহান্দ্রো রিবেলস, লেদার কোম্পানি সানচেজ আগুলোর থেকে খোসে আন্তোনিও সানচেজ ও পিকোলিনোসের রোজানা পেরানসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। আলিকান্ত ও এর আশেপাশে এলাকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে রাষ্ট্রদূত স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে মতবিনিময় করেন। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং সমাধান দেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর অনুরোধ জানান। এছাড়া, বাংলাদেশ সরকারের পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য এবং ওয়েজ অর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য পদ গ্রহণের জন্য তিনি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। এ সময় সীমিত আকারে কনসুলার সেবা প্রদান ও ওয়েজ অর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্যপদের আবেদনও গ্রহণ করা হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

মিশিগানে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশির মৃত্যু

আমেরিকার মিশিগানে সড়ক দুর্ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলী সাজু (৫৫) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় তার ছেলে শাহজাহান তামিম ও মেয়ে সানজিদা মুমু গুরুতর আহত হয়েছেন। তামিমের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলেও মেয়ে সানজিদা হাসপাতাল লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। রোববার দুপুরে ওয়ারেন সিটির রায়ান সড়কের টেন মাইল ট্রাফিক পয়েন্টের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া আহত অবস্থায় তার দুই সন্তানকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্থানীয়রা জানান, ট্রাফিক পয়েন্টের পাশে বামদিকে মোড় নেওয়ার চেষ্টার করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসময় অপর গাড়ির চালক ও তার এক সঙ্গী আহত হন। তারাও প্রবাসী বাংলাদেশি। এদিকে দুর্ঘটনার কারণ ওয়ারেন সিটি পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে। নিহত জাহাঙ্গীর আলী সাজুর গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের সিলেটে। ব্যবসায়ী সাজু চার বছর আগে সপরিবারে আমিরিকায় যান। তিনি বাস করতেন মিশিগানের ওয়ারেন সিটিতে। মঙ্গলবার বাদ যোহর ডেট্রয়েট সিটির মসজিদ নুরে জাহাঙ্গীরের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে মিশিগানের একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

