সৌদিতে নিখোঁজের ১৬৬ দিন পর প্রবাসীর মরদেহ উদ্ধার
সৌদি আরবের আছির প্রদেশে মোহাম্মদ আলী (৫০) নামে এক বাংলাদেশির গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ওই প্রদেশের মাহাইলের একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মোহাম্মদ আলীর বন্ধু আব্দুর রহিম বলেন, মোহাম্মদ আলী মাহাইল এলাকায় ব্যবসা করতেন। গত বছরের ২২ আগস্ট তিনি নিখোঁজ হন। এরপর পরিচিতরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। পরে তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে সেখানকার স্থানীয় থানায় লিখিতভাবে জানানো হয়। তিনি আরও জানান, মাহাইলে একটি পরিত্যক্ত ভবনের নিচতলা থেকে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে লোহা চুরির ঘটনা ঘটে। পরে ভবনের মালিক কয়েকজন চোরকে আটক করে সেখানকার থানা পুলিশকে খবর দেয়। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি তদন্ত করে। এসময় দুর্গন্ধ পাওয়ায় পুলিশ ভবনের দ্বিতীয় তলায় যায়। সেখানে একটি রুমের ভেতর আলীর গলিত মরদেহ পায় তারা। পরে তল্লাশি করে পুলিশ মোহাম্মদ আলীর আকামা কার্ড পেয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন। আব্দুর রহিম বলেন, নিখোঁজের ১৬৬ দিন পর আলীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ আকামা কার্ডে থাকা পরিবারের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে আলীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। প্রায় ১০ বছর আগে মোহাম্মদ আলী শেষবারের মতো দেশে যান। সেখানে লেনদেনজনিত সমস্যার কারণে তিনি দীর্ঘদিন দেশে আসতে পারেননি। তার কফিলের সঙ্গেও দ্বন্দ্ব ছিল বলেও জানতাম। নিহতের স্ত্রী পারভিন আক্তার জানান, তার স্বামী দেশে আসতে না পারলেও পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তার স্বামীকে কেউ হত্যা করে মরদেহ পরিত্যক্ত ভবনে রেখে দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে তিনি তার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন। মোহাম্মদ আলী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ঢাকাওয়াচ/টিআর
গ্রিসে বসন্ত বরণ উৎসবে মাতোয়ারা বাঙালি নারীরা
শীতের শেষে বসন্তের আগমনে নানা রঙের ফুলে-ফলে প্রকৃতি সাজে নতুন রূপে। এ বুঝি এলো বসন্ত। প্রকৃতির পাশাপাশি ফাগুনের রং লেগেছে সবার মনে। কবির ভাষায় পহেলা ফাল্গুন ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত’। প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালি বসন্ত উৎসব পালন করে আসছে। ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার রীতি বেশ পুরোনো। বাঙালির সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে গ্রিসে বসবাসরত বাংলাদেশি নারীদের আয়োজনে এবার যেন লেগেছিল বাংলাদেশের ফাগুন হাওয়া। পয়লা ফাল্গুনে (১৩ ফেব্রুয়ারি) নারী উদ্যোক্তা নীলা রহমানের বাসায় ফাগুন উৎসবে মেতেছিল প্রবাসী নারীরা। হলদে বরণ সাজ আর স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে দূর প্রবাসেও যেন ভেসে উঠেছে এক টুকরো বাংলাদেশ। এ যেন বিশ্বকবির ‘আজি দখিন-দুয়ার খোলা, এসো হে, এসো হে, এসো হে আমার বসন্ত এসো’ আহ্বান। গ্রিসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নারীরা রঙ-বেরঙের শাড়িতে বাসন্তী সাজে বসন্ত বরণ উৎসবে শামিল হন। বসন্ত উৎসবে নারী নেত্রী নীলা রহমানের বাসায় নারীদের অংশগ্রহণে পিলো পাস খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় অংশ নেন নারী উদ্যোক্তা শেখ শাহীন আক্তার, শেলী রহমান, দীনা উম্মে হাবিবা, ইভা হক, মাহবুবা আক্তার, মিলি রহমান, রেশমি আক্তার, শান্তা ইসলাম, আরজুদা রহমান, মুক্তা আক্তার, সোনিয়া খানম, শিল্পী আক্তার, আফসানা লডি, মর্জিনা আক্তার, রুবিনা আক্তার, ঋুমু রহমান, মিসেস মিজান, রুমি মন্ডল ও নাছিমা সরকার। অনুষ্ঠানে মিস ফাল্গুন সুন্দরী নির্বাচিত হন শেলী রহমান। পিলো পাস খেলাতে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন ইভা হক, দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করেন মর্জিনা আক্তার এবং তৃতীয় পুরস্কার পান উদ্যোক্তা শেখ শাহিন আক্তার। ঢাকাওয়াচ/টিআর
ইতালিতে বাংলাদেশি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা উদযাপন
ইতালিতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতী পূজা। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় এ উৎসবে অগণিত ভক্ত বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করছেন। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নানা আয়োজনে বিদেশের মাটিতে পচা উদযাপন করতে পেরে আনন্দিত তারা। ঐক্যবদ্ধভাবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সকল পূজা অর্চনা পালনের অঙ্গীকার করেন প্রবাসীরা। উলুধ্বনি, শঙ্খ এবং ঢাকের শব্দে উজ্জীবিত ছিল ইতালির সরস্বতী পূজার আয়োজন গুলোতে আগত সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রবাসী বাংলাদেশীরা। বিদ্যার দেবী সরস্বতীতে শিক্ষা মেধার দেবীও বলা হয়। বাংলা মাসের মাঘের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে উদযাপিত হয় এই পূজা। দিনটিকে “বসন্ত পঞ্চমী”ও বলা হয়। বাংলাদেশের মতোই হিন্দু ভক্ত শিক্ষার্থীরা দেবীর সরস্বতী পূজা করেন এবং এসব পূজা মন্ডপে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীও উপস্থিত হন। ইতালিতে বসবাসকারী দুই লক্ষাধিক বাংলাদেশের মধ্যে ৫০ হাজারের মত সনাতন ধর্মাবলম্বী রয়েছেন। এই প্রথমবারের মতো বন্দর নগরী আনকোনাতে “কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটি এই সরস্বতী পূজার আয়োজন করে,। প্রবাসে সরস্বতী পূজা করতে পেরে আনন্দিত বাংলাদেশি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা বাণী অর্চনা সহ নানা ধর্মীয় প্রথা পালন করে। অনুষ্ঠানে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ ,ধর্মীয় আলোচনা , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি এবং আলোকসজ্জা করা হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর
পোল্যান্ডে বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি ঘোষণা
