১৪ দিন পর সচল হলো ফেসবুক

১৪ দিন পর দেশে সচল হয়েছে ফেসবুক-টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘটিত সহিংসতা ঘিরে বন্ধ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে আগের মতো নিরবচ্ছিন্নভাবে চালানো সম্ভব হবে। বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে চালু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। তবে মাধ্যগুলো ব্যবহারে কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। স্বাভাবিক হবে ইন্টারনেটের গতিও। সর্বোচ্চ গতি নিশ্চিত করার কার্যক্রম চলছে।এর আগে সকালে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, আজ বুধবার বিকেল থেকে দেশে প্রচলিত সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্যাশ সার্ভার খুলে দেওয়া হবে।রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবন মিলনায়তনে ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৮ জুলাই রাতে বন্ধ করা হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও। এরপর থেকেই দেশের সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারীরা ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করতে পারছিলেন না। পাঁচদিন পর ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়।বন্ধের ১১ দিন পর চালু করা হয় মোবাইল ইন্টারনেটও। তবে সেবা চালু হলেও মিলছে না স্বাভাবিক গতি। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আজ বিকেলের মধ্যে ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব চালু হবে। ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসি কাজ শুরু করেছে।গত ২৮ জুলাই সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়ের কিছু ভিডিও কন্টেন্টের ব্যাপারে ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটককে চিঠি দিয়ে তলব করে সরকার। চিঠিতে তাদের কাছে যৌক্তিক ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে ৩১ জুলাই সশরীরে বিটিআরসিতে প্রতিনিধিদের হাজির হতেও বলা হয়েছিল।

ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছে: পলক

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঘটা সহিংসতাকালে দেশে ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট, বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে সারা দেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ ট্রি ফর পিস’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। পলক বলেন, গত ১৮ জুলাইয়ের মোবাইল অপারেটরদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকার উত্তরা, রামপুরা, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও গাজীপুরে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ নতুন সিম কার্ডের আবির্ভাব ঘটে। মহাখালীতে তিনটি ডেটা সেন্টারে ১৮টি আইআইজির সিস্টেম রয়েছে। সেখানে থাকা আইএসপির ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। তাই ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছে। আমরা বন্ধ করিনি। মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, আগামীকাল সকাল ৯টায় আমরা এমটবের সঙ্গে বৈঠক করবো। বৈঠকে সন্তুষ্ট হলে রবি-সোমবার মোবাইলের ফোর-জি নেটওয়ার্ক খুলে দেওয়া হবে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) জানিয়েছে, মোবাইলের ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালু করার বিষয়ে সকাল ১০টায় বিষয়ে ব্রিফ করা হবে।

ইউটিউবসহ গুগলের সব সেবা চালু, ফেসবুক-টিকটক এখনই নয়

ঢাকা: গুজব ও অপতথ্য ছড়িয়ে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটসহ গুগল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সার্ভারগুলো বন্ধ করা হয়েছি। দু’দিন আগে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও ইন্টারনেট ব্যবস্থা পুরোপুরি সচল হয়নি। কিন্তু মোবাইল ইন্টারনেট তথা ফোরজি সেবা এখনো চালু হয়নি। ফেসবুক, টিকটকের মতো জনপ্রিয় অ্যাপগুলোও বন্ধ রয়েছে। বিটিআরসি এবং ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আইএসপিএবি জানায়, ২৩ জুলাই থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়। এরপর দিন ২৪ জুলাই দেশব্যাপী ইন্টারনেট চালু করে দেওয়া হয়েছে। আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বাংলানিউজকে জানান, বিটিআরসির নির্দেশনার পর বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে গুগলের সব সার্ভিস চালু করা শুরু হয়েছে। তবে পুরোপুরি আপডেট হতে সময় লাগবে। তিনি জানান, গুগল একটা বড় ক্যাশ সার্ভার। ইউটিউব, ক্লাউড ফেয়ার, মেইল সবই গুগলের ক্যাশ সার্ভার। গুগল আপ হয়ে গেলে এর সার্ভিস এবং নেটের গিতিও অনেকাংশে ভালো হয়ে যাবে। গুগলের সেবা চালু হলেও বাকি আছে ফেসবুক, টিকটক আকামাই, বাইসান। এই চারটি সার্ভার আপ হতে হয়তো আরও সময় লাগবে বলে জানায় আইএসপিএবি ও বিটিআরসি। ব্রডব্যান্ড ইন্টানেটের পাশাপাশি গুগলের সার্ভিস ধীর গতি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ইমদাদুল হক বলেন, মোবাইল ইন্টারনেটের ১০ কোটি ব্যবহারকারী সবাই এখন ব্রডবান্ডের নেট ব্যবহার করছে। তারা নিজেদের মধ্যে শেয়ার করছে। একজনের জায়গায় দেখা যাচ্ছে পাঁচজন ব্যবহার করছে। কিন্তু এত ব্যান্ডউইথ তো আমাদের নেই। ইন্টারনেটের গতি কম হওয়ার এটা একটা বড় কারণ। তিনি আশা করেন, গুগলের যেহেতু সব সেবা চালু হয়ে গেছে, এখন আস্তে আস্তে ইন্টারনেটের পরিস্থিতি নরমাল হয়ে যাবে। দুর্বৃত্তদের আগুনে মহাখালীতে পুড়িয়ে দেওয়া ডাটা সেন্টারের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখনো আমাদের ট্রান্সমিশন ক্যাবল সবগুলো আপ (চালু) করতে পারিনি। ব্যাকআপ সবই পুড়ে গেছে। সেগুলো রিস্টোর চলছে। এখন মোটামুটি কাজ চালানোর মতো অবস্থায় আছে। এদিকে, বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা জানান, গুগলের সব ক্যাশ সার্ভার চালুর জন্য আইআইজিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যাশ সার্ভারের মধ্যে গুগলের সব সেবা রয়েছে। তবে ফেসবুক বন্ধ থাকছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, গুগলের ক্যাশ সার্ভারগুলো যখন চালু হয়ে যাবে তখন ইন্টারনেটের গতি বাড়বে। যেমন- সিঙ্গাপুর থেকে ডাউনলোড করতে সময় লাগে। এর পরিবর্তে দেশে সরাসরি ডাউনলোড হলে গতি বাড়ে। এরআগে বুধবার (২৫ জুলাই) বিটিআরসিতে সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট আগামী রোব বা সোমবার চালু হতে পারে। কিন্তু ফেসবুক-টিকটক চালু হতে আরও সময় লাগবে। তার আগে তাদের আমাদের দেশের নীতি-পলিসি মানতে হবে। এজন্য জবাবদিহিতা করতে হবে।

