কনস্টাসের সাথে দ্বন্দ্বে কোহলির দায় দেখছেন অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড প্রধান
- খেলাধুলা ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:২১ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার স্যাম কনস্টাসের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে শুধু শাস্তিতেই নিস্তার পাচ্ছেন না বিরাট কোহলি। একের পর এক সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন ভারতীয় তারকা। এবার কনস্টাস-কোহলি ঘটনার আগুনে ঘি ঢাললেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী নিক হকলি। কোহলির মত তারকার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ একেবারেই কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এ দিকে, এমন ঘটনার পর ম্যাচ অফিসিয়ালদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন সিএর প্রধান নির্বাহী।
অভিষেকেই এমন কাণ্ড ঘটবে, তা কি কখনো ভেবেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার স্যাম কনস্টাস? বক্সিং ডে টেস্টের আলোচনা ছাপিয়ে ক্রিকেটাঙ্গনের বড় আলোচনা বিরাট কোহলির সঙ্গে স্যাম কনস্টাসের দ্বন্দ্ব। মাঠে যা ঘটেছে, তা এখন অজানা নয় ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে। তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে রাতারাতি তারকা বনে গিয়েছেন এই অজি ব্যাটার। বিপরীতে খলনায়ক হলেন বিরাট কোহলি। অজি ওপেনারকে ইচ্ছাকৃত ধাক্কা দেয়ায় শাস্তির মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে। ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা ও একটি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ হয়েছে নামের পাশে।
তবে, জরিমানা গুনেই নিস্তার পাচ্ছেন না কোহলি। এমন আচরণে একের পর এক সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন তারকা ক্রিকেটার। ক্রিকেট বিশ্বে রীতিমত সমালোচনার ঝড় বইছে এই ঘটনার পর। এবার সেই আগুনে ঘি ঢাললেন খোদ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। কোহলি-কনস্টাস ইস্যুতে কোহলিকেই দায়ী করছেন সিএর প্রধান নির্বাহী নিক হকলি। বিরাটের মত ক্রিকেটারের কাছ থেকে এমন আচরণ কোনভাবেই কাম্য নয় বলে কড়া মন্তব্য করেন তিনি। তবে প্রশংসা করেছেন নিজেদের ক্রিকেটার স্যামকে নিয়ে।
এ প্রসঙ্গে নিক হকলি বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা মোটেও ভাল কিছু নয়। আমার মতে, ক্রিকেট মাঠে কোন ধরনের শারীরিক সংঘর্ষই কাম্য নয়। একেবারেই অগ্রহণযোগ্য একটি বিষয় এটি। অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার পুরো দায় বিরাটের। তবে, এর বাইরে যথেষ্ট পরিপক্বতা দেখিয়েছে স্যাম কনস্টাসও। সে যেভাবে মাঠের বাইরে এসে বিষয়টিকে ঝেড়ে ফেলেছে, তা প্রশংসার যোগ্য।’
কনস্টাস ও বিরাটের সংঘর্ষের বিষয়ের শুধু সমালোচনাই করেননি হকলি। নিজে দেশের ক্রিকেট মাঠে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় বেশ ক্ষুব্ধ তিনি। তবে, ম্যাচ অফিশিয়ালদের ভূমিকায় স্বস্তি ঝরেছে হকলির কণ্ঠে। আইসিসির আচরণবিধি অনুযায়ী, ক্রিকেটে যে কোন ধরনের অনুপযুক্ত শারীরিক যোগাযোগ নিষিদ্ধ। ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে খেলোয়াড়রা যদি অন্য কোন খেলোয়াড় বা আম্পায়ারের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায় বা কাঁধে লেগে যায়, তাহলে এই নিয়মের লঙ্ঘন হবে বলে বিবেচিত হবে ও শাস্তির আওতায় আনা হবে। বিরাটও শাস্তির মুখে পড়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অফিশিয়ালদের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন হকলি।
সাক্ষাৎকারে নিক হকলি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিষয়। এখানে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তারা সবাই অনেক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। এ ছাড়া, বিরাট নিজেও এই ঘটনায় নিজের দায় ও শাস্তি মেনে নিয়েছে। অফিসিয়ালদের ভূমিকা অবশ্যই প্রশংসার।’