পোল্যান্ডে বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন নামে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরশাদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মাসুদুর রহমান তুহিন ও মো. দেলোয়ার হোসেন অপুর পরিচালনায় বক্তারা ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। ওই সভা থেকে সবার সর্বসম্মতিক্রমে ১১ সদস্য বিশিষ্ট বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয় এবং আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন নির্বাহী কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় শতাধিক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের নানাবিধ সমস্যা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটি কমিউনিটি বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে এই সংগঠন। ১১ জনের প্রস্তাবিত বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন— আফজাল হোসেন, মো. মিলন, মো. মাসুদুর রহমান তুহিন, মো. মমিনুল হক, হাসান আব্দুল কাইয়ুম (বিপ্লব ), সাইফুল ইসলাম মিনাল, ইকবাল হোসেন, হামিদুল ইসলাম চৌধুরী মুরাদ, কাওসার আহমেদ, নাজমুল হাসান, শাজাহান সরকার। শিগগিরই সকল ব্যবসায়ীকের নিয়ে এই কমিটি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন ইন পোল্যান্ডের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। ঢাকাওয়াচ/টিআর
পোল্যান্ডে বাংলাদেশিদের বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসব
বাংলাদেশি কমিউনিটি পোল্যান্ডের উদ্যোগে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বসন্ত বরণ ১৪৩০ ও পিঠা উৎসব। ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানাতে ও হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে হরেক রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। হরেক রকমের পিঠার স্বাদ নিতে ও উৎসব উপভোগ করতে পোল্যান্ডের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন সংস্কৃতিপ্রেমীরা। এ পিঠা উৎসবের মধ্য দিয়ে বসন্তের তিনদিন আগেই শুরু হয়ে যায় ফাল্গুনের আমেজ। অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় পোল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশের মিলন মেলায়। কবির ভাষায়, ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত’। গাছে গাছে পলাশ, শিমুল, হিজল, তমাল, কৃষ্ণচূড়াসহ রংবেরঙের ফুল ফুটে জানান দিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী বার্তা। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে এ বর্ণিল সাজ। বসন্তের এ আগমনে প্রকৃতির সঙ্গে তরুণ হৃদয়েও লেগেছে দোলা। সব কুসংস্কারকে পেছনে ফেলে বিভেদ ভুলে নতুন কিছুর প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা নিয়ে বসন্তের উপস্থিতি। ফাগুনের মাতাল হাওয়া দোলা দিয়েছে বাংলার নিস্বর্গ প্রকৃতিতে। বাংলার প্রকৃতির সেই দোলা এসে লেগেছে দূর প্রবাসে পোল্যান্ডের বাঙালিদের হৃদয়ে। বাসন্তী রঙে সেজে, নেচে, গেয়ে পোল্যান্ডে বাঙালি বরণ করেছে ঋতুরাজ বসন্তকে। বসন্ত উৎসব কেবল উৎসবে মেতে ওঠাই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য, বাঙালিসত্তা। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ফারহানা জাহান। তিনি আমন্ত্রিত অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান ও এ উদযাপনের প্রতিপাদ্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন ফারহান হাসিন আর কাশফিয়া সারণী দম্পতি। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও পোল্যান্ডের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন ইয়াসমিন জালাল, ফৌজিয়া ইসলাম মোহনা, শিউলি সরকার, রিম, আরমান নাইম, ইয়াহিয়া ফাহিম, সামি আতিফ শাওন এবং পার্থ বড়ুয়া। বসন্তের আবৃতি করেন আনিকা জেরিন চৌধুরী। নৃত্য পরিবেশন করেন তানিয়া আফরিন, আদ্রিয়ানা মজুমদার, ইশরাত ই আনোয়ার বৃষ্টি, অনুরাধা রয়, শুভজিৎ ধর চৌধুরী, মনীষা রাবাত এবং মমতা পুন্ডির। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে ভাবীদের নিয়ে আসা পিঠা অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য হাজার গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। হরেক রকমের মুখরোচক পিঠা দিয়ে মেতে উঠে পিঠা উৎসব। ভাপা, পাটিসাপটা, দুধপুলি, মালাইপুলি, চিতই, ডিম পিঠা, চিকেন পিঠা,মালপোয়া, ফুল পিঠা, পাকানপিঠা ও বিবিখানা, চটপটি, রসমালাই, জিলাপি, রসগোল্লাসহ ঘরে বানানো হরেক রকমের পিঠা প্রদর্শন করা হয় উৎসবে। মুখরোচক এসব পিঠার ঘ্রাণে পোল্যান্ডের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাসন্তী সাজে নিজেদের সাজিয়ে ছুটে আসেন নারী পুরুষ ও শিশু কিশোররা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাস কর্মকর্তা কাজী মুনতাসীর মুর্শেদ। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন তানিয়া আফরিন, ইয়াসমিন জালাল, গাজী লিমন, ফৌজিয়া ইসলাম, ফারহানা জাহান, গোলাম বায়েজিদ রবিন, মো. ফরহাদ উদ্দিন, রিম, তাপস বড়ুয়া, পার্থ বড়ুয়া, আরমান নাইম, কামরুল হুদা, শচীন পাল, সজীব দাস, নয়ন আহমেদ ও সজল আহমেদসহ আরও অনেকেই। তরুণ প্রজন্মের আয়োজকদের পরামর্শে ছিলেন মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, আমিনুল ইসলাম চকদার সাকু, ইমরান হাসান, আফজাল হোসেন, কামরুল হাসান ও লুৎফুর রহমান। ঢাকাওয়াচ/টিআর
ইতালিতে বাংলাদেশিদের পিঠা উৎসব