সহসাই চালু হচ্ছে না ফেসবুক

ঢাকা: দেশে সহসাই ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলো চালু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিটিআরসি ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান। জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আগামী তিন দিনের ফেসবুক, টিকটকের মতো মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে চিঠি দিয়ে তাদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। তারা যদি এই শুনানিতে অংশ নিয়ে সন্তোষজন জবাব দিতে না পারে তবে তাদের বিষয়ে কঠোর হবে সরকার। এজন্য এফ-কমার্স খাতের উদ্যোক্তাদের আরো দুই-তিন দিন ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান পলক। একইসঙ্গে দেশীয় ওটিটি প্লাটফর্মগুলোকে এ ধরনের প্লাটফর্ম তৈরিতে আহ্বান জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ই-কমার্স খাতের উদ্যোক্তারা যেন নিজস্ব প্লাটফর্ম তৈরি করেন। এ জন্য আমরা দেশীয় ডোমেইন সহজ করেছি।

সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ

ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী সহিংসতার কারণে সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট তথা ফোরজি প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) রাত থেকে একটি অপারেটরের শতভাগ ও অন্য অপারেটরগুলোর ৫০ শতাংশ বন্ধ করে রাখা হয়। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমোসহ অন্যান্য অ্যাপে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। ওয়েবসাইটগুলোতেও প্রবেশ করতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা। তবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সচল আছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার থেকে সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট তথা ফোরজি প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় আংশিকভাবে বিভিন্ন স্পটে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। একটি মোবাইল অপারেটরের একজন প্রতিনিধি জানান, গ্রামীণফোনের শতভাগ এবং রবি ও বাংলালিংকের ৫০ শতাংশ ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ প্রয়োজনীয় এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে অপারেটরদেরও জানানো হচ্ছে না। সব নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। এর আগে মোবাইল অপারেটর ও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ইন্টারনেট ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণার পাশাপাশি গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ কারণে বিভিন্ন উপায়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ফোরজি বন্ধ থাকায় ফেসবুকে ছবি বা ভিডিও আপলোড কিংবা লাইভ করা যায় না। একজন কর্মকর্তা জানান, নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসির নির্দেশনা পেলে এক সেকেন্ডের মধ্যেই সেই সব এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তাৎক্ষণিকভাবেই ফোরজি ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিজস্ব জ্যামার ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত কোনো অভিযানের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ জ্যামার ব্যবহার করে থাকেন। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি।

টেন মিনিট স্কুলের জন্য ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল

ঢাকা: অনলাইন শিক্ষামূলক প্লাটফর্ম টেন মিনিট স্কুলের জন্য পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এতথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, টেন মিনিট স্কুলের জন্য পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষ থেকে বাতিল করা হলো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পলক বলেন, টেন মিনিটস স্কুলের ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করার কারণটা নৈতিকতার জায়গা থেকে বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, যেসব কারণ দেখিয়ে বন্ধ করা হয়েছে বলে খবর ছড়াচ্ছে, সেই ভিত্তিতে বলবো, কেউ যদি বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু নিয়ে বিতর্ক তোলে, এইসব আদর্শের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, সেখানে সরকার ব্যবস্থা নেবেই। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি একথা জানান। অনেকেই বলছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোটা বিরোধী স্ট্যাটাস দেওয়ার কারণে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে টেন মিনিট স্কুলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট শুরু ২৭ জুলাই

ঢাকা: ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: এন্ডলেস পসিবিলিটিজ’ থিম নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আগামী ২৭ থেকে ২৮ জুলাই ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টালে এশিয়ার দ্রুতবর্ধনশীল সম্ভাবনাময় বাজারগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে যুগান্তকারী ইভেন্ট হিসেবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৪’। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ফ্ল্যাগশিপ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের আয়োজনে দুই দিনের এ ইভেন্টে অংশ নেবেন দেশি-বিদেশি স্টার্টআপ, এন্টারপ্রাইজ, ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট, এঞ্জেল ইনভেস্টর, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, থিংক ট্যাংক এবং শিল্প বিশেষজ্ঞরা। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক রোববার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে স্টার্টআপ বা উদ্যোক্তা সংস্কৃতি একটা দেশ, দেশের অর্থনীতির ও অভ্যন্তরীণ উন্নয়নে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে শুরু করে বাংলাদেশে ২ হাজার ৫০০ এর অধিক সফল স্টার্টআপ তৈরি হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি বিলিয়ন ডলার ভ্যালুয়েশন হয়েছে এবং দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রায় ১৫ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ইনটেল থেকে শুরু করে ওপেন এআই পর্যন্ত সিলিকন ভ্যালি বা বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশে স্টার্টআপে বিনিয়োগ হয় ইন্টেল্যাকচুয়াল ভ্যালুয়েশনের ওপর। কিন্তু আমাদের দেশে বিনিয়োগের এ সংস্কৃতিটা ছিল না। তাই আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সুযোগ করে দিতে আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড’ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে দেন। যা আজ বিশ্বে একটা ইউনিক মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের সামনে অসীম সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে আমাদের বিমান, সড়ক, নৌ, রেল ও ইন্টারনেট কানেক্টিভিটিসহ যে লজিস্টিকস রেডিনেস তৈরি হয়েছে, সেখানেও আমরা কয়েক হাজার স্টার্টআপ তৈরি করতে পারি। আমাদের স্বাস্থ্য, কৃষি, বিনোদন ও শিক্ষাখাতসহ এখনো অনেক সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, যেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে আগামী কয়েক বছরে বাংলাদেশ থেকে আরও কয়েকটি বিলিয়ন ডলার ইউনিকর্ন তৈরি হতে পারে। অনুষ্ঠানে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. সামসুল আরেফিন, উইন্ডমিল অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাব্বির রহমান তানিম, কম্যুনিকেশন পার্টনার এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ার লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোরশেদ আলম এবং ম্যানেজিং পার্টনার তাসনুভা আহমেদ টিনা, আমি প্রবাসী লিমিটেডের সিইও অ্যান্ড কো-ফাউন্ডার নামির আহমেদ নুরি। এ সময় জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এ সামিটে ৫৫ এর অধিক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং বিনিয়োগ সংস্থার পাশাপাশি বহু সংখ্যক অ্যাঞ্জেল বিনিয়োগকারী, স্টার্টআপ উৎসাহী এবং আন্তর্জাতিক স্টার্টআপ হোস্ট করবে। ভারতের ইউনিকর্ন স্টার্টআপ আপগ্রেড-এর এমডি মি. মায়াঙ্ক, সিলিকন ভ্যালির গ্লোবাল স্টার্টআপস, বাংলাদেশের বিশিষ্ট প্রতিষ্ঠাতাদের মতো সম্মানিত ব্যক্তিরা মূল অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থাকবেন। সারা বিশ্ব থেকে ১০০ জনেরও বেশি প্রসিদ্ধ বক্তা, ৩০ এর অধিক আকর্ষণীয় সেশনের প্রতিশ্রুতি এ আয়োজনকে আঞ্চলিক স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে পরিণত করবে। সামিটে এআই অ্যান্ড টেকনোলজি, স্টার্টআপ এডুকেশন, দ্য আর্ট অব ফান্ডরেইজিং, ফিনটেক, এডটেক, ক্লাইমেট ভালনারেবিলিটি, ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট, লজিস্টিকস, মোবিলিটি অ্যান্ড ই-কমার্স, আরএমজি শোকেসিং এবং ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিটেক-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে কাভার করে সেশনের আয়োজন থাকবে। অংশগ্রহণকারীদের জন্য দিনব্যাপী শোকেস, প্রশিক্ষণ সেশন, নীতি আলোচনা এবং নেটওয়ার্কিং সুযোগ থাকবে। ইভেন্টটি বাংলাদেশ স্টার্টআপ আউটলুকের একটি উদ্বোধনী অধিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে, এরপর ‘লেভারেজিং এআই ইন বাংলাদেশ: টুডে অ্যান্ড দ্য নেক্সট ফাইভ ইয়ারস'-এর সঙ্গে এআই-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও ‘দ্য আর্ট অব ফান্ডরেইজিং’ এবং ‘ফিউচার অব লার্নিং’ আলোচনার মাধ্যমে কাভার করা হবে। বৈদ্যুতিক যানবাহন, কৃষি-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং ফিনটেক নিয়ে শিল্প-নির্দিষ্ট আলোচনা করা হবে। স্টার্টআপদের জন্য এআই-সক্ষম টেক প্রডাক্ট তৈরি করা এবং কার্যকরভাবে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম নেভিগেট করার নতুন দক্ষতা অর্জনের সুযোগ থাকবে। নির্বাচিত স্টার্টআপগুলো সরাসরি অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীদের কাছে পিচ করার সুযোগ পাবে, যা তাদের বিনিয়োগ এবং সহযোগিতার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেবে। ইভেন্টটিতে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড-এর সঙ্গে সিগনেচার স্পন্সর সুইস অ্যাম্বাসি, কম্যুনিকেশন পার্টনার মাইন্ডশেয়ার, ইভেন্ট পার্টনার উইন্ডমিল, ইকোসিস্টেম ইন্যাবলার পার্টনার ইয়ুথ কো.ল্যাব, হসপিটালিটি পার্টনার ইন্টারকন্টিনেন্টাল, নলেজ পার্টনার লাইটক্যাসেল এবং রেজিস্ট্রেশন পার্টনার সহজ সম্পৃক্ত আছে। বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট ২০২৪' সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে আপনার আসন সংরক্ষণের জন্য, ভিজিট করুন: https://www.startupsummit.gov.bd/