গ্রিক দ্বীপ থেকে ২ শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার

এজিয়ান সাগরের পূর্বাঞ্চল থেকে দুই শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে গ্রিস। দেশটির উপকূলরক্ষীরা জানিয়েছেন, গেল বছরের মতো চলতি বছরেও এজিয়ান সাগরীয় গ্রিক দ্বীপগুলোতে অভিবাসীদের আগমন অব্যাহত রয়েছে। তারা জানিয়েছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি ক্রিতির দক্ষিণ দিকের গাভদোস দ্বীপ থেকে আরও ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে এজিয়ান সাগরে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় ১১৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ক্রিতিতে নিয়ে আসা পর্যন্ত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে কোন কোন দেশের নাগরিকেরা রয়েছেন, তা জানা যায়নি। কস দ্বীপের পাশ দিয়ে অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে একটি স্পিডবোটকে লাইট বন্ধ করে ছুটে যেতে দেখেছেন টহলরত উপকূলরক্ষীরা। তারা আরও জানিয়েছেন, বোটটিকে থামানোর চেষ্টা করা হলেও তারা তা অমান্য করে ছুটে যায়। এতে বোটে থাকা যাত্রীদের জীবন ঝুঁকিতে পড়বে বলে শঙ্কা করেন তারা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রিক উপকূলরক্ষীরা জানিয়েছেন, তাড়া করে ওই স্পিডবোটটিকে থামানোর পাশাপাশি বোটটি চালানোর দায়িত্বে থাকা দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। গত শুক্রবার ক্রিতি থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে দুর্দশাগ্রস্ত ৮৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে একটি পণ্যবাহী জাহাজ। অভিবাসীবাহী নৌকাটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেলে তারা সাহায্যের আবেদন জানায়। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ৩৫ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। উদ্ধারের পর তাদের গ্রিক উপকূলরক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে আসা হয় ক্রিতির রাজধানী হেরাকিলনের কালন লিমননে। উপকূলরক্ষীরা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার লিবিয়ার তবরুক থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে নৌকাটি ছেড়ে আসে। ইউরোপে পৌঁছাতে নৌকাটিতে থাকা যাত্রীদের প্রত্যেকে তিন হাজার সাতশ থেকে চার হাজার ছয়শ ইউরো করে দিয়েছেন মানবপাচারকারীদের। অনিয়মিত প্রবেশ ও অনিয়মিত প্রবেশে সহযোগিতার অভিযোগে ওই নৌকায় থাকা দুই জনকে আটক করা হয়েছে। জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিসমুখী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা সম্প্রতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সম্প্রতি তবরুক হয়ে ক্রিতিতে আসার রুটটি ব্যবহার করছে মানবপাচারকারীরা। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, এ বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬১২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী গ্রিসের ক্রিতিতে ও গাভদোস দ্বীপে পৌঁছেছেন। তাদের সবাই লিবিয়ার তবরুক থেকে যাত্রা করেছেন। বিচ্ছিন্ন দ্বীপেও আসছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা এজিয়ান সাগরীয় গ্রিক দ্বীপ বারবালিয়াস থেকেও ৪২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছেন দেশটির উপকূলরক্ষীরা। রোববার একটি ভিডিও প্রকাশ করে তারা। সেখানে দেখা গেছে লেসবসের কাছের ছোট্ট এবং বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বারবালিয়াস থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করা হয়। সেদিন নিয়মিত টহলে এসে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সন্ধান পায় তারা। পরে তাদের লেসবসের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়। অপর একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুসহ ২৫ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয় একটি ছোট্ট নৌকা থেকে। গাভদোস দ্বীপের কাছ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে উপকূলরক্ষীরা। হিসাবের তারতম্য অভিবাসী অধিকার রক্ষায় কাজ করা আঞ্চলিক এনজিও এজিয়ান বোট রিপোর্ট (এবিআর) জানিয়েছে, সম্প্রতি গ্রিস ও বিভিন্ন গ্রিক দ্বীপমুখী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ বেড়েছে। এদিকে গ্রিক উপকূলরক্ষীরা বলছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারে তারা বেশ তৎপর রয়েছেন। কিন্তু এনজিওটি বলছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীরা উপকূলরক্ষীদের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে থাকেন। তাই বিপদসংকুল অবস্থায় তারা এনজিওটির কাছে সাহায্য চান। সংস্থাটি এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখেছে, গত চার দিনে এজিয়ান বোট রিপোর্ট ১৫টি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেনেছে অন্তত পাঁচশ অভিবাসনপ্রত্যাশী গ্রিসের বিভিন্ন দ্বীপে পৌঁছেছেন। এবিআর আরও জানিয়েছে, নৌকা নিয়ে এজিয়ান সাগর পাড়ি দিতে চাওয়া দুই-তৃতীয়াংশ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে তুরস্কের উপকূলরক্ষীরা আটকে দেয় অথবা তারা গ্রিক উপকূলরক্ষীদের পুশব্যাক বা জোর করে ফিরিয়ে দেওয়ার শিকার হন। শুধু জানুয়ারিতে গ্রিক উপকূলরক্ষীদের ৩৫টি পুশব্যাকের ঘটনা রেকর্ড করেছে এআরবি। তারা দাবি করেছে, এর মধ্য দিয়ে এক হাজার ১৪৪ জন মানুষকে সুরক্ষা চাওয়ার অধিকার বঞ্চিত করেছে গ্রিক উপকূলরক্ষীরা। মানবাধিকার লঙ্ঘন করে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের তুরস্কের জলসীমায় পুশব্যাক করা হয়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি। তবে পুশব্যাকের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে গ্রিস। ইউরোপীয় আইন অনুযায়ী আশ্রয় চাইতে আসা মানুষকে পুশব্যাক করা নিষিদ্ধ। সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইতালিতে মহান একুশে উদযাপন