ইতালির রোমে দেশীয় ঐতিহ্য ও কৃষ্টিতে বর্ণাঢ্য পিঠা উৎসব অনুষ্টিত হয়েছে। ইতালিতে বৃহত্তর ঢাকাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত পিঠা উৎসবে আয়োজকরা বলেন , প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতির বিকাশ, লালন এবং বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে তার চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি ) ইতালি রাজধানী রোমের স্থানীয় একটি পার্কে দিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য এই পিঠা উৎসবের প্রথম পর্ব ছিল শিশুদের অংশগ্রহণ। এই সময় শিশু ও কিশোরেরা বাংলাদেশ কে রঙ তুলির মাধ্যমে তুলে ধরে। ছিল সকল শিশুদের জন্যে আকর্ষণীয় পুরস্কার। শিশুদের পর্ব শেষ হতেই রোমের বিভিন্ন নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রবাসী নারীরা হরেক রকমের পিঠা প্রদর্শন করে। পিঠা উৎসবের এই আয়োজনের আমন্ত্রণে ছিলেন ইমরুল কায়েস, আমির হোসেন মোল্লা এবং সোহরাব সরকার। আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর ঢাকার কৃতি সন্তান বাংলাদেশ সমিতির সাবেক সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু, হাসান ইকবাল সহ বিভিন্ন সামাজিক ও আঞ্চলিক ও নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ক কে ধরে রাখতেই এই আয়োজন বললেন নেতৃবৃন্দ। বিশেষ করে ইতালিয়ানদের উপস্থিতি আয়োজনের ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। দুই দেশের ঐতিহ্য ও কৃষ্টির এই মেল বন্ধন ই আগামী প্রজন্ম কে সুস্থ ধারার সংস্কৃতি আত্মস্থ করার উৎসাহ জোগাবে বললেন অতিথিরা। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজনে শিল্পী মাসুদ রানা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর
শীতকালীন তুষার ভ্রমণে ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা
প্রবাস জীবনের কর্ম-ব্যস্ততার ফাঁকে আনন্দ বিনোদনের প্রত্যাশায় তুষার ভ্রমণ করেছে ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত শনিবার (২০ জানুয়ারি) রূপকথা ট্যুরিজমের আয়োজনে বোলজানোর কানাজেইয়ি, ডলোমাইট গিরিপথ প্রায় দুই শতাধিক বাংলাদেশি প্রবাসী এ ভ্রমণে অংশ নেন। রুহুল আমিন মান্নার তত্বাবধানে থিয়েনো ও ভিচেন্সার শিবলী সাদিক, মোহাম্মদ হায়দার, প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন স্বপন, মো: আরিফুর রহমান, মো: আলামিন, জুয়েল আহমেদ সহ আরও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই তুষার আনন্দ ভ্রমণে অংশগ্রহণ করেন। তুষার ভ্রমণে যাত্রাপথে বাসের মধ্যে বিভিন্নরকম গানের তালে সবাই হৈ-হুল্লোড় করে বিনোদনে মেতে উঠেন। তুষার ভ্রমণে অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমির শুভ্রতায় সবাই ছিলেন মুগ্ধ। পাহাড়ের গায়ে বরফের অপার সৌন্দর্যের স্নিগ্ধতা যেন সতেজ করে তোলে যান্ত্রিক জীবনের ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের। তুষার ভ্রমণে বিভিন্ন রকমের বাংলা গান,কবিতা আবৃত্তি র্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণ এবং নানারকম সুস্বাদু খাবার দেয়া হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর
দীর্ঘ ১৯ বছর পর প্রথম সন্তানের বাবা হলেন ইতালিতে সফল বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হালিম
ইতালি: ইতালিতে সফল প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল হালিম ও মাকসুদা আক্তার শাহিনা দম্পতির প্রথম পুত্র সন্তান ভূমিষ্ট হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ২৮ ডিসেম্বর২০২৩) ভিচেন্সার একটি হসপিটালে শিশুপুত্রের জন্ম হয়। বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন। সদ্যজাত শিশু পুত্র ও তার মায়ের সুস্থ্যতা কামনা করে এবং সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আব্দুল হালিম ভিচেন্সার একটি স্থানীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল ও আগত মেহমানদের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন। এই দোয়া আয়োজনে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের পর ১৯ বছর এই দম্পতির কোনো সন্তান হয়নি। দীর্ঘদিন পর আব্দুল হালিমের প্রথম সন্তানের জন্মের খবরে দেশে ও বিদেশে তাঁর আত্মীয় স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীরা নবজাতক শিশুর জন্য দোয়া ও এই দম্পত্তিকে শুভকামনা জানিয়েছেন। হাজি আব্দুল হালিমের দেশের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুরের কলাবাড়ি গ্রামে। তিনি ২০১০ সালে ইউরোপের দেশ ইতালিতে পারি জমান। ইতালির ভিচেন্সায় একজন সফল বাংলাদেশি ব্যবসায়ী তিনি। বর্তমানে ইতালিতে তার তিনটি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিদেরও। ঢাকাওয়াচ/টিআর
ইতালিতে বিএনপির লিফলেট বিতরণ
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ডাকে সারা দিয়ে ইতালি বিএনপি’র বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ঢালী নাসির উদ্দিনের নির্দেশনায় ধারাবাহিক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলতে মোন্তেকীও, থিয়েনে ও অরজিনিয়ানো শেষে ৩০/১২/২০২৩ ভিছেন্সা শহরে ইতালির ভিছেন্সা প্রবিন্স বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি সিকদার মোহাম্মদ কায়েস ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সাত্তার এর উদ্যোগে ভিছেন্সা বিএনপি’র সম্মানিত সদস্য ইমরান খান, উপদেষ্টা সদস্য খবির খন্দকার ও রফিকুল ইসলাম মান্না সরদার, সহ-সভাপতি জাফর আহমেদ, সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহ-সভাপতি কামাল মাঝি, প্রচার সম্পাদক জনাব ফরহাদ হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা মামুন খান, মিনটু, প্রিন্স, জাহাঙ্গীর, সাইফুল ইসলাম জুয়েল, অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান মনির, আরিফ হোসেন, মোহাম্মদ আরিফ, শাকিল সহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দের সার্বিক সহায়তায় শত শত প্রবাসীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় পথসভায় নেতৃবৃন্দ এ সরকারকে লুটেরা লোভি ও কাপুরুষ আখ্যা দিয়ে, বিরোধী দল ও ভিন্নমতের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে কারাগারে বন্দী রেখে কিংবা মাঠে গোলপোস্টের সাথে মন্দি রেখে এককভাবে মাঠে রাজত্ব করে গোল দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই সকল দর্শকদেরকে দর্শক হিসেবে এ খেলা উপভোগ না করে তাদেরকে প্রতিহতের জন্য মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদাত্ত আহবান জানান, এবং যতদিন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হবে ততদিন আমাদের এই আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে বিজয়ের মালা নিয়ে তবেই আমরা ঘরে ফিরব এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় ইতালি বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল,ও হাসান খান, মইনুল ইসলাম মিন্টু, আইনুদ্দিন সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও সর্বস্তরের জনগণ সহমত পোষণ করেন এবং এই নিশি রাতের অবৈধ সরকার ও কাপুরুষ সূচিত খেলোয়াড় অবৈধ নির্বাচন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে লালকার্ড প্রদর্শন করেন। ঢাকাওয়াচ/টিআর