শক্তিশালী এআই ফিচারের রেনো১২ সিরিজ নিয়ে এসেছে অপো

সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার এই সময়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ স্মার্টফোন কোম্পানি অপো আবারও এক মাস্টারপিস নিয়ে এসেছে। অপোর উন্মোচিত নতুন রেনো১২ সিরিজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। অপো’র অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নতুন এই ফোন এআইয়ের ছোঁয়া ও অনন্য ইমেজিং টেকনোলজি দিয়ে ভবিষ্যৎকে রাঙাবে নতুনভাবে । বাংলাদেশি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এখন অপো’র সর্বাধুনিক রেনো সিরিজের এই চমকপ্রদ ফোন দিয়ে সাধারণ মুহুর্তগুলোকে অসাধারণ করে তুলতে পারবেন। সব ব্যবহারকারীর কাছে এআই প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার পূরণের অংশ হিসেবে এই ফোন উন্মোচন করেছে অপো, যা বাংলাদেশে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের এক নতুন যুগের আভাস দেয়। এই চমৎকার ফোনটিতে একই সঙ্গে রয়েছে শক্তিশালী এআই এবং অসাধারণ ইমেজিং প্রযুক্তি। ফোনটির উন্নত এআইয়ের সুবিধা ব্যবহার করে একজন ব্যবহারকারী সহজেই এর ফটোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আপনি হয়তো কোথাও একটি গ্রুপ ছবি তুললেন। কিন্তু এর মধ্যে একজন পথচারীর ছবি উঠে গেলো। রেনো১২ সিরিজের এআই ইরেজার ছবির অনাকাঙ্খিত অংশকে কয়েক ক্লিকেই মুছে দিতে পারে। আর তাই, কোনো অনুষ্ঠান বা ছুটিতে এই ফোন আপনাকে দক্ষ এক ফটোগ্রাফার করে তুলবে। ফোনটি দিয়ে তুলতে পারবেন এমন নিখুঁত ও ‘ক্লাটার ফ্রি’ ছবি, যা সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য উপযোগী।কোনো ছবিতে আপনার চোখ বন্ধ অবস্থায় থাকলে ফোনটির এআই ম্যাজিক স্টুডিও ফিচারের মাধ্যমে তা খুলে দেওয়া যায় সহজেই। কোনো ছবিতে যদি আপনার একজন বন্ধু বা শিশুর ছবি যোগ করতে চান, তাহলে ফোনটির এআই ম্যাপিং ফিচারের মাধ্যমে সেটাও করা সম্ভব। দুর্বল সিগন্যাল, নেটওয়ার্ক কনজেশন ও শব্দ আটকে যাওয়ার সমস্যাগুলো দূর করতে অপো’র তৈরি এআই লিঙ্কবুস্ট ফুল-লিঙ্ক নেটওয়ার্ক ডেটা ট্রান্সমিশন ইঞ্জিনটি ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ও অন্যান্য প্রযুক্তিকে সমন্বয় করতে পারে। এর ফলে বাড়ি, অফিস, শপিং মল এবং অন্যান্য জায়গার ওয়াইফাই ডেড জোনে নির্বিঘ্নে ডেটা নেটওয়ার্ক সু্ইচ করা সম্ভব। এমনকি এলিভেটরেও আপনি পাবেন দ্রুত সিগন্যাল রিকভারির সুবিধা, কারণ এলিভেটরে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় ফোনটি নিরবচ্ছিন্ন সিগন্যাল নিশ্চিত করবে। কোথাও মোবাইলের সিগন্যাল না থাকলেও ফোনটির বিকনলিঙ্ক ফিচার আপনাকে ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেবে। একটি শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী ফোনের কথা ভাবলেই মনে আসবে অপো রেনো১২ সিরিজের কথা। ফোনটির স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ গ্রিপ গ্রাহকদের আকর্ষণ করবে। এছাড়া এর অল-রাউন্ড আর্মার প্রোটেকশন যে কোনো দুর্ঘটনায় ফোনটি পড়ে গেলেও সুরক্ষা দেবে। আর ফোনটির দৃঢ় ফ্রেম দেবে নির্ভরযোগ্য কুশনিং। এর ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স সার্টিফিকেশন ফোনের দীর্ঘস্থায়িত্বের ক্ষেত্রে আপনাকে আত্মবিশ্বাস দেবে। পাশাপাশি স্প্ল্যাশ টাচ ফিচারটি আপনার হাত ভেজা থাকলেও ফোনের স্ক্রিনকে রাখবে পুরোপুরি সক্রিয়। ‍ রেনো১২ এফ-এ ৪৫ ওয়াট সুপারভুকসহ ৫০০০ এমএএইচ লার্জ ব্যাটারি দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারের নিশ্চয়তা দিচ্ছে অপো। ব্যাটারির উচ্চ মানের নিরপত্তার কারণে চার বছর ধরে ব্যবহারকারীরা ফোনটি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন। ফোনটি আনবক্স করার পর থেকে ৫০ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে। এর ৫০ মাসের ফ্লুয়েন্সি প্রোটেকশন ব্যবহারকারীদেরকে দারুণ স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি দেবে “নতুন ফোন” ব্যবহারের অনুভূতি। অপো অনুমোদিত এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, “ইন্ডাস্ট্রির সেরা অপো’র প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের সাথে ফোনের সম্পর্কে আমূল পরিবর্তন আনছে। স্মার্টফোন হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত এআই ডিভাইস - এই বিশ্বাস নিয়ে আমরা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা রেখেছি। অপো রেনো১২ সিরিজ নিয়ে আসার মাধ্যমে আমরা ব্যবহারকারীদের জীবনে এআইয়ের অসাধারণ সব সুবিধা প্রয়োগের সুযোগ দিয়ে তাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিতে চাই।” বাংলাদেশি ব্যবহারকারীরা অপো রেনো১২ সিরিজের অসাধারণ সব উদ্ভাবনের অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন এই হ্যান্ডসেটগুলোর মাধ্যমে: রেনো১২ এফ (৮জিবি+২৫৬জিবি) ৩৪,৯৯০ টাকায়, রেনো১২ এফ ৫জি (১২জিবি+২৫৬জিবি) ৪২,৯৯০ টাকায়, রেনো১২ (১২জিবি+৫১২জিবি) ৫৯,৯৯০ টাকায়। আগ্রহী ও সম্ভাব্য ক্রেতারা অফিসিয়াল অপো বাংলাদেশ ফেসবুক পেজ ভিজিট করে অপো রেনো১২ এফ সিরিজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। গ্রাহকরা ১০ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত অপো রেনো১২ এফ (৮জিবি+২৫৬জিবি) প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। ফোনটি ১৮ জুলাই থেকে বাজারে পাওয়া যাবে। প্রি-অর্ডারের গ্রাহকরা লটারির মাধ্যমে আইওটি ডিভাইস জেতার সুযোগের পাশাপাশি ৭৯৯ টাকা মূল্যের দুই বছরের ওয়ারেন্টি পেতে পারেন বিনামূল্যে। এছাড়া তারা ১২৯৯ টাকা মূল্যের এক বছরের স্ক্রিন প্রোটেকশনও বিনামূল্যে পাওয়ার সুযোগ থাকছে। ৩০টি ব্যাঙ্কে ৩০ মাস পর্যন্ত ইএমআই সুবিধা পেতে পারেন গ্রাহকরা। এর পাশাপাশি সোয়াপের সাহায্যে তারা ৫০০০ টাকার ক্যাশ অফারের মাধ্যমে ফোন বদলের সুযোগ পাবেন। রেনো১২ এফ ফোনটিতে রয়েছে বিভিন্ন অত্যাধুনিক AI ফিচার যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত এবং কার্যকর করে তুলবে। AI প্রযুক্তির উদ্ভাবনী ব্যবহারের মাধ্যমে, এই ফোনটি ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক সুবিধা নিয়ে এসেছে

