
আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বুধবার (২০ আগস্ট) আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শাহীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি দেয়া হয়েছে। আজই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা গভর্নরের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে শাহীনুল ইসলামকে অবিলম্বে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর দাবি জানান। স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার একাধিক আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশিত হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকসহ গোটা আর্থিক খাতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
এই ভিডিওগুলো যাচাই করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে। আজ বুধবারই এ বিষয়ে গভর্নরের কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এসব ঘটনা সামনে এসেছে এমন সময়ে, যখন শাহীনুল ইসলাম এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর ফ্রিজ করা ব্যাংক হিসাব থেকে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।
২০২৩ সালের নভেম্বরে বিএফআইইউ এনায়েত উল্লাহ এবং তার পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৫০টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করে, যেখানে প্রায় ১২০ কোটি টাকা ছিল। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ব্যাংক আল-ফালাহর চারটি হিসাব পুনরায় ফ্রিজ না করে ১৯ কোটি টাকা উত্তোলনের সুযোগ দেওয়া হয়, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ তথ্য পায় এবং অনুসন্ধান শুরু করে। দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস থেকে প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চাঁদা তুলতেন। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ মে আদালত ওই ১২০ কোটি টাকা ফ্রিজ করার নির্দেশ দেয়।
তবে এখন জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে রয়েছে প্রায় ১০১ কোটি টাকা। বাকি অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যা তদন্তাধীন রয়েছে।