ইতালিতে বাংলাদেশ খ্রিস্টান কমিউনিটির বড়দিন উদযাপন
ইতালিতে বলোনিয়ায় বাংলাদেশ খ্রিস্টান কমিউনিটির পালন করেছে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বলোনীয়া বর্গোপানিগালে স্থানীয় গীর্জার হলরুমে ঝাঁকজমকপূর্ণ ভাবে বড়দিন পালন করে প্রবাসী খ্রিস্টান বাংলাদেশিরা। এই উপলক্ষে ছোট ছোট শিশু ও কিশোরীদের নিয়ে কেক কাটা হয়। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজনে যিশু খ্রিস্টের আরাধনায় কীর্তন ও ভোজন পরিবেশন করা হয়। বিশ্বময় বড়দিনের উৎসব ছড়িয়ে দিতে ইতালীয়দের অবদান অনস্বীকার্য। <span;>বড়দিনের আলোক সজ্জার মতো শান্তির পরশ ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বময়, এমনটাই প্রত্যাশা ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশি যীশু প্রেমিক খ্রীষ্ট ধর্মাবলম্বীদের। ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’। এই ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট ২৫ ডিসেম্বর বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল। ঢাকাওয়াচ/টিআর
নির্বাচন বর্জনের আহবান জানিয়ে ইতালি প্রবাসী বিএনপি কর্মীদের লিফলেট বিতরণ
ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে ইতালি বিএনপির নির্দেশে ভিচেন্সা বিএনপি শাখা লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছে। দেশ নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও ইতালি বিএনপি’র সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ঢালী নাসির উদ্দিন ভাইয়ের দিক নির্দেশনায় ডামি নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে ইতালি ভিছেন্সা বিএনপি শাখা লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচির ধারাবাহিক অংশ হিসেবে মঙ্গলবার ভিছেন্সা প্রবিন্সের আরজিনানো শহরে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছে ইতালির ভিছেন্সা বিএনপি শাখা। ইতালির ভিছেন্সা প্রবিন্স বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি সিকদার মোহাম্মদ কায়েস, ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সাত্তার এর উদ্যোগে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মান্না, জনাব কামাল মাঝি, প্রিন্স ও ফরহাদ হোসেনের সার্বিক সহযোগিতায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন- ইমরান খান, জাফর আহমেদ, খবির খন্দকার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মীর ইসমাইল হোসেন, মোঃ জাহাঙ্গীর, এডভোকেট মনিরুজ্জামান মনির, সাইফুল ইসলাম জুয়েল, মোঃ মিন্টু, মোহাম্মদ আরিফ সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। এ সময় প্রবাসীদের দেশে অবস্থানরত পরিবার-পরিজন যাতে নির্বাচনে ভোট দিতে কেন্দ্রে না জান এবং যার যার অবস্থান থেকে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে এই গণমানুষের ও নাগরিকের অধিকার হরণকারী ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের পতন ঘটানোর জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেন এ ব্যাপারে সবাইকে অনুরোধ জানান। ঢাকাওয়াচ/টিআর
জার্মানে পিঠা উৎসবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঢল
বাংলাদেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে প্রবাসের তুলে ধরতে জার্মানের মুনস্টারে বাংলাদেশ কমিউনিটি বিকেএসজেডএম ( BKSZM) এর আয়োজনে শীতকালীন পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় একটি হলরুমে এই পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয় । সংগঠনের সভাপতি তোফায়েল রনির তত্তাবধানে এবং সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ নজরুল এর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ সহ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ। আয়োজকরা বলেন, মাতৃভূমি থেকে হাজার মাইল দূরে জীবনের তাগিদে অবস্থান করলেও মা মাটির কিংবা শিকড়ের টানে বার বার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে পৌষ পাবনের সেই পিঠা খাওয়ার দিনগুলোর কথা। পৌষের পিঠা পুলি যেন বাঙ্গালী কৃষ্টি কালচারেরই একটি অংশ। সেই কালচারকে হৃদয়ে লালন করে এবং দ্বিতীয় প্রজন্ম তথা প্রবাসীদের কাছে দেশীয় সংস্কৃতিতে তুলে ধরার জন্যই এই পিঠা উৎসবের আয়োজন। বাঙালির ঐতিহ্যপূর্ণ সুস্বাদু পিঠা উৎসবে বেশ আগ্রহ নিয়েই প্রবাসী বাঙালিরা অংশগ্রহণ করে। সাময়িক সময়ের জন্য দেশীয় কৃষ্টিকালচারের স্বাদ আর ব্যতিক্রমধর্মী সাংস্কৃতিক আয়োজন নির্মল আনন্দের খোরাক যোগায় প্রাবাসীদের। যান্ত্রিক ও ব্যস্ত জীবনের মাঝে দেশি আমেজে একটু সময় কাটানো এবং বাংলাদেশি ঐতিহ্য প্রবাসীদের মাঝে তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই এ আয়োজন করা হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজের মাধ্যমে মুনস্টারে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যগণ একত্রিত হয়ে একে অপরের কূসল বিনিময়ের মাধ্যমে শুরু হয় পিঠা মেলার সূচনা। পরবর্তিতে প্রায় অর্ধশত রকমের মজাদার এবং নকশী সম্বলিত পিঠা প্রদর্শনীর মাধ্যমে পিঠা উৎসবের মূল আনুষ্ঠিকতা শুরু হয়। প্রবাসে শত ব্যস্ততার মাঝেও পিঠা মেলায় আগত অতিথিদের এ সময় উৎফুল্ল এবং আত্মতৃপ্তি পরিলক্ষিত হয়। ঢাকাওয়াচ/টিআর
ইতালিতে দুইদিন ব্যাপী ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবা অনুষ্ঠিত
ইতালিতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের কনস্যুলেট সেবার ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইতালির ভিচেন্সায় শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুই দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবা। বাংলাদেশ কনস্যুলেট মিলানের আয়োজনে ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবায় দুইদিনে প্রায় এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী নাগরিকরা সেবা গ্রহণ করেছেন। শনিবার(২৩ ডিসেম্বর) ও রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ভিচেন্সার এ ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলেট সেবায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা পাসপোর্ট নবায়ন, নো ভিসা, ম্যারেজ সার্টিফিকেট, ফ্যামিলি সার্টিফিকেট, নো ভিসা, প্রবাসী মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আনার্স বোর্ডের মেম্বারশীপসহ নানান সুবিধাগুলো গ্রহণ করেন। ভিচেন্সা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতায় কনস্যুলেট সেবায় উপস্থিত ছিলেন— মিলান কনস্যুলেট এর কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাভেদ, ভাইস কনসাল মো. তাজ-উল ইসলাম, শ্রম কনসাল সাব্বির আহমেদসহ মিলান কনস্যুলেট এর সকল কর্মকর্তারা। ভিচেন্সা বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে আফেল আহমেদ আপেল, তারেক আহমেদ, শিবলী সাদিক, এমদাদুর রহমান, কামরুজ্জামান বকুল, মাসুদ আলী প্রমুখ মিলান কনসাল জেনারেলসহ সকল কর্মকর্তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মিলান কনস্যুলেট এর প্রতি এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রাখার অনুরোধ জানান তারা। কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাভেদ তার ব্যক্তব্যে বলেন, এই কনস্যুলেট সার্ভিস পরিচালনায় যারা সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান এবং আগামীতেও ভিচেন্সায় সম্বাবনাময় বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা ও কনস্যুলেট সেবা দেবেন এই আশ্বাস দেন। ভিচেন্সায় দুই দিনের কনস্যুলেট সেবা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করায় কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাভেদ কে স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। ঢাকাওয়াচ/টিআর
ইতালিতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রবাসীদের আবেগময় ‘বিজয় ফুল’ কর্মসূচি
মহান বিজয়ের মাসে ইতালির মিলানে প্রবাসে বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার লক্ষ্যে বিজয় ফুল কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজয় ফুল উদযাপন কমিটি,শিকড় সাংস্কৃতিক সংগঠন, মিলান বাংলা প্রেসক্লাব ইতালির আয়োজনে এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলান ইতালির সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয় এ বিজয় ফুল কর্মসূচি। প্রতি বছর ডিসেম্বরে বিজয় ফুল কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইতালির মিলানে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের বঙ্গবন্ধু কর্নার প্রাঙ্গনে করা হয় এ-বিজয়ফুল কর্মসূচি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয় দিবসে প্রকাশিত বিশেষ ক্রোড়পত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ। কর্মসূচির মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজয়ফুল কর্মসূচি ইতালির সমন্বয়কারী ও মিলান বাংলা প্রেসক্লাব ইতালির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম কাওছার। অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেলের বাণী সহ বিজয় দিবসের বিভিন্ন লেখা নিয়ে প্রকাশ করা হয় বিজয় দিবসের একটি বিশেষ ক্রোড়পত্র। এসময়ে কনসাল জেনারেল বিজয়ফুল পড়িয়ে কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম কনসাল সাববির আহমেদ,ভাইস কনসাল এ এস এম তাজ উল ইসলাম,কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আকরাম হোসেন।এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রবাসে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য মুক্তি যুদ্ধের স্মৃতি চারণ করেন মুক্তিযুদ্ধা নূর মোহাম্মদ। মিলানে বিজয়ফুল কর্মসূচির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বিজয়ফুল কর্মসূচি ইতালির সমন্বয়ক ও মিলান বাংলা প্রেসক্লাব ইতালির উপদেষ্টা তুহিন মাহমুদ। প্রবাসের মাটিতে বিজয়ফুল কর্মসূচির মাধ্যমে প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মাঝে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পরিচয় এবং বিজয়ের তাৎপর্য তুলে ধরাই বিজয়ফুল কর্মসূচির মূল লক্ষ্য জানালেন আয়োজকরা। ঢাকাওয়াচ/টিআর
ইতালিতে ফ্রোজেন ফুড কোম্পানির কর্মীদের মিলনমেলা ও নৈশভোজ
ইতালিতে তাজা হিমায়িত পণ্যের জন্য বিখ্যাত কোচ (koch) কোম্পানিতে কর্মরত কর্মীদের মিলনমেলা ও নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে কোম্পানি থেকে কর্মীদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করে মালিকপক্ষ, সেই সাথে বড় দিন উপলক্ষে কোম্পানিতে সব চেয়ে ভাল কাজ করা কর্মীদের পুরষ্কার এবং ক্রিস্টমাস ডে গিফট দেয়া হয়। বোলজানোর রিটেরফ রেস্টুরেন্টে শতাধিক কর্মীদের উপস্থিতিতে নাচে-গানে আনন্দে মুখরিত হয়ে উঠে নৈশভোজ অনুষ্ঠান। কোম্পানিটিতে দায়িত্বরত মার্তিন গোজার, টমাসো গোজার অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। কার্রলো পাসুয়েলো সহ অন্যান্যরা এই আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেন। বাংলাদেশি কর্মী ইসমাইল হোসেন স্বপন সহ উপস্থিত সকল কর্মীদের পুরষ্কিত ও সম্মাননা দেয়া হয়। সবশেষে সকল কর্মীদের মাঝে সুস্বাদু খাবার বিতরণ করা হয়। বাংলাদেশিদের ভাল কাজের জন্য কোম্পানির মালিকপক্ষ বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। কোচ কোম্পানি ১৯৮০ সালে ইতালির বোলজানোতে পিটার গোজার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এখনও এটি হিমায়িত খাবারের একটি গর্বিত প্রতিষ্ঠান। কোচের বিখ্যাত ফুড গুলোর মধ্যে রয়েছে পিৎজা, পাস্তা সহ অন্যান্য। কোচ কোম্পানী পাইকারি বাণিজ্যের সেক্টরে কাজ করে এবং সেই সাথে খুচরা চেইনে অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশে কাজ করে। কোচ (koch) কোম্পানির গুণগত মানের জন্য অস্ট্রিয়া, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, স্পেন, পর্তুগাল, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জাপান এবং আমেরিকায় এর শাখা রয়েছে। ঢাকাওয়াচ/টিআর
ইতালিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
ইতালির মিলানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান কর্তৃক বিপুল সংখ্যক প্রবাসীদের উপস্থিতিতে আনন্দঘন পরিবেশে বাংলাদেশের ৫২তম মহান বিজয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের সূচনায় দিবসটির প্রত্যূষে মিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কনস্যুলেট প্রাঙ্গনে উপস্থিত হয়ে কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ এর নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। মিলানস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে কনসাল জেনারেল ও কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। উপস্থিত সকলেই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর শহিদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন। অতঃপর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানের পূর্বে, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙ্গালিদের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতার তাৎপর্য তুলে ধরে বিজয় দিবস এর উপর একটি বিশেষ ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। অতঃপর একটি উন্মুক্ত আলোচনা সভা পরিচালনা করা হয়। উক্ত সভায় বক্তাগণ বিশেষ গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করেন যে,বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধারন করে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বীয় ভূমিকা পালন করবেন। কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় জাতীয় চার নেতার অবদান, মু্ক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের সুমহান আত্মত্যাগ এবং ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী সকলের আত্মত্যাগকে উপস্থিত সকলকে বিনম্র চিত্তে স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, নতুন প্রজন্মের প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে চেতনায় ও মননে মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করতে হবে এবং একটি আত্মমর্যাদা সম্পন্ন জাতি হিসেবে ইতালীয় সমাজ ও সংস্কৃতিতে বাংলাদেশের পরিচিতি তুলে ধরতে হবে। ভাইস কনসাল এ এস এম তাজ-উল-ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবসের এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাব্বির আহমেদ,কনসাল (শ্রম) এবং মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মিলান লোম্বার্দিয়া আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মান্নান মালিথা, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল কবির জামান ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, মিলান কমিউনির কাউন্সিলর বিভাস চন্দ্র কর, মিলান বাংলা প্রেসক্লাব ইতালির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম কাওছার, মিলানস্থ জনতা এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এসআরএল-এর ব্যবস্থাপক মোঃ কামরুল হাসান এবং উত্তর ইতালির বিভিন্ন পেশার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীগণ। শেষে রিপামন্তি ইসলামিক সেন্টারের ইমাম মাওলানা কবির আহমেদের পরিচালনায় বাংলাদেশকে নিয়ে বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। ঢাকাওয়াচ/টিআর
বিমানবন্দরেই শেষ ভিসার মেয়াদ, ১৩ বাংলাদেশিকে ফেরত
কুয়েত সিভিল এভিয়েশন ১৩ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠাচ্ছে। বৃহস্পতিবার কুয়েত এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন পুলিশ গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতের একটি ফ্লাইটে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কথা রয়েছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কুয়েতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বিমানে কুয়েতের নতুন ভিসাধারী ১৩ জন যাত্রী ছিল। ফ্লাইটটির কুয়েতে পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় ছিল ২২ জুন রাত ১০টা ৫০ মিনিটে, কিন্তু ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়ের ৫২ মিনিট পরে কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইট থেকে যাত্রীরা ইমিগ্রেশন পর্যন্ত পৌঁছাতে রাত ১২টা পেরিয়ে যাওয়ায় তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, যার কারণে কুয়েত বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ ১৩ জন বাংলাদেশিকে কুয়েত প্রবেশ করতে দেয়নি। যাত্রীদের অভিযোগ তাদের ভিসার মেয়াদ যেদিন শেষ হবে ঠিক সেদিন রাতেই ফ্লাইটে তাদের কুয়েতে পাঠানো হয়েছে। তারা বলেন, বিএমইটি ক্লিয়ারেন্স দিতে দেরি করায় বিমান বাংলাদেশ দেরি করে ছেড়ে যায়। মাত্র ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে আমাদের বিমানের টিকিট করে দেয় রিক্রুটিং এজেন্সি। ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা খরচ করে আমরা কুয়েতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছি। বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতের মন্ত্রী (শ্রম) আবুল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, খবরটি জানার পর দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোম্পানির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মালিক নিজে গিয়ে চেষ্টা করলে তাদের হয়তো কুয়েতে প্রবেশ করানো সম্ভব হবে। ঢাকাওয়াচ/স
ভারতে ট্রেনের মধ্যে ছিনতাইয়ের শিকার বাংলাদেশি দম্পতি