কলড্রপ নিয়ে ১ জুলাই থেকে অ্যাকশন: জুনাইদ আহমেদ পলক

ঢাকা: কলড্রপ এখন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমরা জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে অ্যাকশনে যাব। রোববার (৩০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সেবার মান বিশেষ করে কলড্রপ সংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদসহ মোবাইল ফোন অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পলক বলেন, মোবাইল ফোন এখন জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, আমাদের গ্রাহকেরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। আজকের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিশ্চিত করা, তারা যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সেই সেবা পাচ্ছে কিনা এবং সুলভ মূল্যে উচ্চ গতির ইন্টারনেট দেওয়ার যে উদ্দেশ্য সেটা গ্রাহক পাচ্ছে কিনা। আমরা যে সুবিধাগুলো দিচ্ছি সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার মোবাইল অপারেটরগুলো করছে কিনা। ‘কলড্রপ একটা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মোবাইল গ্রাহকেরা যেমন এ বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট। বিটিআরসি যে পরীক্ষাগুলো করেছে সে রিপোর্ট অনুসারে কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব একটা সন্তোষজনক নয়। ’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলড্রপ নিয়ে অপারেটরগুলো থেকে যে তথ্য দিক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গ্রাহক এবং সাংবাদিকদের কাছ থেকে একটা উল্লেখযোগ্য চিত্র না পাব বা রিক্যাকশন না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত শুধুমাত্র কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল উপস্থাপনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হব না। এটা আপনারা গ্রহণ করেন বা না করেন আমি আপনাদের পরিষ্কার বার্তাটি দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কারণ প্রথম ছয় মাস, আমরা জানুয়ারিতে শপথ নিয়েছি। আমরা একটা স্মার্ট টেলিকম ইকোসিস্টেম বাংলাদেশকে উপহার দিতে চাই। ‘ইন্টারনেটের যে গতি, আপনারা যতই ব্যাখ্যা দেন যে ওকলার এটা ঠিক না বা স্পিড টেস্টিং মেকানিজম অনেক সময় বায়াস হয়। আমার কথা পরিষ্কার, যেভাবেই হোক আমরা গ্লোবাল বেঞ্চমার্কে উন্নীত হতে চাই। কারণ এটা আমাদের দেশের ব্র্যান্ডিংয়ের একটা বড় প্রভাব ফেলে। ’ পলক আরও বলেন, কলড্রপের জন্য গ্রাহকের যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা আমরা আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে যাব। যেহেতু আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাবে, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা যেন করা হয়। সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণটাই আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব, যাতে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরগুলো একটা চাপে থাকে যে, তারা যদি সেবা না দেয় তাহলে তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তিনি বলেন, আমরা মনিটরিং এবং অডিট নিয়মিত করব। বেঞ্চমার্ক যাই থাকুক, কলড্রপ রেট কাগজে-কলমে যাই থাকুক, আমাদের গ্রাহকের সন্তুষ্টির ওপর জোর দেব। কল ড্রপ নিয়ে ঢাকার কয়েকটি এলাকার ড্রাইভ টেস্টের ফলাফল পর্যালোচনা করে পলক বলেন, আমরা জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে অ্যাকশনে যাব। শহর বা গ্রাম যেখানেই হোক আমরা মিডিয়ার যে রিপোর্ট, সেগুলো আমলে নেব এবং সেখানে আমরা ড্রাইভ দেব। ফাইন্যান্সিয়াল অডিট এবং টেকনিক্যাল অডিটের ওপর জোর দেওয়া হবে জানিয়ে পলক বলেন, আসলে অপারেটররা যা বলছে তা সত্যি কিনা। আমরা সাংবাদিক বন্ধুদের রিপোর্টগুলো নিয়মিত আমলে নেব যে, কল ড্রপ কেন হচ্ছে। ইন্টারনেটের গতি কেন কম হচ্ছে, গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া কী সেগুলো আমলে নিয়ে ড্রাইভ দেব। আমরা কারিগরি পরিদর্শন দল গঠন করেছি, তারা সেগুলো টেস্ট করছে। এক্ষেত্রে অপারটেরদের সহায়তাও দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা অপারেটরদের হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে সাঁতার শেখাব না, আমরা সাঁতার শিখিয়ে সক্ষমতা দিয়ে দেক যাতে নদীটা পার হন। আমরা বলব, সাঁতরিয়ে নদীটা পার হন। ‘কলড্রপ যাতে বিশ্বের অন্যতম একটা ভালো বেঞ্চমার্কে পৌঁছাতে পারি। সেটা আমাদের মূল লক্ষ্য। কলড্রপে সময় নষ্ট হয়, এনার্জি নষ্ট হয়, সে বিরক্ত হয়। পাশাপাশি আপনাদেরও কিন্তু টেকনিক্যাল এবং ফাইন্যান্সিয়াল লস হয়। এসব বিষয় খেয়াল করে সমাধোনে যেতে হবে। সমস্যা যত কঠিনই হোক না কেন সমাধান করতে হবে। ’ পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল সেবা নিয়ে পলক বলেন, ফাইভজি রোল আউটেরও একটা নির্দিষ্ট টার্গেট বিটিআরসি এবং চারটি মোবাইল অপারেটরকে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এয়ারপোর্ট, সি পোর্ট এবং কিছু বিজনেস ডিস্ট্রিক্টস, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক-শিল্পাঞ্চলে ফাইভজি রোল আউট করা। তারপর গ্রাজুয়েলি রোল আউট করা। তিনি বলেন, আমাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের থার্ড টার্মিনাল অক্টোবরে উদ্বোধন হতে পারে। অক্টোবরকে টার্গেট করে চারটি মোবাইল অপারেটরকে একটা চ্যালেঞ্জ দিতে চাই, যেন অক্টোবরের ৩০ তারিখের মধ্যে ফাইভজি ওখানে নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি গুলশান, বনানী, মতিঝিল, আগারগাঁও এলাকায় ফাইভজি এনাবল অনেক স্মার্টফোন ব্যবহার করা হয় বেশি। আমার বিশ্বাস এখানেও মনোযোগ দেবে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে পলক বলেন, তিনি খুব আগ্রহী যে চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনায় কীভাবে ফাইভজি ও আইওটি কীভাবে ব্যবহার করতে পারি। আমরা আশা করি সেখানেও দ্রুত আমরা ফাইভজি ব্যবহার করতে পারব।