ইতালি : ইতালিতে নানা আয়োজনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাস, মিলান কনস্যুলেট এর পাশাপাশি দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সংগঠন, বাংলা স্কুলের আয়োজনে যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করা হয়েছে । ভেনিস বাংলা স্কুলের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ভেনিস বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। এদিন চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে স্কুল কতৃপক্ষ। পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। স্কুলের সাধারন সম্পাদক সোহেলা আক্তার বিপ্লবী অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন আক্তারের বিদায় ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা দিলরুবা জামানকে প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে বরণ করে নেওয়া হয় এদিন। অনুষ্ঠানে স্কুলের সভাপতি সৈয়দ কামরুল সরোয়ারের সভাপতিত্বে – উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আরফান মাস্টার, সহ – সভাপতি নাসির উদ্দিন পান্না, সাধারন সম্পাদক সোহেলা আক্তার বিপ্লবী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লা সোহেল, সদস্য ফকরুল চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম সুজন, মহিলা সম্পাদিকা সুরাইয়া আক্তার, প্ শিক্ষিকা মেহেরুন নেছা মলি, কাজল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান, সদস্য সুমন সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক নূরে আলম, ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইতালির সভাপতি জাকির হোসেন সুমন প্রমুখ। যথাযোগ্য মর্যাদায় অস্থায়ী শহীদ মিনারে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করেছে ইতালি আওয়ামী লীগ ভেনিস শাখা। এইদিন ভেনিসে আ.লীগের উদ্যোগে ভেনিস যুবলীগের সহযোগিতায় বাংলাদেশের সঙ্গে সময় মিলিয়ে প্রথম প্রহরে ভেনিস আ.লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহম্মেদ এর নেতৃত্বে অস্থায়ী শহীদ মিনারে বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক এবং আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এই সময় উপস্থিত ভেনিস আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সোলেমান হোসেন, তাজুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, কুদ্দুছ চৌধুরী ,কাজী রোনাক সহ সকল নেতৃবৃন্দরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য্যের ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন। প্রথমেই শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তর্পক অর্পণ করেন ভেনিস আওয়ামীলীগ। তারপরে ধারাবাহিক ভাবে শ্রদ্ধা জানান ভেনিস যুবলীগ,বৃহত্তর ঢাকা সমিতি ,বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি ,নরসিংদী সমিতি ,ভৈরব সমিতি ,ভৈরব পরিষদ ,আব্দুল্লাপুর আঞ্চলিক সমিতি ,কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতি ,ভেনিস বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি ,ব্রাম্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি ,সাংবাদিক পরিবার সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। এসময় একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান এবং অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণের জন্যে সবাইকে ধন্যবাদ জানান আয়োজকরা। এইদিকে, একুশে ফেব্রয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে এসিএস ভেনিস ক্লাব। একুশের প্রথম প্রহরে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ সকল ভাষা শহীদদের স্মরণে ইতালির ভেনিসে এসিএস ভেনিস ক্লাবের আয়োজনে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শহীদ দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন এসিএস ক্লাবের সভাপতি মোশারফ মোল্লা,আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মশিউর রহমান, সম্মিলিত নাগরিক কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম ,এসিএস ভেনিস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ ,ক্লাবের স্পনসর মামুন আহমেদ ,আকন হিরু ,সজীব আহমেদ ,কামাল হোসেন ,মেহেদী আহমেদ। এছাড়াও ইতালিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে বৃহত্তর ফরিদপুর প্রবাসী কল্যাণ সমিতি রিমিনি। এ বছর প্রথমবারের মত স্থানীয় একটি পার্কে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরী করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভাষা আন্দোলনের সকল শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। বৃহত্তর ফরিদপুর প্রবাসী কল্যাণ সমিতির সভাপতি দুলাল শিকদারের সভাপতিত্বে সহ সভাপতি রবিন হাসানের পরিচালনায় ভাষা দিবসের সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফারুক আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপাস্থিত ছিলেন রিমিনি শহরের কমুনের সিন্দাকো জামিল সাদে গুলবাদ।সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান ,রায়হান আহমেদ। এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ সভাপতি শহিদুল মোড়ল ,রাজু মুন্সী ,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম হাওলাদার ,সাংগঠনিক রাজীব খান ,অর্থ সম্পাদক কালু হাওলাদার ,সহ অর্থ সম্পাদক দেলোয়ার শিকদার ,দপ্তর সম্পাদক সাত্তার তালুকদার ,সহ দপ্তর সম্পাদক তাইজুল আকন ,আন্তর্জাতিক সম্পাদক মৃদুল শিকদার ,ক্রীড়া সম্পাদক শাহীন শিকদার প্রমুখ। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইতালির তরিনোতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

ইতালিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। অন্যান্য শহরের মতো তরিনো শহরে এবছর প্রথম বারের মতো অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে বায়ান্নোর সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশীরা। ইতালি আওয়ামী লীগ তরিনো শাখার উদ্যোগে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান সংগঠনের নেতাকর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশের সাথে মিল রেখে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় একটি পার্কে নির্মিত এই অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিতে সমবেত হন তরিনোর বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ইতালি আওয়ামী লীগ তরিনো শাখার সভাপতি খোকন ছৈয়াল সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ আশরাফ হোসেনের সার্বিক তত্বাবধানে উপস্থিত ছিলেন আব্দুস ছালাম, রিপন চৌকিদার, মনির ফকির, সেলিম মিয়া, হাজী মোঃ ইসমাইল শিকদার, মোঃ আকবর ছৈয়াল, শাহিন খান, বাসার মিয়া, আলামিন খলিফাসহ আরও অনেকে। এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন তরিনোতে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার ও বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করবে তরিনো আওয়ামী লীগ। তারা আরও বলেন দেশীয় সংস্কৃতি ও বাংলা ভাষাকে প্রবাসে ছড়িয়ে দিতে ধারাবাহিকভাবে জাতীয় ও উল্লেখযোগ্য দিবস সমূহ পালন করা হবে তরিনো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। প্রথমেই ইতালি আওয়ামী লীগ তরিনো শাখার পক্ষ থেকে নেতৃবৃন্দ নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বৃহত্তর ঢাকা সমিতি, কমিল্লা জেলা সমিতি,বৃহত্তর সিলেট এ্যাসোসিয়েশন, শরিয়তপুর কল্যাণ সমিতি, মাদারীপুর, ভৈরব, চাঁদপুর,গোপালগঞ্জ, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

বর্ণাঢ্য আয়োজনে মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দুইদিনব্যাপী মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। এই উপলক্ষে, গত ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখ মঙ্গলবার , কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন, সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার টেলরস ইউনিভার্সিটির (Taylor’s University) স্কুল অফ লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস এর সহযোগিতায় ‘প্রযুক্তির মাধ্যমে বহুভাষিকতার প্রসার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উদযাপন করেছে।খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টেইলর’স বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ্র্যান্ড হলে’ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা, প্যানেল আলোচনা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং নয়টি দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এম পি ‘র ধারণকৃত বক্তব্য প্রচার করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তার বক্তব্যে ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ স্মরণে বিভিন্ন দেশ এবং বিভিন্ন ভাষাভাষীর জনগোষ্ঠীকে নিয়ে আয়োজিত ভিন্নমাত্রিক এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মাতৃভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং স্বাধীনতার পথ দেখিয়েছে। তিনি ঐতিহাসিক মাতৃভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান তার বক্তব্যে বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন সারা বিশ্বে ভাষাগত বৈচিত্র্য উদযাপনের দিনে পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকাসহ শহীদদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। অনুষ্ঠানের মূল আলোচনা সভায় অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, পরিচালক, সেন্টার ফর অল্টারনেটিভস, বাংলাদেশ এবং, মিসেস মাকি কাতসুনো-হায়াশিকাওয়া (Ms Maki Katsuno-Hayashikawa),কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইউনেস্কো আঞ্চলিক অফিস, জাকার্তা এর ধারণকৃত বক্তব্য প্রচারিত হয়। অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর ড. অনিন্দিতা দাশগুপ্ত (Dr. Anindita Dasgupta), বিভাগীয় প্রধান-স্কুল অফ লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস, টেলরস ইউনিভার্সিটি। এই পর্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর একটি প্রামণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং মাকি কাতসুনো-হায়াশিকাওয়া তাদের ধারণকৃত বক্তব্যে বহুভাষিকতা রক্ষা ও প্রচারের জন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং এর ব্যবহার এর উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। প্রফেসর ড. অনিন্দিতা দাশগুপ্ত তার সমাপনী বক্তব্যে, শিক্ষায় মাতৃভাষার ব্যবহার এবং ভাষা সংরক্ষণে প্রযুক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ড. ইয়াং