ডেস্কঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসা করাতে এসে ছিনতাইকারীর খপ্পরে পড়েন এক বাংলাদেশি দম্পতি। তাদের পকেট থেকে ৭৫ হাজার ভারতীয় রুপি ছিনতাই হয়। পরে অভিযুক্ত ছিনতাইকারীকে আটক করে জনতা, তার কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া রুপিও উদ্ধার হয়েছে। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার মধুখালীর বাসিন্দা গৌতম চন্দ্র বিশ্বাস ও তার স্ত্রী সান্তনা রানী রায় ছেলেকে নিয়ে কলকাতা মুকুন্দপুরে ডাক্তার দেখাতে আসেন। বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বনগাতে আসেন তারা। এরপর ট্রেনে করে বনগা থেকে নদীয়া জেলার রানাঘাট রেল স্টেশনে নামেন। সেখান থেকে বাদকুল্লায় ভাগ্নে গৌরাঙ্গ মন্ডলের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তারা। রানাঘাট স্টেশন থেকে কৃষ্ণনগর লোকালের পরিবর্তে ভুল করে শান্তিপুর লোকালে উঠে পড়েন তারা। ওই ট্রেনে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই ঘটে বিপত্তি। ছিনতাইকারী গৌতম বিশ্বাসের পকেটে রাখা ৭৫ হাজার রুপি নিয়ে পালাতে থাকে। এ সময় ওই ছিনতাইকারীর হাত চেপে ধরেন ও চিৎকার করতে থাকেন। এরপর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তকে আটক করে শান্তিপুর রেল স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যায়। সূত্র জানিয়েছে, আটককৃত ব্যক্তির নাম রাজু মন্ডল। পেশায় সবজি বিক্রেতা এই অভিযুক্তের বাড়ি জেলার মাজদিয়া বাগানপাড়ায়। পরবর্তীতে রানাঘাট জিআরপির প্রতিনিধির সামনে খোয়া যাওয়া রুপির মধ্যে উদ্ধার হওয়া ৭২ হাজার রুপি তুলে দেওয়া হয় ভুক্তভোগী পরিবারের হাতে। গৌতম বিশ্বাস জানান, কোমরের হাড় সংক্রান্ত অসুস্থতার জন্য বুধবার কলকাতার মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শল্য চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। অভিযুক্ত ব্যক্তি ছিনতাইয়ের ঘটনা স্বীকার করেছেন। তার সঙ্গে তার বন্ধু রানাঘাট কুপার্স ক্যাম্পের বাবু ঘোষও জড়িত বলে দাবি করেন তিনি। ঢাকাওয়াচ/স
মিলান কনস্যুলেটের আয়োজনে বিজয় দিবস উদযাপন
তুহিন মাহামুদ, ইতালি : বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলান ইতালির আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ৫০ বছর ও মহান বিজয় দিবস। দিবসের প্রথম পর্বে কনসাল জেনারেল ও মিশনে কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তা,কর্মচারীবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদ এবং ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ সহ মিশনে কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তা,কর্মচারীগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অত:পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শপথ পরিচালনা অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা হাতে মুষ্টিবন্ধভাবে প্রত্যেকে অংশ নেন এবং শপথ বাক্য পাঠ করেন। শ্রম কনসাল সাব্বির আহমেদ এর পরিচালনায় পবিত্র কোরআন পাঠের মাধ্যমে দিবসের দ্বিতীয় ভাগের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কর্তৃক প্রদত্ত বাণী সমূহ পাঠ করে শোনানো হয়। অনুষ্ঠানে দুই জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়। এসময় মুক্তিযুদ্ধের একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতির সমাপনী বক্তব্য রাখেন এম জে এইচ জাবেদ। এছাড়া মিলান কমিউনিটির নেত্রীবৃন্দ ও লোম্বার্দিয়া আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ ,বক্তারা স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭১-এর আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তারা বলেন যে, বঙ্গবন্ধু’র মত মহান নেতা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধু অকালে নির্মমভাবে নিহত না হলে বাংলাদেশ এরই মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে সামিল হতো। তারা বর্তমান প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্দীপ্ত হয়ে দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান। প্রবাসী নেতৃবৃন্দ জাতির যে কোন প্রয়োজনে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াবার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এবং রেমিটেন্স যোদ্ধাদের পেনশন প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। কনসাল জেনারেল জনাব এম জে এইচ জাবেদ তার বক্তব্যে বলেন- বঙ্গবন্ধুর উদাত্ত আহবানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের আপামর জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ছিঁনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন মিলানে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধা,বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংবাদিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সকল শ্রেনী পেশার বাংলাদেশী নাগরিক। ঢাকাওয়াচ/স
রিয়াদে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ বাংলাদেশি নিহত, আহত ১
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের আমুলি গ্রামের নছিম আলীর ছেলে জাকের আলী (২২) ও জুড়ী উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল হান্নানের ছেলে আব্দুল মুকিত (২৫) ঘটনাস্থলেই মারা যান। মঙ্গলবার (৩ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় আরেক বাংলাদেশি আমুলি গ্রামের উকিল মিয়ার ছেলে শাওন (২২) গুরুতর আহত হয়েছেন। জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে বাসা থেকে কর্মস্থলে যাবার পথে প্রাইভেট কারের চাকা খুলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহত ২ বাংলাদেশির মরদেহ রিয়াদের কিং ফাহাদ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ঢাকাওয়াচ/স
প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন
ফ্রান্সে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন ও মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা উদ্বোধন করা হয়। বছরব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেন রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর দিবসটির ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন তার বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মুজিব বর্ষ ব্যাপী দূতাবাস, ইউনেস্কো এবং ফ্রান্সে গৃহীত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের সকল আয়োজনে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার জন্য আমন্ত্রণ জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা উপদেষ্ঠা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মহসিন, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়াহেদ ভার তাহের, সহসভাপতি নাছির চৌধুরী, সোহরাব মৃধা, জাকির হোসেন ভূইয়া, হারুন আল রশিদসহ কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব নির্জর অধিকারী। ঢাকাওয়াচ/স