মেরামত হলো দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল, সার্কিট চালু

ঢাকা: দেশে ইন্টারনেট সরবরাহে সিঙ্গাপুর হতে পশ্চিমপ্রান্তে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় আকস্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটির প্রায় আড়াই মাস পর মেরামত সম্পন্ন হয়েছে এবং সার্কিটগুলো চালু করা হয়েছে। শুক্রবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমান এ তথ্য জানান। বিএসসিপিএলসি জানায়, গত ১৯ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টায় বিএসসিপিএলসির আওতাধীন দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটি (এসএমডব্লিউ-৫) সিঙ্গাপুর হতে পশ্চিমপ্রান্তে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় আকস্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে ইন্টারনেট সংযোগে বিঘ্ন ঘটে। সাইদুর রহমান জানান, এসএমডব্লিউ-৫ কনসোর্টিয়াম শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ক্যাবলটির মেরামত কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে। বিএসসিপিএলসির এসএমডব্লিউ-৫ এর মাধ্যমে সংযোগ করা সার্কিটগুলো চালু করা হয়েছে। কক্সবাজারে অবস্থিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল, কুয়াকাটায় অবস্থিত সাবমেরিন ক্যাবল এবং কয়েকটি আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবলের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সাবমেরিন কেবল ‘এসএমডব্লিউ-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে, যার মাধ্যমে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ ছয়টি বিকল্প সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে ভারত থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানি করা হয়। আর ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীর কুয়াকাটার কলাপাড়ায় চালু হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। এই ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ (এসএমডব্লিউই-৫) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন ক্যাবল থেকে সেকেন্ডে ১ হাজার ৫০০ গিগাবাইট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পাচ্ছে বাংলাদেশ।

অবৈধ হ্যান্ডসেট কিনতেও গ্রাহককে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভ্যাট

ঢাকা: প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রির ক্ষেত্রে পূর্বের ৫ শতাংশ ভ্যাটের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে আরও ৫ শতাংশ ভ্যাট। এর মাধ্যমে ১০ হাজার টাকার একটি হ্যান্ডসেটে গ্রাহককে ভ্যাট প্রদান করতে হবে প্রায় অতিরিক্ত ১ হাজার থেকে ১১শ' টাকা। হ্যান্ডসেট বিক্রির ক্ষেত্রে গ্রাহকের কাছ থেকে যে ভ্যাট আদায় করা হয় তার ৫০ শতাংশ অবৈধ এবং গ্রে- মার্কেটের হ্যান্ডসেট থেকে বলে মনে করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, অতিরিক্ত ভ্যাট আরোপ করে গ্রাহকদের পকেট থেকে অতিরিক্ত ৫০০ কোটি টাকা অর্থ আদায়ের যে পরিকল্পনা নিয়ে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে তার সম্পূর্ণভাবেই অযৌক্তিক শুধু নয় এটা গ্রাহকের সঙ্গে এক ধরনের প্রতারণা। কারণ দেশে বর্তমানে বছরে প্রায় ৬ কোটি হ্যান্ডসেটের চাহিদার বিপরীতে দেশে অ্যাসেম্বলিং পর্যায়ের উৎপাদন কারখানা ১৭টি মিলিয়ে উৎপাদন করে আড়াই কোটি। অন্যদিকে বৈধভাবে আমদানি হয় প্রায় দেড় কোটি। অন্যদিকে অবৈধভাবে চোরাকারবারি এবং গ্রে-মার্কেটের হ্যান্ডসেট আমদানি হয় প্রায় ২-৩ কোটি। বৈধভাবে আইফোন ১ হাজারটি হ্যান্ডসেটে আমদানির বিক্রি মাত্র পাঁচ শতাংশ হলেও সংযুক্ত হওয়া আইফোনের পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার। শো-রুম এবং দোকান থেকে ক্রয় করার সময় গ্রাহকের কাছ থেকে বৈধ-অবৈধ সব হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ভ্যাট আদায় করা হয়। যা সম্পূর্ণভাবেই অবৈধ। সরকার এ রাজস্ব কীভাবে আদায় করে তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। অন্যদিকে এসব বিক্রয়কারী দোকান এবং শো-রুম থেকে প্রকৃতপক্ষে সরকার রাজস্ব পায় কিনা সেটিও তদন্ত করে দেখা হোক। আমাদের দাবি অবৈধ হ্যান্ডসেটের জন্য গ্রাহক কেন ভ্যাট প্রদান করবে? বিষয়টি অর্থ বিভাগ রাজস্ব বিভাগ এবং নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসিকে ভেবে দেখতে হবে। আর এসব অতিরিক্ত ভ্যাট আদায়ের কারণে প্রযুক্তিতে সংযুক্ত হতে পারছে না যেখানে এখনো দেশের প্রায় ৪২ শতাংশ মানুষ। সেখানে হ্যান্ডসেট বিক্রির ক্ষেত্রে নতুন করে ভ্যাট আরোপ করা সম্পূর্ণভাবেই সরকারের নীতির পরিপন্থি। কারণ সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ২০৪১ সালের মধ্যে সবাইকে ইন্টারনেট সংযুক্তির মধ্যে আনা। আর তার জন্য প্রথমে প্রয়োজন একটি হ্যান্ডসেট এবং ইন্টারনেট। তাই বিক্রির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ ভ্যাট বাতিল করে অবৈধ হ্যান্ডসেটের ক্ষেত্রে যাতে করে কোনোভাবেই ভ্যাট আদায় না করা হয় সে ব্যাপারে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা বিনীত অনুরোধ করছি।