হুই (Dr.Yang Hui), এশিয়া প্যাসিফিক জার্নাল অফ ফিউচার ইন এডুকেশন অ্যান্ড সোসাইটি (এপিজেএফইএস) এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ড. কালাই ভানি রাজন্দ্রাম(Dr Kalai Vaani Rajandram), এবং স্যার এম বিশ্বেশ্বরায়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, ব্যাঙ্গালোর এর (Sir M Visvesvaraya Institute of Technology, Bangalore) এর শিক্ষক গৌথম কুমার (Mr. Goutham Kumar)। এ সময়, আলোচকগণ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে সকল ভাষাভাষীর ঐক্যের চেতনার কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে তারা ঐক্যের একটি শক্তিশালী ও অনুপ্রেরণামূলক বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বর্ণনা করেন। বক্তাগণ বহুভাষিকতার প্রসারে প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের পাশাপাশি, হাই কমিশনার মোঃ শামীম আহসান, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বিদেশী অতিথিদের সাথে নিয়ে, মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এই প্রদর্শনীতে ’৫২ র ভাষা আন্দোলন এর পথ ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের ধারাবাহিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে, নয়টি দেশের শিল্পীদের সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। ভারত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নাইজেরিয়া, রাশিয়ান ফেডারেশন, সুদান, তানজানিয়া, নেপাল এবং বাংলাদেশ হাই কমিশন পরিবারের সদস্যগণ এবং শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দর্শকদের বিমোহিত করে।একই মঞ্চে বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের বর্ণিল পরিবেশনা এক অনন্য সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। উক্ত অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার এর সহধর্মিণী, কর্মকর্তাগণ এবং তাদের পরিবারবর্গ, বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিকগণ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ, সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক প্রবাসী সদস্যগণ তাদের পরিবারসহ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি এবং মালয়েশিয়ান খাবার পরিবেশন করা হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ বুধবার সকালে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে। অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে হাইকমিশন প্রাংগনে প্রভাতফেরির মাধ্যমে হাইকমিশনের অস্থায়ী শহীদ মিনারের বেদীতে হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান এর নেতৃত্বে হাইকমিশন পরিবারের সদস্যবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। অত:পর, মালয়েশিয়ায় সফররত বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্সের সদস্যবৃন্দ,স্থানীয় কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিকসংস্থার সদস্যবৃন্দ পর্যায়ক ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইসলামাবাদে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কালো ব্যাজ ধারণ, দূতালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে অর্ধনমিত করা, অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বাণীপাঠ, আলোচনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও ভাষা আন্দোলন শীর্ষক ভিডিওচিত্র প্রদর্শন এবং বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। এ উপলক্ষে দূতালয় প্রাঙ্গণ শহীদ দিবসের ব্যানার, বাংলা বর্ণমালা ও ভাষা দিবসের পোস্টার দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দূতালয় প্রাঙ্গণে একটি অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং শিশুদের নিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দেন। এসময় সবাই ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি গাইতে থাকেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। হাইকমিশনার তার সমাপনী বক্তৃতায় বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে মাতৃভাষা বাংলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তিনি বলেন, আমাদের মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অনেক। এ এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল। ১৯৪৮ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে গঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্ব দেন ও বারবার কারা বরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন জোরদার হয় ও ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ অনেকের আত্মত্যাগের বিনিময়ে তা চূড়ান্ত রূপ লাভ করে। অনুষ্ঠানের শেষে ভাষা শহীদদের স্মরণে কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করে শিশুরা। ঢাকাওয়াচ/টিআর