ব্রিটেনে মুজিব বর্ষের নানা আয়োজন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের ক্ষণগণনা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন (শুক্রবার) এক প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম এতে মুজিববর্ষ উদযাপন সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন এবং এ সম্পর্কিত তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। প্রেস মিনিস্টার আশিকুন্নবী চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রেস ব্রিফিংয়ে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডন ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৭ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপনের জন্য বছরব্যাপী প্রায় ৩০টি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসবের মধ্যে আগামী ২২ মার্চ আয়োজন করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী শিশু-কিশোর উৎসব। আয়োজন করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর শিশু-কিশোরদের জন্য রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। এছাড়া, কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনেও হাইকমিশন সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি। হাইকমিশনার বলেন, বছরব্যাপী জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ব্রিটিশ ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও আদর্শ তুলে ধরা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। জাতির পিতা পাকিস্তানের কারাগার হতে মুক্তি পাওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে দেশে ফিরেছিলেন। হাইকমিশন এসব ঐতিহাসিক ঘটনার বিভিন্ন দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নিয়েছে। লন্ডনের সাথে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সম্পর্ককে স্থায়ী রূপ দিতে একটি স্থায়ী ভবন বঙ্গবন্ধুর নামে একটি সেন্টার স্থাপনের উদ্যেগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি চেয়ার স্থাপনের। সাংবাদিক সম্মেলনে লন্ডনের বিভিন্ন মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এসময় জন্মশতবর্ষ উদযাপনের ক্ষণগণনার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে মুজিববর্ষের লগো সংযুক্ত করে তা নতুন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। ঢাকাওয়াচ/স
প্রধানমন্ত্রী আবুধাবি আসছেন রবিবার, প্রবাসীদের মাঝে উচ্ছ্বাস
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির সাসটেইনেবিলিটি উইক-২০২০’ ও ‘জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি প্রাইজ’ প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী রবিবার (১২ জানুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসছেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে দু দিনের সরকারি সফরে আবুধাবি আসছেন। জানা গেছে, রবিবার বিমান বাংলাদেশের একটি বিশেষ ফ্লাইটে আমিরাত সময় রাত ১০-৪৫ মিনিটে তিনি আবুধাবি পৌঁছাবেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জ্বালানিমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী, বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী আমিরাতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ১৪ জানুয়ারি বিকেল পাঁচটায় বিমান বাংলাদেশ আরেকটি ফ্লাইটে তার ঢাকার উদ্দেশ্যে আবুধাবি ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আমিরাত সফর নিয়ে প্রবাসীদের মাঝে উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। কেননা প্রধানমন্ত্রীর বিগত সফরে আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স তথা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভবিষ্যত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান তাকে আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশি বন্ধ শ্রমবাজার নিয়ে প্রশ্ন করতে হবে না। তাই প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে প্রবাসীরা আমিরাতে আট বছর ধরে বন্ধ থাকা ভিসা ও ভিসা পরিবর্তনের দ্বার উন্মুক্ত হবে বলে আশা করছেন। ঢাকাওয়াচ/স
গাছের চারা বহন করায় ২ বাংলাদেশির ভিসা বাতিল করল অস্ট্রেলিয়া
গাছের চারা বহনের অপরাধে দুই বাংলাদেশির ভ্রমণ ভিসা বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের ফেরতও পাঠানো হয়েছে। গত রোববার ঘোষণা না দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ বিমানবন্দরে দুই বাংলাদেশি ২১ টি চারা গাছ বহন করে। বাংলাদেশ থেকে আগত যাত্রীরা তাদের যাত্রী কার্ডে সঙ্গে থাকা চালের ঘোষণা দিলেও লাগেজের মধ্যে ২১ টি চারা গাছ থাকার কথা ঘোষণা করেননি। পরে বিমানবন্দরের জৈব সুরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের তল্লাশির সময় চারা গাছ বহনের বিষয়টি ধরা পড়ে। আইন অনুযায়ী পূর্ব ঘোষণা না দেয়াতে ভিসা বাতিল করে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। এই যাত্রীরা তিন বছরের মধ্যে আর অস্ট্রেলিয়া আসতে পারবেন না বলে নিশ্চিত করেছেন অভিবাসন বিভাগ। তবে এই দুই বাংলাদেশির পরিচয় প্রকাশ করেনি অস্ট্রেলিয়া সরকার । এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার কৃষিমন্ত্রী, সিনেটর ব্রিজেট ম্যাকেনজি বলেছেন, আমাদের দেশকে ক্ষতিকারক উদ্ভিদ কীটপতঙ্গ থেকে মুক্ত রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিন সপ্তাহের মধ্যে জৈব সুরক্ষা লঙ্ঘনে চারটি ভিসা বাতিল বুঝিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া তাঁদের কৃষিক্ষেত্রকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বহিরাগত গাছপালা উদ্ভিদ কীট এবং রোগ বহন করতে পারে যা আমাদের খাদ্য উৎপাদন এবং কৃষিক্ষেত্রকে ধ্বংস করতে পারে। ঢাকাওয়াচ/স