নতুন হ্যান্ডসেট এ৬০ নিয়ে এলো অপো

স্মার্টফোন টেকনোলজি ব্র্যান্ড অপো বাংলাদেশে এ সিরিজের অ্যানিমেডেট অ্যাম্বাসেডর উন্মোচনের পাশাপাশি নতুন হ্যান্ডসেট অপো এ৬০ নিয়ে এসেছে। অপো এ৬০-তে রয়েছে ৪৫ ওয়াট চার্জার ও ৭.৬৮ মিলিমিটার ডিজাইনসহ দারুণ সব ফিচার। হ্যান্ডসেটটির ১৬ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি রমের ভ্যারিয়েন্টটির মূল্য মাত্র ২৪,৯৯০ টাকা এবং ১৬ জিবি র‌্যাম ও ১২৮ জিবি রমের ভ্যারিয়েন্টের মূল্য মাত্র ২২,৯৯০ টাকা। নতুন প্রজন্মের এক আইকন হিসেবে এসেছে এসএএইচ, যে সব সময় থাকতে চায় এগিয়ে। উদ্ভাবনে আগ্রহী ও কৌতূহলী এই চরিত্র প্রতি পদক্ষেপে পার করে যেতে চায় নতুন সীমানা। দ্রুত চার্জিং ও ব্যাটারির স্থায়ীত্বের জন্য পরিচিত অপোর সুপারভুক বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অপো ‍এ৬০-এর ৪৫ডব্লিউ সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তির কারণে এর ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারির ৫০ শতাংশ চার্জ হয় মাত্র ৩০ মিনিটে। সম্পূর্ণ চার্জিং শেষ হতে এর সময় লাগে ৭৫ মিনিট। অসাধারণ স্পিড ও স্টোরেজ সুবিধা পাওয়া যাবে অপোর এই নতুন স্মার্টফোনে। কেননা এই ডিভাইসে রয়েছে ২৫৬ জিবি রম ও ১২৮ জিবি রম – দুই ক্ষেত্রেই ৮ জিবি র‌্যামের সঙ্গে আরও ৮ জিবি র‌্যাম বাড়ানোর সুযোগ থাকছে। ফলে ব্যাকগ্রাউন্ডে একই সঙ্গে একাধিক অ্যাপ চালু থাকলেও সব কাজ করা যাবে সহজেই। অপো এ৬০ একটি মসৃণ ৭.৬৮ মিমি আল্ট্রা-স্লিম বডির ডিভাইস, যার ওজন মাত্র ১৮৬ গ্রাম। এর অ্যান্টি-ড্রপ গ্লাস স্ক্রিন ও ডাবল টেম্পারড গ্লাস সুরক্ষার একটি নতুন মান নির্ধারণ করেছে, যা দুর্ঘটনাজনিত কারণে পড়ে গেলে ফোনটিকে সুরক্ষা দেয়। মিলিটারি-গ্রেড শক প্রতিরোধী ফিচারযুক্ত ফোনটি ব্যবহারকারীদের আস্থা অর্জন করবে। হাঁটার সময় কিংবা মোটরসাইকেল চালানোর সময় ব্যবহারকারীর পকেট থেকে ফোনটি পড়ে গেলেও এটি কাজ করবে স্বাভাবিকভাবে। ফোনটিতে রয়েছে ৯৫০ নিট আল্ট্রা ব্রাইট ডিসপ্লে এবং ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, যা উজ্জ্বল সূর্যালোকের মধ্যেও এর ডিসপ্লেকে ভালোভাবে দেখতে সাহায্য করে। ফলে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ব্যবহারকারীরা মসৃণ টাচের পাশাপাশি স্পষ্ট ডিসপ্লে উপভোগ করতে পারবেন। ফোনটির অসাধারণ ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার এক অন্য মাত্রা দেবে। ৩০০% ভলিউম বুস্টের মাধ্যমে কোলাহলপূর্ণ কনসার্টের মধ্যে বা ট্র্যাফিক জ্যামে বসে এর স্পষ্ট শব্দ শোনা যাবে সহজেই। অপো অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, “অপো ক্রমাগত যুগান্তকারী প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী অনুপ্রেরণা জাগানোর চেষ্টা করে। বছরের পর বছর ধরে আমরা এমন উদ্ভাবনের পথ দেখিয়েছি, যা জীবনধারায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। অপো এ৬০ স্মার্টফোনটি বাজারে আনার মাধ্যমে আমরা ইতিবাচক পরিবর্তনকে কাজে লাগিয়ে এবং অনুপ্রেরণার নতুন ক্ষেত্রগুলো উন্মোচন করে এই যাত্রা চালিয়ে যেতে চাই।” রিপল ব্লু ও মিডনাইট পার্পল – দুইটি মনোমুগ্ধকর রঙের অপো এ৬০ ডিভাইসটি হাতে পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বাংলাদেশি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা। গ্রাহকরা অপো এ৬০ কেনার পাশাপাশি পেতে পারেন সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা ও আকর্ষণীয় ইন্টারনেট বান্ডেল অফার। দারুণ ফিচারের এই স্মার্টফোনটি প্রি-অর্ডার করা যাবে ৮ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত। স্মার্টফোনটি বাজারে পাওয়া যাবে আগামী ১৫ মে থেকে। বাংলাদেশে ১০ম বছর পূর্তি উপলক্ষে অপো নিয়ে আসবে আরও সব দারুণ সারপ্রাইজ! ঢাকাওয়াচ/স

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ৬ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে মার্চে পিছিয়েছে বাংলাদেশ। আগের মাসের চেয়ে ছয় ধাপ পিছিয়ে দেশটি সূচকের ১১২তম অবস্থানে রয়েছে। আর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতেও এক ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বৈশ্বিক এ সূচক প্রতি মাসেই প্রকাশিত হয়। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ইন্টারনেটের গতির তুলনা করা হয়। এ সূচক তৈরি করা হয় লাখ লাখ পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত উপাত্ত ব্যবহার করে। সূচক অনুযায়ী, মার্চে মোবাইল ইন্টারনেটের সবচেয়ে বেশি গতি ছিল কাতারে, প্রতি সেকেন্ডে ৩১৩ দশমিক ৩০ মেগাবাইট। দ্বিতীয়তে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এরপর যথাক্রমে আইসল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশের অবস্থান ছয় ধাপ পিছিয়ে ১১২তম। দেশটিতে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি প্রতি সেকেন্ডে ২৪ দশমিক ৫৯ মেগাবাইট। ১৪৮টি দেশের মধ্যে একেবারে শেষে অবস্থান কিউবার। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে শীর্ষে সিঙ্গাপুর। দেশটিতে ব্রডব্যান্ডের গতি প্রতি সেকেন্ডে ২৮৪ দশমিক ১৩ মেগাবাইট। এরপরে যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং, চিলি ও যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ডের গতিতে ১০৮তম। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১০৭তম। দেশটিতে ব্রডব্যান্ডের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৪৪ দশমিক ২৫ মেগাবাইট। এ সূচকেও ১৮২টি দেশের মধ্যে সবার শেষে রয়েছে কিউবা। ঢাকাওয়াচ/টিআর