উজবেকিস্তানে মহান একুশের গল্প শোনালেন রাষ্ট্রদূত

উজবেকিস্তানে মহান ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্যের গল্প শোনালেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এক অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও অবদানের কথাও জানান তিনি। দূতাবাস থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল মহান ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্যের ওপর আলোচনা করেন। উজবেকিস্তানে নিযুক্ত ভারত, তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ কূটনীতিক, অধ্যাপক, গবেষক, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী মিলিয়ে তিন শতাধিক দর্শক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ল্যাঙ্গুয়েজের ভারপ্রাপ্ত রেক্টর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ চুতপুলেটভ ও উজবেকিস্তানে নিযুক্ত ইউনেস্কো প্রতিনিধি মিস সারা নাশাদ। এ সময় উজবেকিস্তানের স্বনামধন্য শিল্পীরা ও উজবেকিস্তান স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওয়ার্ল্ড ল্যাঙ্গুয়েজের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ, ভারত, চীন, তুরস্ক, রাশিয়া, উজবেকিস্তান ও ফ্রান্সের ঐতিহ্যবাহী, জনপ্রিয় সঙ্গীত ও নৃত্য মঞ্চস্থ করেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইতালিতে নানা আয়োজনে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

ইতালি : ইতালিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-অমর একুশ পালিত হয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গর্ব আর শোকের এদিন পালন করেছে ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। রোমে আইজাক রবিন পার্কে স্থায়ী শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান, রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর পরেই বাঙালিদের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা এবং সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। রোম দূতাবাস ছাড়াও ইতালির বিভিন্ন শহরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংগঠন গুলোর উদ্যোগে দিবসটি নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে। ইতালির মিলান জেলারেল কনসালের আয়োজনে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস ও অমর একুশ উদযাপন করা হয়েছে। কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে সকালে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মিলান কনস্যুলেট এর কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাভেদ সহ মিলান কনস্যুলেট এর সকল কর্মকর্তারা। এসময় ইতালিতে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের মাঝে বাংলা মাতৃভাষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। এদিকে, মিলানে লোম্বার্দিয়া আ.লীগের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর রাত ১২.০১ মিনিটে ইতালির মিলানে খোলা পার্কে অস্থায়ী শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। প্রথমেই বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের পক্ষ থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর লোম্বার্দিয়া আওয়ামী লীগ ও এর অন্যান্য সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ইতালির পাদোভায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশের সাথে সময়ের মিল রেখে একুশের প্রথম প্রহরে পাদোভা স্হায়ী শহীদ মিনারে স্হানীয় মেয়র মার্কো স্কিসেয়েরো সহ প্রবাসী বাংলাদেশী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, আঞ্চলিক ও সাংবাদিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। সবুজ বাংলা এসোসিয়েশনের আয়োজনে প্রভাতফেরীতে অংশগ্রহণ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এছাড়াও ইতালিতে বাংলা কমিউনিটি, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বাংলা স্কুল গুলোর আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়েছে। এসময় শিশুদের চিত্রাঅঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর

রিয়াদে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত

সৌদি আরবের রিয়াদে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও সৌদি অফিশিয়ালদের নিয়ে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার)। এতে বিশেষ অতিথি জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ আল জারকানি ও কূটনৈতিক কোরের ডীন জিবুতির রাষ্ট্রদূত দায়া আদদীন সাঈদ বামাখারামা বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টফি ফারনড, সৌদি আরবের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান বিষয়ক জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হানি মানসি এবং ওআইসির রাজনৈতিক বিষয়ক সহকারী মহাসচিব ইউসেফ আল দুবেহ বক্তব্য প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে মাতৃভাষা বাংলা রক্ষা করার বিষয়ে বাঙালি জাতির অবদানের কথা বিদেশীদের কাছে তুলে ধরে তিনি বলেন, দিবসটি পৃথিবীর ইতিহাসে মাতৃভাষা রক্ষার দাবীতে সংগ্রাম ও ভাষার অধিকার আদায়ের এক উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত। ভাষা আন্দোলনে ও মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা বর্ণনা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, দ্রুতই পৃথিবী থেকে বিভিন্ন ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে, সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বাংলাদেশ সরকার মাতৃভাষা রক্ষার্থে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করেছেন। মাতৃভাষা রক্ষায় দেশ কাল ভেদে পৃথিবীর সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। ২১ শে ফেব্রুয়ারি-কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতিতে অবদান রাখায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা। অনুষ্ঠানে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নৃত্য পরিবেশন করে। এসময় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একটি তথ্যচিত্র ও ১২টি ভাষায় একুশে ফেব্রুয়ারির গান পরিবেশন করা হয়। এছাড়া “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও ভাষা আন্দোলন” শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. বেলাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রিয়াদস্থ ব্যবসায়ী এম আর মাহবুব, প্রফেসর মো. নুরুন্নবী, শাহজাহান চঞ্চল। এছাড়া ও মিশন উপপ্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা বক্তব্য রাখেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

