
ফুটবল খেলা যেমন খেলোয়াড়দের দক্ষতায় গড়ে ওঠে, তেমনি মাঠে দলের কৌশল ও পরিকল্পনার মূল চালিকাশক্তি হিসেবে থাকেন কোচ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে সব সময় উন্নত মানের কোচ আনতে পারছে না। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ফেডারেশনকে সহায়তা করার পরিকল্পনা করছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে উপজেলা স্টেডিয়াম ভার্চুয়ালি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বলেন, “উন্নত মানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন কোনো বাধা না হয়, সেই জায়গা থেকে আমরা বাফুফেকে সহযোগিতা বা একটি ফান্ড দেয়ার চেষ্টা করছি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো কোচদের যে বেতন দেয়, তা হয়তো আমাদের পুরো বছরের বাজেটের সমান। হয়তো আমরা এখনই সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারব না। তবে উন্নত মানের কোচ আনার ক্ষেত্রে আর্থিক সীমাবদ্ধতা যেন বাধা না হয়, সেই উদ্দেশ্যে আমরা ফান্ডের মাধ্যমে সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
মন্ত্রণালয়ের বাজেট সীমিত হওয়ায় কোচদের জন্য আর্থিক সংস্থান সম্পর্কে উপদেষ্টা জানান, “আমরা হয়তো অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দেব বা তারুণ্য উৎসবের ফান্ড থেকে বাফুফেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করব। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ইতিমধ্যেই ফেডারেশনকে ১০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।”
জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের কোচ স্পেনিশ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার বর্তমান চুক্তি আগামী মার্চ পর্যন্ত। যদিও এশিয়া কাপে বাংলাদেশের খেলার সম্ভাবনা নেই, তার বিদায়ের বিষয়ে আলোচনা চলছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসিফ বলেন, “এটি বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে হলে আর্থিক সমন্বয় দরকার। আমরা কোচ ও নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধিতে সহায়তার চেষ্টা করছি।”
উপদেষ্টা জানান, বাফুফের আর্থিক সংকট এবং পূর্বের অস্বচ্ছতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেশনের পুনরুদ্ধার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, “গত এক বছরে ফিফার ফান্ডিং পুনরায় এসেছে। এছাড়া দর্শক উপস্থিতি এবং খেলার আয় থেকে বাফুফের আয় গত তিনটি ম্যাচে প্রায় ৪ কোটি টাকা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে বাফুফেকে কোচ ও নারী ফুটবলারদের জন্য আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করা তার মূল লক্ষ্য।