নির্বাচনের আগে দেশে সাইবার হামলা

‘সাইড উইন্ডার’ নামে একটি হ্যাকার গ্রুপ বাংলাদেশি বিভিন্ন সংস্থার অনুরূপ ফিশিং ডোমেইন ব্যবহার করছে বলে সরকারের সাইবার প্রতিরোধী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সরকারের বিজিডি ই-গভ সার্ট জানিয়েছে, সরকারি ও সামরিক সংস্থাসমূহের সাইবার অবকাঠামোগুলো এ সাইবার হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু। বিজিডি ই-গভ সার্ট বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে চলমান ফিশিং ক্যাম্পেইনের কারণে সাইবার থ্রেট অ্যালার্ট জারি করেছে। বিজিডি ই-গভ সার্ট-এর সাইবার থ্রেট ইন্টিলিজেন্স ইউনিট ‘সাইড উইন্ডার’ (SideWinder) নামীয় একটি হ্যাকার গ্রুপ শনাক্ত করেছে, যারা দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফিশিং ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সাইবার আক্রমণ করছে। গ্রুপটি আরও কিছু নামে পরিচিত যেমন, Rattlesnake, RAZOR TIGER, APT-C-17, T-APT-04 ইত্যাদি। সরকারি ও সামরিক সংস্থাসমূহের সাইবার অবকাঠামোগুলো এই সাইবার হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু। বিভ্রান্তি ছড়ানোর লক্ষ্যে উক্ত ফিশিং ক্যাম্পেইনে বাংলাদেশি বিভিন্ন সংস্থার অনুরূপ (look-a-like) ফিশিং ডোমেইন ব্যবহার করা হচ্ছে, যেমন, বিজিডি ই-গভ সার্ট, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও একাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। অবকাঠামোসমূহের সংবেদনশীল, স্পর্শকাতর ও গোপনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ এবং সাইবার গুপ্তচরবৃত্তি করা উক্ত হ্যাকার গ্রুপের অন্যতম লক্ষ্য। বিজিডি ই-গভ সার্ট এরূপ ফিশিং আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কোনোরূপ সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক না করা বা অচেনা প্রেরকের কাছ থেকে প্রাপ্ত ইমেইলের সংযুক্তির বিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করা করেছে। ঢাকাওয়াচ/টিআর

হয়রানি ঠেকাতে নতুন ফিচার ইনস্টাগ্রামে

ফেসবুক মালিকানাধীন ফটো শেয়ারিং প্লাটফরম ইনস্টাগ্রাম অনেকদিন ধরেই কাজ করছে হয়রানি বন্ধ করতে। এবার হয়রানি প্রতিরোধে ‘ক্যাপশন ওয়ার্নিং’ ফিচার নিয়ে এসেছে সেবাটি। এখন থেকে কোনো ব্যবহারকারীর ছবি বা ভিডিওর ক্যাপশন নিয়ে হেনস্তা করা বা হয়রানির চেষ্টা করা হলে সতর্কবার্তা জানাবে ইনস্টাগ্রাম। এ ধরনের ক্যাপশনের ক্ষেত্রে সতর্কীকরণ নোটিফিকেশন দেখাবে সেবাটি। সতর্কীকরণ নোটিফিকেশনে লেখা থাকবে, ‘রিপোর্ট হওয়া অন্যান্য ক্যাপশনের সঙ্গে এটি মিলে যাচ্ছে।’ এরপর ব্যবহারকারীকে ক্যাপশনটি পরিবর্তন করার সুযোগ দেবে ইনস্টাগ্রাম। চাইলে কোনো পরিবর্তন না এনেও ওই ক্যাপশন শেয়ার করতে পারবেন ব্যবহারকারী। আদতে যাদের অন্য কোনো ব্যবহারকারীকে হয়রানি করার উদ্দেশ্য নেই, তারা ‘ক্যাপশন’ পরিবর্তন না করেই শেয়ার করতে পারবেন। হয়রানি ঠেকাতে বেশ আগে থেকেই কাজ করছে ইনস্টাগ্রাম। অক্টোবরে ‘রেসট্রিক্ট’ নামের একটি বৈশ্বিক ফিচারও নিয়ে এসেছে সেবাটি। কোনো পোস্ট বা বাজে মন্তব্যের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করা হলে, ওই ফিচারটির সাহায্য নেয়া যাবে। ফিচারটি চালু থাকা অবস্থায় কোনো বাজে মন্তব্যকে চাইলে বামে সোয়াইপ করে ‘রেসট্রিক্ট’ করে দিতে পারবেন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী। ফলে ওই মন্তব্যটি আর অন্যদের চোখে পড়বে না। ইনস্টাগ্রাম প্রধান অ্যাডাম মোজেরি বলেছিলেন, ‘ইনস্টাগ্রামে নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা আমাদের দায়িত্ব।’ ঢাকাওয়াচ/স

অ্যান্ড্রয়েডে ত্রুটি : হ্যাকারদের লক্ষ্য ৬০টির বেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান

বিশ্বব্যাপী বহুল ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে ‘গুরুতর নিরাপত্তা ত্রুটি’ বের করেছে নরওয়ের মোবাইল নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান প্রোমন। এ ত্রুটি কাজে লাগিয়ে হ্যাকারদের পক্ষে গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লগইন তথ্য হাতিয়ে নেয়া সম্ভব। অ্যান্ড্রয়েডের এ ত্রুটি ব্যবহার করে ভুয়া লগইন স্ক্রিন বানাতে পারে সাইবার হামলাকারীরা। এরপর লগইন স্ক্রিনগুলোর সঙ্গে উপযুক্ত অ্যাপ বসিয়ে তথ্য হাতিয়ে নেয়া যায়। প্লে স্টোরের এক জরিপে দেখা গেছে, অ্যান্ড্রয়েডের এ দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে লক্ষ্য বানানো হয়েছে ৬০টির বেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে। গুগলের দিক থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, ত্রুটিটি সারাতে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি এবং এর মূল বের করতে আরও তদন্ত চালানো হচ্ছে। প্রোমনের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা টম হ্যানসেন বলেন, অনেক দেশের বেশকিছু ব্যাংককে লক্ষ্য বানানো হয়েছে এবং গ্রাহকের অর্থ চুরি করতেও সক্ষম হয়েছে ম্যালওয়্যারটি। ম্যালওয়্যারযুক্ত অ্যাপগুলো বিশ্লেষণ করেছে প্রোমন। অ্যাপগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হানা দেয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ম্যালওয়্যারটির নাম বলা হয়েছে স্ট্যান্ডহগ। গ্রাহক যেখানে মনে করছেন তারা বৈধ অ্যাপ ব্যবহার করছেন, আসলে তারা হামলাকারীর বানানো ভুয়া স্ক্রিনে ক্লিক করছেন। অ্যান্ড্রয়েড প্লে স্টোরের অ্যাপগুলো স্ক্যান করতে মার্কিন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান লুকআউটের সঙ্গে কাজ করেছে প্রোমন। কোনো অ্যাপ স্ট্যান্ডহগ ত্রুটির অপব্যবহার করছে কি না, তা বের করা হচ্ছে এর মাধ্যমে। ঢাকাওয়াচ/স

চার্জিং পোর্ট ‘বাদ দিচ্ছে’ অ্যাপল!

এবার মোবাইল ফোন থেকে চার্জিং পোর্ট বাদ দেয়ার কথা ভাবছে অ্যাপল। ২০২১ সালের হাই-অ্যান্ড আইফোন মডেল থেকে বাদ দেয়া হতে পারে লাইটনিং কানেক্টর, ডিভাইসটির চার্জিং ব্যবস্থা নির্ভর করবে ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের ওপর, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন টিএফ সিকিউরিটিজের অ্যাপল বিশ্লেষক মিং-চি কুয়ো। কুয়োর ধারণা, লাইটনিং ক্যাবল বাতিল এবং অন্যান্য আপডেটের কারণে হাই-অ্যান্ড আইফোনগুলোর বিক্রি ও দাম বাড়াবে। চার্জিং কানেক্টর ছাড়া আইফোনগুলো ‘পুরোপুরি তারবিহীন অভিজ্ঞতা’ দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কয়েক বছর ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে আইফোন থেকে লাইটনিং পোর্ট বাদ দেবে অ্যাপল। ইতিমধ্যে কিছু পণ্যে ইউএসবি-সি কানেক্টর যোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। নতুন আইফোনে আনা হয়েছে ফাস্ট চার্জিং সমর্থন। এ আইফোনগুলো ৩০ মিনিটে ৫০ শতাংশ চার্জ হবে বলে দাবি করেছে অ্যাপল। ঢাকাওয়াচ/স

বিশ্বের প্রথম ফাইভজি ডিএসএস ডাটা প্রযুক্তির কল অপো স্মার্টফোনে

বিশ্বে প্রথমবারের মতো ‘ফাইভজি ডায়নামিক স্পেকট্রাম শেয়ারিং ডাটা’ প্রযুক্তির কল করা হলো অপো স্মার্টফোন থেকে। অপো, এরিকসন, কোয়ালকম টেকনোলজিস, সুইসকম এবং টেলস্ট্রার সমন্বিত উদ্যোগে অপো ফাইভজি ডিএসএস স্মার্টফোন থেকে সফলভাবে সম্পন্ন করা হয় বিশ্বের প্রথম ডিএসএস ডাটা কল। এর মাধ্যমে সূচনা হয় ফাইভজি ডিএসএস ডাটা প্রযুক্তির বাণিজ্যিক ব্যবহার। ডায়নামিক স্পেকট্রাম শেয়ারিং বা ডিএসএস প্রযুক্তি ৪জি ও ৫জি তরঙ্গের সমন্বয় ঘটায়। ফলে বিদ্যমান টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ব্যবহার করে দ্রুততম সময়েই ৫জি প্রযুক্তির বহুল প্রচলন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সুইজারল্যান্ডের সুইসকম এবং অস্ট্রেলিয়ার টেলস্ট্রার ৫জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন এক্স-৫৫ ৫জি মোডেম আরএফ প্রযুক্তি সম্বলিত অপো স্মার্টফোনে দুই দেশের মাঝে ডিএসএস ডাটা কলটি সম্পন্ন করা হয়। এই কলটির জন্য ব্যবহার করা হয় এরিকসন স্পেকট্রাম শেয়ারিং প্রযুক্তি। সম্প্রতি গ্লোবাল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো এবং এরিকসন যৌথভাবে ফাইফজি ল্যাব প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। অপো ও এরিকসনের যৌথ উদ্যোগের প্রথম অর্জন বিশ্বের সর্বপ্রথম ডিএসএস ডাটা কল। বিদ্যমান ৪জি প্রযুক্তির তুলনায় উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা মিলবে ৫জি প্রযুক্তিতে। ফলে বৃদ্ধি পাবে ভিডিও কলিংয়ের মান। ৫জি প্রযুক্তির বাণিজ্যিক ব্যবহার নিশ্চিতে গবেষণা ও উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে অপো। ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি ৫জি প্রযুক্তির নানাবিধ প্যাটেন্ট অর্জন, পণ্য তৈরি এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সুইসকমের সহায়তায় ইউরোপে সর্বপ্রথম ফাইভজি স্মার্টফোন রেনো ৫জি নিয়ে আসে অপো। ৫জি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যৌথ উদ্যোগে ৫জি প্রযুক্তির বাণিজ্যিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো। ঢাকাওয়াচ/স

হেলিকপ্টার থেকে স্মার্টফোন ফেলে যে বিস্ময়কর তথ্য মিলল!

হেলিকপ্টারে করে ভূমি থেকে এক হাজার ফুট উচ্চতায় উঠে স্মার্টফোন ভূমিতে ফেলে পরিক্ষা চালিয়েছেন তিন ইউটিউবার। নতুন আইফোন ১১ কতটা মজবুত তার পরীক্ষা চালিয়েছেন তারা। আইফোন ১১-এর পাশাপাশি ফেলা হয়েছে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস১০ এবং নোকিয়া ৩৩১০। খবর ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের। ‘হাউ রিডিকিউলাস’ ইউটিউব চ্যানেলের ইউটিউবারদের পরীক্ষায় উঠে এসেছে আশ্চর্যজনক ফলাফল। প্রথমে আইফোন ১১ ভূমিতে ফেলার পর দেখা গেছে, ডিভাইসটি পুরোপুরি অকেজো না হয়ে এটির শুধু পেছনে গ্লাস প্যানেলটি ভেঙ্গে গেছে। ওই দলের এক ইউটিউবার বলেন, ‘এটি চালু আছে তবে পেছনে ভেঙ্গে গেছে, কিন্তু আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে, ডিভাইসটি কাজ করছে, এটা অবিশ্বাস্য।’ পরবর্তীতে গ্যালাক্সি এস১০ ভূমিতে ফেলে দলটি। দেখা যায়, ডিভাইসটির ক্যামেরা ভেঙ্গে অকেজো হয়ে গেছে। পরবর্তীতে নোকিয়া ৩৩১০ রেট্রো ফোন নিয়েও একই পরীক্ষা চালানো হয়। হেলিকপ্টার থেকে মাটিতে ফেলার পরও পুরো অক্ষত অবস্থায় ফোনটি পেয়েছেন ইউটিউবাররা। ঢাকাওয়াচ/স