ইতালি বিএনপির সা. সম্পাদক ঢালি নাসির উদ্দিনকে ফুলেল শুভেচ্ছা

ইতালি : ইতালির ভিছেন্সায় ইতালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঢালি নাসির উদ্দিনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখ শহরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন ও ভোট চোর স্বৈরাচার বিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে, যাত্রা বিরতিতে বিএনপি নেতা ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ইমরান খানের আমন্ত্রণে, ভিছেন্সায় আসেন ইতালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঢালি নাসির উদ্দিন। এসময় ভিছেন্সা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি শিকদার মোহাম্মদ কায়েস, ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সাত্তার বিপুল সংখ্যক বিএনপি’র নেতাকর্মী নিয়ে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন, এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে গণমাধ্যম কর্মী, নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে সমসাময়িক বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে আলাপ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভিছেন্সা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খন্দকার, সম্মানিত সদস্য ও ইতালি যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান খান, ভিছেন্সা বিএনপি’র উপদেষ্টা সদস্য খবির খন্দকার, উপদেষ্টা ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলাম মান্না উপদেষ্টা সদস্য সিরাজুল ইসলাম (সহ-সভাপতি জাফর আহমেদ, কামাল মাঝি, আব্দুল্লাহ আল মামুন) শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আফতাব আহমেদ শাকিল, প্রচার সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, ইসমাইল হোসেন স্বপন, জাহাঙ্গীর আলম, প্রিন্স, বুলবুল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম জুয়েল, মামুন খান, অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান, পারভেজ সরকার, রবিন সরকার, মনির আহমেদ, আবু সায়েম, শরীফ হোসেন, মীর ইসমাইল, আনিসুর রহমান, দর্জি ওবায়েদ, জাকির খন্দকার, আরিফ মামুন, সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ। পরে সিনিয়র সহ-সভাপতি শিকদার মোহাম্মদ কায়েস, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সাত্তার, সম্মানিত সদস্য ইমরান খান, সহ-সভাপতি কামাল মাঝি উপদেষ্টা সদস্য খবির খন্দকার উপদেষ্টা সদস্য রফিকুল ইসলাম মান্না, যুব নেতা প্রিন্স ও অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান শাকিল জুয়েল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ ভিছেন্সার বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গা ঘুরিয়ে দেখান। এদিন ভিছেন্সা বিএনপি’র সভাপতি আজিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খন্দকার ও কবির হোসেন নেতার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সবশেষে সকল নেতৃবৃন্দদের কে নিয়ে নৈশভোজ শেষে সবাইকে কৃতজ্ঞতা ধন্যবাদ ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে, নেতৃবৃন্দ ও সকল নেতাকর্মীদের থেকে বিদায় নিয়ে তার ব্যক্তিগত সফর শেষ করেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর

কানাডায় মাতৃভাষা চর্চা বিষয়ক আলোচনা সভা

কানাডার ক্যালগরির নর্থ ইস্টের ৩২ এভিনিউয়ে ‘প্রবাসে মাতৃভাষার চর্চা ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলবার্টার প্রথম বাংলা অনলাইন পোর্টাল ‘প্রবাস বাংলা ভয়েস’-এর আয়োজনে প্রধান সম্পাদক আহসান রাজীব বুলবুলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগরির অধ্যাপক কাজী খালিদ হাসান। প্রধান বক্তা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী সুফল বৈরাগী, সাইফুল ইসলাম রিপন এবং আব্দুল্লা রফিক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী জেরিন তাজ ও রম্য লেখক বায়াজিদ গালিব। আলোচনায় বক্তারা প্রবাসে মাতৃভাষার চর্চাকে আরো সুদৃঢ় করতে এবং মাতৃভূমির সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের সেতুবন্ধন তৈরি করতে ভাষা শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও প্রবাসে বাংলাভাষার প্রসারে গণমাধ্যমের ভূমিকা এবং মাতৃভাষা আর বাংলা সংস্কৃতির অবমাননা কীভাবে জাতীয় প্রগতির অন্তরায় হতে পারে, সে বিষয়েও বিশদ আলোচনা করা হয়। আলোচনায় সর্বস্তরে বিশুদ্ধ বাংলা চর্চার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। আলোচনায় বক্তারা বলেন, প্রবাসে বাংলা ভাষা চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরে মাতৃভূমির সঙ্গে পরবর্তী প্রজন্মের সেতুবন্ধন তৈরিতে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। বিদেশে আরও বেশি বাংলা গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ঘটাতে হবে। যাতে করে পরবর্তী প্রজন্ম যেন এসব গণমাধ্যমের পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসতে পারে সে ব্যাপারে এখন থেকেই সবার সচেষ্ট হওয়া উচিত। একুশের চেতনা, ইতিহাস আর সংস্কৃতিকে সযত্নে লালন করে কীভাবে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে উঠতে পারে সে বিষয়েও জ্ঞানগর্ভ অভিমত দেন বক্তারা। তারা বলেন, ভাষার দাবির মধ্যেই নিহিত ছিল গণতন্ত্র, সাংস্কৃতিক স্বাধিকার জাতিসত্তা সম্পর্কে চেতনার উন্মেষ এবং জাতীয় আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার অর্জনের সংগ্রামের বীজ। প্রবাসে শুধু শহীদ মিনার নির্মাণ করলেই হবে না, একুশের চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে হবে। আলোচনা শেষে ‘প্রবাস বাংলা ভয়েস’ এর পঞ্চম বর্ষপূর্তির প্রকাশনা বই উন্মোচন করা হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর